শাহীন রহমান, পাবনা

আসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
ভেজাল দুধ তৈরির এই কারখানার সন্ধান মিলেছে পাবনার চাটমোহরে। এতে জড়িত স্থানীয় কিছু খামারি ও ব্যবসায়ী। অভিযোগ রয়েছে, এসব ভেজাল দুধ কারবারিদের সঙ্গে জড়িত প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। যার প্রমাণ মিলেছে প্রশাসনের অভিযানে।
অভিযানে প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র থেকে জব্দ করা দুধ পরীক্ষা করে তার মধ্যে ডিটারজেন্ট ও হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড নামের কেমিক্যালের উপস্থিতি পেয়েছেন নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তারা।
গত সোমবার চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের লাঙ্গলমোড়া গ্রামে ও ছাইকোলা চৌরাস্তায় প্রাণের হাব সেন্টারে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
ইউএনও মুসা নাসের চৌধুরী জানান, উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের লাঙলমোড়া গ্রামে বেশ কয়েকটি পরিবার পাম তেল, সোডাসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে নকল দুধ তৈরি করে আসছে এবং প্রতিদিনই তৈরি করা সেই বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ ছাইকোলা চৌরাস্তা মোড়ে প্রাণ ডেইরি হাবের দুগ্ধ শীতলীকরণ সেন্টারে সরবরাহ করে আসছিল।
প্রথমে লাঙ্গলমোড়া গ্রামে ভেজাল দুধ তৈরিকারকদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে আটক করা হয় পাঁচজনকে। সেখান থেকে ভেজাল দুধ তৈরির উপকরণ সোডা, পাম তেল, কেমিক্যালজাতীয় কিছু পদার্থসহ বেশ কিছু ড্রাম জব্দ করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছাইকোলা চৌরাস্তা মোড়ে প্রাণ ডেইরি হাবের দুগ্ধ শীতলীকরণ সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে মজুত করা ৬ হাজার লিটার জব্দ করা হয়। দুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুধের মধ্যে তেল ও ডিটারজেন্ট, কেমিক্যালের উপস্থিতি পাওয়ায় জনসম্মুখে ভেজাল দুধ বিনষ্ট করা হয়।
ভেজাল দুধ সংগ্রহ, মজুত ও সরবরাহের অভিযোগে প্রাণ হাবের তিন কর্মকর্তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী। তাঁরা হলেন প্রাণ ডেইরি হাবের গুরুদাসপুর অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার পাবনার ফরিদপুর উপজেলার জন্তিহার গ্রামের শামসুল আলম (৩৬), সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চক চিথুলয়া গ্রামের জহির রায়হান (২৭) ও পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামের নাজমুল হোসাইন (৩৫)।
একই সঙ্গে ভেজাল দুধ তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটকের পর নিয়মিত মামলা করে থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পাবনার অতিরিক্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমরা ওখানকার প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রের দুধ পরীক্ষা করি। একটাতে পেয়েছিলাম ডিটারজেন্ট আর একটাতে পেয়েছিলাম হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড। ডিটারজেন্ট কাপড়চোপড় পরিষ্কার করার জন্য এবং হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড কাপড়ে রং করার কাজে ব্যবহৃত হয়। যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।’
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) সালেহ্ মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড হলো জীবাণুনাশক। যা দিয়ে শরীরের ক্ষত পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার হয়। আবার ডিটারজেন্টও কিন্তু কাপড় পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার হয়। এগুলো ক্ষারজাতীয় পদার্থ। এসব যদি পেটে যায়, তাহলে খাদ্যনালি পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থায়ীভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে খাদ্যনালি। আর শিশুরা মারাও যেতে পারে।’
শিশুখাদ্যে এমন ভেজাল দুঃখজনক উল্লেখ করে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘খাদ্য হলো মৌলিক অধিকার। এখানে কোনো ভেজাল মেনে নেওয়া যায় না।’
প্রাণ ডেইরি সেকশনের এ জি এম শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘পাবনা জেলায় প্রাণ ডেইরি হাব আছে একটি। আর এর সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলা মিলিয়ে দুধ সংগ্রহ শীতলীকরণ কেন্দ্র আছে ২১টি। এসব কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন দুধ সংগ্রহ করা হয় ৩৫-৪০ হাজার লিটার। যা ঢাকায় নিয়ে প্যাকেজিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়।’
চাটমোহরে প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রে ভেজাল দুধ তৈরির বিষয়টি জানেন কি না, আর এ বিষয়ে আপনারা কী ভাবছেন, জনগণের আস্থা নষ্ট হবে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টা আমি বলতে পারব না। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আমাদের মিডিয়া বিভাগ আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’

আসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
ভেজাল দুধ তৈরির এই কারখানার সন্ধান মিলেছে পাবনার চাটমোহরে। এতে জড়িত স্থানীয় কিছু খামারি ও ব্যবসায়ী। অভিযোগ রয়েছে, এসব ভেজাল দুধ কারবারিদের সঙ্গে জড়িত প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। যার প্রমাণ মিলেছে প্রশাসনের অভিযানে।
অভিযানে প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র থেকে জব্দ করা দুধ পরীক্ষা করে তার মধ্যে ডিটারজেন্ট ও হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড নামের কেমিক্যালের উপস্থিতি পেয়েছেন নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তারা।
গত সোমবার চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের লাঙ্গলমোড়া গ্রামে ও ছাইকোলা চৌরাস্তায় প্রাণের হাব সেন্টারে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
ইউএনও মুসা নাসের চৌধুরী জানান, উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের লাঙলমোড়া গ্রামে বেশ কয়েকটি পরিবার পাম তেল, সোডাসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে নকল দুধ তৈরি করে আসছে এবং প্রতিদিনই তৈরি করা সেই বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ ছাইকোলা চৌরাস্তা মোড়ে প্রাণ ডেইরি হাবের দুগ্ধ শীতলীকরণ সেন্টারে সরবরাহ করে আসছিল।
প্রথমে লাঙ্গলমোড়া গ্রামে ভেজাল দুধ তৈরিকারকদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে আটক করা হয় পাঁচজনকে। সেখান থেকে ভেজাল দুধ তৈরির উপকরণ সোডা, পাম তেল, কেমিক্যালজাতীয় কিছু পদার্থসহ বেশ কিছু ড্রাম জব্দ করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছাইকোলা চৌরাস্তা মোড়ে প্রাণ ডেইরি হাবের দুগ্ধ শীতলীকরণ সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে মজুত করা ৬ হাজার লিটার জব্দ করা হয়। দুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুধের মধ্যে তেল ও ডিটারজেন্ট, কেমিক্যালের উপস্থিতি পাওয়ায় জনসম্মুখে ভেজাল দুধ বিনষ্ট করা হয়।
ভেজাল দুধ সংগ্রহ, মজুত ও সরবরাহের অভিযোগে প্রাণ হাবের তিন কর্মকর্তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী। তাঁরা হলেন প্রাণ ডেইরি হাবের গুরুদাসপুর অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার পাবনার ফরিদপুর উপজেলার জন্তিহার গ্রামের শামসুল আলম (৩৬), সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চক চিথুলয়া গ্রামের জহির রায়হান (২৭) ও পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামের নাজমুল হোসাইন (৩৫)।
একই সঙ্গে ভেজাল দুধ তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটকের পর নিয়মিত মামলা করে থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পাবনার অতিরিক্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমরা ওখানকার প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রের দুধ পরীক্ষা করি। একটাতে পেয়েছিলাম ডিটারজেন্ট আর একটাতে পেয়েছিলাম হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড। ডিটারজেন্ট কাপড়চোপড় পরিষ্কার করার জন্য এবং হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড কাপড়ে রং করার কাজে ব্যবহৃত হয়। যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।’
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) সালেহ্ মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড হলো জীবাণুনাশক। যা দিয়ে শরীরের ক্ষত পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার হয়। আবার ডিটারজেন্টও কিন্তু কাপড় পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার হয়। এগুলো ক্ষারজাতীয় পদার্থ। এসব যদি পেটে যায়, তাহলে খাদ্যনালি পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থায়ীভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে খাদ্যনালি। আর শিশুরা মারাও যেতে পারে।’
শিশুখাদ্যে এমন ভেজাল দুঃখজনক উল্লেখ করে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘খাদ্য হলো মৌলিক অধিকার। এখানে কোনো ভেজাল মেনে নেওয়া যায় না।’
প্রাণ ডেইরি সেকশনের এ জি এম শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘পাবনা জেলায় প্রাণ ডেইরি হাব আছে একটি। আর এর সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলা মিলিয়ে দুধ সংগ্রহ শীতলীকরণ কেন্দ্র আছে ২১টি। এসব কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন দুধ সংগ্রহ করা হয় ৩৫-৪০ হাজার লিটার। যা ঢাকায় নিয়ে প্যাকেজিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়।’
চাটমোহরে প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রে ভেজাল দুধ তৈরির বিষয়টি জানেন কি না, আর এ বিষয়ে আপনারা কী ভাবছেন, জনগণের আস্থা নষ্ট হবে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টা আমি বলতে পারব না। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আমাদের মিডিয়া বিভাগ আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’
শাহীন রহমান, পাবনা

আসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
ভেজাল দুধ তৈরির এই কারখানার সন্ধান মিলেছে পাবনার চাটমোহরে। এতে জড়িত স্থানীয় কিছু খামারি ও ব্যবসায়ী। অভিযোগ রয়েছে, এসব ভেজাল দুধ কারবারিদের সঙ্গে জড়িত প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। যার প্রমাণ মিলেছে প্রশাসনের অভিযানে।
অভিযানে প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র থেকে জব্দ করা দুধ পরীক্ষা করে তার মধ্যে ডিটারজেন্ট ও হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড নামের কেমিক্যালের উপস্থিতি পেয়েছেন নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তারা।
গত সোমবার চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের লাঙ্গলমোড়া গ্রামে ও ছাইকোলা চৌরাস্তায় প্রাণের হাব সেন্টারে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
ইউএনও মুসা নাসের চৌধুরী জানান, উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের লাঙলমোড়া গ্রামে বেশ কয়েকটি পরিবার পাম তেল, সোডাসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে নকল দুধ তৈরি করে আসছে এবং প্রতিদিনই তৈরি করা সেই বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ ছাইকোলা চৌরাস্তা মোড়ে প্রাণ ডেইরি হাবের দুগ্ধ শীতলীকরণ সেন্টারে সরবরাহ করে আসছিল।
প্রথমে লাঙ্গলমোড়া গ্রামে ভেজাল দুধ তৈরিকারকদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে আটক করা হয় পাঁচজনকে। সেখান থেকে ভেজাল দুধ তৈরির উপকরণ সোডা, পাম তেল, কেমিক্যালজাতীয় কিছু পদার্থসহ বেশ কিছু ড্রাম জব্দ করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছাইকোলা চৌরাস্তা মোড়ে প্রাণ ডেইরি হাবের দুগ্ধ শীতলীকরণ সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে মজুত করা ৬ হাজার লিটার জব্দ করা হয়। দুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুধের মধ্যে তেল ও ডিটারজেন্ট, কেমিক্যালের উপস্থিতি পাওয়ায় জনসম্মুখে ভেজাল দুধ বিনষ্ট করা হয়।
ভেজাল দুধ সংগ্রহ, মজুত ও সরবরাহের অভিযোগে প্রাণ হাবের তিন কর্মকর্তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী। তাঁরা হলেন প্রাণ ডেইরি হাবের গুরুদাসপুর অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার পাবনার ফরিদপুর উপজেলার জন্তিহার গ্রামের শামসুল আলম (৩৬), সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চক চিথুলয়া গ্রামের জহির রায়হান (২৭) ও পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামের নাজমুল হোসাইন (৩৫)।
একই সঙ্গে ভেজাল দুধ তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটকের পর নিয়মিত মামলা করে থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পাবনার অতিরিক্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমরা ওখানকার প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রের দুধ পরীক্ষা করি। একটাতে পেয়েছিলাম ডিটারজেন্ট আর একটাতে পেয়েছিলাম হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড। ডিটারজেন্ট কাপড়চোপড় পরিষ্কার করার জন্য এবং হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড কাপড়ে রং করার কাজে ব্যবহৃত হয়। যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।’
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) সালেহ্ মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড হলো জীবাণুনাশক। যা দিয়ে শরীরের ক্ষত পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার হয়। আবার ডিটারজেন্টও কিন্তু কাপড় পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার হয়। এগুলো ক্ষারজাতীয় পদার্থ। এসব যদি পেটে যায়, তাহলে খাদ্যনালি পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থায়ীভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে খাদ্যনালি। আর শিশুরা মারাও যেতে পারে।’
শিশুখাদ্যে এমন ভেজাল দুঃখজনক উল্লেখ করে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘খাদ্য হলো মৌলিক অধিকার। এখানে কোনো ভেজাল মেনে নেওয়া যায় না।’
প্রাণ ডেইরি সেকশনের এ জি এম শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘পাবনা জেলায় প্রাণ ডেইরি হাব আছে একটি। আর এর সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলা মিলিয়ে দুধ সংগ্রহ শীতলীকরণ কেন্দ্র আছে ২১টি। এসব কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন দুধ সংগ্রহ করা হয় ৩৫-৪০ হাজার লিটার। যা ঢাকায় নিয়ে প্যাকেজিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়।’
চাটমোহরে প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রে ভেজাল দুধ তৈরির বিষয়টি জানেন কি না, আর এ বিষয়ে আপনারা কী ভাবছেন, জনগণের আস্থা নষ্ট হবে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টা আমি বলতে পারব না। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আমাদের মিডিয়া বিভাগ আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’

আসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
ভেজাল দুধ তৈরির এই কারখানার সন্ধান মিলেছে পাবনার চাটমোহরে। এতে জড়িত স্থানীয় কিছু খামারি ও ব্যবসায়ী। অভিযোগ রয়েছে, এসব ভেজাল দুধ কারবারিদের সঙ্গে জড়িত প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। যার প্রমাণ মিলেছে প্রশাসনের অভিযানে।
অভিযানে প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র থেকে জব্দ করা দুধ পরীক্ষা করে তার মধ্যে ডিটারজেন্ট ও হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড নামের কেমিক্যালের উপস্থিতি পেয়েছেন নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তারা।
গত সোমবার চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের লাঙ্গলমোড়া গ্রামে ও ছাইকোলা চৌরাস্তায় প্রাণের হাব সেন্টারে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
ইউএনও মুসা নাসের চৌধুরী জানান, উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের লাঙলমোড়া গ্রামে বেশ কয়েকটি পরিবার পাম তেল, সোডাসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে নকল দুধ তৈরি করে আসছে এবং প্রতিদিনই তৈরি করা সেই বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ ছাইকোলা চৌরাস্তা মোড়ে প্রাণ ডেইরি হাবের দুগ্ধ শীতলীকরণ সেন্টারে সরবরাহ করে আসছিল।
প্রথমে লাঙ্গলমোড়া গ্রামে ভেজাল দুধ তৈরিকারকদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে আটক করা হয় পাঁচজনকে। সেখান থেকে ভেজাল দুধ তৈরির উপকরণ সোডা, পাম তেল, কেমিক্যালজাতীয় কিছু পদার্থসহ বেশ কিছু ড্রাম জব্দ করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছাইকোলা চৌরাস্তা মোড়ে প্রাণ ডেইরি হাবের দুগ্ধ শীতলীকরণ সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে মজুত করা ৬ হাজার লিটার জব্দ করা হয়। দুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুধের মধ্যে তেল ও ডিটারজেন্ট, কেমিক্যালের উপস্থিতি পাওয়ায় জনসম্মুখে ভেজাল দুধ বিনষ্ট করা হয়।
ভেজাল দুধ সংগ্রহ, মজুত ও সরবরাহের অভিযোগে প্রাণ হাবের তিন কর্মকর্তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী। তাঁরা হলেন প্রাণ ডেইরি হাবের গুরুদাসপুর অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার পাবনার ফরিদপুর উপজেলার জন্তিহার গ্রামের শামসুল আলম (৩৬), সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চক চিথুলয়া গ্রামের জহির রায়হান (২৭) ও পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামের নাজমুল হোসাইন (৩৫)।
একই সঙ্গে ভেজাল দুধ তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটকের পর নিয়মিত মামলা করে থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পাবনার অতিরিক্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমরা ওখানকার প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রের দুধ পরীক্ষা করি। একটাতে পেয়েছিলাম ডিটারজেন্ট আর একটাতে পেয়েছিলাম হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড। ডিটারজেন্ট কাপড়চোপড় পরিষ্কার করার জন্য এবং হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড কাপড়ে রং করার কাজে ব্যবহৃত হয়। যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।’
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) সালেহ্ মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড হলো জীবাণুনাশক। যা দিয়ে শরীরের ক্ষত পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার হয়। আবার ডিটারজেন্টও কিন্তু কাপড় পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার হয়। এগুলো ক্ষারজাতীয় পদার্থ। এসব যদি পেটে যায়, তাহলে খাদ্যনালি পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থায়ীভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে খাদ্যনালি। আর শিশুরা মারাও যেতে পারে।’
শিশুখাদ্যে এমন ভেজাল দুঃখজনক উল্লেখ করে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘খাদ্য হলো মৌলিক অধিকার। এখানে কোনো ভেজাল মেনে নেওয়া যায় না।’
প্রাণ ডেইরি সেকশনের এ জি এম শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘পাবনা জেলায় প্রাণ ডেইরি হাব আছে একটি। আর এর সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলা মিলিয়ে দুধ সংগ্রহ শীতলীকরণ কেন্দ্র আছে ২১টি। এসব কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন দুধ সংগ্রহ করা হয় ৩৫-৪০ হাজার লিটার। যা ঢাকায় নিয়ে প্যাকেজিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়।’
চাটমোহরে প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রে ভেজাল দুধ তৈরির বিষয়টি জানেন কি না, আর এ বিষয়ে আপনারা কী ভাবছেন, জনগণের আস্থা নষ্ট হবে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টা আমি বলতে পারব না। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আমাদের মিডিয়া বিভাগ আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

আসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
২৫ জুলাই ২০২৫
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

আসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
২৫ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

আসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
২৫ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
২৫ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে