Ajker Patrika

এমপি মনোনয়ন পেতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছাড়লেন ঝুমা তালুকদার

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
এমপি মনোনয়ন পেতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছাড়লেন ঝুমা তালুকদার

জাতীয় সংসদ (এমপি) নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আজ শনিবার দুপুরে নেত্রকোনার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ডিডিএলজি) রাফিকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৬ নভেম্বর জেলা ডিডিএলজির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগ পত্রটি পাঠানো হয়। ১৫ নভেম্বর মন্ত্রণালয় সেটি গৃহীত হয় বলে জানিয়েছেন ঝুমা তালুকদার।

ঝুমা তালুকদার বলেন, নেত্রকোন-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসন থেকে এমপি হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দিয়েছি। যেকোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হলে নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী বর্তমান পদ ছাড়তে হয়। এই সময়টায় মনোনয়ন নিয়ে ব্যস্ত থাকব মানুষের সেবা করার সময় পাব না। তাই পদ ছেড়ে দিয়েছি।

দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মানুষের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। তাই মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশা রাখতেই পারি। আমার বিশ্বাস এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আসনে পরিবর্তন আনবেন।

মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হলে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করবেন। জনগণ তাঁকে সব সময় পাশে পাবেন বলেও জানান ঝুমা তালুকদার।

এদিকে দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপজেলা পরিষদ (কার্যক্রম বাস্তবায়ন) বিধিমালা অনুযায়ী নতুন চেয়ারম্যানের কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত ভাইস চেয়ারম্যান প্যানেল-১ পারভীন আক্তার অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।

জানা গেছে, ঝুমা তালুকদারের বাবা প্রয়াত জালাল উদ্দিন তালুকদার নেত্রকোনা জেলার একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ১৯৭৯ সালে তৎকালীন ময়মনসিংহ-১২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোনা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোনা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ যেতে পারবেন না

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

সকালে নাশতা না খাওয়ার পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গরুচোর অভিযোগে পিটুনির পর বেঁধে রাখা হয় পুকুরে, ১ জন নিহত

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি 
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গরুচোর অভিযোগে মারধরে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গরুচোর অভিযোগে মারধরে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গরু চুরির চেষ্টার অভিযোগে মো. আবদুস সালাম মিয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে কয়েক দফায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে তাঁর স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ গ্রামে আব্দুস সালাম মিয়াকে রশি দিয়ে বেঁধে এক দফায় মারধর করা হয়। এরপর আহত অবস্থায় তাঁকে পুকুরে বেঁধে রাখা হয়। আজ শনিবার ভোরে পুকুর থেকে তুলে আরেক দফায় পিটুনি দেওয়ায় ঘটনাস্থলেই মারা যান আবদুস সালাম।

নিহত আবদুস সালাম মিয়া পাশের রামডাকুয়া গ্রামের মো. ওমেদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আজ বেলা ১টার দিকে মোছা. দুলালি বেগম (৪৩) নামের এক নারীকে আটক করে পুলিশ। তিনি বেলকা নবাবগঞ্জ গ্রামের মো. আবদুল গণি মিয়ার স্ত্রী।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মো. আবদুল গণি মিয়ার গোয়ালঘরে প্রবেশ করেন আবদুস সালাম মিয়া। বিষয়টি তাঁর স্ত্রী দুলালি বেগম টের পেয়ে স্বামী ও প্রতিবেশীদের খবর দেন। এরপর সালাম মিয়াকে রশি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন উপস্থিত লোকজন। এ সময় সালাম মিয়াকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পুকুরে বেঁধে রাখা হয়। ভোরের দিকে আবারও তাঁকে পুকুর থেকে টেনেহিঁচড়ে তুলে আবদুল গণি মিয়ার ভাই মো. আবদুল গফুর মিয়ার গোয়ালঘরে নিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সালাম মিয়া।

আবদুল গণি মিয়া বলেন, ‘আমার একটি শ্যালো মেশিন হারিয়েছে কয়েক দিন আগে। সেই থেকে টেনশনে আছি। রাতে গোয়ালঘরে ঢুকে দেখি সালাম মিয়া গরুর দড়ি ধরে আছেন। পরে খবর দিলে প্রতিবেশী ও স্বজনেরা ছুটে আসেন। মারধর তাঁরাই করেছেন।’

আবদুল গণির স্ত্রী দুলালি বেগম আটকের আগে বলেন, ‘সপ্তাহখানেক আগে শ্যালো মেশিন হারাইছে। হামার (আমাদের) দুইটা মানুষের (স্বামী-স্ত্রীর) খাওয়াদাওয়া, ঘুম নাই। রাইতে গোয়ালঘরে শব্দ শুনে স্বামীকে তুলে পাঠাই। পরে মুই বাড়ির আশপাশের লোকজন ও শরিকদের খবর দেই। ওমরাগুলো (ওই লোকগুলো) আসিয়ে কিল-ঘুষি দেয়। যাই (যেই) আসছে তাই একটা করি মাইরছে। লোকটা সকালে ঠান্ডায় কাপতে কাপতে মরি গেইছে।’

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সালাম মিয়া মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর এ অবস্থা। অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন। মাঝেমধ্যে তিনি হাটবাজারে গিয়ে ভিক্ষাও করতেন। তবে তাঁরা এর আগে তাঁর চুরির কথা শুনেননি। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সালাম মিয়ার তিনটি ছোট ছেলে আছে।

হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিদ্রোহ কুমার কুণ্ডু, সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাকিম আজাদ এবং বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ওসি আবদুল হাকিম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুলালি বেগম নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। জড়িত অন্যদেরও শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ যেতে পারবেন না

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

সকালে নাশতা না খাওয়ার পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঐকমত্য কমিশনে যাঁরা আছেন তাঁরা নিজেদের কাজে ফিরে যান: আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী বিভাগের ব্যবসায়ীদের নিয়ে সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী বিভাগের ব্যবসায়ীদের নিয়ে সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঐকমত্য কমিশনে যাঁরা আছেন, তাঁরা আগে যে কাজ করতেন সেই কাজে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগের ব্যবসায়ীদের এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ অনুরোধ জানান।

সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলে আমীর খসরু বলেন, ‘জোর করে, আরেকটি দলের অথবা দুটি দলের বা তিনটি দলের মতামত বাকি দলগুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা একটা রাজনৈতিক দল, তারাও একটি রাজনৈতিক দল। এখানে ঐকমত্যের বাইরে গিয়ে তাদের দাবি আমাদের ওপর চাপাতে চাচ্ছে, জনগণের ওপর চাপাতে চাচ্ছে। অথচ ঐকমত্য কমিশন করার উদ্দেশ্য ছিল, ঐকমত্য যতটুকু হবে, সেটা নিয়ে আমরা জনগণের কাছে যাব।’

খসরু বলেন, ‘ঐকমত্য হয়েছে, সই হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে এখন নতুন নতুন দাবি নিয়ে আসছে। তাদের দাবি মানতে হবে, না মানলে এটা হবে, সেটা হবে...। আবার তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঐকমত্যের কিছু লোকজন। তাদেরও আবার মতামত আছে। রাজনীতিবিদদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে তারা তাদেরটা চাপাতে চাচ্ছে। আবার ঐকমত্য কমিশনেরও একটা নিজস্ব মতামত আছে। ঐকমত্য কমিশনের মতামতের জন্য তো তাদের সেখানে রাখা হয়নি। এখন তাদেরও মতামত আছে এবং ওটা আমাদের মানতে হবে।’

দেশের মানুষকেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনে যাঁরা আছেন, আপনাদের দাবি রাজনীতিবিদদের ওপর চাপাতে চান, জনগণের ওপর চাপাতে চান, তাঁদের প্রতি আমার অনুরোধ-আপনারা যে যেই কাজ করতেন আগে, ওই জায়গায় ফিরে যান। বাংলাদেশের মানুষকে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দেন। আমি অনুরোধ করছি, আপনারা স্ব স্ব কাজে ফিরে যান। বাংলাদেশের মানুষকে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দয়া করে তাদের ওপর ছেড়ে দেন। আপনাদের এই দায়িত্ব কেউ দেয় নাই।’

আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে তাদের সিদ্ধান্ত দেবে। যেসব দল তাদের দাবিদাওয়া চায়, তাদের জনগণের কাছে যেতে হবে তো। জনগণের মতামত নিতে হবে তো। জনগণের ম্যান্ডেট নিতে হবে তো। তার মতামত জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া চলবে না। আর ঐকমত্যে যারা তাদের মতামত বাংলাদেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়, এই দায়িত্ব তাদের কেউ দেয় নাই।’

নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা আমাকে প্রতিনিয়ত বলছেন, ফেব্রুয়ারি নয়; পারলে এখনই নির্বাচন করে আমাদের একটু মুক্ত করেন। আমাদের ব্যবসা ধ্বংস হওয়ার উপক্রম। আমরা কোনো বিনিয়োগ করতে পারছি না। বিদেশিরা কোনো বিনিয়োগ করছে না। সুতরাং এই নির্বাচনকে যারা বিলম্বিত করতে চায় তাদের স্বার্থের জন্য, এখানে ব্যবসায়ীদের সোচ্চার হতে হবে। দ্রুতই নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।’

রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই বিভাগীয় ব্যবসায়ী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বিভাগীয় ব্যবসায়ী ফোরাম এর আয়োজন করে। এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা ও সাবেক সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনুসহ রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ যেতে পারবেন না

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

সকালে নাশতা না খাওয়ার পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ঢুকে গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট, গ্রেপ্তার ৩

খুলনা প্রতিনিধি
টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা নগরীতে বাসা দেখার কথা বলে গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে এক প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে খুলনা সদর থানা-পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আরিফ হাসান রাসেল (২৯), মারিয়া আক্তার মুন্নি (১৯) ও কলি পান্ডে (৪৫)।

পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, নগরীর পূর্ব বানিয়াখামার এলাকায় চয়ন কুমার মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে বাসাভাড়া দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেন। ওই বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরে গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক পুরুষ ও দুই নারী বাসা দেখতে গিয়ে চয়নের স্ত্রী প্রতিমা মণ্ডলকে পিস্তল ঠেকিয়ে জিম্মি করে ফেলেন। পরে তাঁকে বেঁধে রেখে ঘর থেকে ৬২ হাজার টাকা ও প্রায় দুই ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।

ঘটনার পর চয়ন মণ্ডল খুলনা সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে খানজাহান আলী রোডের একটি বাড়ি থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের কাছ থেকে একটি পিস্তলসদৃশ লাইটার, তিনটি মোবাইল ফোনসহ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।

জানতে চাইলে সদর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা লুটের কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ যেতে পারবেন না

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

সকালে নাশতা না খাওয়ার পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোলায় বিএনপি ও বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০

ভোলা প্রতিনিধি
ভোলায় বিএনপি ও বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
ভোলায় বিএনপি ও বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মী, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপি ও বিজেপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ১৪ জনকে ভোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ম. তায়েবুর রহমান।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি কার্যালয়ের সামনে দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর গরুর গাড়ি প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। সেখানে একটি সভার আয়োজন করা হয়।

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহাজনপট্টি এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে একটি সভার আয়োজন করে বিএনপি।

সভা শেষে মিছিল করেন দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। মিছিলটি শহরের বাংলা স্কুল মোড় হয়ে নতুন বাজার এলাকায় বিজেপির কার্যালয়ের সামনে এলে কে বা কারা মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় শুরু হয় বিএনপি ও বিজেপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে ভোলা সদর মডেল থানার এসআই মো. আউয়াল হোসেন, স্থানীয় সাংবাদিক শাহরিয়ার জিলন ও মো. রানাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ সময় বিজেপির কার্যালয়ে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

ভোলায় বিএনপি ও বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
ভোলায় বিএনপি ও বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

সরেজমিনেও বিজেপির কার্যালয়ের সামনে ইটপাটকেল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। উভয় দলের অফিসের সামনে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিকেলে শহরে নৌবাহিনীর কয়েকটি গাড়ি টহল দিতে দেখা গেছে।

বিকেল সাড়ে ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনায় বিএনপি ও বিজেপি নেতা-কর্মীরা একে অপরকে দায়ী করেছেন।

তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপির নেতারা দাবি করেন, তাঁদের নির্ধারিত সভা ও মিছিলে বিজেপির নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন। এতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. রাইসুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সোপান ও এনামুল হক এতে বক্তব্য দেন।

জাতীয় যুব সংহতি ভোলা জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন শাওন বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে লোকজনকে আহত করেছে। তারা জেলা বিজেপি অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করে।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ যেতে পারবেন না

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

সকালে নাশতা না খাওয়ার পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত