Ajker Patrika

ভূমিহীনের তালিকায় জমির মালিকেরা, অসহায় চরের বাসিন্দারা

ইসমাইল হোসেন কিরন, হাতিয়া (নোয়াখালী) 
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩: ২০
হাতিয়ায় চরে বসবাস করা মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাতিয়ায় চরে বসবাস করা মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

চারপাশে নদী। নেই কোনো হাটবাজার ও রাস্তাঘাট। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব মৌলিক অধিকারের সুবিধা অনুপস্থিত। এমনই এক জায়গা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরআতাউর। এখানে সরকারি আশ্রয়ণের ব্যারাক হাউস ও গুচ্ছগ্রামে বাস করছে শতাধিক ভূমিহীন পরিবার। কিন্তু কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহের কোনো ব্যবস্থা নেই তাদের। কারণ ঘরের পাশ থেকে শুরু করে চরের সব খাসজমি বন্দোবস্ত নিয়ে গেছেন মূল ভূখণ্ডে বাস করা প্রভাবশালীরা। এসব জমি নিজেদের নামে দেওয়ার দাবি ভূমিহীনদের।

তমরদ্দি ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে চরআতাউরের অবস্থান। মূল ভূখণ্ড থেকে নদীপথে ২ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। এখানে বনশ্রী আশ্রয়ণের আওতায় ৪০টি ভবনের সমন্বয়ে একটি ব্যারাক হাউস রয়েছে, যাতে থাকতে পারে ২০০ পরিবার। এ ছাড়া তরুবীথি ও ছায়াবীথি নামের দুটি গুচ্ছগ্রামে ১০০ পরিবার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তিন জায়গা মিলিয়ে রয়েছে শতাধিক পরিবার। তাঁরা নদীভাঙনের শিকার হয়ে নিঃস্ব। অনেকে কয়েকবার ভাঙনের কবলে পড়েছেন।

চরের বাসিন্দারা জানান, পাকা ও আধা পাকা এসব ঘরে প্রথমে মানুষ বসবাস করতে আসতে চাননি। কারণ এখানে হাটবাজার, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, হাসপাতাল-কিছুই নেই। জীবিকারও কোনো ব্যবস্থা নেই। মানুষজনকে এক ধরনের বেকার জীবনযাপন করতে হয়। ২০১৭ সালের দিকে স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানরা জমি বন্দোবস্তসহ বিভিন্ন সুবিধার কথা বলে লোকজনকে এ চরে নিয়ে আসেন। কিন্তু ভূমি কার্যালয়কে হাত করে প্রভাবশালীরা একেকজন ৫-৬ একর বা আরও বেশি জমি বন্দোবস্ত নিয়ে গেছেন।

ব্যারাকের বাসিন্দা নাজমা বেগম জানান, তাঁর স্বামী ও এক সন্তান চট্টগ্রামে ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তিনি চরে থাকা অন্য সন্তানকে নিয়ে কেওড়া বাগানের কাঠ কুড়ানোর কাজ করেন। অনেক নারী নদীতে মাছ ধরে সংসার চালান। তাঁদের পাশের জমিগুলো চাষ করতে পারলে হয়তো পরিবারের বছরের খাবার জোগাড় হতো। কিন্তু এ জমিগুলো চাষ করেন বড়লোকেরা। ধান চাষের মৌসুমে জমিতে পা ফেলা যায় না। চাষিদের পাহারাদার থাকেন। চাষিরা মূল ভূখণ্ড থেকে এসে সময়মতো পাকা ধান কেটে নিয়ে যান।

খোকন নামের একজন বলেন, ‘মাঝেমধ্যে গৌতম সাহা নামের একজন পল্লিচিকিৎসক এসে চিকিৎসা দিয়ে যান। সপ্তাহে এক দিন এসে নাপিত মানুষের চুল-দাঁড়ি কেটে যান। এটা জেলখানার মতো। এখানে বসবাস করা মানুষজনের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই বিধায় তাঁরা এখানে বাস করছেন।’

হাতিয়ায় চরে বসবাস করা মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাতিয়ায় চরে বসবাস করা মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

হাতিয়া উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চরের খাসজমিগুলো ইউপি মেম্বার, চেয়ারম্যান ও বড়লোকদের বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, বুড়িরচর ইউপির সাবেক এক মেম্বার ও তমরদ্দি ইউপির সাবেক এক চেয়ারম্যান ২০০ একর করে বন্দোবস্ত নিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মং এছেন জানান, তিনি ভূমিহীনদের আগের বন্দোবস্ত বাতিল করার জন্য আবেদন দিতে বলেছেন। আবেদন পেলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, ‘চরে বসবাস করা মানুষজনকে ভূমি বন্দোবস্ত দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি। ইতিমধ্যে যেসব ভূমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে, তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। প্রয়োজনে অনেকের বন্দোবস্ত বাতিল করে হলেও চরে বসবাস করা ভূমিহীনদের জমি দেওয়া হবে। এ ছাড়া এখন থেকে তাঁদের সরকারি সব সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সোনারগাঁয়ে বিস্ফোরণে শিশুসহ এক পরিবারের চারজন দগ্ধ

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের পাঠাত্তা গ্রামে একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় এ বিস্ফোরণ ঘটে। তাঁদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলো ওই ভবনের ভাড়াটে জরিনা বেগম, আলাউদ্দিন, শিফা আক্তার ও শিমলা।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, ভোরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে একই পরিবারের চারজন দগ্ধকে আনা হয়। তাঁদের ২০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ছয় তলা ভবনের নিচতলায় একটি বাসাভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন আলাউদ্দিন, তাঁর মা ও দুই সন্তান। আজ ভোরে গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই রুমে থাকা শিশুসহ চারজন দগ্ধ হন। পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ভোরে ঘটনার পরপরই দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সংসদ নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য বড় টেস্ট: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রংপুর প্রতিনিধি
রংপুর জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রংপুর জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু রাখতে বাহিনীকে আগের চেয়ে আরও সতর্ক ও সংহত ভূমিকা রাখতে হবে।

আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে রংপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের সবকিছুর ভিত্তি আইনশৃঙ্খলা। শুরুতে সমস্যা থাকলেও এখন ভালো অবস্থা। পুলিশ গুছিয়ে উঠে নিজেরা সংহত হতে পেরেছে। সামনে নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য বড় টেস্ট। কেননা প্রফেসর ইউনূস বলেছেন, সামনের নির্বাচন একটি আদর্শ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে। নির্বাচনে পরাজিত ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে। আমরা চাই, ভালো একটা নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব দিয়ে চলে যেতে।’

বাংলাদেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘দুটি খাতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। একটি শিক্ষা, অন্যটি স্বাস্থ্য। বাইরের দেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা পারছি না, তবে চেষ্টা করছি। চিকিৎসক, নার্সের সমস্যা নিরসনের অংশ হিসেবে এই স্বল্প সময়ে সাড়ে ৩ হাজার নার্স ও ৩ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ খাতে বাজেট বাড়ানো হয়েছে। আগামী বছর তা দেখা যাবে। আমরা কিছু প্রকল্প শুরু করেছি। আশা করছি, পরের সরকার তা ধরে রাখবে।’

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আলু রপ্তানির বিষয়টি নিয়ে সরকার ভাবছে। যদিও এটি সহজ নয়। কেননা পৃথিবীতে দু-একটি দেশ নিয়মিত আলু আমদানি করে। তবে কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে কিছু দেশ আলু আমদানি করে থাকে। তা ছাড়া আমদানি করে না।’

প্রবাসে দক্ষ মানবসম্পদের গুরুত্ব তুলে ধরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিদেশে গেলে অবশ্যই দক্ষ হিসেবে যেতে হবে, না হলে বেতন কম। আমাদের দেশের মানুষ দক্ষ হয়ে বিদেশে যায় না, যে কারণে কম বেতন পায়। বিদেশে অসংখ্য নার্সের পদ খালি রয়েছে। নার্সের মাধ্যমে বিদেশে গেলে ভালো বেতন পাওয়া সম্ভব। দক্ষ করে জনশক্তি রপ্তানি করা গেলে দেশের জন্য ভালো।’ এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন।

রংপুর অঞ্চলে প্রাণিসম্পদের সম্ভাবনা নিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘রংপুরে অনেক ছোট গরু, মানে দেশি গরু পালন করা হয়, যে গরুর মাংস খুবই সুস্বাদু হয়। এই গরুর মাংসের বাজার ভালো। এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিতে পারে। কেননা এসব গরুর মাংসের চাহিদা ঢাকায়ও বেশি।’

রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মারুফাত হুসাইন, সিভিল সার্জন শাহীন সুলতানা, রংপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার তোফায়েল আহমেদ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু ছাইদ বক্তব্য দেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভার শুরুতেই ‘উত্তরাঞ্চলের অগ্রযাত্রার কেন্দ্রবিন্দু রংপুর’ শিরোনামে প্রামাণ্য ভিডিও চিত্রপ্রদর্শনী হয়। যেখানে রংপুর অঞ্চলের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিসহ জীবনমানের বিকাশ ও উন্নয়ন গুরুত্ব পেয়েছে।

এদিকে চার দিনের সফরে রংপুরে এসে গতকাল শুক্রবার রংপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনা পরিদর্শন করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আজ শনিবার বিকেলে তিনি রংপুর ক্যাডেট কলেজ পরিদর্শন করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় গলায় ফাঁস দিয়ে পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যা

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনার রূপসায় গলায় কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন পুলিশের এক কনস্টেবল। তাঁর নাম ফেরদৌস হোসেন (২৭)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের শিয়ালী পুলিশ ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।

ফেরদৌস হোসেন যশোর সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। তাঁর পুলিশ সদস্য নম্বর কং/১১৬৪।

পুলিশ জানায়, কনস্টেবল ফেরদৌস হোসেন রূপসা উপজেলা ঘাটভোগের শিয়ালী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ক্যাম্পে ফেরদৌস হোসেনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাতে ক্যাম্পের বাথরুমের ভেতর গলায় কাপড় পেঁচিয়ে ফাঁস নেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত লাগেজে মিলল ৮০০ কার্টন সিগারেট

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেট জব্দ। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেট জব্দ। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক এরায়বেল হল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেট জব্দ করেছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার সকালে বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৮০০ কার্টন বিদেশি ব্র্যান্ডের ‘MOND’ সিগারেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা সিগারেটের আনুমানিক মূল্য ৯০ লাখ টাকা।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, দিনের সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ রুটিন তল্লাশি চালায়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বিমানবন্দরের Lost & Found (হারিয়ে যাওয়া ও খুঁজে পাওয়া) এলাকার দিকে ছয়টি বড় লাগেজ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। লাগেজের মালিক বা কোনো দাবিদার না থাকায় শুল্ক গোয়েন্দা দল লাগেজগুলো খুলে দেখে।

এ সময় ছয়টি লাগেজে ৮০০ কার্টন বিদেশি সিগারেট পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এসব সিগারেট পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়েছিল এবং কাস্টমসের নজরদারি এড়াতে পাচারকারীরা লাগেজগুলো পরিত্যক্ত রেখে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, জব্দ করা সিগারেটের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু করেছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার করা সিগারেটের আনুমানিক মূল্য ৯০ লাখ টাকা বলেও জানান বিমানের এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত