পঞ্চগড় প্রতিনিধি
রাতের আঁধারে ধানখেতে ওষুধ ছিটিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সকালে গিয়ে দেখা যায়, ধানের সব গাছ ঝলসে মাটিতে লুটিয়ে আছে। পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নে ৬ অক্টোবর রাতে গাড়িয়ানপাড়া সীমান্ত এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে। এক রাতেই নষ্ট হয়ে গেছে ১০ থেকে ১৫ বিঘা জমির ধানখেত। চোখের সামনে কষ্টের ফসল পুড়ে যেতে দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন দরিদ্র কৃষকেরা।
গাড়িয়ানপাড়ার আকতারা বেগম তাঁদেরই একজন। ধারদেনা করে ১০ কাঠা জমিতে আমন ধান চাষ করেছিলেন তিনি। ধানের শীষ বের হতে শুরু করেছিল—আর এক-দেড় মাস পরেই কাটার সময়। কিন্তু হঠাৎ এক রাতে সব শেষ। চোখ ভেজা কণ্ঠে আকতারা বলেন, ‘ধারদেনা করে ধান লাগাইছিলাম। স্বামী নাই, একা মানুষ। সার দিছি, কীটনাশক দিছি, যত্ন করছি—এখন দেখি সব মরে গেছে। এখন আমি কী খামু? আমার বাচ্চাগুলারে কে খাওয়াবে?’ শুধু আকতারা নন, আরও অনেকে একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাতের আঁধারে কেউ ধানের খেতে ওষুধ ছিটিয়ে গেছে। এতে অনেকের ফসল এক রাতেই জ্বলে গেছে।
সকালে দেখা যায়, জমির সবুজ ধানগাছের পাতা হলুদ হয়ে নুইয়ে পড়েছে। রেখা বেগম বলেন, ‘এক লাখ টাকা ধার কইরা ১০ কাঠা জমি বন্ধক নিছিলাম। ধান বিক্রি করে টাকা শোধ করব ভাবছিলাম। এখন সব শেষ। তিনটা বাচ্চা আছে, খাওয়াব কী দিয়া?’
আরেক চাষি রুবেল ইসলাম বলেন, ‘আমার দেড় বিঘা জমির ধান মরে গেছে। যে রাস্তা দিয়ে ওরা গেছে, সেই রাস্তার ঘাসও মরে গেছে। এটা কোনো মানুষের কাজ না।’
স্থানীয় কৃষক জাহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ করিনি। তবে বিষয়টি বিজিবি জানে।’
গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দিপু বলেন, রাতের আঁধারে কে বা কারা কয়েকজন দরিদ্র কৃষকের ধানখেতে ওষুধ ছিটিয়ে দিয়েছে। এতে চাষিদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।’
পঞ্চগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি সীমান্তে ঘটেছে। বিষয়টি আমি জানি না। গতকাল রোববার সীমান্তের ঘটনা সম্পর্কে বিজিবির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক বৈঠক হয়েছে। বিজিবি এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি।’
রাতের আঁধারে ধানখেতে ওষুধ ছিটিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সকালে গিয়ে দেখা যায়, ধানের সব গাছ ঝলসে মাটিতে লুটিয়ে আছে। পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নে ৬ অক্টোবর রাতে গাড়িয়ানপাড়া সীমান্ত এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে। এক রাতেই নষ্ট হয়ে গেছে ১০ থেকে ১৫ বিঘা জমির ধানখেত। চোখের সামনে কষ্টের ফসল পুড়ে যেতে দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন দরিদ্র কৃষকেরা।
গাড়িয়ানপাড়ার আকতারা বেগম তাঁদেরই একজন। ধারদেনা করে ১০ কাঠা জমিতে আমন ধান চাষ করেছিলেন তিনি। ধানের শীষ বের হতে শুরু করেছিল—আর এক-দেড় মাস পরেই কাটার সময়। কিন্তু হঠাৎ এক রাতে সব শেষ। চোখ ভেজা কণ্ঠে আকতারা বলেন, ‘ধারদেনা করে ধান লাগাইছিলাম। স্বামী নাই, একা মানুষ। সার দিছি, কীটনাশক দিছি, যত্ন করছি—এখন দেখি সব মরে গেছে। এখন আমি কী খামু? আমার বাচ্চাগুলারে কে খাওয়াবে?’ শুধু আকতারা নন, আরও অনেকে একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাতের আঁধারে কেউ ধানের খেতে ওষুধ ছিটিয়ে গেছে। এতে অনেকের ফসল এক রাতেই জ্বলে গেছে।
সকালে দেখা যায়, জমির সবুজ ধানগাছের পাতা হলুদ হয়ে নুইয়ে পড়েছে। রেখা বেগম বলেন, ‘এক লাখ টাকা ধার কইরা ১০ কাঠা জমি বন্ধক নিছিলাম। ধান বিক্রি করে টাকা শোধ করব ভাবছিলাম। এখন সব শেষ। তিনটা বাচ্চা আছে, খাওয়াব কী দিয়া?’
আরেক চাষি রুবেল ইসলাম বলেন, ‘আমার দেড় বিঘা জমির ধান মরে গেছে। যে রাস্তা দিয়ে ওরা গেছে, সেই রাস্তার ঘাসও মরে গেছে। এটা কোনো মানুষের কাজ না।’
স্থানীয় কৃষক জাহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ করিনি। তবে বিষয়টি বিজিবি জানে।’
গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দিপু বলেন, রাতের আঁধারে কে বা কারা কয়েকজন দরিদ্র কৃষকের ধানখেতে ওষুধ ছিটিয়ে দিয়েছে। এতে চাষিদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।’
পঞ্চগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি সীমান্তে ঘটেছে। বিষয়টি আমি জানি না। গতকাল রোববার সীমান্তের ঘটনা সম্পর্কে বিজিবির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক বৈঠক হয়েছে। বিজিবি এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি।’
‘চাকসু থাকলে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, পরিবহন ও আবাসন—এসব ইস্যুতে সরাসরি আলোচনার সুযোগ মিলবে। তাই সবাই এই নির্বাচনের অপেক্ষায়।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিলা হক। এটা শুধু তানজিলার কথা নয়। এমন ছাত্র প্রতিনিধি পাওয়ার অপেক্ষায় অনেকেই।
৭ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রাসায়নিকের দোকান ও গুদাম। মাঝেমধ্যেই এসব স্থানে আগুন লাগে, ঘটে প্রাণহানি। ফায়ার ফাইটাররা সাধারণ আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের।
৭ ঘণ্টা আগেরোজকার মতো গতকাল মঙ্গলবারও তাঁরা পোশাক কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন। আগুনে কারখানাতেই নিভে গেল তাঁদের জীবনপ্রদীপ। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। অনেকে নিখোঁজ থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বল
৭ ঘণ্টা আগেহাটহাজারীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অপু দাশ (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাটহাজারী থানাধীন চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের চৌধুরীহাটের দাতারাম সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত অপু দাশ ওই ইউপির ৩নং ওয়ার্ড এলাকার মিন্টু দাশের ছেলে।
৭ ঘণ্টা আগে