নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা উপলক্ষে পুলিশ লাইনস স্কুল দুই দিন বন্ধ রাখার নোটিশ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে নিজেদের দেওয়া নোটিশকেই ‘ফেক’ বলে দাবি করছে সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে সমালোচনা আরও বেড়ে যায়। অনেকে আগের নোটিশ ও পরের নোটিশ দুটো একত্রে করেও ফেসবুকে পোস্ট করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনায় এনসিপির পদযাত্রাকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। আগামী রোববার দুপুরে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পুরোনো কালেক্টরেট মাঠে পথসভা করবে দলটি। এই উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা দিতে তৎপর রয়েছে।
এনসিপির এই পদযাত্রা উপলক্ষে জেলা পুলিশ পরিচালিত শহরের কুড়পাড় এলাকায় পুলিশ লাইনস স্কুল দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই বিদ্যালয়ে এনসিপির কর্মসূচি উপলক্ষে আসা পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করবেন বলে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি নোটিশ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার একপর্যায়ে আজ শুক্রবার সকালে একটি ‘প্রতিবাদলিপি’ দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, আগের নোটিশটি সঠিক নয়। রোব ও সোমবার বিদ্যালয়ে যথারীতি ক্লাস হবে।
এর আগে গতকাল প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, আগামী রোববার এনসিপির পদযাত্রা উপলক্ষে নেত্রকোনায় আসা পুলিশ ফোর্স এই বিদ্যালয়ে অবস্থান করবে। সে জন্য রোব ও সোমবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। আগামী মঙ্গলবার থেকে যথারীতি ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে। ২৭ তারিখের পরীক্ষা ২৯ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে। নোটিশটি যথারীতি বিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়।
এরপর গতকাল দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে নোটিশটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ নেটিজেনরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। অনেকেই লিখেছেন, এভাবে একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশের কারণে বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বন্ধ রাখা উচিত নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এনসিপির সমাবেশ উপলক্ষে বাইরে থেকে বাড়তি পুলিশ আসবে, তাদের পুলিশ লাইনস স্কুলে থাকতে দেওয়া হবে। তাই বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে প্রায় ১০টির মতো বড় শ্রেণিকক্ষ আছে। আশা করি, থাকার সমস্যা হবে না।’ তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়টিতে শিশুশ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে ১৬ জন শিক্ষক পাঠদান করেন।
তবে সমালোচনার মুখে আজ বেলা ১১টার পর নতুন করে একটি ‘প্রতিবাদলিপি’ দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত এই প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, এনসিপির নেত্রকোনায় আগমন উপলক্ষে একটি বিভ্রান্তিমূলক নোটিশ একটি পক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছে। এটি স্কুলের বিরুদ্ধে দূরভিসন্দিমূলক ও বিভ্রান্তিকর একটি ষড়যন্ত্র। প্রকৃতপক্ষে এটি সঠিক নয়। আগামী রোব ও সোমবার যথারীতি বিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে।
এই প্রতিবাদলিপির বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক আজ দুপুর ১২টার দিকে বলেন, আগের নোটিশটি ‘ফেক’ ছিল। আগেরটিতে তাঁর স্বাক্ষর ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। এখানে কীভাবে কী হয়েছে, তিনি বুঝতে পারেননি। কোনো ধরনের চাপের মুখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথাও অস্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও নেত্রকোনা-২ আসন থেকে এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ফাহিম রহমান খান পাঠান বলেন, ‘এটি একটি ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে। আমাদের বিব্রত করার জন্যই কোনো একটা চক্র ইচ্ছেকৃতভাবেই এসব করছে। অন্যান্য জেলার মতো আমরাও শুধু সভা সমাবেশ করার আগে প্রশাসনের কাছে আইনি নিরাপত্তা চেয়েছি। পুলিশ লাইনস স্কুলের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের সঙ্গে আমাদের কারও পরিচয়ও নেই। এনসিপির প্রোগ্রাম উপলক্ষে পুলিশ লাইনস স্কুল বন্ধ করতে পারে না। আর করলে এর দায় একান্তই স্কুল কর্তৃপক্ষের। এনসিপির প্রোগ্রাম উপলক্ষে কেউ কোনো প্রতিষ্ঠান, কাজকর্ম বন্ধ রাখলে তার দায় এনসিপি নেবে না। আপনারা যতভাবেই এ নিয়ে যাচাই–বাছাই করুন, এর সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পৃক্ততা পাবেন না। এটি নিছক একটি ষড়যন্ত্র। তদন্ত করে এটি বের করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সাহেব আলী পাঠান এ বিষয়ে বলেন, ‘পুলিশ লাইনস স্কুলে পুলিশ অবস্থান করবে বলে পরীক্ষা স্থগিত ও বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে—বিষয়টা সঠিক নয়। এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াতে হয়তো বলা হচ্ছে। স্কুল সঠিক নিয়মেই চলবে। আর বাইরে থেকে আসা ৬৬ জন পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনসেই রাখা হবে।’
প্রসঙ্গত, এনসিপির দলীয় সূত্র ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জে এনসিপির পথসভা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপর কক্সবাজারে এনসিপির এক নেতার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে চকরিয়ায় মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়। এর পর থেকে দলটি যেখানে সমাবেশ করছে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আগামী রোববার নেত্রকোনায় দলটির সমাবেশ ঘিরে চার শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে বাইরে থেকে ৬৬ জন পুলিশ সদস্যকে আনা হবে। তাঁদের থাকার জন্যই নেত্রকোনা পুলিশ লাইনস স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ জারি করা হয়েছিল। তবে এখন জানা যাচ্ছে, নোটিশটি ভুয়া!

নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা উপলক্ষে পুলিশ লাইনস স্কুল দুই দিন বন্ধ রাখার নোটিশ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে নিজেদের দেওয়া নোটিশকেই ‘ফেক’ বলে দাবি করছে সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে সমালোচনা আরও বেড়ে যায়। অনেকে আগের নোটিশ ও পরের নোটিশ দুটো একত্রে করেও ফেসবুকে পোস্ট করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনায় এনসিপির পদযাত্রাকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। আগামী রোববার দুপুরে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পুরোনো কালেক্টরেট মাঠে পথসভা করবে দলটি। এই উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা দিতে তৎপর রয়েছে।
এনসিপির এই পদযাত্রা উপলক্ষে জেলা পুলিশ পরিচালিত শহরের কুড়পাড় এলাকায় পুলিশ লাইনস স্কুল দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই বিদ্যালয়ে এনসিপির কর্মসূচি উপলক্ষে আসা পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করবেন বলে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি নোটিশ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার একপর্যায়ে আজ শুক্রবার সকালে একটি ‘প্রতিবাদলিপি’ দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, আগের নোটিশটি সঠিক নয়। রোব ও সোমবার বিদ্যালয়ে যথারীতি ক্লাস হবে।
এর আগে গতকাল প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, আগামী রোববার এনসিপির পদযাত্রা উপলক্ষে নেত্রকোনায় আসা পুলিশ ফোর্স এই বিদ্যালয়ে অবস্থান করবে। সে জন্য রোব ও সোমবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। আগামী মঙ্গলবার থেকে যথারীতি ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে। ২৭ তারিখের পরীক্ষা ২৯ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে। নোটিশটি যথারীতি বিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়।
এরপর গতকাল দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে নোটিশটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ নেটিজেনরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। অনেকেই লিখেছেন, এভাবে একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশের কারণে বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বন্ধ রাখা উচিত নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এনসিপির সমাবেশ উপলক্ষে বাইরে থেকে বাড়তি পুলিশ আসবে, তাদের পুলিশ লাইনস স্কুলে থাকতে দেওয়া হবে। তাই বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে প্রায় ১০টির মতো বড় শ্রেণিকক্ষ আছে। আশা করি, থাকার সমস্যা হবে না।’ তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়টিতে শিশুশ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে ১৬ জন শিক্ষক পাঠদান করেন।
তবে সমালোচনার মুখে আজ বেলা ১১টার পর নতুন করে একটি ‘প্রতিবাদলিপি’ দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত এই প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, এনসিপির নেত্রকোনায় আগমন উপলক্ষে একটি বিভ্রান্তিমূলক নোটিশ একটি পক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছে। এটি স্কুলের বিরুদ্ধে দূরভিসন্দিমূলক ও বিভ্রান্তিকর একটি ষড়যন্ত্র। প্রকৃতপক্ষে এটি সঠিক নয়। আগামী রোব ও সোমবার যথারীতি বিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে।
এই প্রতিবাদলিপির বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক আজ দুপুর ১২টার দিকে বলেন, আগের নোটিশটি ‘ফেক’ ছিল। আগেরটিতে তাঁর স্বাক্ষর ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। এখানে কীভাবে কী হয়েছে, তিনি বুঝতে পারেননি। কোনো ধরনের চাপের মুখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথাও অস্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও নেত্রকোনা-২ আসন থেকে এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ফাহিম রহমান খান পাঠান বলেন, ‘এটি একটি ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে। আমাদের বিব্রত করার জন্যই কোনো একটা চক্র ইচ্ছেকৃতভাবেই এসব করছে। অন্যান্য জেলার মতো আমরাও শুধু সভা সমাবেশ করার আগে প্রশাসনের কাছে আইনি নিরাপত্তা চেয়েছি। পুলিশ লাইনস স্কুলের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের সঙ্গে আমাদের কারও পরিচয়ও নেই। এনসিপির প্রোগ্রাম উপলক্ষে পুলিশ লাইনস স্কুল বন্ধ করতে পারে না। আর করলে এর দায় একান্তই স্কুল কর্তৃপক্ষের। এনসিপির প্রোগ্রাম উপলক্ষে কেউ কোনো প্রতিষ্ঠান, কাজকর্ম বন্ধ রাখলে তার দায় এনসিপি নেবে না। আপনারা যতভাবেই এ নিয়ে যাচাই–বাছাই করুন, এর সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পৃক্ততা পাবেন না। এটি নিছক একটি ষড়যন্ত্র। তদন্ত করে এটি বের করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সাহেব আলী পাঠান এ বিষয়ে বলেন, ‘পুলিশ লাইনস স্কুলে পুলিশ অবস্থান করবে বলে পরীক্ষা স্থগিত ও বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে—বিষয়টা সঠিক নয়। এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াতে হয়তো বলা হচ্ছে। স্কুল সঠিক নিয়মেই চলবে। আর বাইরে থেকে আসা ৬৬ জন পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনসেই রাখা হবে।’
প্রসঙ্গত, এনসিপির দলীয় সূত্র ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জে এনসিপির পথসভা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপর কক্সবাজারে এনসিপির এক নেতার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে চকরিয়ায় মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়। এর পর থেকে দলটি যেখানে সমাবেশ করছে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আগামী রোববার নেত্রকোনায় দলটির সমাবেশ ঘিরে চার শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে বাইরে থেকে ৬৬ জন পুলিশ সদস্যকে আনা হবে। তাঁদের থাকার জন্যই নেত্রকোনা পুলিশ লাইনস স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ জারি করা হয়েছিল। তবে এখন জানা যাচ্ছে, নোটিশটি ভুয়া!
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা উপলক্ষে পুলিশ লাইনস স্কুল দুই দিন বন্ধ রাখার নোটিশ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে নিজেদের দেওয়া নোটিশকেই ‘ফেক’ বলে দাবি করছে সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে সমালোচনা আরও বেড়ে যায়। অনেকে আগের নোটিশ ও পরের নোটিশ দুটো একত্রে করেও ফেসবুকে পোস্ট করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনায় এনসিপির পদযাত্রাকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। আগামী রোববার দুপুরে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পুরোনো কালেক্টরেট মাঠে পথসভা করবে দলটি। এই উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা দিতে তৎপর রয়েছে।
এনসিপির এই পদযাত্রা উপলক্ষে জেলা পুলিশ পরিচালিত শহরের কুড়পাড় এলাকায় পুলিশ লাইনস স্কুল দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই বিদ্যালয়ে এনসিপির কর্মসূচি উপলক্ষে আসা পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করবেন বলে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি নোটিশ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার একপর্যায়ে আজ শুক্রবার সকালে একটি ‘প্রতিবাদলিপি’ দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, আগের নোটিশটি সঠিক নয়। রোব ও সোমবার বিদ্যালয়ে যথারীতি ক্লাস হবে।
এর আগে গতকাল প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, আগামী রোববার এনসিপির পদযাত্রা উপলক্ষে নেত্রকোনায় আসা পুলিশ ফোর্স এই বিদ্যালয়ে অবস্থান করবে। সে জন্য রোব ও সোমবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। আগামী মঙ্গলবার থেকে যথারীতি ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে। ২৭ তারিখের পরীক্ষা ২৯ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে। নোটিশটি যথারীতি বিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়।
এরপর গতকাল দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে নোটিশটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ নেটিজেনরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। অনেকেই লিখেছেন, এভাবে একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশের কারণে বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বন্ধ রাখা উচিত নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এনসিপির সমাবেশ উপলক্ষে বাইরে থেকে বাড়তি পুলিশ আসবে, তাদের পুলিশ লাইনস স্কুলে থাকতে দেওয়া হবে। তাই বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে প্রায় ১০টির মতো বড় শ্রেণিকক্ষ আছে। আশা করি, থাকার সমস্যা হবে না।’ তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়টিতে শিশুশ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে ১৬ জন শিক্ষক পাঠদান করেন।
তবে সমালোচনার মুখে আজ বেলা ১১টার পর নতুন করে একটি ‘প্রতিবাদলিপি’ দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত এই প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, এনসিপির নেত্রকোনায় আগমন উপলক্ষে একটি বিভ্রান্তিমূলক নোটিশ একটি পক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছে। এটি স্কুলের বিরুদ্ধে দূরভিসন্দিমূলক ও বিভ্রান্তিকর একটি ষড়যন্ত্র। প্রকৃতপক্ষে এটি সঠিক নয়। আগামী রোব ও সোমবার যথারীতি বিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে।
এই প্রতিবাদলিপির বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক আজ দুপুর ১২টার দিকে বলেন, আগের নোটিশটি ‘ফেক’ ছিল। আগেরটিতে তাঁর স্বাক্ষর ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। এখানে কীভাবে কী হয়েছে, তিনি বুঝতে পারেননি। কোনো ধরনের চাপের মুখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথাও অস্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও নেত্রকোনা-২ আসন থেকে এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ফাহিম রহমান খান পাঠান বলেন, ‘এটি একটি ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে। আমাদের বিব্রত করার জন্যই কোনো একটা চক্র ইচ্ছেকৃতভাবেই এসব করছে। অন্যান্য জেলার মতো আমরাও শুধু সভা সমাবেশ করার আগে প্রশাসনের কাছে আইনি নিরাপত্তা চেয়েছি। পুলিশ লাইনস স্কুলের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের সঙ্গে আমাদের কারও পরিচয়ও নেই। এনসিপির প্রোগ্রাম উপলক্ষে পুলিশ লাইনস স্কুল বন্ধ করতে পারে না। আর করলে এর দায় একান্তই স্কুল কর্তৃপক্ষের। এনসিপির প্রোগ্রাম উপলক্ষে কেউ কোনো প্রতিষ্ঠান, কাজকর্ম বন্ধ রাখলে তার দায় এনসিপি নেবে না। আপনারা যতভাবেই এ নিয়ে যাচাই–বাছাই করুন, এর সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পৃক্ততা পাবেন না। এটি নিছক একটি ষড়যন্ত্র। তদন্ত করে এটি বের করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সাহেব আলী পাঠান এ বিষয়ে বলেন, ‘পুলিশ লাইনস স্কুলে পুলিশ অবস্থান করবে বলে পরীক্ষা স্থগিত ও বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে—বিষয়টা সঠিক নয়। এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াতে হয়তো বলা হচ্ছে। স্কুল সঠিক নিয়মেই চলবে। আর বাইরে থেকে আসা ৬৬ জন পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনসেই রাখা হবে।’
প্রসঙ্গত, এনসিপির দলীয় সূত্র ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জে এনসিপির পথসভা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপর কক্সবাজারে এনসিপির এক নেতার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে চকরিয়ায় মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়। এর পর থেকে দলটি যেখানে সমাবেশ করছে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আগামী রোববার নেত্রকোনায় দলটির সমাবেশ ঘিরে চার শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে বাইরে থেকে ৬৬ জন পুলিশ সদস্যকে আনা হবে। তাঁদের থাকার জন্যই নেত্রকোনা পুলিশ লাইনস স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ জারি করা হয়েছিল। তবে এখন জানা যাচ্ছে, নোটিশটি ভুয়া!

নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা উপলক্ষে পুলিশ লাইনস স্কুল দুই দিন বন্ধ রাখার নোটিশ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে নিজেদের দেওয়া নোটিশকেই ‘ফেক’ বলে দাবি করছে সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে সমালোচনা আরও বেড়ে যায়। অনেকে আগের নোটিশ ও পরের নোটিশ দুটো একত্রে করেও ফেসবুকে পোস্ট করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনায় এনসিপির পদযাত্রাকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। আগামী রোববার দুপুরে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পুরোনো কালেক্টরেট মাঠে পথসভা করবে দলটি। এই উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা দিতে তৎপর রয়েছে।
এনসিপির এই পদযাত্রা উপলক্ষে জেলা পুলিশ পরিচালিত শহরের কুড়পাড় এলাকায় পুলিশ লাইনস স্কুল দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই বিদ্যালয়ে এনসিপির কর্মসূচি উপলক্ষে আসা পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করবেন বলে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি নোটিশ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার একপর্যায়ে আজ শুক্রবার সকালে একটি ‘প্রতিবাদলিপি’ দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, আগের নোটিশটি সঠিক নয়। রোব ও সোমবার বিদ্যালয়ে যথারীতি ক্লাস হবে।
এর আগে গতকাল প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, আগামী রোববার এনসিপির পদযাত্রা উপলক্ষে নেত্রকোনায় আসা পুলিশ ফোর্স এই বিদ্যালয়ে অবস্থান করবে। সে জন্য রোব ও সোমবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। আগামী মঙ্গলবার থেকে যথারীতি ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে। ২৭ তারিখের পরীক্ষা ২৯ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে। নোটিশটি যথারীতি বিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়।
এরপর গতকাল দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে নোটিশটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ নেটিজেনরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। অনেকেই লিখেছেন, এভাবে একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশের কারণে বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বন্ধ রাখা উচিত নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এনসিপির সমাবেশ উপলক্ষে বাইরে থেকে বাড়তি পুলিশ আসবে, তাদের পুলিশ লাইনস স্কুলে থাকতে দেওয়া হবে। তাই বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে প্রায় ১০টির মতো বড় শ্রেণিকক্ষ আছে। আশা করি, থাকার সমস্যা হবে না।’ তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়টিতে শিশুশ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে ১৬ জন শিক্ষক পাঠদান করেন।
তবে সমালোচনার মুখে আজ বেলা ১১টার পর নতুন করে একটি ‘প্রতিবাদলিপি’ দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত এই প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, এনসিপির নেত্রকোনায় আগমন উপলক্ষে একটি বিভ্রান্তিমূলক নোটিশ একটি পক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছে। এটি স্কুলের বিরুদ্ধে দূরভিসন্দিমূলক ও বিভ্রান্তিকর একটি ষড়যন্ত্র। প্রকৃতপক্ষে এটি সঠিক নয়। আগামী রোব ও সোমবার যথারীতি বিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে।
এই প্রতিবাদলিপির বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক আজ দুপুর ১২টার দিকে বলেন, আগের নোটিশটি ‘ফেক’ ছিল। আগেরটিতে তাঁর স্বাক্ষর ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। এখানে কীভাবে কী হয়েছে, তিনি বুঝতে পারেননি। কোনো ধরনের চাপের মুখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথাও অস্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও নেত্রকোনা-২ আসন থেকে এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ফাহিম রহমান খান পাঠান বলেন, ‘এটি একটি ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে। আমাদের বিব্রত করার জন্যই কোনো একটা চক্র ইচ্ছেকৃতভাবেই এসব করছে। অন্যান্য জেলার মতো আমরাও শুধু সভা সমাবেশ করার আগে প্রশাসনের কাছে আইনি নিরাপত্তা চেয়েছি। পুলিশ লাইনস স্কুলের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের সঙ্গে আমাদের কারও পরিচয়ও নেই। এনসিপির প্রোগ্রাম উপলক্ষে পুলিশ লাইনস স্কুল বন্ধ করতে পারে না। আর করলে এর দায় একান্তই স্কুল কর্তৃপক্ষের। এনসিপির প্রোগ্রাম উপলক্ষে কেউ কোনো প্রতিষ্ঠান, কাজকর্ম বন্ধ রাখলে তার দায় এনসিপি নেবে না। আপনারা যতভাবেই এ নিয়ে যাচাই–বাছাই করুন, এর সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পৃক্ততা পাবেন না। এটি নিছক একটি ষড়যন্ত্র। তদন্ত করে এটি বের করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সাহেব আলী পাঠান এ বিষয়ে বলেন, ‘পুলিশ লাইনস স্কুলে পুলিশ অবস্থান করবে বলে পরীক্ষা স্থগিত ও বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে—বিষয়টা সঠিক নয়। এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াতে হয়তো বলা হচ্ছে। স্কুল সঠিক নিয়মেই চলবে। আর বাইরে থেকে আসা ৬৬ জন পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনসেই রাখা হবে।’
প্রসঙ্গত, এনসিপির দলীয় সূত্র ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জে এনসিপির পথসভা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপর কক্সবাজারে এনসিপির এক নেতার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে চকরিয়ায় মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়। এর পর থেকে দলটি যেখানে সমাবেশ করছে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আগামী রোববার নেত্রকোনায় দলটির সমাবেশ ঘিরে চার শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে বাইরে থেকে ৬৬ জন পুলিশ সদস্যকে আনা হবে। তাঁদের থাকার জন্যই নেত্রকোনা পুলিশ লাইনস স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ জারি করা হয়েছিল। তবে এখন জানা যাচ্ছে, নোটিশটি ভুয়া!

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এক যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০ মিনিট আগে
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার নিরপেক্ষতার কথা বলছে; কিন্তু কিছু উপদেষ্টা স্পষ্ট পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন, এটা আমরা বুঝতে পারছি। সামনে আমাদের একটা বড় সুযোগ আসতে পারে। ক্ষমতায় যাওয়ার সে সুযোগটা যেন আমরা নষ্ট না করি।’
২৭ মিনিট আগে
একপর্যায়ে হামলাকারীদের মধ্য থেকে তারিফ নামের একজন এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোকে কই গুলি করব—মাথায়, না বুকে।’ পরে অস্ত্রধারীরা সোহেল ও তাঁর বন্ধুদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
৪৪ মিনিট আগে
নেত্রকোনায় বাইপাস সড়কে মশাল মিছিল থেকে ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার বাইপাস সড়কের চল্লিশা-দুধকুড়া অংশ থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এক যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদুল হাসান আজ শনিবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি এবং খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ এখনো অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন ওসি।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি থেকে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। ওই সময়কার ভিডিও ফুটেজে আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি চায়নিজ কুড়াল, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকজনকে দেখা গেছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে ঝুনু সমর্থিত উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ ১৫টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ। এ ছাড়া আশপাশের অন্তত ১০টি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্ততপক্ষে অর্ধশত কর্মী-সমর্থকেরা আহত হন।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখা আগ্নেয়াস্ত্রটি বের করার চেষ্টা করেন। তখন আরেকজন তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্রটি বের না করতে বলছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ওই যুবক হলেন খন্দকার নাসিরুল ইসলাম সমর্থক শাহ মো. জাকারিয়া কাজী (২৫)। তিনি গুনবহা ইউনিয়নের উমরনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা জিয়া প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক। এদিকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তাঁর আরও একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় সাবেক সংসদ সদস্য ও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ভিডিওটি আমার সমর্থকদের রামদা কেড়ে নেওয়ার একটি দৃশ্য, আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না।’ পরে আবার তিনি বলেন, ‘আর যদি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থেকেই থাকে পুলিশ সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এক যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদুল হাসান আজ শনিবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি এবং খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ এখনো অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন ওসি।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি থেকে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। ওই সময়কার ভিডিও ফুটেজে আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি চায়নিজ কুড়াল, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকজনকে দেখা গেছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে ঝুনু সমর্থিত উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ ১৫টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ। এ ছাড়া আশপাশের অন্তত ১০টি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্ততপক্ষে অর্ধশত কর্মী-সমর্থকেরা আহত হন।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখা আগ্নেয়াস্ত্রটি বের করার চেষ্টা করেন। তখন আরেকজন তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্রটি বের না করতে বলছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ওই যুবক হলেন খন্দকার নাসিরুল ইসলাম সমর্থক শাহ মো. জাকারিয়া কাজী (২৫)। তিনি গুনবহা ইউনিয়নের উমরনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা জিয়া প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক। এদিকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তাঁর আরও একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় সাবেক সংসদ সদস্য ও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ভিডিওটি আমার সমর্থকদের রামদা কেড়ে নেওয়ার একটি দৃশ্য, আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না।’ পরে আবার তিনি বলেন, ‘আর যদি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থেকেই থাকে পুলিশ সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’

নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা উপলক্ষে পুলিশ লাইনস স্কুল দুই দিন বন্ধ রাখার নোটিশ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে নিজেদের দেওয়া নোটিশকেই ‘ফেক’ বলে দাবি করছে সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে সমালোচনা আরও বেড়ে যায়।
২৫ জুলাই ২০২৫
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার নিরপেক্ষতার কথা বলছে; কিন্তু কিছু উপদেষ্টা স্পষ্ট পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন, এটা আমরা বুঝতে পারছি। সামনে আমাদের একটা বড় সুযোগ আসতে পারে। ক্ষমতায় যাওয়ার সে সুযোগটা যেন আমরা নষ্ট না করি।’
২৭ মিনিট আগে
একপর্যায়ে হামলাকারীদের মধ্য থেকে তারিফ নামের একজন এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোকে কই গুলি করব—মাথায়, না বুকে।’ পরে অস্ত্রধারীরা সোহেল ও তাঁর বন্ধুদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
৪৪ মিনিট আগে
নেত্রকোনায় বাইপাস সড়কে মশাল মিছিল থেকে ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার বাইপাস সড়কের চল্লিশা-দুধকুড়া অংশ থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার নিরপেক্ষতার কথা বলছে; কিন্তু কিছু উপদেষ্টা স্পষ্ট পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন, এটা আমরা বুঝতে পারছি। সামনে আমাদের একটা বড় সুযোগ আসতে পারে। ক্ষমতায় যাওয়ার সে সুযোগটা যেন আমরা নষ্ট না করি।’
আজ শনিবার দুপুরে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর বিএনপির পরিচিতি সভায় ভিডিও কলে সংযুক্ত হয়ে বাবর এসব কথা বলেন। শহরের অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাবর বলেন, ‘এখনো কালো মেঘের ছায়া কিন্তু যায়নি, কালো মেঘ খুব ভালোভাবে রয়ে গেছে। অনেক ষড়যন্ত্র রয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার প্রথম মামলার রায় হবে। আওয়ামী লীগ এবং পাশের এক পরাশক্তির রাষ্ট্র সাংঘাতিকভাবে লেগে আছে, যেন রায় অথবা নির্বাচন বানচাল করা যায়। এর সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক দলও জড়িত রয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় যাব—এটা নিশ্চিতভাবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। তবে আশা তো রাখতেই হবে। তাই সবাইকে দায়িত্বশীল ও শিষ্টাচার আচরণ করতে হবে। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো সুযোগ নেই। কেউ শৃঙ্খলাভঙ্গ করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না, এমনকি আমি করলেও না। সবারই রুজি দরকার, কিন্তু এর মানে এই নয় যে, যা খুশি তা করব। সেটা অবশ্যই হালাল পথে, ন্যায্যতার ভিত্তিতে হতে হবে।’
নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বাবর বলেন, ‘সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। ঐক্য ছাড়া কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়। তাই সবাইকে সংগঠনের প্রতি অনুগত থেকে ধৈর্য ও সংযমের পরিচয় দিতে হবে। আমরা চাই যেকোনোভাবে বিশৃঙ্খল এ সময়টা পার করে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে। সামনে অনেক বাধা-বিপত্তি আসবে। অনেক কিছু আপনারা দেখতে বা বুঝতে পারেন না; কিন্তু আমরা প্রতিনিয়ত তা মোকাবিলা করছি। সব কথা বলা যায় না, তবে জানিয়ে রাখছি, চ্যালেঞ্জ বড়।’
তরুণদের প্রতি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সময়টা তথ্যপ্রযুক্তির। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবাইকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। না হলে এ কঠিন প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকা সম্ভব নয়। সবাইকে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে এবং নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে যেতে হবে।’
সভায় মোহনগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম কার্নায়েন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম এরশাদুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী পুতুলসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার নিরপেক্ষতার কথা বলছে; কিন্তু কিছু উপদেষ্টা স্পষ্ট পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন, এটা আমরা বুঝতে পারছি। সামনে আমাদের একটা বড় সুযোগ আসতে পারে। ক্ষমতায় যাওয়ার সে সুযোগটা যেন আমরা নষ্ট না করি।’
আজ শনিবার দুপুরে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর বিএনপির পরিচিতি সভায় ভিডিও কলে সংযুক্ত হয়ে বাবর এসব কথা বলেন। শহরের অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাবর বলেন, ‘এখনো কালো মেঘের ছায়া কিন্তু যায়নি, কালো মেঘ খুব ভালোভাবে রয়ে গেছে। অনেক ষড়যন্ত্র রয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার প্রথম মামলার রায় হবে। আওয়ামী লীগ এবং পাশের এক পরাশক্তির রাষ্ট্র সাংঘাতিকভাবে লেগে আছে, যেন রায় অথবা নির্বাচন বানচাল করা যায়। এর সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক দলও জড়িত রয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় যাব—এটা নিশ্চিতভাবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। তবে আশা তো রাখতেই হবে। তাই সবাইকে দায়িত্বশীল ও শিষ্টাচার আচরণ করতে হবে। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো সুযোগ নেই। কেউ শৃঙ্খলাভঙ্গ করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না, এমনকি আমি করলেও না। সবারই রুজি দরকার, কিন্তু এর মানে এই নয় যে, যা খুশি তা করব। সেটা অবশ্যই হালাল পথে, ন্যায্যতার ভিত্তিতে হতে হবে।’
নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বাবর বলেন, ‘সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। ঐক্য ছাড়া কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়। তাই সবাইকে সংগঠনের প্রতি অনুগত থেকে ধৈর্য ও সংযমের পরিচয় দিতে হবে। আমরা চাই যেকোনোভাবে বিশৃঙ্খল এ সময়টা পার করে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে। সামনে অনেক বাধা-বিপত্তি আসবে। অনেক কিছু আপনারা দেখতে বা বুঝতে পারেন না; কিন্তু আমরা প্রতিনিয়ত তা মোকাবিলা করছি। সব কথা বলা যায় না, তবে জানিয়ে রাখছি, চ্যালেঞ্জ বড়।’
তরুণদের প্রতি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সময়টা তথ্যপ্রযুক্তির। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবাইকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। না হলে এ কঠিন প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকা সম্ভব নয়। সবাইকে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে এবং নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে যেতে হবে।’
সভায় মোহনগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম কার্নায়েন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম এরশাদুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী পুতুলসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা উপলক্ষে পুলিশ লাইনস স্কুল দুই দিন বন্ধ রাখার নোটিশ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে নিজেদের দেওয়া নোটিশকেই ‘ফেক’ বলে দাবি করছে সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে সমালোচনা আরও বেড়ে যায়।
২৫ জুলাই ২০২৫
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এক যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০ মিনিট আগে
একপর্যায়ে হামলাকারীদের মধ্য থেকে তারিফ নামের একজন এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোকে কই গুলি করব—মাথায়, না বুকে।’ পরে অস্ত্রধারীরা সোহেল ও তাঁর বন্ধুদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
৪৪ মিনিট আগে
নেত্রকোনায় বাইপাস সড়কে মশাল মিছিল থেকে ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার বাইপাস সড়কের চল্লিশা-দুধকুড়া অংশ থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মো. সোহেল সরকার ও তাঁর বন্ধুদের ওপর সশস্ত্র হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল সোহেল, তাঁর সঙ্গে থাকা এনামুল হক ও আল আমীন নামের আরও দুজনকে রড, লোহার পাইপ, হেমার দিয়ে আঘাত করে।
একপর্যায়ে হামলাকারীদের মধ্য থেকে তারিফ নামের একজন এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোকে কই গুলি করব—মাথায়, না বুকে।’ পরে অস্ত্রধারীরা সোহেল ও তাঁর বন্ধুদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার রাতে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমী বাজারের পাশে কোষাদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সোহেল সরকার এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক গ্রামের মো. রাসেল সরকার (৩৫), এনামুল হক (৩৫) ও আল আমীন (৩২। রাতেই তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন একই গ্রামের মোসলেম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে মো. রাসেল শেখ (২৬), তারিফ (২৫) ও জাহিদ (২৪)। তাঁদের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ছিলেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদল নেতা সোহেল সরকার তাঁর বন্ধু এনামুল ও আল আমীনকে নিয়ে অসুস্থ শাশুড়িকে দেখার জন্য অটোরিকশায় করে যাচ্ছিলেন। অভিযুক্তরা কোষাদিয় এলাকায় পিস্তলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অটোরিকশা গতিরোধ করেন। এ সময় ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল তিনজনের তাঁদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করেন। অভিযুক্ত তারিফ একপর্যায়ে এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোর কই গুলি করব—বুকে, না মাথায়।’
সোহেল সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘অভিযুক্ত রাসেল পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই, অস্ত্র, মাদকসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি। আমরা এলাকায় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করি। সে জন্য রাসেল তার দলবল নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলা নেওয়া হবে। আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। অভিযুক্ত রাসেল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ।’

গাজীপুরের শ্রীপুরে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মো. সোহেল সরকার ও তাঁর বন্ধুদের ওপর সশস্ত্র হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল সোহেল, তাঁর সঙ্গে থাকা এনামুল হক ও আল আমীন নামের আরও দুজনকে রড, লোহার পাইপ, হেমার দিয়ে আঘাত করে।
একপর্যায়ে হামলাকারীদের মধ্য থেকে তারিফ নামের একজন এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোকে কই গুলি করব—মাথায়, না বুকে।’ পরে অস্ত্রধারীরা সোহেল ও তাঁর বন্ধুদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার রাতে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমী বাজারের পাশে কোষাদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সোহেল সরকার এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক গ্রামের মো. রাসেল সরকার (৩৫), এনামুল হক (৩৫) ও আল আমীন (৩২। রাতেই তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন একই গ্রামের মোসলেম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে মো. রাসেল শেখ (২৬), তারিফ (২৫) ও জাহিদ (২৪)। তাঁদের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ছিলেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদল নেতা সোহেল সরকার তাঁর বন্ধু এনামুল ও আল আমীনকে নিয়ে অসুস্থ শাশুড়িকে দেখার জন্য অটোরিকশায় করে যাচ্ছিলেন। অভিযুক্তরা কোষাদিয় এলাকায় পিস্তলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অটোরিকশা গতিরোধ করেন। এ সময় ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল তিনজনের তাঁদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করেন। অভিযুক্ত তারিফ একপর্যায়ে এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোর কই গুলি করব—বুকে, না মাথায়।’
সোহেল সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘অভিযুক্ত রাসেল পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই, অস্ত্র, মাদকসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি। আমরা এলাকায় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করি। সে জন্য রাসেল তার দলবল নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলা নেওয়া হবে। আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। অভিযুক্ত রাসেল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ।’

নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা উপলক্ষে পুলিশ লাইনস স্কুল দুই দিন বন্ধ রাখার নোটিশ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে নিজেদের দেওয়া নোটিশকেই ‘ফেক’ বলে দাবি করছে সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে সমালোচনা আরও বেড়ে যায়।
২৫ জুলাই ২০২৫
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এক যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০ মিনিট আগে
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার নিরপেক্ষতার কথা বলছে; কিন্তু কিছু উপদেষ্টা স্পষ্ট পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন, এটা আমরা বুঝতে পারছি। সামনে আমাদের একটা বড় সুযোগ আসতে পারে। ক্ষমতায় যাওয়ার সে সুযোগটা যেন আমরা নষ্ট না করি।’
২৭ মিনিট আগে
নেত্রকোনায় বাইপাস সড়কে মশাল মিছিল থেকে ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার বাইপাস সড়কের চল্লিশা-দুধকুড়া অংশ থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনায় বাইপাস সড়কে মশাল মিছিল থেকে ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার বাইপাস সড়কের চল্লিশা-দুধকুড়া অংশ থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন আলম মিয়া, মো. আরিফ মিয়া, ইব্রাহিম খলিল, জোনায়েদ হাসান রাফি, শাহাদাত রহমান সিয়াম, সাকিবুল ইসলাম ও রিয়াদ মিয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। আটক সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি শাহনেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাইবাস সড়কে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মশাল মিছিল করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। তখন ঘটনাস্থল থেকে ওই সাতজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নেত্রকোনায় বাইপাস সড়কে মশাল মিছিল থেকে ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার বাইপাস সড়কের চল্লিশা-দুধকুড়া অংশ থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন আলম মিয়া, মো. আরিফ মিয়া, ইব্রাহিম খলিল, জোনায়েদ হাসান রাফি, শাহাদাত রহমান সিয়াম, সাকিবুল ইসলাম ও রিয়াদ মিয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। আটক সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি শাহনেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাইবাস সড়কে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মশাল মিছিল করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। তখন ঘটনাস্থল থেকে ওই সাতজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা উপলক্ষে পুলিশ লাইনস স্কুল দুই দিন বন্ধ রাখার নোটিশ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে নিজেদের দেওয়া নোটিশকেই ‘ফেক’ বলে দাবি করছে সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে সমালোচনা আরও বেড়ে যায়।
২৫ জুলাই ২০২৫
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এক যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০ মিনিট আগে
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার নিরপেক্ষতার কথা বলছে; কিন্তু কিছু উপদেষ্টা স্পষ্ট পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন, এটা আমরা বুঝতে পারছি। সামনে আমাদের একটা বড় সুযোগ আসতে পারে। ক্ষমতায় যাওয়ার সে সুযোগটা যেন আমরা নষ্ট না করি।’
২৭ মিনিট আগে
একপর্যায়ে হামলাকারীদের মধ্য থেকে তারিফ নামের একজন এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোকে কই গুলি করব—মাথায়, না বুকে।’ পরে অস্ত্রধারীরা সোহেল ও তাঁর বন্ধুদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
৪৪ মিনিট আগে