Ajker Patrika

গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে ৪ যুবকের কাছে এএসআইয়ের টাকা দাবির অভিযোগ

আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯: ৫৯
গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে ৪ যুবকের কাছে এএসআইয়ের টাকা দাবির অভিযোগ

পটুয়াখালীর বাউফল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুজন দেবনাথের বিরুদ্ধে চার যুবককে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই চার যুবকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকলেও আসামি বলে দাবি করে ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা চেয়েছেন এএসআই সুজন দেবনাথ। 

এদিকে টাকা না দেওয়ায় গ্রেপ্তারের হুমকি পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ওই চার যুবক। এই নিয়ে মোবাইল ফোনে টাকা দাবির কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ওই চার যুবকের নাম হলো তরিকুল ইসলাম (১৯), আমানুল ইসলাম (১৮), মো. ছালাম ওরফে সালেম (২৯) ও নাঈম হাওলাদার (২১)। তাঁরা সবাই উপজেলার সদর ইউনিয়নের যৌতা ও অলিপুরা গ্রামের বাসিন্দা। 

জানা গেছে, ১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বগা ডা. ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রি কলেজ গেটের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে দেড় কেজি গাঁজাসহ উপজেলার সদর ইউনিয়নের যৌতা গ্রামের দেরাজ সরদারের ছেলে হাসিব সরদারকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় বগা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এসআই সোহেল খান বাদী হয়ে হাসিব সরদারকে একমাত্র আসামি করে বাউফল থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। 

এই ঘটনার পরের দিন ২ সেপ্টেম্বর বাউফল থানার এএসআই সুজন দেবনাথ একই ইউনিয়নের যৌতা ও অলিপুরা গ্রামের বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম, এসানুল ইসলাম, মো. ছালাম ওরফে সালেম ও নাঈম হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের বাবা-মাকে বলেন, গাঁজা জব্দের মামলায় তাঁদের ছেলেরা আসামি। তাঁরা যেন দেখা করেন। কিন্তু ওই চার যুবক এএসআই সুজনের সঙ্গে দেখা করেননি। 

এর দুই দিন পরে এএসআই সুজনের কথিত সোর্স হাসান সরকার ও আরিফ হোসেন ওই যুবকদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের এএসআই সুজনের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। এ সময় প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যেতে বলেন। এরপরও ওই যুবকেরা দেখা না করায় এএসআই সুজন নিজেই তরিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে টাকা দাবি করেন। পরে ফোনে টাকা দাবির কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। 

ওই চার যুবকের একজন আমিনুল ইসলামের বাবা বাবুল সরদার বলেন, ‘এএসআই সুজন দেবনাথ আমাকে বলেন, আমার ছেলে মাদক মামলার আসামি এবং তিনি ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আমাকে বিষয়টি মিটমাট করার জন্য বলেন। অন্যথায় আমার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে চালান করা হবে। পরে আমি ওই মামলার এজাহারের কপি তুলে দেখি আমার ছেলেসহ যাদের কথা বলা হয়েছে তাদের কারও নাম নেই।’ 

অভিযোগ অস্বীকার করে এএসআই সুজন দেবনাথ বলেন, ‘আমার সঙ্গে যার কথা হয়েছে, সে মাদক মামলার আসামির আত্মীয়। আমি কোনো অন্যায় করিনি।’ 

এ বিষয়ে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ মামলায় অন্য কাউকে আসামি করার সুযোগ নেই।’ এ ছাড়া তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

জানতে চাইলে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এএসআই সুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যাত্রাবাড়ীতে ১৫ কেজি গাঁজাসহ যুবক গ্রেপ্তার

শ্যামপুর-কদমতলী (প্রতিনিধি) ঢাকা 
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর রহমান সুপার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫ কেজি গাঁজাসহ মো. এরশাদ হোসেনকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর রহমান সুপার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫ কেজি গাঁজাসহ মো. এরশাদ হোসেনকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ১৫ কেজি গাঁজাসহ মো. এরশাদ হোসেন (২৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-১০। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর রহমান সুপার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, অভিযানে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এরশাদ হোসেন পেশাদার মাদক কারবারি বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার এরশাদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে অবৈধভাবে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আগেও একটি মামলা রয়েছে।

উদ্ধার করা মাদকসহ গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যাত্রাবাড়ী থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুবায়েদ হত্যায় ‎সন্দেহভাজন ছেলেকে যে কারণে থানায় দেন মা, জানালেন স্বজনেরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০১: ০৬
জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন তাঁর মা রেখা আক্তার। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে তিনি নিজে বংশাল থানায় গিয়ে ছেলেকে পুলিশের কাছে দিয়ে আসেন বলে জানান মাহির খালা আঁখি আক্তার।

সোমবার রাতে আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান তিনি।

‎মাহির খালা আঁখি আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা ভয় পাই। যেহেতু সারা দেশ উত্তাল ছিল, ছাত্ররা ক্ষুব্ধ ছিল। আমরা ভাবছিলাম, মাহিরকে যদি না পায়, তবে বিনা কারণে অন্য কাউকে ধরে নিতে পারে। ওর জন্য অন্যরা হয়রানি হতে পারে। ওর জন্য সারা দেশ উত্তাল। তাই এর চেয়ে ভালো ওকেই ধরাইয়া দেই। পরে আপা (মাহিরের মা) সিদ্ধান্ত নিল ওকেই ধরাইয়ে দেই।’

‎মাহির খালা আরও বলেন, ‘আমরা সবাই বসে আলাপ করি। আমি মাহিরের ফুফুর সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওর ফুফুই মাহিরের সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করে। আমরা জানতাম না, ও তখন কোথায় ছিল। পরে ওর মা নিজেই মাহিরকে নিয়ে বংশাল থানায় যায়।’

‎মাহির ও বর্ষার বন্ধুত্বের বিষয়ে আঁখি বলেন, ‘মাহিরের সঙ্গে মেয়েটার সম্পর্ক ছিল। আমরা জানতাম। মেয়েটা মাঝখানে ওকে না করে দিয়েছিল, এটাও জানতাম। কিন্তু না করার পরও মেয়েটা মাহিরের সঙ্গে কথা বলত। এই জিনিসটা মাহির নিতে পারেনি, না করেও আবার কথা বলা, আবার স্যারকেও পছন্দ করা, এই কনফিউশনেই ছেলেটার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।’

খালা আঁখি আরও বলেন, ‘মাহির জানত, মেয়েটা স্যারকে পছন্দ করে। মেয়েটাও মাহির সামনে বলেছে, “আমি স্যারকে পছন্দ করি, তোমার সঙ্গে থাকব না।” এই কথা শোনার পর মাহি সরে এসেছিল। কিন্তু সপ্তাহখানেক পর আবার যোগাযোগ করে। মাহির কনফিউজড হয়ে গিয়েছিল। ১৯ বছরের একটা ছেলে, মাথাটা আওলাইয়া গেছে, তাই হয়তো এই ঘটনাটা ঘটাইয়া ফেলছে।’

‎মাহিরের বন্ধু প্রীতম ও এলান একই বয়সী এবং একই কলেজের ছাত্র বলে জানান আঁখি আক্তার।

‎এর আগে আঁখি আক্তারের স্বামী ও মাহিরের খালু মো. ইমরান শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোববার রাতে অফিস থেকে এসে দেখি ফেসবুকে এসব খবর ছড়াইছে। আমি তখন আর কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। মাহিরের বাড়িতে ফোন দিয়েছি, তাদের নম্বর বন্ধ ছিল। আমার স্ত্রীর বড় বোনের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, কিন্তু তাঁর ফোনও বন্ধ। ভাবলাম তাঁরা ব্যস্ত আছে। পরে আমরা ঘুমিয়ে যাই।’

ইমরান শেখ আরও বলেন, ‘রাত সাড়ে তিনটা-চারটার দিকে আমাদের বাসায় ডিবির লোকজন আসে। দরজায় নক দেয়। আমরা খুলে দিলে তাঁরা বাসা তল্লাশি করে। কোথাও মাহিরকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে কি না, তা দেখে। পরে আমাকে ডেকে নিচে নেয়। জিজ্ঞেস করে, “আপনার শালা কোথায়?” আমি বলি, আমার তো শালা নেই, দুইটা শালি আছে। কিন্তু তারা ধরে নেয়, আমার শালা আছে। আমি বললাম, আমার শালা নেই। মাহির আমার ভাগনে হয়। তখন তারা আমাকে মাহিরের বাড়ি নিয়ে যায়। গিয়ে দেখি বাড়িতে তালা মারা। কেউ নাই। পরে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়। আমি বাড়ি ফিরে অফিসে চলে যাই।’

‎ইমরান শেখ আরও বলেন, ‘এই ঘটনা যখন মাহিরের মা জানতে পারেন, তখন তিনি কষ্ট পান। তাঁর ছেলের জন্য কেন আমাকে ধরে নিয়ে হেনস্তা করবে। মাহিরও আমাকে খুব ভালোবাসত। আমিও ছেলের মতো আদর করতাম। তাই সে-ও হয়তো ভেবেছে, আমার জন্য তিনি কেন হেনস্তার শিকার হবেন। তখন তাঁর মাকে বলে, তাঁর মা সাড়ে ৭টার দিকে বংশাল থানায় গিয়ে দিয়ে আসে। আমাকে ছেড়ে দিলেও মাহিরের বাড়ির লোকজন চিন্তা করেছে, তার জন্য আত্মীয়স্বজন হয়রানি শিকার হতে পারে। তাই তাকে দিয়ে আসে।’

‎তবে মাহিরকে থানায় দিয়ে আসার বিষয়টি পুলিশের কেউ স্বীকার করেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সরিষার তেলে পোড়া মবিল মেশানোয় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রি। ছবি: সংগৃহীত
আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রি। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায় সততা অয়েল মিলের ১০ ড্রাম সরিষার তেলে পোড়া মবিল মেশানোর ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রিকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার বাকি ৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরে মামলার রায় প্রদান করেন ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মো. মাহবুব আলম। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. শামীম হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঝিনাইদহের হামদহ এলাকার শেরেবাংলা অয়েল অ্যান্ড রাইস মিলের মালিক আ. মালেক ও কালীচরণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদে সততা অয়েল মিলসের ১০ ড্রাম সরিষার তেলের মধ্যে পোড়া মবিল মিশিয়ে দেন আসামি আশরাফসহ আরও পাঁচজন।

ওই ঘটনায় সততা অয়েল মিলের মালিক নওশের আলী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন; যা পরে এজাহার হিসেবে (মামলা নম্বর এসটিসি-৮৩/১১) রেকর্ড হয়। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান আদালতে ৭ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। মামলা চলাকালীন ২০২১ সালে মামলার অপর আসামি হাফিজ চেয়ারম্যান মারা যান।

ওই মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার (২০ অক্টোবর) রায় প্রদান করেন ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মো. মাহবুব আলম। রায়ে আসামি আশরাফকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দবির উদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করতে আমরা সমর্থ হয়েছি। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।’

মামলার বাদী মরহুম নওশের আলীর পুত্র সততা অয়েল মিলসের বর্তমান স্বত্বাধিকারী মিরাজ জামান রাজ জানান, রায়ে তিনি আংশিক সন্তুষ্ট। তবে মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা শেরেবাংলা অয়েল অ্যান্ড রাইস মিলের মালিক আব্দুল মালেকসহ সহযোগী আসামিরা খালাস পেয়েছেন। এতে কিছুটা হতাশ।

তিনি আরও জানিয়েছেন, অন্য আসামিদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। তাঁদেরও শাস্তি নিশ্চিতের জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়িচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অজ্ঞাত একটি গাড়ির চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া ধলেশ্বরী সেতুর ওপর সার্ভিস সড়কের মাওয়ামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসাড়া হাইওয়ে থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ।

তিনি জানান, মোটরসাইকেলে তাঁরা মাওয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ সময় পেছন দিক থেকে আসা অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাঁদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁরা মারা যান। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে হাসাড়া হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত