Ajker Patrika

পাইপে গ্যাস পাওয়ার অপেক্ষা ফুরাচ্ছে না

  • প্রকল্পে ব্যয় হয় ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা
  • কবে নাগাদ সরবরাহ শুরু হবে, জানেন না সংশ্লিষ্টরা
  • গ্যাস সরবরাহের উদ্বোধন ছিল নিছক নাটক: ব্যবসায়ী

রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী) 
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫, ০৮: ৫১
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কয়া গোলাহাট এলাকার গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কয়া গোলাহাট এলাকার গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড।

নীলফামারীর সৈয়দপুরসহ দেশের উত্তর জনপদে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর। কিন্তু উদ্বোধনের ১ বছর ৭ মাস পার হলেও গ্যাস পায়নি এ জনপদের মানুষ। ঠিক কবে নাগাদ এ গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে, তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ নিয়ে হতাশ ব্যবসায়ীসহ এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জোগান না থাকায় পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ করা নিয়ে এই অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।

গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) সূত্রে জানা যায়, দেশের উত্তর জনপদে গ্যাসভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টিসহ বাণিজ্যিক ও অন্যান্য গ্রাহকের গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ‘বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের অক্টোবরে। ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে জিটিসিএল। প্রকল্পটিতে সরকার ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে।

এর মধ্যে জিটিসিএল ১০ কোটি টাকার ওপর খরচ করেছে। বাকি টাকা সরকার বরাদ্দ দিয়েছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের জন্য ৩০৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া হুকুম দখল করা হয়েছে ৫৭৬ দশমিক ৩৭ একর জমি। ৩০ ইঞ্চি ব্যাসার্ধে ১৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। এই গ্যাস সরবরাহে পাইপলাইন পাড়ি দিয়েছে ছয়টি নদী ও দুটি খাল। এসব নদী ও খালের দূরত্ব আড়াই কিলোমিটার। এ ছাড়া গ্যাস সরবরাহের জন্য তিনটি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১০০ এমএমএসসিএফডি (মিলিয়ন স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক ফিট পার ডে) ক্ষমতাসম্পন্ন সেন্ট্রাল গ্যাস সাপ্লাই (সিজিএস), রংপুরে ৫০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন টাউন বর্ডার স্টেশন (টিবিএস) ও পীরগঞ্জে ২০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন টিবিএস।

সূত্র আরও জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে এর উদ্বোধন করেন। পরে রংপুরের পীরগঞ্জের নিয়ামতপুর চৌরাহাট এলাকায় গ্যাস স্টেশন প্রাঙ্গণে ফলক উন্মোচন ও গ্যাস প্রজ্বালন করেন পেট্রোবাংলার তৎকালীন চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার। এ সময় জানানো হয়, পাইপলাইনের মাধ্যমে শিল্প খাত ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস সরবরাহ করা হবে, যা প্রথমে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড এবং পরে রংপুরে সম্প্রসারিত হবে। তবে দীর্ঘ সময় পার হলেও বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিটিসিএলের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশে বর্তমানে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৪০০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে আমদানি ও স্থানীয় গ্যাস দিয়ে দৈনিক সরবরাহ হচ্ছে ৩০০ কোটি ঘনফুট। প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতি থাকছে ১০০ কোটি ঘনফুটের মতো। এ ঘাটতি কাটাতে এরই মধ্যে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি কয়েকটি এলএনজি আমদানি চুক্তি করেছে পেট্রোবাংলা। কিন্তু এখনো গ্যাসের অনুসন্ধান চালিয়ে নিকট ভবিষ্যতে সরবরাহ বাড়ানোর মতো আশা জাগানিয়া কোনো ফলাফল মেলেনি। আবার এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করা নিয়েও রয়েছে বড় ধরনের সংশয়। গ্যাসের জোগান নিয়ে এ অনিশ্চয়তা দূর করার আগেই সঞ্চালন লাইন নিয়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে জিটিসিএল।’

সৈয়দপুর শহরের ইসলামবাগ বড় মসজিদ এলাকার বাসিন্দা শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ উদ্বোধনের পর আমরা আনন্দিত ছিলাম। ভেবেছিলাম শিল্পকারখানার গ্যাস সরবরাহ শেষে রান্নার জন্য আমরা বাসাবাড়িতেও হয়তো গ্যাস পাব। কিন্তু উদ্বোধনের প্রায় দেড় বছর পরও গ্যাস সরবরাহ অধরাই থেকে গেছে। নির্বাচনে সুফল পেতে আওয়ামী লীগ সরকার গ্যাস সরবরাহ উদ্বোধন নাটক সাজিয়েছিল।’

নীলফামারী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (স্বতন্ত্র) ও শিল্পপতি সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক বলেন, ‘গ্যাস সংযোগ পেলে উত্তরা ইপিজেডসহ সৈয়দপুরে নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন সম্ভব হতো। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো। এখন শুধু প্রতিশ্রুতি শুনছি, বাস্তবায়ন কিছুই হচ্ছে না।’

বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক ও সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি এরশাদ হোসেন পাপ্পু বলেন, ‘গ্যাস সরবরাহের উদ্বোধন ছিল নিছক নাটক। উত্তর জনপদের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। বিসিক শিল্প নগরীসহ বহু উদ্যোক্তা পাইপলাইনের গ্যাসের অপেক্ষায় রয়েছেন। গ্যাসের অভাবে শিল্পের সম্ভাবনাগুলো মুখ থুবড়ে পড়ছে।’

পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক ও পিজিসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী ফজলুল করিম বলেন, ‘ডিস্ট্রিবিউশন লাইনসহ কিছু কাজ বাকি। কাজ শেষ করে শিগগিরই গ্যাস সরবরাহ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাউজানে সিএনজি-কাভার্ড ভ্যান সংঘর্ষ, সবজি ব্যবসায়ী নিহত; আহত ৩

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
নিহত নাজিম উদ্দীন । ছবি: সংগৃহীত
নিহত নাজিম উদ্দীন । ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নাজিম উদ্দীন (৪০) নামের এক সবজি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে রাউজান উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের অদুদিয়া সড়কের আতুন্নিরঘাটা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাজিম উদ্দীন চিকদাইর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রমজান আলী তালুকদার বাড়ির মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম শহর থেকে মুরগির বাচ্চাবাহী একটি কাভার্ড ভ্যান আসার সময় নতুন হাট থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং কাভার্ড ভ্যানটি সড়ক থেকে ছিটকে ধানখেতে পড়ে যায়।

এতে সিএনজিতে থাকা যাত্রী নাজিম উদ্দীন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। আহত তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহত নাজিমের সঙ্গে থাকা মানিক নামের এক যুবক জানান, নাজিম উদ্দীন ভোরে সবজি কেনার জন্য নতুন হাট থেকে অটোরিকশায় করে চট্টগ্রাম নগরীতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, কাভার্ড ভ্যানটি রং সাইডে এসে অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। নিহত নাজিম উদ্দীন চার কন্যাসন্তানের জনক ছিলেন।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার পর রাউজান থানা-পুলিশ গাড়ি দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবককে মারধর, হাসপাতালে মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে ধর্ষণের অভিযোগে বাসা থেকে তুলে নিয়ে আবু হানিফ নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার শাহাদাত হোসেন। নিহত আবু হানিফ (৩০) পেশায় নিরাপত্তাপ্রহরী। তিনি বাগেরহাটের শরণখোলার আবুল কালামের ছেলে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, দুপুরে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এলাকার কয়েকজন যুবক মারধর করেন। বাসা থেকে তুলে নিয়ে খানপুর জোড়া ট্যাংকি এলাকায় তাঁকে মারধর করা হয়।

নিহত ব্যক্তির মেজ বোন রাবেয়া বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে হানিফ বাসায় শুয়ে ছিলেন। এলাকার কিছু ছেলে বাসায় এসেই ভাইয়েরে মারতে মারতে নিয়ে চলে যায়। আমাদের কোনো বাধা শোনেনি, কী কারণে মারতেছে তা-ও বলেনি। অনেক পরে বলতেছে, সে (হানিফ) নাকি কোন বাচ্চারে ধর্ষণ করতে চাইছে। কিন্তু কোন মেয়ে, কবে তার কিছুই আমরা জানি না।’

নিহত ব্যক্তির ভগ্নিপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘শুরু থেকে আমি ছিলাম না। আমি ছিলাম ডিউটিতে। দুপুরে আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, এলাকার কিছু যুবক বাসায় ঝামেলা করতেছে। ফোন পাইয়া আমি বাড়িতে আসি। বাসায় আসার পর ওই ছেলেরা আমাকে ধইরা খানপুর জোড়া টাংকির মাঠে নিয়া যায়। তখন দেখি, আমার সম্বন্ধীরে (হানিফ) ভেতরে বসায়া রাখছে। ১০-১২ জন যুবক পোলাপান ছিল। তাদের মধ্যে পাশের বাড়ির অভি নামে স্থানীয় একজনরে চিনছি। সন্ধ্যায় হানিফ ভাইরে অটোতে তুইলা নিয়ে কোথায় যেন চলে যায়। অনেক পরে আমরা তারে হাসপাতালে পাই।’

হানিফ খানপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁর স্ত্রী তিন শিশুসন্তানকে নিয়ে কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে গেছেন বলে জানান নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা।

নিহত ব্যক্তির বাবা আবুল কালাম বলেন, ‘আমার ছেলে অপরাধ করলে তারে শাস্তি দিব আইনে। কিন্তু তারে মাইরা ফেলল কোন যুক্তিতে! আমি এর বিচার চাই।’

এই ঘটনার বিস্তারিত জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণচেষ্টার কোনো অভিযোগ আগে আমাদের থানায় কেউ করেনি। পুলিশ মরদেহ হাসপাতালে পায়। ধর্ষণের আসলেই কোনো চেষ্টা হয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জবি ছাত্রদল নেতা হত্যা: বড় ভাইয়ের মামলা, আসামি মাহিরসহ ৩

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত। সকালে আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী।

ডিসি মল্লিক আহসান বলেন, ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় তাঁর বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে মাহিরসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় টিউশনি করতে গিয়ে খুন হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন। তিনি এক বছর ধরে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ১৫, নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামে একটি বাড়িতে এক ছাত্রীকে (এইচএসসি শিক্ষার্থী) পড়াতেন। ওই বাড়ির সিঁড়িতেই তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে রৌশান ভিলার সিঁড়িতে জোবায়েদের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে রৌশান ভিলা থেকে ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

জোবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের ১৫ তম ব্যাচের পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বাসার সামনে জড়ো হন জোবায়েদের সহপাঠী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক, বর্তমান শিক্ষার্থীসহ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে: শামীম বিন সাঈদী

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
আজ সকালে নেছারাবাদ উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন শামীম বিন সাঈদী। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নেছারাবাদ উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন শামীম বিন সাঈদী। ছবি: আজকের পত্রিকা

পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পিরোজপুর-২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী।

শামীম বিন সাঈদী বলেন, ‘আমরা পূর্ব থেকেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছি। তবে যেহেতু এটি প্রথমবার, আমার মনে হয় প্রাথমিকভাবে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে।’ মঙ্গলবার সকালে নেছারাবাদ উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এ সময় সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে শামীম বিন সাঈদী বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদ, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানি থেকে কিছু লোককে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে শুনছি। তবে সাদাপোশাকে এসে কাউকে তুলে নেওয়া আমি সমর্থন করি না। কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে পরিচয় প্রকাশ করে এবং নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা উচিত। গ্রেপ্তারের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তাঁর অপরাধ সম্পর্কে অবহিত করা প্রয়োজন। নিরীহ ও নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হলে তা আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করব না।’

উল্লেখ্য, পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ) আসনে এখনো বিএনপি কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। ফলে এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী এককভাবে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন এবং নিয়মিতভাবে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার তিনি নেছারাবাদে গণসংযোগে অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত