ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১০ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। ২৮ এপ্রিল থেকে এ আন্দোলন চলছে।
নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) নামের এই কেন্দ্রে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মী কর্মরত। কোম্পানির কর্মীরা গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঈশ্বরদীতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে দাবি পূরণে আজ বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে দাবি না মানায় আজ প্রকল্প এলাকার ভেতরে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করা হয়। তবে প্রশাসনিক বাধায় কিছুক্ষণ পর তা বন্ধ হয়ে যায়।
মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনপিসিবিএলের সিনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক ফাহিম শাহরিয়ার ও মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সহকারী ব্যবস্থাপক হালিম সরকার, উপসহকারী ব্যবস্থাপক রুবেল হোসেন, টেকনিশিয়ান রমজান আলী প্রমুখ।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে এনপিসিবিএলের সচিব এস আব্দুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক ই-মেইলে বলা হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একটি ‘১ক’ শ্রেণিভুক্ত কেপিআই (গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা)। তাই প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রকল্প এলাকা বা সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় সব প্রকার শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যাতে কোনো প্রকার শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড সংঘটিত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক, সচেতন থাকতে হবে। তবে এই নোটিশ পাওয়ার পরও বুধবার প্রকল্প এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল হয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এক দশক আগে এনপিসিবিএল গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সার্ভিস রুলস প্রকাশ করা হয়নি। ফলে নেই কোনো দায়িত্বের সুস্পষ্ট বণ্টন, অর্গানোগ্রাম ও পদোন্নতি। এতে জেঁকে বসেছে একগুচ্ছ গ্রেড ও বেতনবৈষম্য। কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে। প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মীর মধ্যে ১ হাজার ৫০০ জনের জন্য প্রকল্প এলাকায় ন্যূনতম বসার ব্যবস্থা নেই। শৌচাগার, স্বাস্থ্য ও মানবিক সুব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়নি। এতে করে কর্মীরা প্রতিদিন দুর্ভোগের মধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন। বিশেষ করে নারী শ্রমিকেরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার।
কর্মীরা আরও জানান, এই কোম্পানিতে কাজের সময় ন্যায্য কথা বলতে গেলেই চাকরিচ্যুত বা চাকরি ছেড়ে চলে যেতে হয়। এসব কারণে রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অনেকেই চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। সম্প্রতি শতাধিক কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হলেও গ্র্যাচুইটি, সিপিএফ, অভিজ্ঞতা সনদ, ছাড়পত্র কিছুই দেওয়া হয়নি। তাঁরা চরম হয়রানির মধ্যে পড়েছেন।
কোম্পানির প্রকৌশলীসহ অন্য কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, চালু, পরিচালনাসহ সব কাজে এনপিসিবিএলের মেধাবী, চৌকস, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও দক্ষ জনবল যুক্ত থাকলেও সম্প্রতি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের লোকজন বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তিকর মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মকর্তাদের অযাচিত হস্তক্ষেপ এনসিপিবিএলকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে বাধা দিচ্ছে।
এই অযাচিত হস্তক্ষেপ চরম আকার ধারণ করার জন্য এনসিপিবিএলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক জাহেদুল হাসানকে দায়ী করেন কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, একজন অদক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দিয়ে রূপপুর প্রকল্প পরিচালনা করা হচ্ছে। একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদুল। তিনি ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৬২ বার বিদেশ সফরে যান। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এসব তদন্তের দাবিও করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানাতে চাইলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদুল বলেন, ‘আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবিদাওয়ার বিষয়টি পূরণ করার সাধ্য আমার নেই। সবই সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। সম্প্রতি প্ল্যান্টের ভেতরে নামাজ পড়া ও বসার ব্যবস্থার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সব বিষয়গুলো নির্ভর করছে নীতিগত সিদ্ধান্তের ওপর।’
আন্দোলন প্রসঙ্গে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অল্প কিছুদিনের মধ্যে অবসরে যাচ্ছি। অবসরে যাওয়ার আগে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ওই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। তারা রূপপুর প্রকল্প নিয়েও নানা কথাবার্তা বলছে।’

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১০ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। ২৮ এপ্রিল থেকে এ আন্দোলন চলছে।
নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) নামের এই কেন্দ্রে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মী কর্মরত। কোম্পানির কর্মীরা গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঈশ্বরদীতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে দাবি পূরণে আজ বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে দাবি না মানায় আজ প্রকল্প এলাকার ভেতরে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করা হয়। তবে প্রশাসনিক বাধায় কিছুক্ষণ পর তা বন্ধ হয়ে যায়।
মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনপিসিবিএলের সিনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক ফাহিম শাহরিয়ার ও মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সহকারী ব্যবস্থাপক হালিম সরকার, উপসহকারী ব্যবস্থাপক রুবেল হোসেন, টেকনিশিয়ান রমজান আলী প্রমুখ।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে এনপিসিবিএলের সচিব এস আব্দুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক ই-মেইলে বলা হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একটি ‘১ক’ শ্রেণিভুক্ত কেপিআই (গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা)। তাই প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রকল্প এলাকা বা সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় সব প্রকার শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যাতে কোনো প্রকার শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড সংঘটিত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক, সচেতন থাকতে হবে। তবে এই নোটিশ পাওয়ার পরও বুধবার প্রকল্প এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল হয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এক দশক আগে এনপিসিবিএল গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সার্ভিস রুলস প্রকাশ করা হয়নি। ফলে নেই কোনো দায়িত্বের সুস্পষ্ট বণ্টন, অর্গানোগ্রাম ও পদোন্নতি। এতে জেঁকে বসেছে একগুচ্ছ গ্রেড ও বেতনবৈষম্য। কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে। প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মীর মধ্যে ১ হাজার ৫০০ জনের জন্য প্রকল্প এলাকায় ন্যূনতম বসার ব্যবস্থা নেই। শৌচাগার, স্বাস্থ্য ও মানবিক সুব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়নি। এতে করে কর্মীরা প্রতিদিন দুর্ভোগের মধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন। বিশেষ করে নারী শ্রমিকেরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার।
কর্মীরা আরও জানান, এই কোম্পানিতে কাজের সময় ন্যায্য কথা বলতে গেলেই চাকরিচ্যুত বা চাকরি ছেড়ে চলে যেতে হয়। এসব কারণে রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অনেকেই চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। সম্প্রতি শতাধিক কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হলেও গ্র্যাচুইটি, সিপিএফ, অভিজ্ঞতা সনদ, ছাড়পত্র কিছুই দেওয়া হয়নি। তাঁরা চরম হয়রানির মধ্যে পড়েছেন।
কোম্পানির প্রকৌশলীসহ অন্য কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, চালু, পরিচালনাসহ সব কাজে এনপিসিবিএলের মেধাবী, চৌকস, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও দক্ষ জনবল যুক্ত থাকলেও সম্প্রতি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের লোকজন বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তিকর মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মকর্তাদের অযাচিত হস্তক্ষেপ এনসিপিবিএলকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে বাধা দিচ্ছে।
এই অযাচিত হস্তক্ষেপ চরম আকার ধারণ করার জন্য এনসিপিবিএলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক জাহেদুল হাসানকে দায়ী করেন কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, একজন অদক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দিয়ে রূপপুর প্রকল্প পরিচালনা করা হচ্ছে। একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদুল। তিনি ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৬২ বার বিদেশ সফরে যান। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এসব তদন্তের দাবিও করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানাতে চাইলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদুল বলেন, ‘আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবিদাওয়ার বিষয়টি পূরণ করার সাধ্য আমার নেই। সবই সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। সম্প্রতি প্ল্যান্টের ভেতরে নামাজ পড়া ও বসার ব্যবস্থার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সব বিষয়গুলো নির্ভর করছে নীতিগত সিদ্ধান্তের ওপর।’
আন্দোলন প্রসঙ্গে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অল্প কিছুদিনের মধ্যে অবসরে যাচ্ছি। অবসরে যাওয়ার আগে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ওই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। তারা রূপপুর প্রকল্প নিয়েও নানা কথাবার্তা বলছে।’
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১০ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। ২৮ এপ্রিল থেকে এ আন্দোলন চলছে।
নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) নামের এই কেন্দ্রে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মী কর্মরত। কোম্পানির কর্মীরা গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঈশ্বরদীতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে দাবি পূরণে আজ বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে দাবি না মানায় আজ প্রকল্প এলাকার ভেতরে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করা হয়। তবে প্রশাসনিক বাধায় কিছুক্ষণ পর তা বন্ধ হয়ে যায়।
মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনপিসিবিএলের সিনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক ফাহিম শাহরিয়ার ও মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সহকারী ব্যবস্থাপক হালিম সরকার, উপসহকারী ব্যবস্থাপক রুবেল হোসেন, টেকনিশিয়ান রমজান আলী প্রমুখ।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে এনপিসিবিএলের সচিব এস আব্দুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক ই-মেইলে বলা হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একটি ‘১ক’ শ্রেণিভুক্ত কেপিআই (গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা)। তাই প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রকল্প এলাকা বা সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় সব প্রকার শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যাতে কোনো প্রকার শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড সংঘটিত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক, সচেতন থাকতে হবে। তবে এই নোটিশ পাওয়ার পরও বুধবার প্রকল্প এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল হয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এক দশক আগে এনপিসিবিএল গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সার্ভিস রুলস প্রকাশ করা হয়নি। ফলে নেই কোনো দায়িত্বের সুস্পষ্ট বণ্টন, অর্গানোগ্রাম ও পদোন্নতি। এতে জেঁকে বসেছে একগুচ্ছ গ্রেড ও বেতনবৈষম্য। কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে। প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মীর মধ্যে ১ হাজার ৫০০ জনের জন্য প্রকল্প এলাকায় ন্যূনতম বসার ব্যবস্থা নেই। শৌচাগার, স্বাস্থ্য ও মানবিক সুব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়নি। এতে করে কর্মীরা প্রতিদিন দুর্ভোগের মধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন। বিশেষ করে নারী শ্রমিকেরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার।
কর্মীরা আরও জানান, এই কোম্পানিতে কাজের সময় ন্যায্য কথা বলতে গেলেই চাকরিচ্যুত বা চাকরি ছেড়ে চলে যেতে হয়। এসব কারণে রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অনেকেই চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। সম্প্রতি শতাধিক কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হলেও গ্র্যাচুইটি, সিপিএফ, অভিজ্ঞতা সনদ, ছাড়পত্র কিছুই দেওয়া হয়নি। তাঁরা চরম হয়রানির মধ্যে পড়েছেন।
কোম্পানির প্রকৌশলীসহ অন্য কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, চালু, পরিচালনাসহ সব কাজে এনপিসিবিএলের মেধাবী, চৌকস, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও দক্ষ জনবল যুক্ত থাকলেও সম্প্রতি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের লোকজন বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তিকর মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মকর্তাদের অযাচিত হস্তক্ষেপ এনসিপিবিএলকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে বাধা দিচ্ছে।
এই অযাচিত হস্তক্ষেপ চরম আকার ধারণ করার জন্য এনসিপিবিএলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক জাহেদুল হাসানকে দায়ী করেন কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, একজন অদক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দিয়ে রূপপুর প্রকল্প পরিচালনা করা হচ্ছে। একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদুল। তিনি ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৬২ বার বিদেশ সফরে যান। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এসব তদন্তের দাবিও করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানাতে চাইলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদুল বলেন, ‘আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবিদাওয়ার বিষয়টি পূরণ করার সাধ্য আমার নেই। সবই সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। সম্প্রতি প্ল্যান্টের ভেতরে নামাজ পড়া ও বসার ব্যবস্থার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সব বিষয়গুলো নির্ভর করছে নীতিগত সিদ্ধান্তের ওপর।’
আন্দোলন প্রসঙ্গে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অল্প কিছুদিনের মধ্যে অবসরে যাচ্ছি। অবসরে যাওয়ার আগে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ওই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। তারা রূপপুর প্রকল্প নিয়েও নানা কথাবার্তা বলছে।’

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১০ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। ২৮ এপ্রিল থেকে এ আন্দোলন চলছে।
নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) নামের এই কেন্দ্রে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মী কর্মরত। কোম্পানির কর্মীরা গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঈশ্বরদীতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে দাবি পূরণে আজ বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে দাবি না মানায় আজ প্রকল্প এলাকার ভেতরে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করা হয়। তবে প্রশাসনিক বাধায় কিছুক্ষণ পর তা বন্ধ হয়ে যায়।
মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনপিসিবিএলের সিনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক ফাহিম শাহরিয়ার ও মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সহকারী ব্যবস্থাপক হালিম সরকার, উপসহকারী ব্যবস্থাপক রুবেল হোসেন, টেকনিশিয়ান রমজান আলী প্রমুখ।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে এনপিসিবিএলের সচিব এস আব্দুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক ই-মেইলে বলা হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একটি ‘১ক’ শ্রেণিভুক্ত কেপিআই (গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা)। তাই প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রকল্প এলাকা বা সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় সব প্রকার শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যাতে কোনো প্রকার শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড সংঘটিত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক, সচেতন থাকতে হবে। তবে এই নোটিশ পাওয়ার পরও বুধবার প্রকল্প এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল হয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এক দশক আগে এনপিসিবিএল গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সার্ভিস রুলস প্রকাশ করা হয়নি। ফলে নেই কোনো দায়িত্বের সুস্পষ্ট বণ্টন, অর্গানোগ্রাম ও পদোন্নতি। এতে জেঁকে বসেছে একগুচ্ছ গ্রেড ও বেতনবৈষম্য। কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে। প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মীর মধ্যে ১ হাজার ৫০০ জনের জন্য প্রকল্প এলাকায় ন্যূনতম বসার ব্যবস্থা নেই। শৌচাগার, স্বাস্থ্য ও মানবিক সুব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়নি। এতে করে কর্মীরা প্রতিদিন দুর্ভোগের মধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন। বিশেষ করে নারী শ্রমিকেরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার।
কর্মীরা আরও জানান, এই কোম্পানিতে কাজের সময় ন্যায্য কথা বলতে গেলেই চাকরিচ্যুত বা চাকরি ছেড়ে চলে যেতে হয়। এসব কারণে রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অনেকেই চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। সম্প্রতি শতাধিক কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হলেও গ্র্যাচুইটি, সিপিএফ, অভিজ্ঞতা সনদ, ছাড়পত্র কিছুই দেওয়া হয়নি। তাঁরা চরম হয়রানির মধ্যে পড়েছেন।
কোম্পানির প্রকৌশলীসহ অন্য কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, চালু, পরিচালনাসহ সব কাজে এনপিসিবিএলের মেধাবী, চৌকস, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও দক্ষ জনবল যুক্ত থাকলেও সম্প্রতি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের লোকজন বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তিকর মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মকর্তাদের অযাচিত হস্তক্ষেপ এনসিপিবিএলকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে বাধা দিচ্ছে।
এই অযাচিত হস্তক্ষেপ চরম আকার ধারণ করার জন্য এনসিপিবিএলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক জাহেদুল হাসানকে দায়ী করেন কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, একজন অদক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দিয়ে রূপপুর প্রকল্প পরিচালনা করা হচ্ছে। একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদুল। তিনি ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৬২ বার বিদেশ সফরে যান। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এসব তদন্তের দাবিও করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানাতে চাইলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদুল বলেন, ‘আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবিদাওয়ার বিষয়টি পূরণ করার সাধ্য আমার নেই। সবই সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। সম্প্রতি প্ল্যান্টের ভেতরে নামাজ পড়া ও বসার ব্যবস্থার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সব বিষয়গুলো নির্ভর করছে নীতিগত সিদ্ধান্তের ওপর।’
আন্দোলন প্রসঙ্গে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অল্প কিছুদিনের মধ্যে অবসরে যাচ্ছি। অবসরে যাওয়ার আগে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ওই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। তারা রূপপুর প্রকল্প নিয়েও নানা কথাবার্তা বলছে।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১০ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। ২৮ এপ্রিল থেকে এ আন্দোলন চলছে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) নামের এই কেন্দ্রে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মী কর্মরত।
০৭ মে ২০২৫
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১০ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। ২৮ এপ্রিল থেকে এ আন্দোলন চলছে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) নামের এই কেন্দ্রে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মী কর্মরত।
০৭ মে ২০২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১০ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। ২৮ এপ্রিল থেকে এ আন্দোলন চলছে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) নামের এই কেন্দ্রে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মী কর্মরত।
০৭ মে ২০২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১০ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। ২৮ এপ্রিল থেকে এ আন্দোলন চলছে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) নামের এই কেন্দ্রে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মী কর্মরত।
০৭ মে ২০২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে