Ajker Patrika

ঢাকায় থাকা সেই শিক্ষিকা সাময়িক বরখাস্ত

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নাজমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
নাজমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার অভিযোগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমা আক্তারকে অবশেষে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আজম তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার রোকেয়া সাত্তার চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমা আক্তার নিজের কর্মস্থলে থাকেন না। তিনি থাকেন ঢাকায়। বিদ্যালয়ে তাঁর স্থলে স্নাতকপড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে দিয়ে স্কুলে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করাতেন তিনি। এ নিয়ে গত রোববার আজকের পত্রিকায় অনলাইনে ‘শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এবার তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করল কর্তৃপক্ষ।

বরখাস্তের তথ্য নিশ্চিত করে শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আজম বলেন, প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করানো সরকারি চাকরিবিধি পরিপন্থী। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষক নাজমা আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নূরারীপুর গ্রামে ২০১৮ সালে স্থাপিত হয় রোকেয়া সাত্তার চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৭৪ জন শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমা আক্তার। তিনি ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে, যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ে অনিয়মিত তিনি। বিদ্যালয়ে না গেলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর করছেন নাজমা আক্তার। এর সঙ্গে নিয়মিত বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন তিনি।

গত ২৮ অক্টোবর বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, মোট ৫ জনের মধ্যে ২ জন শিক্ষককে উপস্থিত রয়েছেন। নাজমা আক্তারের স্থলে প্রক্সিশিক্ষক হিসেবে ক্লাস নিচ্ছেন স্নাতকপড়ুয়া হেপি আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী নাজমা আক্তারের হয়ে পাঠদানসহ শিক্ষক হাজিরা খাতায় ‘নাজমা’ লিখে স্বাক্ষর করেন। আর এ কাজে সাহায্য করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফা আক্তার। জানতে চাইলে স্নাতকপড়ুয়া শিক্ষার্থী হেপি আক্তার বলেন, ‘নাজমা ম্যাডাম ঢাকায় আছেন। এজন্য কয়েক মাস তাঁর ক্লাস আমি নিচ্ছি। ম্যাডাম বলায় তাঁর শিক্ষক হাজিরা খাতায় আমি নাজমা লিখে স্বাক্ষর করছি। এটা আমার ভুল হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ