Ajker Patrika

শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় স্কুল পরিচালক গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ জুন ২০২৩, ২০: ১৩
শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় স্কুল পরিচালক গ্রেপ্তার

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় স্কুল পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। 

আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ র‍্যাব-১৪-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপারেশন ও মিডিয়া) মো. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে গতকাল শনিবার রাত ২টার দিকে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

আবুল কালাম আজাদ নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে। 

মামলা ও গ্রেপ্তার আবুল কালামকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, পূর্বধলার ফাজিলপুর বাজারে অবস্থিত রাবিয়া মাহমুদ মডেল স্কুলের পরিচালক আবুল কালাম দ্বিতীয়, তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির তিন শিশু শিক্ষার্থীকে দীর্ঘদিন ধরে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টা করছিলেন। এক শিক্ষার্থীকে স্কুল ছুটির পর কৌশলে ডেকে নিয়ে স্কুলের বাথরুমে ও তাঁর কক্ষে যৌন নির্যাতন করতেন। এতে ওই শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে চাইত না। স্কুলে যাওয়ার কথা বললে কান্নাকাটি শুরু করে। 

বিষয়টি এক শিক্ষার্থী গত সোমবার তার পরিবারকে জানায়। পরে ওই শিক্ষার্থীর নানা বাদী হয়ে আবুল কালামের বিরুদ্ধে পূর্বধলায় থানায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি। আরও দুই শিক্ষার্থীকে আবুল কালাম যৌন হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। 

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত আবুল কালামকে আগামীকাল সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএফআরআইতে মাছের খাদ্য প্রস্তুত ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সক্ষমতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ উদ্বোধন

বাকৃবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ৩৭
বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র আজ সকাল সাড়ে ৮টায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র আজ সকাল সাড়ে ৮টায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) উদ্যোগে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) সম্মেলনকক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে। ‘প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সিবিও সদস্যদের সক্ষমতা উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মশালাটি আজ মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়।

বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফএওর জাতীয় সক্ষমতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ কিংকর চন্দ্র সাহা, বিএফআরআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কেন্দ্রপ্রধান (ফ্রেশ ওয়াটার স্টেশন) ড. মো. হারুনুর রশিদ এবং প্রশিক্ষণ শাখার প্রধান ড. মো. শরীফুল ইসলাম।

প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি আয়োজিত হয়েছে বাংলাদেশে কমিউনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীল মৎস্য ও অ্যাকুয়াকালচার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়, যা যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে মৎস্য অধিদপ্তর (ডিওএফ), বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। প্রকল্পটি অর্থায়ন করছে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।

প্রশিক্ষণে বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠনের (CBOs) ২১ জন সদস্য অংশগ্রহণ করছেন। প্রশিক্ষণ চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।

প্রশিক্ষণার্থীরা মাছের খাবার তৈরি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহৃত মেশিনের কার্যকর পরিচালনা, ত্রুটি শনাক্তকরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করে টেকসই মাছের খাদ্য প্রণয়ন সম্পর্কেও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), মৎস্য অধিদপ্তর এবং বেসরকারি মাছের খাদ্য শিল্পের বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণে তাত্ত্বিক সেশন ও ব্যবহারিক প্রদর্শন পরিচালনা করবেন।

আয়োজকেরা জানান, এই উদ্যোগ অংশগ্রহণকারীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্যোক্তা সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এর ফলে তাঁরা নিজ নিজ এলাকায় কার্যকরভাবে ফিড মেশিন পরিচালনা করতে পারবেন এবং জলবায়ু সহনশীল, টেকসই মৎস্য চাষ সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখতে পারবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মৌসুমি রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে ব্রাহ্মণপাড়ায়, ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার জটিলতায় রোগীর ভিড়

মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) 
চিকিৎসা নেওয়ার অপেক্ষায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
চিকিৎসা নেওয়ার অপেক্ষায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মৌসুমি রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। উপজেলাজুড়ে শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষ জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, পেটব্যথা, শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে রোগীর চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ।

এই সময়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বিদ্যমান থাকায় চিকিৎসা বিভ্রান্তি ও জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনেকের উপসর্গ এক রকম হওয়ায় সঠিক ডায়াগনসিস না হলে রোগ নির্ণয়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকেই রোগী ও স্বজনদের উপচে পড়া ভিড়। অধিকাংশ রোগী জ্বর, সর্দি-কাশি, শরীর ব্যথা, গিঁটে ব্যথা, পেটব্যথা ও ডায়রিয়ায় ভুগছে। কেউ কেউ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলেও কারও কারও সেরে উঠতে সময় লাগছে বেশি। চিকিৎসকদের মতে, এসব রোগীর ইমিউন সিস্টেম দুর্বল থাকায় সুস্থ হতে দেরি হচ্ছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সময়ে মৌসুমি জ্বরের পাশাপাশি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রভাব দেখা দিচ্ছে। এ জন্য রোগীদের সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। এতে অল্প সময়ে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা কামাল হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসছে। ফার্মেসি থেকে ওষুধ খেয়েও কাজ হয়নি, তাই হাসপাতালে এসেছি।’

এক রোগীর মা শিরিনা বেগম জানান, তাঁর সাড়ে চার বছরের মেয়ে খাদিজা এক সপ্তাহ ধরে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে ভুগছে। স্থানীয় পল্লিচিকিৎসকের ওষুধে কাজ না হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।

লিপি আক্তার নামের এক রোগী বলেন, ‘দুই দিন ধরে জ্বর, মাথাব্যথা আর ডায়রিয়ায় ভুগছি। আজ খুব দুর্বল লাগছে। ডাক্তার ওষুধ লিখে দিয়ে বলেছেন, নিয়ম মেনে খেলেই সুস্থ হয়ে যাব।’

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শেখ হাসিবুর রেজা বলেন, ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে মৌসুমি রোগের প্রকোপ স্বাভাবিকভাবে বাড়ে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। জ্বর, কাশি, সর্দি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া এখন বেশি দেখা যাচ্ছে। যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল, তারা দ্রুত আক্রান্ত হচ্ছে।

শেখ হাসিবুর রেজা আরও বলেন, ‘এই সময়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রভাবও রয়েছে। তাই অসুস্থ হলে দেরি না করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অথবা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। আমরা হাসপাতালে আসা রোগীদের পরামর্শ দিচ্ছি এবং বিনা মূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নালিতাবাড়ীতে কম মুনাফায় ওষুধ বিক্রি করায় ফার্মেসিকে জরিমানা ও দোকান বন্ধ

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি 
পৌর শহরের নালিতাবাড়ী বাজার এলাকায় সততা ড্রাগ হাউস। ছবি: আজকের পত্রিকা
পৌর শহরের নালিতাবাড়ী বাজার এলাকায় সততা ড্রাগ হাউস। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে কম মুনাফায় ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ‘সততা ড্রাগ হাউস’ নামে একটি ফার্মেসিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ ঘণ্টার জন্য দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে পৌর শহরের নালিতাবাড়ী বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় রাতে উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি আবু সিনা তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দোকান বন্ধের ছবি দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি লেখেন, ‘সমিতির আইন লঙ্ঘনের দায়ে সততা ড্রাগ হাউসকে ১ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ ঘণ্টা দোকান বন্ধ করে দিল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।’ পোস্টটি ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই দিন বিকেলে একজন ক্রেতার কাছে কম মুনাফায় পাইকারি দরে ওষুধ বিক্রি করেন দোকানের মালিক মিজানুর রহমান। পরে বিষয়টি সমিতির নেতাদের কানে গেলে তাঁরা দোকানে এসে জরিমানা করেন ও ৬ ঘণ্টা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এ সময় কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন না।

সততা ড্রাগ হাউসের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান বলেন, ‘একজন ব্যবসায়ীর কাছে একটু কম দামে ওষুধ বিক্রি করেছিলাম। এ জন্য সমিতি আমার দোকান বন্ধ ও জরিমানা করেছে। অথচ আমিও ওই সমিতির সদস্য।’

এ বিষয়ে উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি আবু সিনা বলেন, ‘এটা আমাদের সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে জেলা কমিটির সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’

শেরপুরের ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওষুধ কম বা বেশি দামে বিক্রি করা ব্যবসায়ীর নিজস্ব বিষয়। এ জন্য কোনো সমিতি দোকান বন্ধ বা জরিমানা করতে পারে না। সরকার কোনো সমিতিকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়নি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, ‘বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুমকীতে কোটি টাকার ফেরি অযত্নে নষ্ট, যন্ত্রাংশ হচ্ছে চুরি

দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ৪৯
দুমকীর বাহেরচর এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে প্রায় কোটি টাকার ফেরি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমকীর বাহেরচর এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে প্রায় কোটি টাকার ফেরি। ছবি: আজকের পত্রিকা

পটুয়াখালীর দুমকীতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে থাকা ফেরি বিভাগের প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে নদীর তীরে ফেলে রাখা দুটি ফেরি বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। নিরাপত্তার অভাবে রাতের আঁধারে এর মূল্যবান যন্ত্রাংশও চুরি হয়ে যাচ্ছে।

রোদ-বৃষ্টি, পানি ও কাদার আস্তরণে এখন অচল দুটি ফেরি। দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক-কর্মচারীদের পদচারণ না থাকায় ও ফেরিটি চলাচল না করায় পুরো এলাকা আগাছায় ছেয়ে গেছে। এই অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা কোটি টাকার নৌযান দুটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সূত্র মতে, ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর ফেরি দুটি দুমকীর বাহেরচর এলাকায় পায়রা নদীর তীরে রাখা হয়। বর্তমানে এগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে এবং বেশির ভাগ মালপত্র চুরি হয়ে গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় ফেরি দুটির বেশির ভাগ মূল্যবান যন্ত্রপাতি উধাও। ভেতরের অংশে আবর্জনার স্তূপ জমেছে। পানি ও মাটির আস্তরণে ঢেকে গেছে ফেরি দুটির অধিকাংশ অংশ। সরকারি কোটি টাকার সম্পত্তি রক্ষায় কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

ঝাটারা এলাকার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সরকারি সম্পদ এভাবে নষ্ট হচ্ছে। এগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা বা অন্য কোথাও কাজে লাগানো উচিত ছিল।

পার্শ্ববর্তী জলিশা এলাকার মো. শাহিন মনে করেন, ফেরিগুলো নিলামে বিক্রি করলেও সরকারি কোষাগারে কিছু টাকা আসত। তা ছাড়া সংস্কার করে জনগণের সেবায় কাজে লাগালে আরও বেশি উপকার হতো। দেশের সম্পদ রক্ষা হতো, মানুষ সেবা পেত।

ফেরিচালকের সহকারী মো. কায়েস জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফেরি দুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ না হওয়ায় নিলামে উঠানো হয়নি। তবে কবে মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, তা তিনি বলতে পারেননি।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামিল আক্তার বলেন, ‘বাহেরচর এলাকায় পায়রা নদীর তীরে থাকা ফেরি সম্পর্কে আমার জানা আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত