নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রধান শিক্ষক নিয়োগ এবং পরিচালনা কমিটি নিয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। আজ সোমবার দুপুরে কালিকাপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও পরিচালনা কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির নেতা আবুল কালাম আজাদ এবং সেলিম শাহীর লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। সোমবার দুপুরে এক পক্ষ প্রধান শিক্ষকের প্রত্যাহার এবং কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করতে গেলে অপর পক্ষের লোকজন বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেলিম শাহী সভাপতি হওয়ায় অবৈধভাবে নোমান উদ্দিনকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। গত ৩১ জানুয়ারি নোমান উদ্দিনের মেয়াদ শেষ হলেও তাঁকে দিয়ে আরও দেড় মাস প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করান। তিনি চলে যাওয়ার পর একই কায়দায় বিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও সিনিয়র শিক্ষক জাফর উল্যাকে অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন সেলিম শাহী। এ ঘটনায় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ এবং কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেন স্থানীয় লোকজন। এতে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করে সেলিম শাহীর লোকজন।
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘আগে এবং বর্তমানে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সেলিম শাহী প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কমিটির সভাপতি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পুলিশের উপস্থিতিতে আমার লোকজনকে মারধর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় আজাদের লোকজন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন রিপন, আবদুল কদ্দুস, ফয়েজ উল্ল্যা খোকন, জহিরুল ইসলাম, খোরশেদ আলম। আহতরা স্থানীয় ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপি নেতা-কর্মী। তাঁদেরকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেলিম শাহী বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষক নোমান উদ্দিন অবসরে যান। তখন সহকারী প্রধান শিক্ষক মন্জুরুল হোসেনকে দায়িত্ব নিতে বলা হলেও তিনি তাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে সহকারী শিক্ষক ও কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিনিয়র একজন শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক করা হয়; যাতে জাফরুল্লাহকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে তিনি বিদ্যালয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সেলিম শাহী আরও বলেন, ‘অ্যাডভোকেট আজাদ সভাপতি হওয়ার জন্য তিনবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। জাফরুল্লাহ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি বিরোধিতা করেন। এর অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নিজের লোকজন নিয়ে অবৈধভাবে মানববন্ধনের আয়োজন করেন। পরে তাতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এবং স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।’
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে সেলিম শাহী ও আবুল কালাম আজাদ গ্রুপের লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে আমরা জেনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকায় পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। তবে কোনো পক্ষ থেকে আমরা লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রধান শিক্ষক নিয়োগ এবং পরিচালনা কমিটি নিয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। আজ সোমবার দুপুরে কালিকাপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও পরিচালনা কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির নেতা আবুল কালাম আজাদ এবং সেলিম শাহীর লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। সোমবার দুপুরে এক পক্ষ প্রধান শিক্ষকের প্রত্যাহার এবং কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করতে গেলে অপর পক্ষের লোকজন বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেলিম শাহী সভাপতি হওয়ায় অবৈধভাবে নোমান উদ্দিনকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। গত ৩১ জানুয়ারি নোমান উদ্দিনের মেয়াদ শেষ হলেও তাঁকে দিয়ে আরও দেড় মাস প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করান। তিনি চলে যাওয়ার পর একই কায়দায় বিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও সিনিয়র শিক্ষক জাফর উল্যাকে অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন সেলিম শাহী। এ ঘটনায় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ এবং কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেন স্থানীয় লোকজন। এতে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করে সেলিম শাহীর লোকজন।
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘আগে এবং বর্তমানে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সেলিম শাহী প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কমিটির সভাপতি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পুলিশের উপস্থিতিতে আমার লোকজনকে মারধর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় আজাদের লোকজন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন রিপন, আবদুল কদ্দুস, ফয়েজ উল্ল্যা খোকন, জহিরুল ইসলাম, খোরশেদ আলম। আহতরা স্থানীয় ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপি নেতা-কর্মী। তাঁদেরকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেলিম শাহী বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষক নোমান উদ্দিন অবসরে যান। তখন সহকারী প্রধান শিক্ষক মন্জুরুল হোসেনকে দায়িত্ব নিতে বলা হলেও তিনি তাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে সহকারী শিক্ষক ও কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিনিয়র একজন শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক করা হয়; যাতে জাফরুল্লাহকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে তিনি বিদ্যালয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সেলিম শাহী আরও বলেন, ‘অ্যাডভোকেট আজাদ সভাপতি হওয়ার জন্য তিনবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। জাফরুল্লাহ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি বিরোধিতা করেন। এর অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নিজের লোকজন নিয়ে অবৈধভাবে মানববন্ধনের আয়োজন করেন। পরে তাতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এবং স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।’
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে সেলিম শাহী ও আবুল কালাম আজাদ গ্রুপের লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে আমরা জেনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকায় পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। তবে কোনো পক্ষ থেকে আমরা লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাকসু নির্বাচনের চারটি কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে আছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি ও এজিএস প্রার্থীরা। আর জিএস পদে এগিয়ে আছেন আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় কারখানার আগুন ছড়িয়ে পড়ে সাততলার পুরো ভবনটিই জ্বলছে। ১০ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। আগুনের তাপের কারণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাছে যেতে পারছেন না। দূর থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মেয়েদের বেগম রোকেয়া হলেও ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবিরের চেয়ে তিন গুণ বেশি ভোট পেয়েছেন ছাত্রশিবির প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।
১ ঘণ্টা আগেতিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদীপারে মশাল প্রজ্বালন করেছে হাজারো মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলা কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, রংপুর ও নীলফামারীতে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’।
২ ঘণ্টা আগে