মীর মহিবুল্লাহ, পটুয়াখালী

পটুয়াখালীর চারটি আসনের মধ্যে বাউফল (পটুয়াখালী-২) আসনটি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে ৯ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। একবারই (২০০১ সালে) বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল আলম তালুকদার। কিন্তু দলের অভ্যন্তরীণ বিভাজন আর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বিএনপি বারবার হোঁচট খেয়েছে।
চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে তিনজনই কেন্দ্রীয় নেতা। ইতিমধ্যে তাঁরা মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এ ছাড়া চার ভাগে বিভক্ত হয়ে সভা, সমাবেশও করছেন। একে অপরের বিরুদ্ধে চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি। তবে মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলছেন, এবার ভিন্ন কিছু চাই। তাঁদের ভাষায়, ভবিষ্যতের রাজনীতি অতীতের মতো নয়, নতুন ধারার রাজনীতি হবে। আওয়ামী লীগের আধিপত্যের আসনে জিততে হলে বিএনপিকে অবশ্যই একজন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দিতে হবে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী চারজন হলেন সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদার এবং কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটু।
জানা গেছে, বাউফলে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। ১৯৭৯ সালে দলীয় প্রার্থী অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান নিজেদের নেতাদের বিরোধিতার কারণে। ১৯৯১ সালেও একই ঘটনা ঘটে। ১৯৯৬ সালে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হলে হেরে যান বিএনপির প্রার্থী। শুধু ২০০১ সালের নির্বাচনে শহিদুল আলম তালুকদার ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হলে উপজেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামে এবং আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো বিএনপি বিজয়ী হয়। কিন্তু এরপর আবার শুরু হয় বিভাজন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে শহিদুল নির্বাচন করতে না পেরে বিএনপির প্রার্থী ফারুক তালুকদারের বিরোধিতা করেন। এতে নৌকা মার্কার প্রার্থী সহজেই জয়ী হন।
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদার একসময় জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়ে জিতলেও তাঁর কর্মকাণ্ডে দলের ভেতরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। সাংবাদিক ও পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর, নারী কেলেঙ্কারি, দলীয় নেতা-কর্মীদের হেনস্তাসহ নানা অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে। ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে অস্ত্র ও ত্রাণ লুটপাটের মামলায় দণ্ডিত হন তিনি। এর ফলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। বয়সের ভারে এখন ন্যুব্জ হলেও আবার মনোনয়নের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
জানতে চাইলে শহিদুল আলম তালুকদার বলেন, ‘আমি বরাবরই চেষ্টা করেছি বিএনপিকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য।’ মনোনয়নের সিগন্যাল পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান সাহেব আমাকে ডেকেছিলেন। এবং আমাকে কাজ করতে বলেছেন। আর তো কাউকে ডাকেননি, অবশ্যই আমাকে মনোনয়ন দেবেন, তাই হয়তো ডেকেছেন।’
এদিকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদার। তিনি প্রায় ৫৮ হাজার ভোট পেলেও সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুলের বিরোধিতার কারণে হেরে যান। পরে তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন এবং কিছু সময় পর্যন্ত নেতৃত্বও দেন। তবে আওয়ামী লীগের দমন-পীড়ন এবং ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে তিনি ঢাকায় সরে যান। তিনিও মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ডাকসুর সাবেক মিলনায়তন সম্পাদক ও বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেনকে এখন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা নতুন ভরসা হিসেবে দেখছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বাউফলে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। জানতে চাইলে মু. মুনির হোসেন বলেন, ‘বাউফল বিএনপির দুর্গ। বিএনপির নেতা-কর্মীরা মূলধারার সঙ্গে রয়েছে। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাই ধানের শীষের জন্য কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে সবাই ঐক্যবদ্ধ। মনোনয়ন যে কেউ চাইতে পারে, তার মানে বিভক্তি বা বিরোধ না। ইনশা আল্লাহ আগামী নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ আসন আমরা বিএনপিকে উপহার দিব।’
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটু পটুয়াখালী কৃষি কলেজের সাবেক ভিপি। বর্তমানে কৃষক দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে গণসংযোগ করছেন। তবে স্থানীয় পর্যায়ে তিনি তুলনামূলক নতুন মুখ। লিটু বলেন, ‘এ আসন আওয়ামী লীগের না, এ আসন বিএনপির। প্রতি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে ষড়যন্ত্র করে হারিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে এ আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হবে বিএনপি। ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে এখন কেন্দ্রীয় রাজনীতি করছি। দলের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে যেভাবে ছিলাম, এখনো আছি, সামনেও থাকব।’
সার্বিক বিষয়ে বাউফল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার মৃধা বলেন, বাউফল বিএনপির ঘাঁটি। তবে আওয়ামী লীগ এ আসনে ফ্যাসিবাদী রাজত্ব করে গেছে। নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে প্রার্থীকে সব দিক থেকে যোগ্য হতে হয়। নয়তো শুরুতেই হারতে হয়।

পটুয়াখালীর চারটি আসনের মধ্যে বাউফল (পটুয়াখালী-২) আসনটি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে ৯ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। একবারই (২০০১ সালে) বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল আলম তালুকদার। কিন্তু দলের অভ্যন্তরীণ বিভাজন আর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বিএনপি বারবার হোঁচট খেয়েছে।
চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে তিনজনই কেন্দ্রীয় নেতা। ইতিমধ্যে তাঁরা মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এ ছাড়া চার ভাগে বিভক্ত হয়ে সভা, সমাবেশও করছেন। একে অপরের বিরুদ্ধে চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি। তবে মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলছেন, এবার ভিন্ন কিছু চাই। তাঁদের ভাষায়, ভবিষ্যতের রাজনীতি অতীতের মতো নয়, নতুন ধারার রাজনীতি হবে। আওয়ামী লীগের আধিপত্যের আসনে জিততে হলে বিএনপিকে অবশ্যই একজন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দিতে হবে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী চারজন হলেন সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদার এবং কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটু।
জানা গেছে, বাউফলে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। ১৯৭৯ সালে দলীয় প্রার্থী অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান নিজেদের নেতাদের বিরোধিতার কারণে। ১৯৯১ সালেও একই ঘটনা ঘটে। ১৯৯৬ সালে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হলে হেরে যান বিএনপির প্রার্থী। শুধু ২০০১ সালের নির্বাচনে শহিদুল আলম তালুকদার ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হলে উপজেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামে এবং আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো বিএনপি বিজয়ী হয়। কিন্তু এরপর আবার শুরু হয় বিভাজন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে শহিদুল নির্বাচন করতে না পেরে বিএনপির প্রার্থী ফারুক তালুকদারের বিরোধিতা করেন। এতে নৌকা মার্কার প্রার্থী সহজেই জয়ী হন।
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদার একসময় জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়ে জিতলেও তাঁর কর্মকাণ্ডে দলের ভেতরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। সাংবাদিক ও পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর, নারী কেলেঙ্কারি, দলীয় নেতা-কর্মীদের হেনস্তাসহ নানা অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে। ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে অস্ত্র ও ত্রাণ লুটপাটের মামলায় দণ্ডিত হন তিনি। এর ফলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। বয়সের ভারে এখন ন্যুব্জ হলেও আবার মনোনয়নের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
জানতে চাইলে শহিদুল আলম তালুকদার বলেন, ‘আমি বরাবরই চেষ্টা করেছি বিএনপিকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য।’ মনোনয়নের সিগন্যাল পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান সাহেব আমাকে ডেকেছিলেন। এবং আমাকে কাজ করতে বলেছেন। আর তো কাউকে ডাকেননি, অবশ্যই আমাকে মনোনয়ন দেবেন, তাই হয়তো ডেকেছেন।’
এদিকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদার। তিনি প্রায় ৫৮ হাজার ভোট পেলেও সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুলের বিরোধিতার কারণে হেরে যান। পরে তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন এবং কিছু সময় পর্যন্ত নেতৃত্বও দেন। তবে আওয়ামী লীগের দমন-পীড়ন এবং ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে তিনি ঢাকায় সরে যান। তিনিও মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ডাকসুর সাবেক মিলনায়তন সম্পাদক ও বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেনকে এখন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা নতুন ভরসা হিসেবে দেখছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বাউফলে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। জানতে চাইলে মু. মুনির হোসেন বলেন, ‘বাউফল বিএনপির দুর্গ। বিএনপির নেতা-কর্মীরা মূলধারার সঙ্গে রয়েছে। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাই ধানের শীষের জন্য কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে সবাই ঐক্যবদ্ধ। মনোনয়ন যে কেউ চাইতে পারে, তার মানে বিভক্তি বা বিরোধ না। ইনশা আল্লাহ আগামী নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ আসন আমরা বিএনপিকে উপহার দিব।’
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটু পটুয়াখালী কৃষি কলেজের সাবেক ভিপি। বর্তমানে কৃষক দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে গণসংযোগ করছেন। তবে স্থানীয় পর্যায়ে তিনি তুলনামূলক নতুন মুখ। লিটু বলেন, ‘এ আসন আওয়ামী লীগের না, এ আসন বিএনপির। প্রতি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে ষড়যন্ত্র করে হারিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে এ আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হবে বিএনপি। ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে এখন কেন্দ্রীয় রাজনীতি করছি। দলের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে যেভাবে ছিলাম, এখনো আছি, সামনেও থাকব।’
সার্বিক বিষয়ে বাউফল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার মৃধা বলেন, বাউফল বিএনপির ঘাঁটি। তবে আওয়ামী লীগ এ আসনে ফ্যাসিবাদী রাজত্ব করে গেছে। নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে প্রার্থীকে সব দিক থেকে যোগ্য হতে হয়। নয়তো শুরুতেই হারতে হয়।
মীর মহিবুল্লাহ, পটুয়াখালী

পটুয়াখালীর চারটি আসনের মধ্যে বাউফল (পটুয়াখালী-২) আসনটি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে ৯ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। একবারই (২০০১ সালে) বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল আলম তালুকদার। কিন্তু দলের অভ্যন্তরীণ বিভাজন আর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বিএনপি বারবার হোঁচট খেয়েছে।
চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে তিনজনই কেন্দ্রীয় নেতা। ইতিমধ্যে তাঁরা মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এ ছাড়া চার ভাগে বিভক্ত হয়ে সভা, সমাবেশও করছেন। একে অপরের বিরুদ্ধে চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি। তবে মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলছেন, এবার ভিন্ন কিছু চাই। তাঁদের ভাষায়, ভবিষ্যতের রাজনীতি অতীতের মতো নয়, নতুন ধারার রাজনীতি হবে। আওয়ামী লীগের আধিপত্যের আসনে জিততে হলে বিএনপিকে অবশ্যই একজন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দিতে হবে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী চারজন হলেন সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদার এবং কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটু।
জানা গেছে, বাউফলে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। ১৯৭৯ সালে দলীয় প্রার্থী অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান নিজেদের নেতাদের বিরোধিতার কারণে। ১৯৯১ সালেও একই ঘটনা ঘটে। ১৯৯৬ সালে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হলে হেরে যান বিএনপির প্রার্থী। শুধু ২০০১ সালের নির্বাচনে শহিদুল আলম তালুকদার ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হলে উপজেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামে এবং আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো বিএনপি বিজয়ী হয়। কিন্তু এরপর আবার শুরু হয় বিভাজন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে শহিদুল নির্বাচন করতে না পেরে বিএনপির প্রার্থী ফারুক তালুকদারের বিরোধিতা করেন। এতে নৌকা মার্কার প্রার্থী সহজেই জয়ী হন।
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদার একসময় জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়ে জিতলেও তাঁর কর্মকাণ্ডে দলের ভেতরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। সাংবাদিক ও পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর, নারী কেলেঙ্কারি, দলীয় নেতা-কর্মীদের হেনস্তাসহ নানা অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে। ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে অস্ত্র ও ত্রাণ লুটপাটের মামলায় দণ্ডিত হন তিনি। এর ফলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। বয়সের ভারে এখন ন্যুব্জ হলেও আবার মনোনয়নের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
জানতে চাইলে শহিদুল আলম তালুকদার বলেন, ‘আমি বরাবরই চেষ্টা করেছি বিএনপিকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য।’ মনোনয়নের সিগন্যাল পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান সাহেব আমাকে ডেকেছিলেন। এবং আমাকে কাজ করতে বলেছেন। আর তো কাউকে ডাকেননি, অবশ্যই আমাকে মনোনয়ন দেবেন, তাই হয়তো ডেকেছেন।’
এদিকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদার। তিনি প্রায় ৫৮ হাজার ভোট পেলেও সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুলের বিরোধিতার কারণে হেরে যান। পরে তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন এবং কিছু সময় পর্যন্ত নেতৃত্বও দেন। তবে আওয়ামী লীগের দমন-পীড়ন এবং ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে তিনি ঢাকায় সরে যান। তিনিও মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ডাকসুর সাবেক মিলনায়তন সম্পাদক ও বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেনকে এখন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা নতুন ভরসা হিসেবে দেখছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বাউফলে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। জানতে চাইলে মু. মুনির হোসেন বলেন, ‘বাউফল বিএনপির দুর্গ। বিএনপির নেতা-কর্মীরা মূলধারার সঙ্গে রয়েছে। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাই ধানের শীষের জন্য কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে সবাই ঐক্যবদ্ধ। মনোনয়ন যে কেউ চাইতে পারে, তার মানে বিভক্তি বা বিরোধ না। ইনশা আল্লাহ আগামী নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ আসন আমরা বিএনপিকে উপহার দিব।’
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটু পটুয়াখালী কৃষি কলেজের সাবেক ভিপি। বর্তমানে কৃষক দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে গণসংযোগ করছেন। তবে স্থানীয় পর্যায়ে তিনি তুলনামূলক নতুন মুখ। লিটু বলেন, ‘এ আসন আওয়ামী লীগের না, এ আসন বিএনপির। প্রতি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে ষড়যন্ত্র করে হারিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে এ আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হবে বিএনপি। ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে এখন কেন্দ্রীয় রাজনীতি করছি। দলের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে যেভাবে ছিলাম, এখনো আছি, সামনেও থাকব।’
সার্বিক বিষয়ে বাউফল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার মৃধা বলেন, বাউফল বিএনপির ঘাঁটি। তবে আওয়ামী লীগ এ আসনে ফ্যাসিবাদী রাজত্ব করে গেছে। নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে প্রার্থীকে সব দিক থেকে যোগ্য হতে হয়। নয়তো শুরুতেই হারতে হয়।

পটুয়াখালীর চারটি আসনের মধ্যে বাউফল (পটুয়াখালী-২) আসনটি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে ৯ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। একবারই (২০০১ সালে) বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল আলম তালুকদার। কিন্তু দলের অভ্যন্তরীণ বিভাজন আর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বিএনপি বারবার হোঁচট খেয়েছে।
চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে তিনজনই কেন্দ্রীয় নেতা। ইতিমধ্যে তাঁরা মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এ ছাড়া চার ভাগে বিভক্ত হয়ে সভা, সমাবেশও করছেন। একে অপরের বিরুদ্ধে চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি। তবে মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলছেন, এবার ভিন্ন কিছু চাই। তাঁদের ভাষায়, ভবিষ্যতের রাজনীতি অতীতের মতো নয়, নতুন ধারার রাজনীতি হবে। আওয়ামী লীগের আধিপত্যের আসনে জিততে হলে বিএনপিকে অবশ্যই একজন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দিতে হবে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী চারজন হলেন সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদার এবং কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটু।
জানা গেছে, বাউফলে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। ১৯৭৯ সালে দলীয় প্রার্থী অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান নিজেদের নেতাদের বিরোধিতার কারণে। ১৯৯১ সালেও একই ঘটনা ঘটে। ১৯৯৬ সালে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হলে হেরে যান বিএনপির প্রার্থী। শুধু ২০০১ সালের নির্বাচনে শহিদুল আলম তালুকদার ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হলে উপজেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামে এবং আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো বিএনপি বিজয়ী হয়। কিন্তু এরপর আবার শুরু হয় বিভাজন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে শহিদুল নির্বাচন করতে না পেরে বিএনপির প্রার্থী ফারুক তালুকদারের বিরোধিতা করেন। এতে নৌকা মার্কার প্রার্থী সহজেই জয়ী হন।
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদার একসময় জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়ে জিতলেও তাঁর কর্মকাণ্ডে দলের ভেতরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। সাংবাদিক ও পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর, নারী কেলেঙ্কারি, দলীয় নেতা-কর্মীদের হেনস্তাসহ নানা অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে। ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে অস্ত্র ও ত্রাণ লুটপাটের মামলায় দণ্ডিত হন তিনি। এর ফলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। বয়সের ভারে এখন ন্যুব্জ হলেও আবার মনোনয়নের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
জানতে চাইলে শহিদুল আলম তালুকদার বলেন, ‘আমি বরাবরই চেষ্টা করেছি বিএনপিকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য।’ মনোনয়নের সিগন্যাল পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান সাহেব আমাকে ডেকেছিলেন। এবং আমাকে কাজ করতে বলেছেন। আর তো কাউকে ডাকেননি, অবশ্যই আমাকে মনোনয়ন দেবেন, তাই হয়তো ডেকেছেন।’
এদিকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদার। তিনি প্রায় ৫৮ হাজার ভোট পেলেও সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুলের বিরোধিতার কারণে হেরে যান। পরে তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন এবং কিছু সময় পর্যন্ত নেতৃত্বও দেন। তবে আওয়ামী লীগের দমন-পীড়ন এবং ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে তিনি ঢাকায় সরে যান। তিনিও মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ডাকসুর সাবেক মিলনায়তন সম্পাদক ও বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেনকে এখন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা নতুন ভরসা হিসেবে দেখছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বাউফলে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। জানতে চাইলে মু. মুনির হোসেন বলেন, ‘বাউফল বিএনপির দুর্গ। বিএনপির নেতা-কর্মীরা মূলধারার সঙ্গে রয়েছে। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাই ধানের শীষের জন্য কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে সবাই ঐক্যবদ্ধ। মনোনয়ন যে কেউ চাইতে পারে, তার মানে বিভক্তি বা বিরোধ না। ইনশা আল্লাহ আগামী নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ আসন আমরা বিএনপিকে উপহার দিব।’
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটু পটুয়াখালী কৃষি কলেজের সাবেক ভিপি। বর্তমানে কৃষক দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে গণসংযোগ করছেন। তবে স্থানীয় পর্যায়ে তিনি তুলনামূলক নতুন মুখ। লিটু বলেন, ‘এ আসন আওয়ামী লীগের না, এ আসন বিএনপির। প্রতি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে ষড়যন্ত্র করে হারিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে এ আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হবে বিএনপি। ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে এখন কেন্দ্রীয় রাজনীতি করছি। দলের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে যেভাবে ছিলাম, এখনো আছি, সামনেও থাকব।’
সার্বিক বিষয়ে বাউফল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার মৃধা বলেন, বাউফল বিএনপির ঘাঁটি। তবে আওয়ামী লীগ এ আসনে ফ্যাসিবাদী রাজত্ব করে গেছে। নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে প্রার্থীকে সব দিক থেকে যোগ্য হতে হয়। নয়তো শুরুতেই হারতে হয়।

বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
৪৪ মিনিট আগে
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন।
১ ঘণ্টা আগে
রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে...
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ ঘণ্টা আগেথানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

বান্দরবানের থানচি উপজেলার বলিপাড়া ইউনিয়নের বলিবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে হঠাৎ লাগা আগুনে বাজারের অন্তত ১৩টি দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দেড় বছরের ব্যবধানে এটি এলাকায় তৃতীয়বারের মতো বড় অগ্নিকাণ্ড।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বাজারের একটি খাবারের হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকানগুলোতে।
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হ্লায়ইচিং মারমা নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, ‘খুব দুর্ভাগ্য আমার। মালপত্র সরানোর কোনো সুযোগ পেলাম না।’
বলিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াঅং মারমা বলেন, ‘আগুনের ঘটনা জানার পরপরই বাজারে এসেছি। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। আগুনে ১৩টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’
থানছি থানার ফায়ার স্টেশনের লিডার পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে বলিপাড়া বাজারে আগুনের খবর পাই। দ্রুত দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভায়। তৎক্ষণিকভাবে মনে হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদুল্লাহ আল-ফয়সাল বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ট্রেনিংয়ের কাজে ঢাকায় আছি। বলিপাড়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকনা খাবার, কম্বল দেওয়া হবে। এ ছাড়াও বান্দরবান জেলা প্রশাসককে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।’

বান্দরবানের থানচি উপজেলার বলিপাড়া ইউনিয়নের বলিবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে হঠাৎ লাগা আগুনে বাজারের অন্তত ১৩টি দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দেড় বছরের ব্যবধানে এটি এলাকায় তৃতীয়বারের মতো বড় অগ্নিকাণ্ড।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বাজারের একটি খাবারের হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকানগুলোতে।
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হ্লায়ইচিং মারমা নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, ‘খুব দুর্ভাগ্য আমার। মালপত্র সরানোর কোনো সুযোগ পেলাম না।’
বলিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াঅং মারমা বলেন, ‘আগুনের ঘটনা জানার পরপরই বাজারে এসেছি। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। আগুনে ১৩টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’
থানছি থানার ফায়ার স্টেশনের লিডার পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে বলিপাড়া বাজারে আগুনের খবর পাই। দ্রুত দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভায়। তৎক্ষণিকভাবে মনে হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদুল্লাহ আল-ফয়সাল বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ট্রেনিংয়ের কাজে ঢাকায় আছি। বলিপাড়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকনা খাবার, কম্বল দেওয়া হবে। এ ছাড়াও বান্দরবান জেলা প্রশাসককে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।’

পটুয়াখালীর চারটি আসনের মধ্যে বাউফল (পটুয়াখালী-২) আসনটি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে ৯ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ
২৯ আগস্ট ২০২৫
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন।
১ ঘণ্টা আগে
রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে...
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ ঘণ্টা আগেশেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ এবং তা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয় রাজনীতি। অন্যদিকে এই অবস্থায় পাল্টাপাল্টি হামলার আশঙ্কায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। গতকাল শনিবার বিকেলে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণসংযোগে হামলার প্রতিবাদে আজ রোববার বিকেল ৪টায় শহরের খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর মোড় থেকে থানা মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন। ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে বিএনপির সমর্থকেরা জামায়াত নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। সংঘর্ষে শেরপুর জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপন ও রাকিবুল হাসানসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে ওই ঘটনার পর শুক্রবার রাতে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান নেন। সন্ধ্যার পর থেকে শহরে পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ মিছিল হয়। হামলার অভিযোগে রাতে জামায়াত নেতা রাকিবুল হাসান বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় চারজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভোটের গণসংযোগে এমন ন্যক্কারজনক হামলায় শেরপুরবাসী উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। এতে আগামী নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।’ তিনি ওই হামলার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তির আওতায় আনার জন্য ও নিবার্চনী কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ ও সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। গণসচেতনতার অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে রোববার বিকেল ৪টায় শহরের খোয়ারপাড় মোড় থেকে থানা মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ঘোষণা করেন তিনি। ওই সময় গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও শেরপুর-২ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের এমপি প্রার্থী নুরুজ্জামান বাদল, জেলা প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি ও শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মু. গোলাম কিবরিয়া ভিপিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এর আগে হামলার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে শুক্রবার রাতে শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডাকপাড়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে গিয়েছিল। সেখানে কয়েকটি মসজিদে মিটিং-মিছিল করে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে এলাকাবাসী এর তীব্র প্রতিবাদ করলে তারা এলাকা ছেড়ে চলে আসে। এরপর থানায় গিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। তারা মিথ্যা কথা বলছে এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।’ তিনি ‘মিথ্যা মামলা’র তীব্র নিন্দা জানিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন, আক্রামুজ্জামান রাহাতসহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেরপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ এবং তা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয় রাজনীতি। অন্যদিকে এই অবস্থায় পাল্টাপাল্টি হামলার আশঙ্কায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। গতকাল শনিবার বিকেলে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণসংযোগে হামলার প্রতিবাদে আজ রোববার বিকেল ৪টায় শহরের খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর মোড় থেকে থানা মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন। ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে বিএনপির সমর্থকেরা জামায়াত নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। সংঘর্ষে শেরপুর জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপন ও রাকিবুল হাসানসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে ওই ঘটনার পর শুক্রবার রাতে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান নেন। সন্ধ্যার পর থেকে শহরে পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ মিছিল হয়। হামলার অভিযোগে রাতে জামায়াত নেতা রাকিবুল হাসান বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় চারজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভোটের গণসংযোগে এমন ন্যক্কারজনক হামলায় শেরপুরবাসী উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। এতে আগামী নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।’ তিনি ওই হামলার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তির আওতায় আনার জন্য ও নিবার্চনী কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ ও সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। গণসচেতনতার অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে রোববার বিকেল ৪টায় শহরের খোয়ারপাড় মোড় থেকে থানা মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ঘোষণা করেন তিনি। ওই সময় গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও শেরপুর-২ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের এমপি প্রার্থী নুরুজ্জামান বাদল, জেলা প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি ও শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মু. গোলাম কিবরিয়া ভিপিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এর আগে হামলার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে শুক্রবার রাতে শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডাকপাড়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে গিয়েছিল। সেখানে কয়েকটি মসজিদে মিটিং-মিছিল করে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে এলাকাবাসী এর তীব্র প্রতিবাদ করলে তারা এলাকা ছেড়ে চলে আসে। এরপর থানায় গিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। তারা মিথ্যা কথা বলছে এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।’ তিনি ‘মিথ্যা মামলা’র তীব্র নিন্দা জানিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন, আক্রামুজ্জামান রাহাতসহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পটুয়াখালীর চারটি আসনের মধ্যে বাউফল (পটুয়াখালী-২) আসনটি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে ৯ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ
২৯ আগস্ট ২০২৫
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
৪৪ মিনিট আগে
রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে...
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে শ্বশুরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লিমা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহত লিমা ওই গ্রামের আব্দুর রবের স্ত্রী। রোববার (২৬ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আরিফুর রহমান বলেন, ‘ওই গৃহবধূকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তাঁর বুকের ওপরের অংশে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর ক্ষত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি, অভিযুক্ত শ্বশুর মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম খান এই ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযুক্ত মুকুল শেখকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে শ্বশুরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লিমা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহত লিমা ওই গ্রামের আব্দুর রবের স্ত্রী। রোববার (২৬ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আরিফুর রহমান বলেন, ‘ওই গৃহবধূকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তাঁর বুকের ওপরের অংশে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর ক্ষত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি, অভিযুক্ত শ্বশুর মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম খান এই ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযুক্ত মুকুল শেখকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

পটুয়াখালীর চারটি আসনের মধ্যে বাউফল (পটুয়াখালী-২) আসনটি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে ৯ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ
২৯ আগস্ট ২০২৫
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
৪৪ মিনিট আগে
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন।
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কার্তিকের শুরুতেই কুড়িগ্রামে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। পৌষ আসতে এখনো প্রায় দুই মাস বাকি থাকলেও প্রতি রাতে জেলাজুড়ে কুয়াশার স্পষ্ট উপস্থিতি শীতের আগমনকে ত্বরান্বিত করছে। দিনে সূর্যের দাপুটে উপস্থিতি থাকলেও রাতের আবহাওয়া কুয়াশার চাদরের দখলে যেতে শুরু করেছে। জানান দিচ্ছে শীত এল বলে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে জেলায় সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর একটু আগেই শীতের আগমন হচ্ছে। সন্ধ্যার পর কুয়াশা পড়ছে। গাছের পাতা, ফসল ও ঘাস কিংবা খোলা আকাশের নিচে থাকা মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো বস্তুতে পড়ে থাকা কুয়াশার ফোঁটা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন। রাতের বেলা গাছের পাতা গড়িয়ে কুয়াশা ঘরের টিনের চালে পড়ছে টিপটিপ শব্দে। ভোরবেলা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। তবে সে তুলনায় শীতানুভূতি নেই। এখনো বৈদ্যুতিক পাখা ছাড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। যদিও ইতিমধ্যে বাজারে ও সড়কের পাশের দোকানগুলোতে শীতের কাপড়ের পসরা সাজানো শুরু হয়েছে। যেন শীতকে বরণের প্রস্তুতি।
বিকেল হতেই শহরের বিভিন্ন মোড়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে নানা রকম শীতের পিঠা তৈরি শুরু করেছেন। ভাপা পিঠার সঙ্গে চলছে চিতই পিঠা বিক্রি।
কুড়িগ্রাম শহরের বাসিন্দা মুকুল বলেন, এ বছর একটু আগাম কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। রাতে ঘরের বাইরে শীত অনুভূত হচ্ছে। সড়কে গাড়ি চালালে কুয়াশার কুণ্ডলীর কারণে পথ চলতে সমস্যা হচ্ছে। জেলায় ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। তবে ঠান্ডা তুলনামূলক কম।

উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর বলেন, ‘রাতে ভালোই কুয়াশা পড়া শুরু হইছে। এখনো সেই অর্থে ঠান্ডা লাগে না। তবে বোঝা যাচ্ছে যে ঠান্ডা শুরু হচ্ছে।’
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আল-আমিন মাসুদ বলেন, ‘আজ (শনিবার) সকালে সড়কপথে চলার সময় কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কুয়াশার মাত্রা দেখে মনে হয়েছে যেন পৌষ মাস শুরু হয়েছে। তবে দিনে গরম, কিন্তু রাতের তাপমাত্রা কমছে। এ সময় শিশুদের সুরক্ষায় বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত। রাতে বৈদ্যুতিক পাখার গতি কমিয়ে রাখাসহ শিশুদের বাইরে নিয়ে গেলে ধুলাবালু ও ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে।’
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমছে। ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। মধ্য নভেম্বর থেকে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।

কার্তিকের শুরুতেই কুড়িগ্রামে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। পৌষ আসতে এখনো প্রায় দুই মাস বাকি থাকলেও প্রতি রাতে জেলাজুড়ে কুয়াশার স্পষ্ট উপস্থিতি শীতের আগমনকে ত্বরান্বিত করছে। দিনে সূর্যের দাপুটে উপস্থিতি থাকলেও রাতের আবহাওয়া কুয়াশার চাদরের দখলে যেতে শুরু করেছে। জানান দিচ্ছে শীত এল বলে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে জেলায় সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর একটু আগেই শীতের আগমন হচ্ছে। সন্ধ্যার পর কুয়াশা পড়ছে। গাছের পাতা, ফসল ও ঘাস কিংবা খোলা আকাশের নিচে থাকা মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো বস্তুতে পড়ে থাকা কুয়াশার ফোঁটা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন। রাতের বেলা গাছের পাতা গড়িয়ে কুয়াশা ঘরের টিনের চালে পড়ছে টিপটিপ শব্দে। ভোরবেলা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। তবে সে তুলনায় শীতানুভূতি নেই। এখনো বৈদ্যুতিক পাখা ছাড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। যদিও ইতিমধ্যে বাজারে ও সড়কের পাশের দোকানগুলোতে শীতের কাপড়ের পসরা সাজানো শুরু হয়েছে। যেন শীতকে বরণের প্রস্তুতি।
বিকেল হতেই শহরের বিভিন্ন মোড়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে নানা রকম শীতের পিঠা তৈরি শুরু করেছেন। ভাপা পিঠার সঙ্গে চলছে চিতই পিঠা বিক্রি।
কুড়িগ্রাম শহরের বাসিন্দা মুকুল বলেন, এ বছর একটু আগাম কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। রাতে ঘরের বাইরে শীত অনুভূত হচ্ছে। সড়কে গাড়ি চালালে কুয়াশার কুণ্ডলীর কারণে পথ চলতে সমস্যা হচ্ছে। জেলায় ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। তবে ঠান্ডা তুলনামূলক কম।

উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর বলেন, ‘রাতে ভালোই কুয়াশা পড়া শুরু হইছে। এখনো সেই অর্থে ঠান্ডা লাগে না। তবে বোঝা যাচ্ছে যে ঠান্ডা শুরু হচ্ছে।’
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আল-আমিন মাসুদ বলেন, ‘আজ (শনিবার) সকালে সড়কপথে চলার সময় কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কুয়াশার মাত্রা দেখে মনে হয়েছে যেন পৌষ মাস শুরু হয়েছে। তবে দিনে গরম, কিন্তু রাতের তাপমাত্রা কমছে। এ সময় শিশুদের সুরক্ষায় বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত। রাতে বৈদ্যুতিক পাখার গতি কমিয়ে রাখাসহ শিশুদের বাইরে নিয়ে গেলে ধুলাবালু ও ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে।’
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমছে। ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। মধ্য নভেম্বর থেকে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।

পটুয়াখালীর চারটি আসনের মধ্যে বাউফল (পটুয়াখালী-২) আসনটি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে ৯ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ
২৯ আগস্ট ২০২৫
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
৪৪ মিনিট আগে
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন।
১ ঘণ্টা আগে
রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে...
১ ঘণ্টা আগে