হারুনুর রশিদ (রায়পুরা) নরসিংদী

সবজির জন্য প্রসিদ্ধ নরসিংদী জেলায় কয়েক দফায় টানা বৃষ্টির কারণে ভরা মৌসুমেও উৎপাদন কম। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারগুলোতে। ফলে সব ধরনের সবজির দাম বেশ ঊর্ধ্বমুখী। গতকাল শনিবার জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাটবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
চাষিরা বলছেন, বেশ কয়েকবার টানা বৃষ্টির কারণে সবজির খেত নষ্ট হওয়ায় উৎপাদন কমেছে। এতে খরচ ওঠাতেই হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। বেশি দামে কিনে অল্প লাভে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। এদিকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বাজারে সবজি আনামাত্র বিক্রি হচ্ছে।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, চড়া দামে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট অন্তহীন। সবজির দাম কবে কমবে, তা-ও জানেন না তাঁরা। কম সরবরাহের সুযোগে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে রাতারাতি সবজির দাম বাড়াচ্ছেন বলে দাবি তাঁদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় টানা বৃষ্টিতে ৫ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি নষ্ট হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্তারা। জেলার শিবপুর, রায়পুরা ও বেলাবতে সমতল ও উঁচু জমিতে সারা বছর সবজির চাষ হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ এবং ২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬৬ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আগাম চাষাবাদ হয়েছে। অন্যদিকে কৃষক পর্যায়ে ২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা আছে, যা থেকে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, নরসিংদীর উৎপাদিত সবজি রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে।দাম বাড়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে পাইকারি হাট রাধাগঞ্জ, শিবপুর, বারৈচা ও নারায়ণপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা কৃষকের কাছে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন। কিন্তু উৎপাদন কম ও চাহিদা বেশি থাকায় সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে একশ্রেণির মধ্যস্বত্বভোগী।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেশ চড়া। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৭৫ থেকে ৯০, কাঁকরোল ৭৫ থেকে ৮০, করলা ৯০, উচ্ছে ৮০, ঝিঙে ৭০, ঢ্যাঁড়স ৮০, লাউ ৬০ থেকে ৭০, ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০, পটোল ৭০, বরবটি ৭০, কচুর মুখি ৬০, আমড়া ৩০ থেকে ৩৫, জলপাই ৩০ থেকে ৩৫, মরিচ ৩২০ থেকে ৩৫০, চিচিঙ্গা ৭৫, পেঁপে ২৮ থেকে ৩০, আলু ৫৫, পেঁয়াজ ১০০, রসুন ২১০, প্রতিটি জাম্বুরা ২০ থেকে ২৫, প্রতি আঁটি লালশাক ১০, পুঁইশাক ২০, লাউশাক ২০ এবং লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকা, বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁয়াজ ১১০, চিচিঙ্গা ৮০, ধুন্দুল ৭০, পটোল ৮০, ঢ্যাঁড়স ৮০, কাঁকরোল ৯০, কাঁচা মরিচ ৪২০, টমেটো পাকা ২৩০, প্রতিটি লেবু মাঝারি ৫ থেকে ১০ টাকা, মিস্টিকুমড়া ৬৫ থেকে ৮০, লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা আঁটি এবং ডাঁটা ও পুঁইশাক প্রতি আঁটি ১৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রায়পুরা উপজেলার নয়াচর গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর শীতকালীন সবজি চাষ করি। গত বছর তিন বিঘা জমিতে সবজি চাষ করে খরচ বাদে লাভ হয়েছিল ৪ লাখ টাকা। এবারও লাভের আশায় ফুলকপি, বাঁধাকপি টমেটোসহ শীতকালীন সবজি
চাষের জন্য প্রায় তিন বিঘা জমি প্রস্তুত করেছি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সব ভেস্তে গেছে।’
উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুরা গ্রামের কৃষক দানিছ মিয়া বলেন, ‘তিন বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করি। চাষাবাদে খরচ হয় ৬৫ হাজার টাকা। টানা বৃষ্টিতে সব গাছের গোড়ায় পচন ধরে নষ্ট হয়ে গেছে।’ কৃষক আব্দুল মালেক, শ্যামল, কাওছারের মতো অনেকের দাবি, ফসল উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। কৃষি যন্ত্রপাতি, ডিজেল, সার ও কীটনাশকের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সার্বিক বিষয়ে নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুল রহমান বলেন, টানা বৃষ্টিতে সবজির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে তিন হাজার কৃষককে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টির ফলে শীতকালীন সবজি চাষ ১৫-২০ দিন পেছাবে। কৃষকদের ক্ষতি পোষাতে উপসহকারী কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।

সবজির জন্য প্রসিদ্ধ নরসিংদী জেলায় কয়েক দফায় টানা বৃষ্টির কারণে ভরা মৌসুমেও উৎপাদন কম। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারগুলোতে। ফলে সব ধরনের সবজির দাম বেশ ঊর্ধ্বমুখী। গতকাল শনিবার জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাটবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
চাষিরা বলছেন, বেশ কয়েকবার টানা বৃষ্টির কারণে সবজির খেত নষ্ট হওয়ায় উৎপাদন কমেছে। এতে খরচ ওঠাতেই হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। বেশি দামে কিনে অল্প লাভে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। এদিকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বাজারে সবজি আনামাত্র বিক্রি হচ্ছে।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, চড়া দামে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট অন্তহীন। সবজির দাম কবে কমবে, তা-ও জানেন না তাঁরা। কম সরবরাহের সুযোগে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে রাতারাতি সবজির দাম বাড়াচ্ছেন বলে দাবি তাঁদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় টানা বৃষ্টিতে ৫ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি নষ্ট হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্তারা। জেলার শিবপুর, রায়পুরা ও বেলাবতে সমতল ও উঁচু জমিতে সারা বছর সবজির চাষ হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ এবং ২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬৬ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আগাম চাষাবাদ হয়েছে। অন্যদিকে কৃষক পর্যায়ে ২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা আছে, যা থেকে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, নরসিংদীর উৎপাদিত সবজি রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে।দাম বাড়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে পাইকারি হাট রাধাগঞ্জ, শিবপুর, বারৈচা ও নারায়ণপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা কৃষকের কাছে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন। কিন্তু উৎপাদন কম ও চাহিদা বেশি থাকায় সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে একশ্রেণির মধ্যস্বত্বভোগী।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেশ চড়া। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৭৫ থেকে ৯০, কাঁকরোল ৭৫ থেকে ৮০, করলা ৯০, উচ্ছে ৮০, ঝিঙে ৭০, ঢ্যাঁড়স ৮০, লাউ ৬০ থেকে ৭০, ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০, পটোল ৭০, বরবটি ৭০, কচুর মুখি ৬০, আমড়া ৩০ থেকে ৩৫, জলপাই ৩০ থেকে ৩৫, মরিচ ৩২০ থেকে ৩৫০, চিচিঙ্গা ৭৫, পেঁপে ২৮ থেকে ৩০, আলু ৫৫, পেঁয়াজ ১০০, রসুন ২১০, প্রতিটি জাম্বুরা ২০ থেকে ২৫, প্রতি আঁটি লালশাক ১০, পুঁইশাক ২০, লাউশাক ২০ এবং লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকা, বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁয়াজ ১১০, চিচিঙ্গা ৮০, ধুন্দুল ৭০, পটোল ৮০, ঢ্যাঁড়স ৮০, কাঁকরোল ৯০, কাঁচা মরিচ ৪২০, টমেটো পাকা ২৩০, প্রতিটি লেবু মাঝারি ৫ থেকে ১০ টাকা, মিস্টিকুমড়া ৬৫ থেকে ৮০, লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা আঁটি এবং ডাঁটা ও পুঁইশাক প্রতি আঁটি ১৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রায়পুরা উপজেলার নয়াচর গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর শীতকালীন সবজি চাষ করি। গত বছর তিন বিঘা জমিতে সবজি চাষ করে খরচ বাদে লাভ হয়েছিল ৪ লাখ টাকা। এবারও লাভের আশায় ফুলকপি, বাঁধাকপি টমেটোসহ শীতকালীন সবজি
চাষের জন্য প্রায় তিন বিঘা জমি প্রস্তুত করেছি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সব ভেস্তে গেছে।’
উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুরা গ্রামের কৃষক দানিছ মিয়া বলেন, ‘তিন বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করি। চাষাবাদে খরচ হয় ৬৫ হাজার টাকা। টানা বৃষ্টিতে সব গাছের গোড়ায় পচন ধরে নষ্ট হয়ে গেছে।’ কৃষক আব্দুল মালেক, শ্যামল, কাওছারের মতো অনেকের দাবি, ফসল উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। কৃষি যন্ত্রপাতি, ডিজেল, সার ও কীটনাশকের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সার্বিক বিষয়ে নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুল রহমান বলেন, টানা বৃষ্টিতে সবজির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে তিন হাজার কৃষককে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টির ফলে শীতকালীন সবজি চাষ ১৫-২০ দিন পেছাবে। কৃষকদের ক্ষতি পোষাতে উপসহকারী কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।
হারুনুর রশিদ (রায়পুরা) নরসিংদী

সবজির জন্য প্রসিদ্ধ নরসিংদী জেলায় কয়েক দফায় টানা বৃষ্টির কারণে ভরা মৌসুমেও উৎপাদন কম। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারগুলোতে। ফলে সব ধরনের সবজির দাম বেশ ঊর্ধ্বমুখী। গতকাল শনিবার জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাটবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
চাষিরা বলছেন, বেশ কয়েকবার টানা বৃষ্টির কারণে সবজির খেত নষ্ট হওয়ায় উৎপাদন কমেছে। এতে খরচ ওঠাতেই হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। বেশি দামে কিনে অল্প লাভে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। এদিকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বাজারে সবজি আনামাত্র বিক্রি হচ্ছে।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, চড়া দামে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট অন্তহীন। সবজির দাম কবে কমবে, তা-ও জানেন না তাঁরা। কম সরবরাহের সুযোগে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে রাতারাতি সবজির দাম বাড়াচ্ছেন বলে দাবি তাঁদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় টানা বৃষ্টিতে ৫ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি নষ্ট হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্তারা। জেলার শিবপুর, রায়পুরা ও বেলাবতে সমতল ও উঁচু জমিতে সারা বছর সবজির চাষ হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ এবং ২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬৬ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আগাম চাষাবাদ হয়েছে। অন্যদিকে কৃষক পর্যায়ে ২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা আছে, যা থেকে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, নরসিংদীর উৎপাদিত সবজি রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে।দাম বাড়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে পাইকারি হাট রাধাগঞ্জ, শিবপুর, বারৈচা ও নারায়ণপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা কৃষকের কাছে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন। কিন্তু উৎপাদন কম ও চাহিদা বেশি থাকায় সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে একশ্রেণির মধ্যস্বত্বভোগী।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেশ চড়া। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৭৫ থেকে ৯০, কাঁকরোল ৭৫ থেকে ৮০, করলা ৯০, উচ্ছে ৮০, ঝিঙে ৭০, ঢ্যাঁড়স ৮০, লাউ ৬০ থেকে ৭০, ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০, পটোল ৭০, বরবটি ৭০, কচুর মুখি ৬০, আমড়া ৩০ থেকে ৩৫, জলপাই ৩০ থেকে ৩৫, মরিচ ৩২০ থেকে ৩৫০, চিচিঙ্গা ৭৫, পেঁপে ২৮ থেকে ৩০, আলু ৫৫, পেঁয়াজ ১০০, রসুন ২১০, প্রতিটি জাম্বুরা ২০ থেকে ২৫, প্রতি আঁটি লালশাক ১০, পুঁইশাক ২০, লাউশাক ২০ এবং লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকা, বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁয়াজ ১১০, চিচিঙ্গা ৮০, ধুন্দুল ৭০, পটোল ৮০, ঢ্যাঁড়স ৮০, কাঁকরোল ৯০, কাঁচা মরিচ ৪২০, টমেটো পাকা ২৩০, প্রতিটি লেবু মাঝারি ৫ থেকে ১০ টাকা, মিস্টিকুমড়া ৬৫ থেকে ৮০, লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা আঁটি এবং ডাঁটা ও পুঁইশাক প্রতি আঁটি ১৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রায়পুরা উপজেলার নয়াচর গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর শীতকালীন সবজি চাষ করি। গত বছর তিন বিঘা জমিতে সবজি চাষ করে খরচ বাদে লাভ হয়েছিল ৪ লাখ টাকা। এবারও লাভের আশায় ফুলকপি, বাঁধাকপি টমেটোসহ শীতকালীন সবজি
চাষের জন্য প্রায় তিন বিঘা জমি প্রস্তুত করেছি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সব ভেস্তে গেছে।’
উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুরা গ্রামের কৃষক দানিছ মিয়া বলেন, ‘তিন বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করি। চাষাবাদে খরচ হয় ৬৫ হাজার টাকা। টানা বৃষ্টিতে সব গাছের গোড়ায় পচন ধরে নষ্ট হয়ে গেছে।’ কৃষক আব্দুল মালেক, শ্যামল, কাওছারের মতো অনেকের দাবি, ফসল উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। কৃষি যন্ত্রপাতি, ডিজেল, সার ও কীটনাশকের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সার্বিক বিষয়ে নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুল রহমান বলেন, টানা বৃষ্টিতে সবজির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে তিন হাজার কৃষককে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টির ফলে শীতকালীন সবজি চাষ ১৫-২০ দিন পেছাবে। কৃষকদের ক্ষতি পোষাতে উপসহকারী কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।

সবজির জন্য প্রসিদ্ধ নরসিংদী জেলায় কয়েক দফায় টানা বৃষ্টির কারণে ভরা মৌসুমেও উৎপাদন কম। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারগুলোতে। ফলে সব ধরনের সবজির দাম বেশ ঊর্ধ্বমুখী। গতকাল শনিবার জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাটবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
চাষিরা বলছেন, বেশ কয়েকবার টানা বৃষ্টির কারণে সবজির খেত নষ্ট হওয়ায় উৎপাদন কমেছে। এতে খরচ ওঠাতেই হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। বেশি দামে কিনে অল্প লাভে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। এদিকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বাজারে সবজি আনামাত্র বিক্রি হচ্ছে।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, চড়া দামে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট অন্তহীন। সবজির দাম কবে কমবে, তা-ও জানেন না তাঁরা। কম সরবরাহের সুযোগে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে রাতারাতি সবজির দাম বাড়াচ্ছেন বলে দাবি তাঁদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় টানা বৃষ্টিতে ৫ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি নষ্ট হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্তারা। জেলার শিবপুর, রায়পুরা ও বেলাবতে সমতল ও উঁচু জমিতে সারা বছর সবজির চাষ হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ এবং ২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬৬ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আগাম চাষাবাদ হয়েছে। অন্যদিকে কৃষক পর্যায়ে ২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা আছে, যা থেকে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, নরসিংদীর উৎপাদিত সবজি রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে।দাম বাড়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে পাইকারি হাট রাধাগঞ্জ, শিবপুর, বারৈচা ও নারায়ণপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা কৃষকের কাছে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন। কিন্তু উৎপাদন কম ও চাহিদা বেশি থাকায় সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে একশ্রেণির মধ্যস্বত্বভোগী।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেশ চড়া। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৭৫ থেকে ৯০, কাঁকরোল ৭৫ থেকে ৮০, করলা ৯০, উচ্ছে ৮০, ঝিঙে ৭০, ঢ্যাঁড়স ৮০, লাউ ৬০ থেকে ৭০, ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০, পটোল ৭০, বরবটি ৭০, কচুর মুখি ৬০, আমড়া ৩০ থেকে ৩৫, জলপাই ৩০ থেকে ৩৫, মরিচ ৩২০ থেকে ৩৫০, চিচিঙ্গা ৭৫, পেঁপে ২৮ থেকে ৩০, আলু ৫৫, পেঁয়াজ ১০০, রসুন ২১০, প্রতিটি জাম্বুরা ২০ থেকে ২৫, প্রতি আঁটি লালশাক ১০, পুঁইশাক ২০, লাউশাক ২০ এবং লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকা, বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁয়াজ ১১০, চিচিঙ্গা ৮০, ধুন্দুল ৭০, পটোল ৮০, ঢ্যাঁড়স ৮০, কাঁকরোল ৯০, কাঁচা মরিচ ৪২০, টমেটো পাকা ২৩০, প্রতিটি লেবু মাঝারি ৫ থেকে ১০ টাকা, মিস্টিকুমড়া ৬৫ থেকে ৮০, লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা আঁটি এবং ডাঁটা ও পুঁইশাক প্রতি আঁটি ১৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রায়পুরা উপজেলার নয়াচর গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর শীতকালীন সবজি চাষ করি। গত বছর তিন বিঘা জমিতে সবজি চাষ করে খরচ বাদে লাভ হয়েছিল ৪ লাখ টাকা। এবারও লাভের আশায় ফুলকপি, বাঁধাকপি টমেটোসহ শীতকালীন সবজি
চাষের জন্য প্রায় তিন বিঘা জমি প্রস্তুত করেছি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সব ভেস্তে গেছে।’
উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুরা গ্রামের কৃষক দানিছ মিয়া বলেন, ‘তিন বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করি। চাষাবাদে খরচ হয় ৬৫ হাজার টাকা। টানা বৃষ্টিতে সব গাছের গোড়ায় পচন ধরে নষ্ট হয়ে গেছে।’ কৃষক আব্দুল মালেক, শ্যামল, কাওছারের মতো অনেকের দাবি, ফসল উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। কৃষি যন্ত্রপাতি, ডিজেল, সার ও কীটনাশকের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সার্বিক বিষয়ে নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুল রহমান বলেন, টানা বৃষ্টিতে সবজির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে তিন হাজার কৃষককে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টির ফলে শীতকালীন সবজি চাষ ১৫-২০ দিন পেছাবে। কৃষকদের ক্ষতি পোষাতে উপসহকারী কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।

রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে...
১০ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৪ মিনিট আগে
পাবনায় বাঁশবোঝাই ট্রাকের চাপায় দুই স্কুলশিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
অভূতপূর্ব এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের ৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ আরফান হোসাইন। মাত্র ১৪৩ দিনে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সে। আরফানের এই অসাধারণ সাফল্যে পরিবার, শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের আবহ বিরাজ করছে।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে শ্বশুরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লিমা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহত লিমা ওই গ্রামের আব্দুর রবের স্ত্রী। রোববার (২৬ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আরিফুর রহমান বলেন, ‘ওই গৃহবধূকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তাঁর বুকের ওপরের অংশে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর ক্ষত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি, অভিযুক্ত শ্বশুর মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম খান এই ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযুক্ত মুকুল শেখকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে শ্বশুরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লিমা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহত লিমা ওই গ্রামের আব্দুর রবের স্ত্রী। রোববার (২৬ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আরিফুর রহমান বলেন, ‘ওই গৃহবধূকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তাঁর বুকের ওপরের অংশে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর ক্ষত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি, অভিযুক্ত শ্বশুর মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম খান এই ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযুক্ত মুকুল শেখকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

সবজির জন্য প্রসিদ্ধ নরসিংদী জেলায় কয়েক দফায় টানা বৃষ্টির কারণে ভরা মৌসুমেও উৎপাদন কম। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারগুলোতে। ফলে সব ধরনের সবজির দাম বেশ ঊর্ধ্বমুখী।
১৩ অক্টোবর ২০২৪
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৪ মিনিট আগে
পাবনায় বাঁশবোঝাই ট্রাকের চাপায় দুই স্কুলশিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
অভূতপূর্ব এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের ৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ আরফান হোসাইন। মাত্র ১৪৩ দিনে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সে। আরফানের এই অসাধারণ সাফল্যে পরিবার, শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের আবহ বিরাজ করছে।
১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কার্তিকের শুরুতেই কুড়িগ্রামে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। পৌষ আসতে এখনো প্রায় দুই মাস বাকি থাকলেও প্রতি রাতে জেলাজুড়ে কুয়াশার স্পষ্ট উপস্থিতি শীতের আগমনকে ত্বরান্বিত করছে। দিনে সূর্যের দাপুটে উপস্থিতি থাকলেও রাতের আবহাওয়া কুয়াশার চাদরের দখলে যেতে শুরু করেছে। জানান দিচ্ছে শীত এল বলে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে জেলায় সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর একটু আগেই শীতের আগমন হচ্ছে। সন্ধ্যার পর কুয়াশা পড়ছে। গাছের পাতা, ফসল ও ঘাস কিংবা খোলা আকাশের নিচে থাকা মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো বস্তুতে পড়ে থাকা কুয়াশার ফোঁটা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন। রাতের বেলা গাছের পাতা গড়িয়ে কুয়াশা ঘরের টিনের চালে পড়ছে টিপটিপ শব্দে। ভোরবেলা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। তবে সে তুলনায় শীতানুভূতি নেই। এখনো বৈদ্যুতিক পাখা ছাড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। যদিও ইতিমধ্যে বাজারে ও সড়কের পাশের দোকানগুলোতে শীতের কাপড়ের পসরা সাজানো শুরু হয়েছে। যেন শীতকে বরণের প্রস্তুতি।
বিকেল হতেই শহরের বিভিন্ন মোড়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে নানা রকম শীতের পিঠা তৈরি শুরু করেছেন। ভাপা পিঠার সঙ্গে চলছে চিতই পিঠা বিক্রি।
কুড়িগ্রাম শহরের বাসিন্দা মুকুল বলেন, এ বছর একটু আগাম কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। রাতে ঘরের বাইরে শীত অনুভূত হচ্ছে। সড়কে গাড়ি চালালে কুয়াশার কুণ্ডলীর কারণে পথ চলতে সমস্যা হচ্ছে। জেলায় ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। তবে ঠান্ডা তুলনামূলক কম।

উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর বলেন, ‘রাতে ভালোই কুয়াশা পড়া শুরু হইছে। এখনো সেই অর্থে ঠান্ডা লাগে না। তবে বোঝা যাচ্ছে যে ঠান্ডা শুরু হচ্ছে।’
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আল-আমিন মাসুদ বলেন, ‘আজ (শনিবার) সকালে সড়কপথে চলার সময় কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কুয়াশার মাত্রা দেখে মনে হয়েছে যেন পৌষ মাস শুরু হয়েছে। তবে দিনে গরম, কিন্তু রাতের তাপমাত্রা কমছে। এ সময় শিশুদের সুরক্ষায় বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত। রাতে বৈদ্যুতিক পাখার গতি কমিয়ে রাখাসহ শিশুদের বাইরে নিয়ে গেলে ধুলাবালু ও ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে।’
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমছে। ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। মধ্য নভেম্বর থেকে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।

কার্তিকের শুরুতেই কুড়িগ্রামে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। পৌষ আসতে এখনো প্রায় দুই মাস বাকি থাকলেও প্রতি রাতে জেলাজুড়ে কুয়াশার স্পষ্ট উপস্থিতি শীতের আগমনকে ত্বরান্বিত করছে। দিনে সূর্যের দাপুটে উপস্থিতি থাকলেও রাতের আবহাওয়া কুয়াশার চাদরের দখলে যেতে শুরু করেছে। জানান দিচ্ছে শীত এল বলে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে জেলায় সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর একটু আগেই শীতের আগমন হচ্ছে। সন্ধ্যার পর কুয়াশা পড়ছে। গাছের পাতা, ফসল ও ঘাস কিংবা খোলা আকাশের নিচে থাকা মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো বস্তুতে পড়ে থাকা কুয়াশার ফোঁটা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন। রাতের বেলা গাছের পাতা গড়িয়ে কুয়াশা ঘরের টিনের চালে পড়ছে টিপটিপ শব্দে। ভোরবেলা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। তবে সে তুলনায় শীতানুভূতি নেই। এখনো বৈদ্যুতিক পাখা ছাড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। যদিও ইতিমধ্যে বাজারে ও সড়কের পাশের দোকানগুলোতে শীতের কাপড়ের পসরা সাজানো শুরু হয়েছে। যেন শীতকে বরণের প্রস্তুতি।
বিকেল হতেই শহরের বিভিন্ন মোড়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে নানা রকম শীতের পিঠা তৈরি শুরু করেছেন। ভাপা পিঠার সঙ্গে চলছে চিতই পিঠা বিক্রি।
কুড়িগ্রাম শহরের বাসিন্দা মুকুল বলেন, এ বছর একটু আগাম কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। রাতে ঘরের বাইরে শীত অনুভূত হচ্ছে। সড়কে গাড়ি চালালে কুয়াশার কুণ্ডলীর কারণে পথ চলতে সমস্যা হচ্ছে। জেলায় ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। তবে ঠান্ডা তুলনামূলক কম।

উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর বলেন, ‘রাতে ভালোই কুয়াশা পড়া শুরু হইছে। এখনো সেই অর্থে ঠান্ডা লাগে না। তবে বোঝা যাচ্ছে যে ঠান্ডা শুরু হচ্ছে।’
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আল-আমিন মাসুদ বলেন, ‘আজ (শনিবার) সকালে সড়কপথে চলার সময় কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কুয়াশার মাত্রা দেখে মনে হয়েছে যেন পৌষ মাস শুরু হয়েছে। তবে দিনে গরম, কিন্তু রাতের তাপমাত্রা কমছে। এ সময় শিশুদের সুরক্ষায় বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত। রাতে বৈদ্যুতিক পাখার গতি কমিয়ে রাখাসহ শিশুদের বাইরে নিয়ে গেলে ধুলাবালু ও ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে।’
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমছে। ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। মধ্য নভেম্বর থেকে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।

সবজির জন্য প্রসিদ্ধ নরসিংদী জেলায় কয়েক দফায় টানা বৃষ্টির কারণে ভরা মৌসুমেও উৎপাদন কম। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারগুলোতে। ফলে সব ধরনের সবজির দাম বেশ ঊর্ধ্বমুখী।
১৩ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে...
১০ মিনিট আগে
পাবনায় বাঁশবোঝাই ট্রাকের চাপায় দুই স্কুলশিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
অভূতপূর্ব এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের ৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ আরফান হোসাইন। মাত্র ১৪৩ দিনে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সে। আরফানের এই অসাধারণ সাফল্যে পরিবার, শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের আবহ বিরাজ করছে।
১ ঘণ্টা আগেপাবনা প্রতিনিধি

পাবনায় বাঁশবোঝাই ট্রাকের চাপায় দুই স্কুলশিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলো পাবনা কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া আক্তার, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আবু তোহা ও ভ্যানের চালক আকরাম হোসেন।
মাধপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে ৮-১০ জন শিক্ষার্থী ভ্যানগাড়িতে করে পাবনার জালালপুর এলাকার ক্যাডেট কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজে যাওয়ার পথে ঢাকা থেকে পাবনাগামী একটি বাঁশবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই ছাত্র-ছাত্রী ও ভ্যানচালক নিহত হয়। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে আরও দুজন পথচারী। স্থানীয় বাসিন্দারা মাধপুর হাইওয়ে থানা-পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। মহাসড়কে যান চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভ্যানের ড্রাইভারসহ তিনজন নিহত ও চায়ের দোকানে থাকা দুই ব্যক্তি আহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

পাবনায় বাঁশবোঝাই ট্রাকের চাপায় দুই স্কুলশিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলো পাবনা কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া আক্তার, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আবু তোহা ও ভ্যানের চালক আকরাম হোসেন।
মাধপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে ৮-১০ জন শিক্ষার্থী ভ্যানগাড়িতে করে পাবনার জালালপুর এলাকার ক্যাডেট কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজে যাওয়ার পথে ঢাকা থেকে পাবনাগামী একটি বাঁশবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই ছাত্র-ছাত্রী ও ভ্যানচালক নিহত হয়। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে আরও দুজন পথচারী। স্থানীয় বাসিন্দারা মাধপুর হাইওয়ে থানা-পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। মহাসড়কে যান চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভ্যানের ড্রাইভারসহ তিনজন নিহত ও চায়ের দোকানে থাকা দুই ব্যক্তি আহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সবজির জন্য প্রসিদ্ধ নরসিংদী জেলায় কয়েক দফায় টানা বৃষ্টির কারণে ভরা মৌসুমেও উৎপাদন কম। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারগুলোতে। ফলে সব ধরনের সবজির দাম বেশ ঊর্ধ্বমুখী।
১৩ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে...
১০ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৪ মিনিট আগে
অভূতপূর্ব এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের ৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ আরফান হোসাইন। মাত্র ১৪৩ দিনে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সে। আরফানের এই অসাধারণ সাফল্যে পরিবার, শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের আবহ বিরাজ করছে।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

অভূতপূর্ব এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের ৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ আরফান হোসাইন। মাত্র ১৪৩ দিনে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সে। আরফানের এই অসাধারণ সাফল্যে পরিবার, শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের আবহ বিরাজ করছে।
আরফান বর্তমানে ইসলামপুর কামিল কওমি মাদ্রাসার ছাত্র। এর আগে সে কুচিয়ামোড়া দারুন্নাজাত মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করেছে। অল্প বয়সে এমন সাফল্য অর্জন করে স্থানীয়ভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
আরফান কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া গ্রামের বিশিষ্ট আলেম ও শিক্ষক হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মাসরুরের (লাভু হুজুর) ছেলে। লাভু হুজুর বর্তমানে কুচিয়ামোড়া দারুন্নাজাত মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ এবং কুচিয়ামোড়া মিত্রপাড়া বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিন ভাইবোনের মধ্যে আরফান সবার ছোট। মাত্র ১৪৩ দিনে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করে সে তার পরিবারসহ পুরো এলাকাকে গর্বিত করেছে।
ইসলামপুর কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক ফখরুদ্দীন রাজি বলেন, ‘আরফান আমাদের মাদ্রাসার গর্ব। ১৪৩ দিনে কোরআন মুখস্থ করা আমাদের মাদ্রাসার ইতিহাসে এই প্রথম। এটি এক বিরল দৃষ্টান্ত। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

অভূতপূর্ব এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের ৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ আরফান হোসাইন। মাত্র ১৪৩ দিনে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সে। আরফানের এই অসাধারণ সাফল্যে পরিবার, শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের আবহ বিরাজ করছে।
আরফান বর্তমানে ইসলামপুর কামিল কওমি মাদ্রাসার ছাত্র। এর আগে সে কুচিয়ামোড়া দারুন্নাজাত মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করেছে। অল্প বয়সে এমন সাফল্য অর্জন করে স্থানীয়ভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
আরফান কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া গ্রামের বিশিষ্ট আলেম ও শিক্ষক হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মাসরুরের (লাভু হুজুর) ছেলে। লাভু হুজুর বর্তমানে কুচিয়ামোড়া দারুন্নাজাত মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ এবং কুচিয়ামোড়া মিত্রপাড়া বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিন ভাইবোনের মধ্যে আরফান সবার ছোট। মাত্র ১৪৩ দিনে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করে সে তার পরিবারসহ পুরো এলাকাকে গর্বিত করেছে।
ইসলামপুর কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক ফখরুদ্দীন রাজি বলেন, ‘আরফান আমাদের মাদ্রাসার গর্ব। ১৪৩ দিনে কোরআন মুখস্থ করা আমাদের মাদ্রাসার ইতিহাসে এই প্রথম। এটি এক বিরল দৃষ্টান্ত। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

সবজির জন্য প্রসিদ্ধ নরসিংদী জেলায় কয়েক দফায় টানা বৃষ্টির কারণে ভরা মৌসুমেও উৎপাদন কম। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারগুলোতে। ফলে সব ধরনের সবজির দাম বেশ ঊর্ধ্বমুখী।
১৩ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে...
১০ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৪ মিনিট আগে
পাবনায় বাঁশবোঝাই ট্রাকের চাপায় দুই স্কুলশিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে