Ajker Patrika

মিরপুরের আগুন নেভাতে আরও সময় লাগবে, বের হচ্ছে বিষাক্ত পানি ও গ্যাস: ফায়ার সার্ভিস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রূপনগরের শিয়ালবাড়িতে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রূপনগরের শিয়ালবাড়িতে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে রাসায়নিক গুদামের আগুন নেভাতে আরও সময় লাগবে। ভেতর থেকে এখন মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক পানি ও বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে আসছে। ফলে এই মুহূর্তে ওই এলাকা বিপজ্জনক।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রূপনগর শিয়ালবাড়ি ঘটনাস্থলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান।

কাজী নজমুজ্জামান বলেন, ‘কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন খুব ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। যার কারণে আমরা নিজেদের সেফটি বজায় রেখে কাজ করছি। এই আগুন নির্বাপণ করতে একটু সময় লাগবে। সকাল থেকে আমরা প্রত্যেকটা গ্রাউন্ড মনিটরে দুইটা করে ডেলিভারেজ দিয়ে পানি দিচ্ছি। মোট চারটা লাইনে পানি দিচ্ছি। সকাল থেকে একটু গন্ধ বেশি ছিল। কুয়াশা আকারেও পানি দিচ্ছি। পানির সঙ্গে কেমিক্যালটা মিশে যাচ্ছে। ভেতর থেকে যে পানি আসছে—এটা আমাদের মানবদেহের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এলাকার জনগণকে এটা থেকে নিরাপদে থাকতে হবে। ৩টার দিকে আমাদের একটা বিশেষজ্ঞ দল আসবে। তারা ভিজিট করে বিস্তারিত আপনাদের বলবে।’

ভেতরে প্রবেশের বিষয়ে নজমুজ্জামান বলেন, ‘গুদামের ওখানে স্টিলের একটা গেট ছিল। আগুন লাগার পর থেকেই সেটা তালা মারা ছিল। এই তালা কেটে আমরা ভেতরে প্রবেশ করেছি। ভেতরে গ্রাউন্ড মনিটর সেট করে আসছি। সেখানে কুয়াশার মতো করে পানি দিচ্ছি, যাতে কেমিক্যালের বিক্রিয়া কমে যায় এবং এলাকার পরিবেশ নিরাপদ হয়।’

বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে কাজী নজমুজ্জামান বলেন, ‘এই গ্যাস মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। নিজের নিরাপত্তার জন্য আমরা যেন সেফ পজিশনে চলে যাই। অন্ততপক্ষে অনেক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।’

রাসায়নিকের গুদামে মরদেহ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা গেট খুলে দেখেছি, কিন্তু আমরা সঠিকভাবে এখনো দেখতে পাইনি ভেতরে লাশ আছে কি না। আমাদের ধারণা, সেখানে লাশ থাকার সম্ভাবনা কম। কারণ, গেট বন্ধ ছিল।’

কী ধরনের কেমিক্যাল ও দ্রুত কাজ শেষ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্লিচিং পাউডার, অ্যাসিড, সোডিয়াম-বায়ো-কার্বনেট, পটাশসহ আরও কিছু কেমিক্যাল ছিল। আগুন লেগে সব এক হয়ে গেছে। ভেতরে বিস্ফোরণ হচ্ছে। সময় না দিয়ে দ্রুত কাজ করতে গেলে বিপদের আশঙ্কা থাকে। আমাদের গ্রাউন্ড মনিটর সেখানে সেটআপ করে আসছি। আর বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এখানে কুয়াশা আকারে পানি দিয়ে এই বিক্রিয়া কমাতে হবে। আমরা সেভাবেই করছি। আমাদের আধুনিক গাড়ি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি। এ মুহূর্তে এই এলাকা বিপজ্জনক। সবাই নিরাপদে থাকুন। কেমিক্যালের আগুন নেভাতে গেলে দ্রুত অ্যাকশনে যাওয়া যাবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত