তেঁতুলিয়ায় ড্রেজারের দাপট
ফাহিম হাসান, পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিন-রাত চলছে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু তোলার কাজ। বিশেষ করে উপজেলার সাঁও, চাওয়াই ও করতোয়া নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে নির্বিচারে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে এবং আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙনের। নদীর দুই তীর, ফসলি জমি ও বসতভিটার মাটি ঝুঁকির মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদী ও ফসলি জমিতে দিন-রাত এসব মেশিনের গর্জন চলছে। প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালিয়ে মামলা করছে, মেশিন জব্দ ও ধ্বংস করছে; কিন্তু প্রভাবশালী চক্রকে থামানো যাচ্ছে না। একটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস হলে পরদিনই সেখানে নতুন মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু তোলা শুরু হয়।
ড্রেজারের দাপটে একরের পর একর সমতল তিন ফসলি জমি গর্তে পরিণত হয়েছে। আগে এসব জমিতে ধান, আলু, ভুট্টা এবং বিভিন্ন সবজি ফলানো হতো। অনেকেই অর্থের লোভে নিজের জমি ভাড়া দিয়েছেন ড্রেজারমালিকদের কাছে। এতে অল্প কিছু লাভ হলেও জমি স্থায়ীভাবে নষ্ট হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে চাষাবাদ করা সম্ভব হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক কৃষক বলেন, ‘আমি নিজের জমি ড্রেজার দিয়ে কাটতে দিয়েছি। প্রথমে কিছু টাকা পেয়েছিলাম, কিন্তু এখন জমি একেবারে গর্ত হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আর কিছুই ফলানো যাবে না। আমরা নিজেই আমাদের ক্ষতি ডেকে এনেছি।’
আইন অনুযায়ী সীমান্ত থেকে ১৫০ গজের মধ্যে বালু-পাথর উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, বিজিবি ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্তঘেঁষে প্রতিদিন ড্রেজার মেশিন বসানো হচ্ছে। গত ছয় মাসে খনিজ সম্পদ আইনে অন্তত ১৭টি মামলা হয়েছে। প্রায় ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে এসব মামলায়। এ সময়ে ২৫-৩০টি ড্রেজার জব্দ এবং ৩০টির বেশি ধ্বংস করা হলেও পরিস্থিতি আগের মতোই অনিয়ন্ত্রিত। প্রশাসনের অভিযান শেষ হওয়ার পরপরই নতুন ড্রেজার বসিয়ে পুনরায় পাথর-বালু উত্তোলন শুরু হয়।
স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, সাঁও ও করতোয়া নদীতে ড্রেজার বসিয়ে তলদেশ কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে নদীর স্বাভাবিক গতি নষ্ট হচ্ছে, জমির মাটিও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। ফলে সামনের দিনে ভয়াবহ নদীভাঙন দেখা দিতে পারে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) পঞ্চগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘তেঁতুলিয়ার নদী ও সমতলজুড়ে এখন গর্ত আর গর্ত।
ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন পাথর-বালু তোলায় ভূগর্ভ ফাঁপা হয়ে যাচ্ছে। এতে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।’
এদিকে মেশিনমালিকদের অভিযোগ, পাথর-বালু তোলার প্রতিটি সাইট থেকে প্রতিদিন ৭-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয় চাঁদা হিসেবে। এ থেকে প্রতিদিন যে বিপুল অর্থ আদায় হয় তার ভাগ পান প্রভাবশালীরা।
অন্যদিকে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, তাঁরা সনাতন পদ্ধতিতে পাথর-বালু তুলছেন। তবে বাস্তবে দেখা যায়, সোর্সদের মাধ্যমে প্রশাসনের অভিযানের খবর আগে থেকে পৌঁছে যায় কোয়ারিগুলোতে। ফলে অনেক সময় অভিযান চালালেও ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায় না।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজির হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে পাথর-বালু তোলার বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। আইন ভঙ্গকারীরা কেউ ছাড় পাবে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে কয়েকটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করেছি। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। খবর পেলেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করি। অবৈধ পাথর-বালু উত্তোলন বন্ধ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিন-রাত চলছে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু তোলার কাজ। বিশেষ করে উপজেলার সাঁও, চাওয়াই ও করতোয়া নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে নির্বিচারে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে এবং আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙনের। নদীর দুই তীর, ফসলি জমি ও বসতভিটার মাটি ঝুঁকির মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদী ও ফসলি জমিতে দিন-রাত এসব মেশিনের গর্জন চলছে। প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালিয়ে মামলা করছে, মেশিন জব্দ ও ধ্বংস করছে; কিন্তু প্রভাবশালী চক্রকে থামানো যাচ্ছে না। একটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস হলে পরদিনই সেখানে নতুন মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু তোলা শুরু হয়।
ড্রেজারের দাপটে একরের পর একর সমতল তিন ফসলি জমি গর্তে পরিণত হয়েছে। আগে এসব জমিতে ধান, আলু, ভুট্টা এবং বিভিন্ন সবজি ফলানো হতো। অনেকেই অর্থের লোভে নিজের জমি ভাড়া দিয়েছেন ড্রেজারমালিকদের কাছে। এতে অল্প কিছু লাভ হলেও জমি স্থায়ীভাবে নষ্ট হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে চাষাবাদ করা সম্ভব হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক কৃষক বলেন, ‘আমি নিজের জমি ড্রেজার দিয়ে কাটতে দিয়েছি। প্রথমে কিছু টাকা পেয়েছিলাম, কিন্তু এখন জমি একেবারে গর্ত হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আর কিছুই ফলানো যাবে না। আমরা নিজেই আমাদের ক্ষতি ডেকে এনেছি।’
আইন অনুযায়ী সীমান্ত থেকে ১৫০ গজের মধ্যে বালু-পাথর উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, বিজিবি ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্তঘেঁষে প্রতিদিন ড্রেজার মেশিন বসানো হচ্ছে। গত ছয় মাসে খনিজ সম্পদ আইনে অন্তত ১৭টি মামলা হয়েছে। প্রায় ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে এসব মামলায়। এ সময়ে ২৫-৩০টি ড্রেজার জব্দ এবং ৩০টির বেশি ধ্বংস করা হলেও পরিস্থিতি আগের মতোই অনিয়ন্ত্রিত। প্রশাসনের অভিযান শেষ হওয়ার পরপরই নতুন ড্রেজার বসিয়ে পুনরায় পাথর-বালু উত্তোলন শুরু হয়।
স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, সাঁও ও করতোয়া নদীতে ড্রেজার বসিয়ে তলদেশ কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে নদীর স্বাভাবিক গতি নষ্ট হচ্ছে, জমির মাটিও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। ফলে সামনের দিনে ভয়াবহ নদীভাঙন দেখা দিতে পারে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) পঞ্চগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘তেঁতুলিয়ার নদী ও সমতলজুড়ে এখন গর্ত আর গর্ত।
ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন পাথর-বালু তোলায় ভূগর্ভ ফাঁপা হয়ে যাচ্ছে। এতে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।’
এদিকে মেশিনমালিকদের অভিযোগ, পাথর-বালু তোলার প্রতিটি সাইট থেকে প্রতিদিন ৭-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয় চাঁদা হিসেবে। এ থেকে প্রতিদিন যে বিপুল অর্থ আদায় হয় তার ভাগ পান প্রভাবশালীরা।
অন্যদিকে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, তাঁরা সনাতন পদ্ধতিতে পাথর-বালু তুলছেন। তবে বাস্তবে দেখা যায়, সোর্সদের মাধ্যমে প্রশাসনের অভিযানের খবর আগে থেকে পৌঁছে যায় কোয়ারিগুলোতে। ফলে অনেক সময় অভিযান চালালেও ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায় না।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজির হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে পাথর-বালু তোলার বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। আইন ভঙ্গকারীরা কেউ ছাড় পাবে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে কয়েকটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করেছি। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। খবর পেলেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করি। অবৈধ পাথর-বালু উত্তোলন বন্ধ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
তেঁতুলিয়ায় ড্রেজারের দাপট
ফাহিম হাসান, পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিন-রাত চলছে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু তোলার কাজ। বিশেষ করে উপজেলার সাঁও, চাওয়াই ও করতোয়া নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে নির্বিচারে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে এবং আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙনের। নদীর দুই তীর, ফসলি জমি ও বসতভিটার মাটি ঝুঁকির মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদী ও ফসলি জমিতে দিন-রাত এসব মেশিনের গর্জন চলছে। প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালিয়ে মামলা করছে, মেশিন জব্দ ও ধ্বংস করছে; কিন্তু প্রভাবশালী চক্রকে থামানো যাচ্ছে না। একটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস হলে পরদিনই সেখানে নতুন মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু তোলা শুরু হয়।
ড্রেজারের দাপটে একরের পর একর সমতল তিন ফসলি জমি গর্তে পরিণত হয়েছে। আগে এসব জমিতে ধান, আলু, ভুট্টা এবং বিভিন্ন সবজি ফলানো হতো। অনেকেই অর্থের লোভে নিজের জমি ভাড়া দিয়েছেন ড্রেজারমালিকদের কাছে। এতে অল্প কিছু লাভ হলেও জমি স্থায়ীভাবে নষ্ট হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে চাষাবাদ করা সম্ভব হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক কৃষক বলেন, ‘আমি নিজের জমি ড্রেজার দিয়ে কাটতে দিয়েছি। প্রথমে কিছু টাকা পেয়েছিলাম, কিন্তু এখন জমি একেবারে গর্ত হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আর কিছুই ফলানো যাবে না। আমরা নিজেই আমাদের ক্ষতি ডেকে এনেছি।’
আইন অনুযায়ী সীমান্ত থেকে ১৫০ গজের মধ্যে বালু-পাথর উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, বিজিবি ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্তঘেঁষে প্রতিদিন ড্রেজার মেশিন বসানো হচ্ছে। গত ছয় মাসে খনিজ সম্পদ আইনে অন্তত ১৭টি মামলা হয়েছে। প্রায় ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে এসব মামলায়। এ সময়ে ২৫-৩০টি ড্রেজার জব্দ এবং ৩০টির বেশি ধ্বংস করা হলেও পরিস্থিতি আগের মতোই অনিয়ন্ত্রিত। প্রশাসনের অভিযান শেষ হওয়ার পরপরই নতুন ড্রেজার বসিয়ে পুনরায় পাথর-বালু উত্তোলন শুরু হয়।
স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, সাঁও ও করতোয়া নদীতে ড্রেজার বসিয়ে তলদেশ কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে নদীর স্বাভাবিক গতি নষ্ট হচ্ছে, জমির মাটিও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। ফলে সামনের দিনে ভয়াবহ নদীভাঙন দেখা দিতে পারে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) পঞ্চগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘তেঁতুলিয়ার নদী ও সমতলজুড়ে এখন গর্ত আর গর্ত।
ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন পাথর-বালু তোলায় ভূগর্ভ ফাঁপা হয়ে যাচ্ছে। এতে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।’
এদিকে মেশিনমালিকদের অভিযোগ, পাথর-বালু তোলার প্রতিটি সাইট থেকে প্রতিদিন ৭-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয় চাঁদা হিসেবে। এ থেকে প্রতিদিন যে বিপুল অর্থ আদায় হয় তার ভাগ পান প্রভাবশালীরা।
অন্যদিকে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, তাঁরা সনাতন পদ্ধতিতে পাথর-বালু তুলছেন। তবে বাস্তবে দেখা যায়, সোর্সদের মাধ্যমে প্রশাসনের অভিযানের খবর আগে থেকে পৌঁছে যায় কোয়ারিগুলোতে। ফলে অনেক সময় অভিযান চালালেও ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায় না।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজির হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে পাথর-বালু তোলার বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। আইন ভঙ্গকারীরা কেউ ছাড় পাবে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে কয়েকটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করেছি। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। খবর পেলেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করি। অবৈধ পাথর-বালু উত্তোলন বন্ধ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিন-রাত চলছে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু তোলার কাজ। বিশেষ করে উপজেলার সাঁও, চাওয়াই ও করতোয়া নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে নির্বিচারে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে এবং আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙনের। নদীর দুই তীর, ফসলি জমি ও বসতভিটার মাটি ঝুঁকির মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদী ও ফসলি জমিতে দিন-রাত এসব মেশিনের গর্জন চলছে। প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালিয়ে মামলা করছে, মেশিন জব্দ ও ধ্বংস করছে; কিন্তু প্রভাবশালী চক্রকে থামানো যাচ্ছে না। একটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস হলে পরদিনই সেখানে নতুন মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু তোলা শুরু হয়।
ড্রেজারের দাপটে একরের পর একর সমতল তিন ফসলি জমি গর্তে পরিণত হয়েছে। আগে এসব জমিতে ধান, আলু, ভুট্টা এবং বিভিন্ন সবজি ফলানো হতো। অনেকেই অর্থের লোভে নিজের জমি ভাড়া দিয়েছেন ড্রেজারমালিকদের কাছে। এতে অল্প কিছু লাভ হলেও জমি স্থায়ীভাবে নষ্ট হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে চাষাবাদ করা সম্ভব হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক কৃষক বলেন, ‘আমি নিজের জমি ড্রেজার দিয়ে কাটতে দিয়েছি। প্রথমে কিছু টাকা পেয়েছিলাম, কিন্তু এখন জমি একেবারে গর্ত হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আর কিছুই ফলানো যাবে না। আমরা নিজেই আমাদের ক্ষতি ডেকে এনেছি।’
আইন অনুযায়ী সীমান্ত থেকে ১৫০ গজের মধ্যে বালু-পাথর উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, বিজিবি ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্তঘেঁষে প্রতিদিন ড্রেজার মেশিন বসানো হচ্ছে। গত ছয় মাসে খনিজ সম্পদ আইনে অন্তত ১৭টি মামলা হয়েছে। প্রায় ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে এসব মামলায়। এ সময়ে ২৫-৩০টি ড্রেজার জব্দ এবং ৩০টির বেশি ধ্বংস করা হলেও পরিস্থিতি আগের মতোই অনিয়ন্ত্রিত। প্রশাসনের অভিযান শেষ হওয়ার পরপরই নতুন ড্রেজার বসিয়ে পুনরায় পাথর-বালু উত্তোলন শুরু হয়।
স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, সাঁও ও করতোয়া নদীতে ড্রেজার বসিয়ে তলদেশ কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে নদীর স্বাভাবিক গতি নষ্ট হচ্ছে, জমির মাটিও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। ফলে সামনের দিনে ভয়াবহ নদীভাঙন দেখা দিতে পারে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) পঞ্চগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘তেঁতুলিয়ার নদী ও সমতলজুড়ে এখন গর্ত আর গর্ত।
ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন পাথর-বালু তোলায় ভূগর্ভ ফাঁপা হয়ে যাচ্ছে। এতে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।’
এদিকে মেশিনমালিকদের অভিযোগ, পাথর-বালু তোলার প্রতিটি সাইট থেকে প্রতিদিন ৭-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয় চাঁদা হিসেবে। এ থেকে প্রতিদিন যে বিপুল অর্থ আদায় হয় তার ভাগ পান প্রভাবশালীরা।
অন্যদিকে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, তাঁরা সনাতন পদ্ধতিতে পাথর-বালু তুলছেন। তবে বাস্তবে দেখা যায়, সোর্সদের মাধ্যমে প্রশাসনের অভিযানের খবর আগে থেকে পৌঁছে যায় কোয়ারিগুলোতে। ফলে অনেক সময় অভিযান চালালেও ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায় না।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজির হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে পাথর-বালু তোলার বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। আইন ভঙ্গকারীরা কেউ ছাড় পাবে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে কয়েকটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করেছি। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। খবর পেলেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করি। অবৈধ পাথর-বালু উত্তোলন বন্ধ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’

নরসিংদীর শিবপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অটোরিকশার চালকসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পচার বাড়ি এলাকায় শিবপুর-মনোহরদী আঞ্চলিক সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
চাঁদপুরে নবজাতকদের বিনা মূল্যের টিকা কার্ড অভিভাবকেরা টাকা দিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ উঠেছে, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা কেন্দ্রের ইনচার্জ বিল্লাল হোসেন টিকা কার্ড তৈরি করার বিনিময়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন।
৪১ মিনিট আগে
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৯ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকার বাবুবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত বাবুবাজার সেতু সাধারণ মানুষের জন্য এখন যেন গলার কাঁটা। রাজধানীর সঙ্গে মাওয়া, মুন্সিগঞ্জ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগের প্রধান প্রবেশদ্বার এটি। ১৯৯৪ সালে নির্মাণকাজ শুরু হওয়া সেতুটি ২০০২ সালের মে মাসে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে
৭ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর শিবপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অটোরিকশার চালকসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পচার বাড়ি এলাকায় শিবপুর-মনোহরদী আঞ্চলিক সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন শিবপুরের বাঘাব ইউনিয়নের উত্তর জয়মঙ্গল গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান রাজ (২২) এবং গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সনমানিয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে শফিক (২১)।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা জানান, ব্যবসার কাজ শেষে মনোহরদী থেকে মোটরসাইকেলে শিবপুরে ফিরছিলেন দুই বন্ধু রাজ ও শফিক। পচার বাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী অটোরিকশার সঙ্গে তাঁদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাজ নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে শফিকও মারা যান। এই ঘটনায় আহত অটোরিকশার চালক ও যাত্রীকে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসাইন বলেন, লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

নরসিংদীর শিবপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অটোরিকশার চালকসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পচার বাড়ি এলাকায় শিবপুর-মনোহরদী আঞ্চলিক সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন শিবপুরের বাঘাব ইউনিয়নের উত্তর জয়মঙ্গল গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান রাজ (২২) এবং গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সনমানিয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে শফিক (২১)।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা জানান, ব্যবসার কাজ শেষে মনোহরদী থেকে মোটরসাইকেলে শিবপুরে ফিরছিলেন দুই বন্ধু রাজ ও শফিক। পচার বাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী অটোরিকশার সঙ্গে তাঁদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাজ নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে শফিকও মারা যান। এই ঘটনায় আহত অটোরিকশার চালক ও যাত্রীকে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসাইন বলেন, লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিন-রাত চলছে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু তোলার কাজ। বিশেষ করে উপজেলার সাঁও, চাওয়াই ও করতোয়া নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে নির্বিচারে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে এবং আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙনের। নদীর দুই তীর, ফসলি জম
২৮ আগস্ট ২০২৫
চাঁদপুরে নবজাতকদের বিনা মূল্যের টিকা কার্ড অভিভাবকেরা টাকা দিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ উঠেছে, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা কেন্দ্রের ইনচার্জ বিল্লাল হোসেন টিকা কার্ড তৈরি করার বিনিময়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন।
৪১ মিনিট আগে
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৯ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকার বাবুবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত বাবুবাজার সেতু সাধারণ মানুষের জন্য এখন যেন গলার কাঁটা। রাজধানীর সঙ্গে মাওয়া, মুন্সিগঞ্জ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগের প্রধান প্রবেশদ্বার এটি। ১৯৯৪ সালে নির্মাণকাজ শুরু হওয়া সেতুটি ২০০২ সালের মে মাসে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে
৭ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরে নবজাতকদের বিনা মূল্যের টিকা কার্ড অভিভাবকেরা টাকা দিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ উঠেছে, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা কেন্দ্রের ইনচার্জ বিল্লাল হোসেন টিকা কার্ড তৈরি করার বিনিমিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিল্লাল হোসেন অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করছেন। ভিডিওটি নজরে আসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তারা বিল্লাল হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে। নোটিশে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে এবং কেন তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিল্লাল হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কে এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘টিকা কার্ড দিতে অর্থ নেওয়া সম্পূর্ণভাবে নিয়মবহির্ভূত। অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুতর এবং এর সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। ভিডিওটি আমাদের নজরে আসার পরই আমরা তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে শোকজ করেছি। জবাব পাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চাঁদপুরে নবজাতকদের বিনা মূল্যের টিকা কার্ড অভিভাবকেরা টাকা দিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ উঠেছে, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা কেন্দ্রের ইনচার্জ বিল্লাল হোসেন টিকা কার্ড তৈরি করার বিনিমিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিল্লাল হোসেন অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করছেন। ভিডিওটি নজরে আসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তারা বিল্লাল হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে। নোটিশে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে এবং কেন তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিল্লাল হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কে এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘টিকা কার্ড দিতে অর্থ নেওয়া সম্পূর্ণভাবে নিয়মবহির্ভূত। অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুতর এবং এর সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। ভিডিওটি আমাদের নজরে আসার পরই আমরা তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে শোকজ করেছি। জবাব পাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিন-রাত চলছে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু তোলার কাজ। বিশেষ করে উপজেলার সাঁও, চাওয়াই ও করতোয়া নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে নির্বিচারে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে এবং আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙনের। নদীর দুই তীর, ফসলি জম
২৮ আগস্ট ২০২৫
নরসিংদীর শিবপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অটোরিকশার চালকসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পচার বাড়ি এলাকায় শিবপুর-মনোহরদী আঞ্চলিক সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৯ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকার বাবুবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত বাবুবাজার সেতু সাধারণ মানুষের জন্য এখন যেন গলার কাঁটা। রাজধানীর সঙ্গে মাওয়া, মুন্সিগঞ্জ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগের প্রধান প্রবেশদ্বার এটি। ১৯৯৪ সালে নির্মাণকাজ শুরু হওয়া সেতুটি ২০০২ সালের মে মাসে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে
৭ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৯ শতাংশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডার আমেজ বেশি থাকলেও রোদ উঠলেই চারপাশ ধীরে ধীরে উষ্ণ হয়। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, গত সপ্তাহে জেলার তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করেছে। সোমবার ১৩ দশমিক ৩, রোববার ১৩ দশমিক ১, শনিবার ১৩ দশমিক ১, শুক্রবার ১৩ দশমিক ৫, বৃহস্পতিবার ১৩ দশমিক ২, বুধবার ১২ দশমিক ৯, মঙ্গলবার ১২ দশমিক ৮, সোমবার ১৩ দশমিক ৪ এবং রোববার ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়।
জেলা ঘুরে দেখা গেছে, ফসলি জমি ও ঘাসের ডগায় শিশির জমে আছে এবং সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বইছে হিমেল হাওয়া। বিকেল গড়ালেই তাপমাত্রা কমতে থাকে এবং মধ্যরাতের পর শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। ঘন কুয়াশার কারণে ভোরবেলায় যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
দরজিপাড়া এলাকার ভ্যানচালক কুদ্দুস আলী বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে হালকা কুয়াশা পড়লে আজ একটু কুয়াশা ও শীতের মাত্রা বেড়েছে। ভ্যান চালালেই পুরো গা ভিজে যাচ্ছে। যাত্রীও নাই। মনে হচ্ছে পুরোদমে শীত পড়া শুরু হলো।’ এক পথচারী রাকিব হাসান বলেন, ‘সকালে প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছি। মনে হচ্ছে, আজ থেকে শীত বাড়বে। অন্যদিনের তুলনায় আজকে খুবই ঠান্ডা।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৯ শতাংশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডার আমেজ বেশি থাকলেও রোদ উঠলেই চারপাশ ধীরে ধীরে উষ্ণ হয়। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, গত সপ্তাহে জেলার তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করেছে। সোমবার ১৩ দশমিক ৩, রোববার ১৩ দশমিক ১, শনিবার ১৩ দশমিক ১, শুক্রবার ১৩ দশমিক ৫, বৃহস্পতিবার ১৩ দশমিক ২, বুধবার ১২ দশমিক ৯, মঙ্গলবার ১২ দশমিক ৮, সোমবার ১৩ দশমিক ৪ এবং রোববার ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়।
জেলা ঘুরে দেখা গেছে, ফসলি জমি ও ঘাসের ডগায় শিশির জমে আছে এবং সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বইছে হিমেল হাওয়া। বিকেল গড়ালেই তাপমাত্রা কমতে থাকে এবং মধ্যরাতের পর শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। ঘন কুয়াশার কারণে ভোরবেলায় যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
দরজিপাড়া এলাকার ভ্যানচালক কুদ্দুস আলী বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে হালকা কুয়াশা পড়লে আজ একটু কুয়াশা ও শীতের মাত্রা বেড়েছে। ভ্যান চালালেই পুরো গা ভিজে যাচ্ছে। যাত্রীও নাই। মনে হচ্ছে পুরোদমে শীত পড়া শুরু হলো।’ এক পথচারী রাকিব হাসান বলেন, ‘সকালে প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছি। মনে হচ্ছে, আজ থেকে শীত বাড়বে। অন্যদিনের তুলনায় আজকে খুবই ঠান্ডা।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিন-রাত চলছে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু তোলার কাজ। বিশেষ করে উপজেলার সাঁও, চাওয়াই ও করতোয়া নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে নির্বিচারে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে এবং আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙনের। নদীর দুই তীর, ফসলি জম
২৮ আগস্ট ২০২৫
নরসিংদীর শিবপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অটোরিকশার চালকসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পচার বাড়ি এলাকায় শিবপুর-মনোহরদী আঞ্চলিক সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
চাঁদপুরে নবজাতকদের বিনা মূল্যের টিকা কার্ড অভিভাবকেরা টাকা দিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ উঠেছে, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা কেন্দ্রের ইনচার্জ বিল্লাল হোসেন টিকা কার্ড তৈরি করার বিনিময়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন।
৪১ মিনিট আগে
ঢাকার বাবুবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত বাবুবাজার সেতু সাধারণ মানুষের জন্য এখন যেন গলার কাঁটা। রাজধানীর সঙ্গে মাওয়া, মুন্সিগঞ্জ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগের প্রধান প্রবেশদ্বার এটি। ১৯৯৪ সালে নির্মাণকাজ শুরু হওয়া সেতুটি ২০০২ সালের মে মাসে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে
৭ ঘণ্টা আগেকেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা

ঢাকার বাবুবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত বাবুবাজার সেতু সাধারণ মানুষের জন্য এখন যেন গলার কাঁটা। রাজধানীর সঙ্গে মাওয়া, মুন্সিগঞ্জ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগের প্রধান প্রবেশদ্বার এটি। ১৯৯৪ সালে নির্মাণকাজ শুরু হওয়া সেতুটি ২০০২ সালের মে মাসে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এটির দৈর্ঘ্য ৭৫০ মিটার, প্রস্থ ১৭ দশমিক ৫ মিটার। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এই সেতুকে কেন্দ্র করে বেড়েছে যানজট। এটি পরিণত হয়েছে লাখো মানুষের দুর্ভোগের স্থানে।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা ও যানজট নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। বাবুবাজার সেতুর যানজট নিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করব। কোনো অসাধু কর্মকর্তা অবৈধ স্টেশনসংক্রান্ত সুবিধা নিলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, দোহার, সিরাজদিখান, লৌহজংসহ দক্ষিণাঞ্চলের অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করে। মিটফোর্ড হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহার করতে হয় তাদের। অথচ যানজটের কারণে মাত্র আধা মিনিটের রাস্তা পার হতে সময় লাগে তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত।
এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ছাড়াও জরুরি চিকিৎসাসেবা বাধাগ্রস্ত হয় অনেকের। যানজটে যথাসময়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে না পেরে মাঝপথে রোগীর অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগীরা জানান, উল্টো পথে অটোরিকশা ও ভ্যানের বিশৃঙ্খলা, সেতুর ওপর অস্থায়ী বাজার, দুই পাশে অবৈধ সিএনজি, ট্রাক ও বাসস্টেশন গড়ে ওঠা, সড়কে স্থায়ীভাবে পার্ক করা গাড়ি; সব মিলিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট লেগে থাকে। একদিকে প্রশাসনিক তদারকির অভাব, অন্যদিকে নিয়মনীতি না মানার প্রবণতায় পুরো এলাকায় দেখা যায় গাড়ির দীর্ঘ সারি।
সাইফুল করিম নামের একজন পথচারী বলেন, অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান না হলে সাধারণ মানুষের রক্ষা নেই। মুমূর্ষু রোগীদের বহনকারী গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে। এতে ঢাকার হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে, অথচ প্রশাসন নীরব। পান্না নামের একজন গৃহবধূ বলেন, ‘ব্রিজে এমন যানজট যে চিনকুটিয়া চৌরাস্তা থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত একটানা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বাচ্চাদের স্কুলে আনা-নেওয়াতেও অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের।’
কদমতলী চৌরাস্তার আরিফ খান বলেন, লাখো মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হলেও বাবুবাজার সেতু
এখন নিত্যদিনের দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন সেতু নির্মাণ, অবৈধ দখল উচ্ছেদসহ কার্যকর তদারকি না হলে এই ভোগান্তি আরও বাড়বে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেতুতে ২০০-২৫০ অটো-ভ্যান চলাচল করে। এগুলোর প্রতিটি থেকে মাসে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা ওঠানো হয়; যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পকেটে ঢোকে। এটা বন্ধ করতে না পারলে যানজট কমবে না।

ঢাকার বাবুবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত বাবুবাজার সেতু সাধারণ মানুষের জন্য এখন যেন গলার কাঁটা। রাজধানীর সঙ্গে মাওয়া, মুন্সিগঞ্জ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগের প্রধান প্রবেশদ্বার এটি। ১৯৯৪ সালে নির্মাণকাজ শুরু হওয়া সেতুটি ২০০২ সালের মে মাসে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এটির দৈর্ঘ্য ৭৫০ মিটার, প্রস্থ ১৭ দশমিক ৫ মিটার। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এই সেতুকে কেন্দ্র করে বেড়েছে যানজট। এটি পরিণত হয়েছে লাখো মানুষের দুর্ভোগের স্থানে।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা ও যানজট নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। বাবুবাজার সেতুর যানজট নিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করব। কোনো অসাধু কর্মকর্তা অবৈধ স্টেশনসংক্রান্ত সুবিধা নিলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, দোহার, সিরাজদিখান, লৌহজংসহ দক্ষিণাঞ্চলের অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করে। মিটফোর্ড হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহার করতে হয় তাদের। অথচ যানজটের কারণে মাত্র আধা মিনিটের রাস্তা পার হতে সময় লাগে তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত।
এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ছাড়াও জরুরি চিকিৎসাসেবা বাধাগ্রস্ত হয় অনেকের। যানজটে যথাসময়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে না পেরে মাঝপথে রোগীর অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগীরা জানান, উল্টো পথে অটোরিকশা ও ভ্যানের বিশৃঙ্খলা, সেতুর ওপর অস্থায়ী বাজার, দুই পাশে অবৈধ সিএনজি, ট্রাক ও বাসস্টেশন গড়ে ওঠা, সড়কে স্থায়ীভাবে পার্ক করা গাড়ি; সব মিলিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট লেগে থাকে। একদিকে প্রশাসনিক তদারকির অভাব, অন্যদিকে নিয়মনীতি না মানার প্রবণতায় পুরো এলাকায় দেখা যায় গাড়ির দীর্ঘ সারি।
সাইফুল করিম নামের একজন পথচারী বলেন, অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান না হলে সাধারণ মানুষের রক্ষা নেই। মুমূর্ষু রোগীদের বহনকারী গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে। এতে ঢাকার হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে, অথচ প্রশাসন নীরব। পান্না নামের একজন গৃহবধূ বলেন, ‘ব্রিজে এমন যানজট যে চিনকুটিয়া চৌরাস্তা থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত একটানা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বাচ্চাদের স্কুলে আনা-নেওয়াতেও অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের।’
কদমতলী চৌরাস্তার আরিফ খান বলেন, লাখো মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হলেও বাবুবাজার সেতু
এখন নিত্যদিনের দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন সেতু নির্মাণ, অবৈধ দখল উচ্ছেদসহ কার্যকর তদারকি না হলে এই ভোগান্তি আরও বাড়বে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেতুতে ২০০-২৫০ অটো-ভ্যান চলাচল করে। এগুলোর প্রতিটি থেকে মাসে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা ওঠানো হয়; যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পকেটে ঢোকে। এটা বন্ধ করতে না পারলে যানজট কমবে না।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিন-রাত চলছে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু তোলার কাজ। বিশেষ করে উপজেলার সাঁও, চাওয়াই ও করতোয়া নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে নির্বিচারে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে এবং আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙনের। নদীর দুই তীর, ফসলি জম
২৮ আগস্ট ২০২৫
নরসিংদীর শিবপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অটোরিকশার চালকসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পচার বাড়ি এলাকায় শিবপুর-মনোহরদী আঞ্চলিক সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
চাঁদপুরে নবজাতকদের বিনা মূল্যের টিকা কার্ড অভিভাবকেরা টাকা দিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ উঠেছে, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা কেন্দ্রের ইনচার্জ বিল্লাল হোসেন টিকা কার্ড তৈরি করার বিনিময়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন।
৪১ মিনিট আগে
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৯ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে