বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ভবনের জমি কেনার নামে প্রায় ৫০ লাখ টাকা লোপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমিতির সদস্যরা ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে গণস্বাক্ষরযুক্ত অভিযোগ দাখিল করেছেন বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলীসহ বিভিন্ন দপ্তরে।
অভিযোগে জানা যায়, বোদা উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবস্থাপক মিলে সম্প্রতি ভবন নির্মাণের জন্য বোদা পৌরসভার শেষ প্রান্তে ৫ শতক জমি কেনেন। সিপাইপাড়া এলাকায় এই জমির বর্তমান বাজারমূল্য ২ লাখ টাকা। কিন্তু ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সম্পাদক ও ব্যবস্থাপক গোপন আঁতাত করে ১৪ লাখ টাকার জমি ৪৫ লাখ টাকায় কেনেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মে মাসে জমিটির রেজিস্ট্রি দেন আব্দুস সাত্তার ও মমতাজ আক্তার কেমি। জমি বিক্রির আগে তাঁদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আপেল মাহমুদ ২২ লাখ টাকা মূল্যের একটি চুক্তিনামা করেন। সেই মোতাবেক তাঁদের কাছে ১৪ লাখ টাকা দেন। চেয়ারম্যান ও দাতা আব্দুস সাত্তার সম্পর্কে চাচাশ্বশুর হওয়ার কারণে সরল বিশ্বাসে সেই টাকা নেন। কিন্তু সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দাতারা দেখতে পান জমির বাজারমূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে দলিল তৈরি করা হয়েছে।
আব্দুস সাত্তার ও কেমি বলেন, ‘সম্পর্কের কারণে আমরা সেদিন সেই টাকার দলিল রেজিস্ট্রি করে দেই। কিন্তু রেজিস্ট্রির পরে আমাদের সাড়ে ৮ লাখ টাকা ফেরত দেননি। বারবার ক্রেতাদের কাছে ধরনা দিলেও তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, জমির যে দাম তা-ই পরিশোধ করা হয়েছে।’
বোদা সাবরেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, ওই জমির বর্তমান ভেল্যু ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা। কোনো ক্রেতা যদি সরকারি মূল্যের অধিক দাম দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করেন, সেটা তাঁরা পারেন। তবে সরকারি যে রাজস্ব সেটা ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
ক্রয় কমিটির এক সদস্য জানান, আইনের গ্যাড়াকলে যেন আটকে না পড়েন, সে কারণে ৪৫ লাখ টাকার দলিল করেন। এ ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের টাকা রাজস্ব দেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, জমিতে মাটি ভরাট ও হাফ বাউন্ডারি ওয়াল বাবদ আরও ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন চেয়ারম্যান, সম্পাদক ও ব্যবস্থাপক।
সমিতির সদস্য (সদস্য নম্বর ৩২৭) নূরনবী অভিযোগ করে বলেন, ‘সভাপতি, সম্পাদক ও ব্যবস্থাপক মিলে শিক্ষক কল্যাণ তহবিল ও বিমার ফান্ড শূন্য করে নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। এতে করে আমরা সদস্যরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তাই সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি।’
বোদা উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আপেল মাহমুদ বলেন, নিয়ম মেনে জমি ক্রয় করা হয়েছে। আপনারা দলিল দেখলেই বুঝতে পারবেন। প্রকৃত দাম বিক্রেতাকে দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক কাউসার আলম বলেন, ‘জমি ক্রয়ের সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। সে কারণে পুরো বিষয়টি কী হয়েছে আমার জানা নেই। সমিতির কাছে জেনে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব।’
ব্যবস্থাপক রঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ‘জমি ক্রয়ের যাবতীয় নিয়ম মেনে জমি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। আর ক্রয় কমিটিতে ছয় জন সদস্য রয়েছেন। তাঁরাই জমি দেখে দাম নির্ধারণ করেছেন। এ ক্ষেত্রে কম বা বেশি হয়েছে সেটা আমি জানি না। আমার কাছে দলিলে যা লেখা আছে, সেভাবে অনুমোদনের জন্য ফাইল করেছি।’
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলী বলেন, `একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষ হলে আসল রহস্য জানা যাবে।'
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ভবনের জমি কেনার নামে প্রায় ৫০ লাখ টাকা লোপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমিতির সদস্যরা ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে গণস্বাক্ষরযুক্ত অভিযোগ দাখিল করেছেন বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলীসহ বিভিন্ন দপ্তরে।
অভিযোগে জানা যায়, বোদা উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবস্থাপক মিলে সম্প্রতি ভবন নির্মাণের জন্য বোদা পৌরসভার শেষ প্রান্তে ৫ শতক জমি কেনেন। সিপাইপাড়া এলাকায় এই জমির বর্তমান বাজারমূল্য ২ লাখ টাকা। কিন্তু ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সম্পাদক ও ব্যবস্থাপক গোপন আঁতাত করে ১৪ লাখ টাকার জমি ৪৫ লাখ টাকায় কেনেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মে মাসে জমিটির রেজিস্ট্রি দেন আব্দুস সাত্তার ও মমতাজ আক্তার কেমি। জমি বিক্রির আগে তাঁদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আপেল মাহমুদ ২২ লাখ টাকা মূল্যের একটি চুক্তিনামা করেন। সেই মোতাবেক তাঁদের কাছে ১৪ লাখ টাকা দেন। চেয়ারম্যান ও দাতা আব্দুস সাত্তার সম্পর্কে চাচাশ্বশুর হওয়ার কারণে সরল বিশ্বাসে সেই টাকা নেন। কিন্তু সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দাতারা দেখতে পান জমির বাজারমূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে দলিল তৈরি করা হয়েছে।
আব্দুস সাত্তার ও কেমি বলেন, ‘সম্পর্কের কারণে আমরা সেদিন সেই টাকার দলিল রেজিস্ট্রি করে দেই। কিন্তু রেজিস্ট্রির পরে আমাদের সাড়ে ৮ লাখ টাকা ফেরত দেননি। বারবার ক্রেতাদের কাছে ধরনা দিলেও তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, জমির যে দাম তা-ই পরিশোধ করা হয়েছে।’
বোদা সাবরেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, ওই জমির বর্তমান ভেল্যু ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা। কোনো ক্রেতা যদি সরকারি মূল্যের অধিক দাম দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করেন, সেটা তাঁরা পারেন। তবে সরকারি যে রাজস্ব সেটা ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
ক্রয় কমিটির এক সদস্য জানান, আইনের গ্যাড়াকলে যেন আটকে না পড়েন, সে কারণে ৪৫ লাখ টাকার দলিল করেন। এ ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের টাকা রাজস্ব দেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, জমিতে মাটি ভরাট ও হাফ বাউন্ডারি ওয়াল বাবদ আরও ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন চেয়ারম্যান, সম্পাদক ও ব্যবস্থাপক।
সমিতির সদস্য (সদস্য নম্বর ৩২৭) নূরনবী অভিযোগ করে বলেন, ‘সভাপতি, সম্পাদক ও ব্যবস্থাপক মিলে শিক্ষক কল্যাণ তহবিল ও বিমার ফান্ড শূন্য করে নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। এতে করে আমরা সদস্যরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তাই সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি।’
বোদা উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আপেল মাহমুদ বলেন, নিয়ম মেনে জমি ক্রয় করা হয়েছে। আপনারা দলিল দেখলেই বুঝতে পারবেন। প্রকৃত দাম বিক্রেতাকে দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক কাউসার আলম বলেন, ‘জমি ক্রয়ের সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। সে কারণে পুরো বিষয়টি কী হয়েছে আমার জানা নেই। সমিতির কাছে জেনে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব।’
ব্যবস্থাপক রঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ‘জমি ক্রয়ের যাবতীয় নিয়ম মেনে জমি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। আর ক্রয় কমিটিতে ছয় জন সদস্য রয়েছেন। তাঁরাই জমি দেখে দাম নির্ধারণ করেছেন। এ ক্ষেত্রে কম বা বেশি হয়েছে সেটা আমি জানি না। আমার কাছে দলিলে যা লেখা আছে, সেভাবে অনুমোদনের জন্য ফাইল করেছি।’
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলী বলেন, `একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষ হলে আসল রহস্য জানা যাবে।'
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁদের বয়স আনুমানিক ৩৪, ৪০ ও ৬০ বছর।
১ ঘণ্টা আগেসিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের ঘোষণার দুদিন পরই সিলেট রেলওয়ে স্টেশন এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে এই অভিযান শুরু হয়। অভিযানে রেলস্টেশনের সামনে বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী
২ ঘণ্টা আগেকলেজটিতে বর্তমানে ১০ জন শিক্ষক ও দুজন কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। কলেজটির পরিচিতি থাকলেও শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র একজন। চলতি বছর এই একজন শিক্ষার্থী শুধু এক বিষয়ে (তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি) এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে রাসায়নিক গুদামের আগুন নেভাতে আরও সময় লাগবে। ভেতর থেকে এখন মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক পানি ও বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে আসছে। ফলে এই মুহূর্তে ওই এলাকা বিপজ্জনক।
৩ ঘণ্টা আগে