নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ থেকে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের শেষ দিনের প্রচার আজ। গণমাধ্যমকর্মী থেকে শুরু করে সবারই চোখ নারায়ণগঞ্জে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে পুরোদমে রাস্তায় নেমেছেন হাতি মার্কার প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। কিন্তু জানা গেল, বেলা ৩টায় রেলগেটের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে পথসভা ছাড়া তেমন কোনো শোডাউন নেই নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর।
সংবাদকর্মীরা যান আইভীর দেওভোগের বাসায়। শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বাসভবনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি ।
বহিরাগতদের এনে নির্বাচন পরিচালনা করছেন। সার্কিট হাউসসহ বিভিন্ন হোটেলে তাঁরা থাকছেন, যেটা আচরণবিধি লঙ্ঘন। তৈমুর আলম খন্দকারের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আইভী বলেন, ‘সার্কিট হাউসে কারা থাকছেন আমার জানা নেই। আমি যতটুকু জানি, অনেকেই নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসেন। সেটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজনও হতে পারে। অথবা অন্য কেউ হতে পারে। তবে কারা আসছেন। কারা থাকছেন, আমার জানা নাই। জনতাই আমার শক্তি। আমি কিন্তু মানুষের কাছেই যাই। তাই বহিরাগতদের দিয়ে নির্বাচন করাব কেন? উনি কাকে বুঝিয়েছেন জানি না। কারণ আমার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে, মানুষও নারায়ণগঞ্জের। আমার বাড়ি রূপগঞ্জে না যে বহিরাগত কাউকে আনব।’
ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা হয়তো তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন কারণে হয়তো আসছেন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি। তাঁরাও কিন্তু জানেন আইভী কীভাবে রাজনীতি করে। কীভাবে ভোটারদের কাছে যায়। যদি তা না জানতেন, তাহলে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এই সময়ে আমাকে নৌকা দিতেন না। কারণ উনিও জানেন ওনার আইভী মানুষের দ্বারেই যায়। আমার একমাত্র পথ হলো জনগণ। তাই নেতারা আসতেই পারেন। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ কী করছে, তাদের অবস্থানটা কোথায়, এটা পর্যবেক্ষণ করতে তাঁরা আসতে পারেন। কিন্তু আমাকেও মুক্ত করে দিয়েছেন। আমি তো সারাক্ষণ ভোটারদের কাছে যাচ্ছি।’
কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বিরোধী পক্ষের অভিযোগে আপনারা বিব্রত কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকার পাশেই আসলে নারায়ণগঞ্জ। এখানে নির্বাচন হচ্ছে। আসতেই পারেন। দেখতেই পারেন। আর অনেকেই বলছেন এখানে নির্বাচন একটু ভিন্ন। তাই তাঁদের অনেকেই আসেন। আমাদের প্রতিপক্ষের কিন্তু অনেকেই আসেন। তাঁরা হয়তো নীরবে প্রচারণা করছেন।’
নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করছে বিরোধী পক্ষ। আপনি কি আশা করছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সব সময়ই নির্বাচনী সহিংসতার বিপক্ষে। উনি আমার চাচা। জন্মের পর থেকেই উনি মনে হয় আমাকে দেখছেন। এই বাড়িতে তিনি অনেকবার এসেছেন। আমার বাবার কর্মী ছিলেন। আমাদের বন্ধনটা অনেক আগের। যুদ্ধের ময়দানে হয়তো আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী।’
নির্বাচনে কোনো সহিংসতা হবে মনে করেন না জানিয়ে আইভী বলেন, ‘আমার কোনো বাহিনীও নাই। আর কোনো দিন সহিংসতা করিও না। বরং সহিংসতা হলে আমার ক্ষতি হবে। ভোটাররা আসতে পারবে না। আমি যদি বলি, একটি পক্ষ তা-ই চাইছে। আমার যেসব এলাকা জমজমাট, সেখানে হয়তো কেউ সহিংসতা করে ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দিতে পারে। ভোটের দিন যাতে উৎসবমুখর পরিবেশ থাকে এবং নারী ভোটাররা আসতে পারে। কারণ আমি জানি এই ভোটগুলো আমার। আমি নির্বাচনে জিতবই। সুতরাং আমার বিজয় সুনিশ্চিত জেনে কেউ যদি সহিংসতা করে, তাহলে এটা ঠিক হবে না। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করব তা নিয়ন্ত্রণ আনতে।’
কারা আপনার ভোটারদের বাধা দিচ্ছে, সেটা প্রতিপক্ষ নাকি নিজ দলের—এমন প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘যারা বাধা দিচ্ছে, তারা কিন্তু একটা সময়ে এক হয়ে যায়। আপন আর পর কী? এখানে তো নির্বাচনটা হচ্ছে আইভী বনাম অনেক কিছু। সে ক্ষেত্রে অনেক পক্ষই এক হতে পারে। আমি ধারণা করছি। আইভীকে পরাজিত করতে অনেক পক্ষই এক হয়ে গেছে। সেটা ঘরেরও হতে পারে, বাইরেরও হতে পারে। কীভাবে আমাকে পরাজিত করা যায়। বিশৃঙ্খলা করে ভোটটাকে ঝামেলা করা যায়। কারণ সবাই জানে আমার বিজয় সুনিশ্চিত।’
এই অনেক পক্ষ নিয়ে আপনি কি আপনার পুরোনো অবস্থানেই রয়েছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আমার আগের জায়গায় রয়েছি। প্রথম থেকে যা বলেছি, এখনো সেই জায়গায় আছি। বারবার বলেছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে সতর্ক থাকে।’
বহু পক্ষের খেলা বন্ধে কেন্দ্রীয় নেতারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে ওইভাবে আলাপ-আলোচনা করি নাই। কারণ বিগত ২৮ ডিসেম্বর থেকে খুবই ব্যস্ত ছিলাম। তা ছাড়া দলের উচ্চপর্যায়ের বিষয়ে আমার কথা না বলাই ভালো।’
আইভী বলেন, ‘নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক হয় এবং কোথাও কেন্দ্র বন্ধ না হয়, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমি লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হব। এটা আমার চাচা নিজেও জানেন, এখানে আসলে আমার কী অবস্থা।’
তৈমুর আলমের অভিযোগ আপনাকে মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি স্ট্রং পার্সোনালিটির মানুষ। আমার বন্ধন হলো তৃণমূল পর্যায় থেকে সব জায়গার মানুষের। আমাকে দুর্বল করা এত সহজ কিছু নয়। আমি কোনো কিছুতেই দুর্বল হব না। দুর্বল করতে পারবে না। কেউ প্রভাবিত করতে পারবে না।’
আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রশাসনের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না, তাঁরা কী আলাপ করেছেন। তাঁরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়েছেন। আমার বিজয় নিয়ে তারা শঙ্কিত ছিলেন না। তাঁরা ভালো করেই জানেন আইভী বিজয়ী হবে। আমার মনে হয় কেন্দ্রের নেতারা কাউকে প্রভাবিত করছেন। তারা হয়তো এখানে এসে কাউকে পর্যবেক্ষণ করছেন। কোনো বিশৃঙ্খলা যাতে তৈরি না হয়। এত বড় দলে একটু সমস্যা থাকেই। তাই তাঁরা সেটাই পর্যবেক্ষণ করছেন বলে আমার মনে হয়।’
তাঁরা নিজ দলের কাউকে নজরদারিতে রাখছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘তা ঠিক বলব না। কেন্দ্র কী করছে, তাঁরাই বলবেন। আমি তো আপনাদের সামাল দিতে ব্যস্ত আছি। প্রতিটি নির্বাচনই চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রতিটির আলাদা আলাদা ধরন ছিল। এই নির্বাচন বিভিন্ন কারণেই চ্যালেঞ্জিং।’
মানুষের প্রত্যাশা কেমন—এ বিষয়ে আইভী বলেন, ‘প্রত্যাশার কোনো শেষ নাই। আপনি যত দেবেন, আরও চাহিদা তৈরি হবে। নারায়ণগঞ্জ কিন্তু পুরোনো জনবহুল শহর। এখানে ভাসমান মানুষ অনেক। প্রতিদিনই বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। তার পরও চেষ্টা ইট-পাথরের এই শহরকে সবুজায়নের জন্য। বাংলাদেশের স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করা চ্যালেঞ্জিং। এখানে জবাবদিহিও বেশি। তাই আমি নগরকে একটু নিশ্বাস নেওয়ার জায়গা করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। শেখ রাসেল পার্ক করতে গিয়ে মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। কিন্তু কেউ রুখতে পারেনি। এখন তো সবাই যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে কাজ করা খুব কঠিন। সেটা নিয়ে কাজ করি। কোনো কাজ থেকে পিছপা হইনি।’
সমর্থকদের আটক সম্পর্কে তৈমুরের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাকে ধরেছে আমি জানি না। জানার চেষ্টাও করি নাই। নারায়ণগঞ্জ শহরে কিশোর গ্যাংয়ের অভাব নাই। কালকে রাতেও মোটরসাইকেল মহড়া হয়েছে। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে নৌকার ভোট চাইছে। আমার গাড়ির সামনে দুইটা মোটরসাইকেল থাকুক তা-ও চাই না। এই শহরের মানুষ আমার চরিত্র জানে। আমি রিকশায় যাই, নিজে হাঁটি। হঠাৎ করে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে নৌকার ভোট চাওয়ার কারণটা কী? সন্ত্রাসী যেকোনো দলের হতে পারে। আমার চরিত্রের সঙ্গে যায় না। সেই কাজগুলো অতি উৎসাহী হয়ে কারা করছে? নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা আমি করি নাই। যদি কেউ করে, সেটা ঠিক রাখার দায়িত্ব প্রশাসনের। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হোক সবার চাওয়া। সন্ত্রাসীদের কোনো দল নাই। আমি তো ভয় পাচ্ছি কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা হয়ে আমার নির্বাচনে সমস্যা হয় নাকি। আমি বিজয়ী হব। চাচার সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে। তার সঙ্গে কাজ করব।’
সংখ্যালঘুদের ভোটে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে একটা অভিযোগ এসেছে। তিনি বলেন, ‘এটা খুব খারাপ। নেতারা গেলে মানুষ ভয় পায়। ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এটাকে বাধা দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে কে বা কারা টাকা দিচ্ছে জানি না। আমার টাকা নাই। থাকলেও দিতাম না। নির্বাচনে টাকা দেওয়া নীতি-নৈতিকতার ব্যাপার। খুবই বিব্রতকর। প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।’
শামীম ওসমানের অনুসারীরা কী কাজ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কে কাজ করেছে বা করে নাই। আমার দেখারও সময় ছিল না। কেন্দ্রীয় নেতারা এখানে ছিলেন। তাঁরা দেখবেন। আমি আওয়ামী লীগের সব কর্মীর প্রতি আহ্বান জানাব, তারা যেন আমাকে ভোট দেয়। আমি দলমতের ঊর্ধ্বে কাজ করেছি। ওই সিটে বসে দল, ধর্ম দেখি নাই। দায়িত্ব ইমানের সঙ্গে পালন করেছি। শুধু একজনের না, আমার দল আওয়ামী লীগের না, সবার কাছে ভোট চাই। এটা আমার অধিকার, আত্মিক সম্পর্কের দাবি। আপনারা আমাকে ভোট দেবেন। আমার কোনো বাহিনী নাই। তাই আমার জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আস্থা রয়েছে। সহিংসতা হলে তারা রোধ করবেন।’
জিতলে আগামী দিনের কার্যক্রম নিয়ে নাসিকের দুইবারের মেয়র বলেন, ‘আমি শীতলক্ষ্যার দিকে নজর দেব। কদমরসুল ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে উদ্বোধন হবে। ভোটারদের কাছে অনুরোধ, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ভোট দেবেন নৌকায়। আমি বিগত সময় থেকে অন্যায়ের বিপক্ষে সোচ্চার ছিলাম। যেটাতে সোচ্চার হওয়ার প্রয়োজন সেখানে হব। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করব না। এই শহরে খুন ও রাহাজানির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। নিজেও কখনো এটা করি না।’
ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলব, ‘আপনারা আইভীকে চেনেন ও জানেন। আমি আপনাদের মানুষ। নিজের দায়িত্ব ইমানের সঙ্গে পালন করেছি। টাকাপয়সার সঙ্গে লেনদেন ছিলাম না। কাজ করতে গেলে ভুলভ্রান্তি হতেই পারে। সেটাই হবে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ, সুন্দর, নিরাপদ ও সবুজ শহর গড়ার জন্য আপনারা আমাকে ভোট দেবেন। বিপদে আপনাদের পাশে থাকব। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি করব না। কারণ আমার কোনো বিশেষ বাহিনী নাই।’
আরও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের শেষ দিনের প্রচার আজ। গণমাধ্যমকর্মী থেকে শুরু করে সবারই চোখ নারায়ণগঞ্জে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে পুরোদমে রাস্তায় নেমেছেন হাতি মার্কার প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। কিন্তু জানা গেল, বেলা ৩টায় রেলগেটের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে পথসভা ছাড়া তেমন কোনো শোডাউন নেই নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর।
সংবাদকর্মীরা যান আইভীর দেওভোগের বাসায়। শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বাসভবনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি ।
বহিরাগতদের এনে নির্বাচন পরিচালনা করছেন। সার্কিট হাউসসহ বিভিন্ন হোটেলে তাঁরা থাকছেন, যেটা আচরণবিধি লঙ্ঘন। তৈমুর আলম খন্দকারের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আইভী বলেন, ‘সার্কিট হাউসে কারা থাকছেন আমার জানা নেই। আমি যতটুকু জানি, অনেকেই নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসেন। সেটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজনও হতে পারে। অথবা অন্য কেউ হতে পারে। তবে কারা আসছেন। কারা থাকছেন, আমার জানা নাই। জনতাই আমার শক্তি। আমি কিন্তু মানুষের কাছেই যাই। তাই বহিরাগতদের দিয়ে নির্বাচন করাব কেন? উনি কাকে বুঝিয়েছেন জানি না। কারণ আমার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে, মানুষও নারায়ণগঞ্জের। আমার বাড়ি রূপগঞ্জে না যে বহিরাগত কাউকে আনব।’
ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা হয়তো তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন কারণে হয়তো আসছেন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি। তাঁরাও কিন্তু জানেন আইভী কীভাবে রাজনীতি করে। কীভাবে ভোটারদের কাছে যায়। যদি তা না জানতেন, তাহলে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এই সময়ে আমাকে নৌকা দিতেন না। কারণ উনিও জানেন ওনার আইভী মানুষের দ্বারেই যায়। আমার একমাত্র পথ হলো জনগণ। তাই নেতারা আসতেই পারেন। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ কী করছে, তাদের অবস্থানটা কোথায়, এটা পর্যবেক্ষণ করতে তাঁরা আসতে পারেন। কিন্তু আমাকেও মুক্ত করে দিয়েছেন। আমি তো সারাক্ষণ ভোটারদের কাছে যাচ্ছি।’
কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বিরোধী পক্ষের অভিযোগে আপনারা বিব্রত কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকার পাশেই আসলে নারায়ণগঞ্জ। এখানে নির্বাচন হচ্ছে। আসতেই পারেন। দেখতেই পারেন। আর অনেকেই বলছেন এখানে নির্বাচন একটু ভিন্ন। তাই তাঁদের অনেকেই আসেন। আমাদের প্রতিপক্ষের কিন্তু অনেকেই আসেন। তাঁরা হয়তো নীরবে প্রচারণা করছেন।’
নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করছে বিরোধী পক্ষ। আপনি কি আশা করছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সব সময়ই নির্বাচনী সহিংসতার বিপক্ষে। উনি আমার চাচা। জন্মের পর থেকেই উনি মনে হয় আমাকে দেখছেন। এই বাড়িতে তিনি অনেকবার এসেছেন। আমার বাবার কর্মী ছিলেন। আমাদের বন্ধনটা অনেক আগের। যুদ্ধের ময়দানে হয়তো আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী।’
নির্বাচনে কোনো সহিংসতা হবে মনে করেন না জানিয়ে আইভী বলেন, ‘আমার কোনো বাহিনীও নাই। আর কোনো দিন সহিংসতা করিও না। বরং সহিংসতা হলে আমার ক্ষতি হবে। ভোটাররা আসতে পারবে না। আমি যদি বলি, একটি পক্ষ তা-ই চাইছে। আমার যেসব এলাকা জমজমাট, সেখানে হয়তো কেউ সহিংসতা করে ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দিতে পারে। ভোটের দিন যাতে উৎসবমুখর পরিবেশ থাকে এবং নারী ভোটাররা আসতে পারে। কারণ আমি জানি এই ভোটগুলো আমার। আমি নির্বাচনে জিতবই। সুতরাং আমার বিজয় সুনিশ্চিত জেনে কেউ যদি সহিংসতা করে, তাহলে এটা ঠিক হবে না। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করব তা নিয়ন্ত্রণ আনতে।’
কারা আপনার ভোটারদের বাধা দিচ্ছে, সেটা প্রতিপক্ষ নাকি নিজ দলের—এমন প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘যারা বাধা দিচ্ছে, তারা কিন্তু একটা সময়ে এক হয়ে যায়। আপন আর পর কী? এখানে তো নির্বাচনটা হচ্ছে আইভী বনাম অনেক কিছু। সে ক্ষেত্রে অনেক পক্ষই এক হতে পারে। আমি ধারণা করছি। আইভীকে পরাজিত করতে অনেক পক্ষই এক হয়ে গেছে। সেটা ঘরেরও হতে পারে, বাইরেরও হতে পারে। কীভাবে আমাকে পরাজিত করা যায়। বিশৃঙ্খলা করে ভোটটাকে ঝামেলা করা যায়। কারণ সবাই জানে আমার বিজয় সুনিশ্চিত।’
এই অনেক পক্ষ নিয়ে আপনি কি আপনার পুরোনো অবস্থানেই রয়েছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আমার আগের জায়গায় রয়েছি। প্রথম থেকে যা বলেছি, এখনো সেই জায়গায় আছি। বারবার বলেছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে সতর্ক থাকে।’
বহু পক্ষের খেলা বন্ধে কেন্দ্রীয় নেতারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে ওইভাবে আলাপ-আলোচনা করি নাই। কারণ বিগত ২৮ ডিসেম্বর থেকে খুবই ব্যস্ত ছিলাম। তা ছাড়া দলের উচ্চপর্যায়ের বিষয়ে আমার কথা না বলাই ভালো।’
আইভী বলেন, ‘নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক হয় এবং কোথাও কেন্দ্র বন্ধ না হয়, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমি লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হব। এটা আমার চাচা নিজেও জানেন, এখানে আসলে আমার কী অবস্থা।’
তৈমুর আলমের অভিযোগ আপনাকে মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি স্ট্রং পার্সোনালিটির মানুষ। আমার বন্ধন হলো তৃণমূল পর্যায় থেকে সব জায়গার মানুষের। আমাকে দুর্বল করা এত সহজ কিছু নয়। আমি কোনো কিছুতেই দুর্বল হব না। দুর্বল করতে পারবে না। কেউ প্রভাবিত করতে পারবে না।’
আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রশাসনের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না, তাঁরা কী আলাপ করেছেন। তাঁরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়েছেন। আমার বিজয় নিয়ে তারা শঙ্কিত ছিলেন না। তাঁরা ভালো করেই জানেন আইভী বিজয়ী হবে। আমার মনে হয় কেন্দ্রের নেতারা কাউকে প্রভাবিত করছেন। তারা হয়তো এখানে এসে কাউকে পর্যবেক্ষণ করছেন। কোনো বিশৃঙ্খলা যাতে তৈরি না হয়। এত বড় দলে একটু সমস্যা থাকেই। তাই তাঁরা সেটাই পর্যবেক্ষণ করছেন বলে আমার মনে হয়।’
তাঁরা নিজ দলের কাউকে নজরদারিতে রাখছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘তা ঠিক বলব না। কেন্দ্র কী করছে, তাঁরাই বলবেন। আমি তো আপনাদের সামাল দিতে ব্যস্ত আছি। প্রতিটি নির্বাচনই চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রতিটির আলাদা আলাদা ধরন ছিল। এই নির্বাচন বিভিন্ন কারণেই চ্যালেঞ্জিং।’
মানুষের প্রত্যাশা কেমন—এ বিষয়ে আইভী বলেন, ‘প্রত্যাশার কোনো শেষ নাই। আপনি যত দেবেন, আরও চাহিদা তৈরি হবে। নারায়ণগঞ্জ কিন্তু পুরোনো জনবহুল শহর। এখানে ভাসমান মানুষ অনেক। প্রতিদিনই বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। তার পরও চেষ্টা ইট-পাথরের এই শহরকে সবুজায়নের জন্য। বাংলাদেশের স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করা চ্যালেঞ্জিং। এখানে জবাবদিহিও বেশি। তাই আমি নগরকে একটু নিশ্বাস নেওয়ার জায়গা করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। শেখ রাসেল পার্ক করতে গিয়ে মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। কিন্তু কেউ রুখতে পারেনি। এখন তো সবাই যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে কাজ করা খুব কঠিন। সেটা নিয়ে কাজ করি। কোনো কাজ থেকে পিছপা হইনি।’
সমর্থকদের আটক সম্পর্কে তৈমুরের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাকে ধরেছে আমি জানি না। জানার চেষ্টাও করি নাই। নারায়ণগঞ্জ শহরে কিশোর গ্যাংয়ের অভাব নাই। কালকে রাতেও মোটরসাইকেল মহড়া হয়েছে। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে নৌকার ভোট চাইছে। আমার গাড়ির সামনে দুইটা মোটরসাইকেল থাকুক তা-ও চাই না। এই শহরের মানুষ আমার চরিত্র জানে। আমি রিকশায় যাই, নিজে হাঁটি। হঠাৎ করে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে নৌকার ভোট চাওয়ার কারণটা কী? সন্ত্রাসী যেকোনো দলের হতে পারে। আমার চরিত্রের সঙ্গে যায় না। সেই কাজগুলো অতি উৎসাহী হয়ে কারা করছে? নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা আমি করি নাই। যদি কেউ করে, সেটা ঠিক রাখার দায়িত্ব প্রশাসনের। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হোক সবার চাওয়া। সন্ত্রাসীদের কোনো দল নাই। আমি তো ভয় পাচ্ছি কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা হয়ে আমার নির্বাচনে সমস্যা হয় নাকি। আমি বিজয়ী হব। চাচার সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে। তার সঙ্গে কাজ করব।’
সংখ্যালঘুদের ভোটে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে একটা অভিযোগ এসেছে। তিনি বলেন, ‘এটা খুব খারাপ। নেতারা গেলে মানুষ ভয় পায়। ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এটাকে বাধা দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে কে বা কারা টাকা দিচ্ছে জানি না। আমার টাকা নাই। থাকলেও দিতাম না। নির্বাচনে টাকা দেওয়া নীতি-নৈতিকতার ব্যাপার। খুবই বিব্রতকর। প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।’
শামীম ওসমানের অনুসারীরা কী কাজ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কে কাজ করেছে বা করে নাই। আমার দেখারও সময় ছিল না। কেন্দ্রীয় নেতারা এখানে ছিলেন। তাঁরা দেখবেন। আমি আওয়ামী লীগের সব কর্মীর প্রতি আহ্বান জানাব, তারা যেন আমাকে ভোট দেয়। আমি দলমতের ঊর্ধ্বে কাজ করেছি। ওই সিটে বসে দল, ধর্ম দেখি নাই। দায়িত্ব ইমানের সঙ্গে পালন করেছি। শুধু একজনের না, আমার দল আওয়ামী লীগের না, সবার কাছে ভোট চাই। এটা আমার অধিকার, আত্মিক সম্পর্কের দাবি। আপনারা আমাকে ভোট দেবেন। আমার কোনো বাহিনী নাই। তাই আমার জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আস্থা রয়েছে। সহিংসতা হলে তারা রোধ করবেন।’
জিতলে আগামী দিনের কার্যক্রম নিয়ে নাসিকের দুইবারের মেয়র বলেন, ‘আমি শীতলক্ষ্যার দিকে নজর দেব। কদমরসুল ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে উদ্বোধন হবে। ভোটারদের কাছে অনুরোধ, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ভোট দেবেন নৌকায়। আমি বিগত সময় থেকে অন্যায়ের বিপক্ষে সোচ্চার ছিলাম। যেটাতে সোচ্চার হওয়ার প্রয়োজন সেখানে হব। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করব না। এই শহরে খুন ও রাহাজানির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। নিজেও কখনো এটা করি না।’
ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলব, ‘আপনারা আইভীকে চেনেন ও জানেন। আমি আপনাদের মানুষ। নিজের দায়িত্ব ইমানের সঙ্গে পালন করেছি। টাকাপয়সার সঙ্গে লেনদেন ছিলাম না। কাজ করতে গেলে ভুলভ্রান্তি হতেই পারে। সেটাই হবে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ, সুন্দর, নিরাপদ ও সবুজ শহর গড়ার জন্য আপনারা আমাকে ভোট দেবেন। বিপদে আপনাদের পাশে থাকব। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি করব না। কারণ আমার কোনো বিশেষ বাহিনী নাই।’
আরও পড়ুন:

আবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে খুলে পড়ল ভারী বিয়ারিং প্যাড। এবার রাবার ও ইস্পাতের তৈরি শক্ত এ বস্তুর আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেছে এক পথচারীর। এতে দুজন আহত হয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
একসময় প্রবাস জীবনযাপন করেছেন, এরপর দেশে ফিরে ঘর বেঁধেছেন বছর পাঁচেক আগে। ঘরে আছে দুই সন্তান ও স্ত্রী। নিজে ভালো থাকা, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা আবুল কালাম চোকদারের জীবন থেমে গেল। গতকাল রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে যে বিয়ারিং প্যাড খুলে
৪ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া কংস নদের তীর দখল করে কারখানা গড়ে তুলছেন বলে অভিযোগ কবির মোস্তাক আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গ্রামটির সেতুর পাশে কংস নদের জায়গায় মাটি ভরাট, দেয়াল ও পিলার স্থাপন করে শিল্পকারখানা নির্মাণ করছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার প্রায় ২ লাখ মানুষের চিকিৎসার ভার এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাত্র তিনজন চিকিৎসকের ওপর। চিকিৎসক ও জনবল স্বল্পতায় বেহাল অবস্থায় চলছে ৫০ শয্যার এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে খুলে পড়ল ভারী বিয়ারিং প্যাড। এবার রাবার ও ইস্পাতের তৈরি শক্ত এ বস্তুর আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেছে এক পথচারীর। এতে দুজন আহত হয়েছেন।
গতকাল দুপুরের এ দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তার কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা মেট্রোরেল চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়। তবে বেলা ৩টার পর উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ফার্মগেট হয়ে পুরো রুটে আবার কখন ট্রেন চালু হবে, তা বিশদ পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে বলা যাবে না।
১৩ মাসে দুবার এমন গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম খুলে পড়ায় মেট্রোরেলের নিরাপত্তা- ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত বছর প্রথমবার প্যাড খুলে পড়ার পর খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে, নির্মাণকাজের সময়ই এ উপকরণটির মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, গতকাল দুপুর ১২টার কিছু আগে মেট্রোরেল চলার সময় ওপর থেকে হঠাৎ একটি বিয়ারিং প্যাড নিচে পড়ে পথচারী আবুল কালামের (৩৫) মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় কাছে থাকা আরও দুজন আহত হন এবং ফুটপাতসংলগ্ন একটি চায়ের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সঙ্গে থাকা পাসপোর্টের কথা উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তি শরীয়তপুরের বাসিন্দা আবুল কালাম।
মেট্রোরেলের লাইন যে কংক্রিটের কাঠামোর ওপর পাতা থাকে, তা হচ্ছে ভায়াডাক্ট। আর ভায়াডাক্টগুলো দাঁড়িয়ে থাকে বিশাল ও প্রশস্ত খুঁটি বা পিলারের ওপর। ভায়াডাক্ট ও পিলারের সংযোগস্থলের মধ্যে রাবার ও স্টিলের তৈরি ৮০ কেজি ওজনের বিয়ারিং প্যাড বসানো হয়। এটি ট্রেন চলাচলের সময় ওপরের কাঠামোর ভার নিচের পিলারে স্থানান্তর করে এবং কম্পন শোষণ করে। এতে কাঠামোর ক্ষয় ও সম্ভাব্য স্থানচ্যুতি রোধ করা যায়।
মেট্রোরেল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্রকৌশল সূত্র বলেছে, বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়া অত্যন্ত অস্বাভাবিক ঘটনা। বিষয়টি কাঠামোর নির্মাণত্রুটি নাকি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যর্থতা, তা খতিয়ে দেখা হবে।
জানা গেছে, মেট্রোরেলের দুই পিলারের মাঝখানে থাকা প্রতিটি স্প্যানের জন্য চারটি করে বিয়ারিং প্যাড রয়েছে। মেট্রোরেলের এ পর্যন্ত চালু হওয়া ৬ নম্বর লাইনটিতে (মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত) মোট পিলার আছে ৬২০টি।
তদন্ত কমিটি গঠন
এ ঘটনায় সাবেক মেট্রোরেল এমডি এবং বর্তমান সেতুসচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—বুয়েটের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) সহকারী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব এবং সড়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আসফিয়া সুলতানা। কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের কেউ কর্মক্ষম থাকলে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
দুর্ঘটনার পরপরই ফার্মগেটে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা। তিনি এ সময় বলেন, ‘এটা নির্মাণকাজের ত্রুটির জন্য হয়েছে নাকি নাশকতামূলক কিছু ঘটেছে, সেটি তদন্তে বের হবে। যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করা হবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সুপারিশ করা হবে।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিয়ারিং প্যাডের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ আলগা হয়ে পড়ে যাওয়া কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এটি রক্ষণাবেক্ষণে নজরদারির ঘাটতি বা নির্মাণপর্যায়ে মান নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতার ফল হতে পারে। এখন সবচেয়ে জরুরি হলো পুরো ট্র্যাকের নিরাপত্তা নিরীক্ষা করা।’
এবার বিয়ারিং প্যাড পড়েছে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে, যার অবস্থান ফার্মগেট স্টেশনের পশ্চিম পাশে। ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্যাড পড়েছিল ৪৩০ নম্বর পিলার থেকে। তবে সেবার কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তখন আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল ১১ ঘণ্টা।
প্যাড নিয়ে উদ্বেগ পুরনো
মে্ট্রোরেলের ভায়াডাক্টে ব্যবহৃত বিয়ারিং প্যাড নিয়ে নির্মাণের সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে এ ব্যাপারে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগে কারিগরি পরীক্ষা করে একাধিক প্যাডের মানে ঘাটতি পাওয়া যায়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু তখন অজ্ঞাত কারণে কেউ তাতে কর্ণপাত করেনি। তবে নতুন করে ‘উন্নত’ প্যাড আনার উদ্যোগের কথাও বলা হয়েছিল।
বুয়েটের ল্যাবে উত্তরা–আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা প্যাডের মান পরীক্ষা করা হয়েছিল। এসব প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল–থাই। তবে যখন অভিযোগ ওঠে, ততদিনে প্রায় আট কিলোমিটার উড়ালপথে প্যাড বসানোর কাজ হয়ে গিয়েছিল।
যাত্রীদের উদ্বেগ ও ভোগান্তি
বিচিত্র ধরনের এ দুর্ঘটনার পর মেট্রোরেলের নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজাদুল হক নামের এক যাত্রী লিখেছেন, ‘আমরা ভাবতাম মেট্রোরেল সবচেয়ে নিরাপদ। এখন ভয় লাগছে; যদি ট্র্যাকের নিচ থেকে কিছু খুলে পড়ে, তাহলে নিরাপত্তা কোথায়?’ স্টেশনের যাত্রীদের মধ্যেও এ নিয়ে গুঞ্জন চলে।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে হঠাৎ ট্রেন চলাচল বন্ধের পর ফার্মগেট ও মতিঝিল স্টেশন এলাকায় যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা যায়। অনেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বিকল্প পরিবহন খুঁজে নিতে বাধ্য হন। অফিস ছুটির পর নিয়মিত যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন।
গতকাল বিকেলে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ আপাতত বন্ধ থাকবে। আজ (রোববার) চালু করা সম্ভব হবে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পুরো রুট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তবে নির্দিষ্ট সময় এখনই বলা যাচ্ছে না।’

আবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে খুলে পড়ল ভারী বিয়ারিং প্যাড। এবার রাবার ও ইস্পাতের তৈরি শক্ত এ বস্তুর আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেছে এক পথচারীর। এতে দুজন আহত হয়েছেন।
গতকাল দুপুরের এ দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তার কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা মেট্রোরেল চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়। তবে বেলা ৩টার পর উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ফার্মগেট হয়ে পুরো রুটে আবার কখন ট্রেন চালু হবে, তা বিশদ পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে বলা যাবে না।
১৩ মাসে দুবার এমন গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম খুলে পড়ায় মেট্রোরেলের নিরাপত্তা- ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত বছর প্রথমবার প্যাড খুলে পড়ার পর খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে, নির্মাণকাজের সময়ই এ উপকরণটির মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, গতকাল দুপুর ১২টার কিছু আগে মেট্রোরেল চলার সময় ওপর থেকে হঠাৎ একটি বিয়ারিং প্যাড নিচে পড়ে পথচারী আবুল কালামের (৩৫) মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় কাছে থাকা আরও দুজন আহত হন এবং ফুটপাতসংলগ্ন একটি চায়ের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সঙ্গে থাকা পাসপোর্টের কথা উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তি শরীয়তপুরের বাসিন্দা আবুল কালাম।
মেট্রোরেলের লাইন যে কংক্রিটের কাঠামোর ওপর পাতা থাকে, তা হচ্ছে ভায়াডাক্ট। আর ভায়াডাক্টগুলো দাঁড়িয়ে থাকে বিশাল ও প্রশস্ত খুঁটি বা পিলারের ওপর। ভায়াডাক্ট ও পিলারের সংযোগস্থলের মধ্যে রাবার ও স্টিলের তৈরি ৮০ কেজি ওজনের বিয়ারিং প্যাড বসানো হয়। এটি ট্রেন চলাচলের সময় ওপরের কাঠামোর ভার নিচের পিলারে স্থানান্তর করে এবং কম্পন শোষণ করে। এতে কাঠামোর ক্ষয় ও সম্ভাব্য স্থানচ্যুতি রোধ করা যায়।
মেট্রোরেল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্রকৌশল সূত্র বলেছে, বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়া অত্যন্ত অস্বাভাবিক ঘটনা। বিষয়টি কাঠামোর নির্মাণত্রুটি নাকি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যর্থতা, তা খতিয়ে দেখা হবে।
জানা গেছে, মেট্রোরেলের দুই পিলারের মাঝখানে থাকা প্রতিটি স্প্যানের জন্য চারটি করে বিয়ারিং প্যাড রয়েছে। মেট্রোরেলের এ পর্যন্ত চালু হওয়া ৬ নম্বর লাইনটিতে (মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত) মোট পিলার আছে ৬২০টি।
তদন্ত কমিটি গঠন
এ ঘটনায় সাবেক মেট্রোরেল এমডি এবং বর্তমান সেতুসচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—বুয়েটের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) সহকারী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব এবং সড়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আসফিয়া সুলতানা। কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের কেউ কর্মক্ষম থাকলে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
দুর্ঘটনার পরপরই ফার্মগেটে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা। তিনি এ সময় বলেন, ‘এটা নির্মাণকাজের ত্রুটির জন্য হয়েছে নাকি নাশকতামূলক কিছু ঘটেছে, সেটি তদন্তে বের হবে। যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করা হবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সুপারিশ করা হবে।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিয়ারিং প্যাডের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ আলগা হয়ে পড়ে যাওয়া কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এটি রক্ষণাবেক্ষণে নজরদারির ঘাটতি বা নির্মাণপর্যায়ে মান নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতার ফল হতে পারে। এখন সবচেয়ে জরুরি হলো পুরো ট্র্যাকের নিরাপত্তা নিরীক্ষা করা।’
এবার বিয়ারিং প্যাড পড়েছে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে, যার অবস্থান ফার্মগেট স্টেশনের পশ্চিম পাশে। ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্যাড পড়েছিল ৪৩০ নম্বর পিলার থেকে। তবে সেবার কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তখন আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল ১১ ঘণ্টা।
প্যাড নিয়ে উদ্বেগ পুরনো
মে্ট্রোরেলের ভায়াডাক্টে ব্যবহৃত বিয়ারিং প্যাড নিয়ে নির্মাণের সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে এ ব্যাপারে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগে কারিগরি পরীক্ষা করে একাধিক প্যাডের মানে ঘাটতি পাওয়া যায়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু তখন অজ্ঞাত কারণে কেউ তাতে কর্ণপাত করেনি। তবে নতুন করে ‘উন্নত’ প্যাড আনার উদ্যোগের কথাও বলা হয়েছিল।
বুয়েটের ল্যাবে উত্তরা–আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা প্যাডের মান পরীক্ষা করা হয়েছিল। এসব প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল–থাই। তবে যখন অভিযোগ ওঠে, ততদিনে প্রায় আট কিলোমিটার উড়ালপথে প্যাড বসানোর কাজ হয়ে গিয়েছিল।
যাত্রীদের উদ্বেগ ও ভোগান্তি
বিচিত্র ধরনের এ দুর্ঘটনার পর মেট্রোরেলের নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজাদুল হক নামের এক যাত্রী লিখেছেন, ‘আমরা ভাবতাম মেট্রোরেল সবচেয়ে নিরাপদ। এখন ভয় লাগছে; যদি ট্র্যাকের নিচ থেকে কিছু খুলে পড়ে, তাহলে নিরাপত্তা কোথায়?’ স্টেশনের যাত্রীদের মধ্যেও এ নিয়ে গুঞ্জন চলে।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে হঠাৎ ট্রেন চলাচল বন্ধের পর ফার্মগেট ও মতিঝিল স্টেশন এলাকায় যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা যায়। অনেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বিকল্প পরিবহন খুঁজে নিতে বাধ্য হন। অফিস ছুটির পর নিয়মিত যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন।
গতকাল বিকেলে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ আপাতত বন্ধ থাকবে। আজ (রোববার) চালু করা সম্ভব হবে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পুরো রুট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তবে নির্দিষ্ট সময় এখনই বলা যাচ্ছে না।’

আমি সব সময়ই নির্বাচনী সহিংসতার বিপক্ষে। উনি আমার চাচা। জন্মের পর থেকেই উনি মনে হয় আমাকে দেখছেন। এই বাড়িতে তিনি অনেকবার এসেছেন। আমার বাবার কর্মী ছিলেন। আমাদের বন্ধনটা অনেক আগের। যুদ্ধের ময়দানে হয়তো আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী
১৪ জানুয়ারি ২০২২
একসময় প্রবাস জীবনযাপন করেছেন, এরপর দেশে ফিরে ঘর বেঁধেছেন বছর পাঁচেক আগে। ঘরে আছে দুই সন্তান ও স্ত্রী। নিজে ভালো থাকা, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা আবুল কালাম চোকদারের জীবন থেমে গেল। গতকাল রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে যে বিয়ারিং প্যাড খুলে
৪ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া কংস নদের তীর দখল করে কারখানা গড়ে তুলছেন বলে অভিযোগ কবির মোস্তাক আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গ্রামটির সেতুর পাশে কংস নদের জায়গায় মাটি ভরাট, দেয়াল ও পিলার স্থাপন করে শিল্পকারখানা নির্মাণ করছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার প্রায় ২ লাখ মানুষের চিকিৎসার ভার এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাত্র তিনজন চিকিৎসকের ওপর। চিকিৎসক ও জনবল স্বল্পতায় বেহাল অবস্থায় চলছে ৫০ শয্যার এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
৪ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

একসময় প্রবাস জীবনযাপন করেছেন, এরপর দেশে ফিরে ঘর বেঁধেছেন বছর পাঁচেক আগে। ঘরে আছে দুই সন্তান ও স্ত্রী। নিজে ভালো থাকা, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা আবুল কালাম চোকদারের জীবন থেমে গেল। গতকাল রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে যে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে, সেটির আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদার পাঁচ বছর আগে ঘর বেঁধেছিলেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকায়, প্রিয়ার সঙ্গে। ঘরে আছে দুই সন্তান আবদুল্লাহ ও ফারিয়া। বয়স যথাক্রমে ৪ ও ২ বছর। তাদের নিয়ে পাঠানটুলী এলাকায় মনোয়ার ভিলায় থাকতেন।
গতকাল সেই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, আবুল কালামের শাশুড়ি রিনা আক্তার বিলাপ করছেন। আর স্বামীর লাশের পাশে আর্তনাদ করছেন প্রিয়া।
প্রিয়ার বোন নুসরাত বলেন, ‘কালাম ভাই ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন। এখন আমার বড় বোন অসহায় হয়ে গেল। ছেলেমেয়েদের নিয়ে কীভাবে থাকবে? আমার বাবা ইতালি থাকেন। আমাদের কোনো ভাই নেই। উনিই আমাদের ভাইয়ের অভাব পূরণ করেছিলেন।’
নিহত কালামের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামের জলিল চোকদার ও হনুফা বেগম দম্পতির ছেলে আবুল কালাম চোকদার। চার ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে কালাম ভাইদের মধ্যে ছোট। প্রায় ১৫ বছর আগে তাঁর বাবা ও মা মারা যান।
কালামের চার ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই ইলিয়াস চোকদার চাঁদপুরে সিলভারের ব্যবসা করেন এবং পরিবার নিয়ে সেখানেই থাকেন। বাড়িতে তাঁর একটি ঘর রয়েছে এবং মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়ি আসেন।
মেজ ভাই খোকন চোকদার বাড়িতেই থাকেন এবং কৃষিকাজ করে সংসার চালান। তাঁকে মাঝেমধ্যে আর্থিক সহযোগিতা করতেন আবুল কালাম।
আবুল কালাম ছয়-সাত বছর আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসেন। এরপর তিনি আর বিদেশে যাননি। ঢাকাতেই জনশক্তি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ফার্মগেট এলাকায় তিনি একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন। স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকায়। গ্রামে থাকা মেজ ভাইয়ের সংসারের জন্যও নিয়মিত টাকা পাঠাতেন তিনি।
কালামের ভাবি আসমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে ফোনে কথা হইছিল। আমি বলছিলাম, ভাইয়ের সাথে কথা বলো, বাড়িতে চলে আসো। সে বলেছিল, কয়েক দিনের মধ্যেই আসব। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর শুনি—মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে মারা গেছে।’
সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসমা বলেন, ‘আমাদের সংসারের হাল ও-ই ধরেছিল। এখন ওর সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।’
ছোটবেলা থেকে কালাম পরিশ্রমী ছিলেন বলে জানান তাঁর চাচাতো ভাই আব্দুল গণি মিয়া চোকদার। তিনি বলেন, ‘সংসারের বোঝা একা কাঁধে নিয়েছিল সে। হঠাৎ এমন মৃত্যুকে মেনে নেওয়া কঠিন।’
গতকাল রাত ১০টায় পাঠানটুলীর বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে কালামের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর তাঁর মরদেহ শরীয়তপুরে নিজ গ্রামে নেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আজ সোমবার সকাল ৯টায় নড়িয়া পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।

একসময় প্রবাস জীবনযাপন করেছেন, এরপর দেশে ফিরে ঘর বেঁধেছেন বছর পাঁচেক আগে। ঘরে আছে দুই সন্তান ও স্ত্রী। নিজে ভালো থাকা, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা আবুল কালাম চোকদারের জীবন থেমে গেল। গতকাল রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে যে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে, সেটির আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদার পাঁচ বছর আগে ঘর বেঁধেছিলেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকায়, প্রিয়ার সঙ্গে। ঘরে আছে দুই সন্তান আবদুল্লাহ ও ফারিয়া। বয়স যথাক্রমে ৪ ও ২ বছর। তাদের নিয়ে পাঠানটুলী এলাকায় মনোয়ার ভিলায় থাকতেন।
গতকাল সেই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, আবুল কালামের শাশুড়ি রিনা আক্তার বিলাপ করছেন। আর স্বামীর লাশের পাশে আর্তনাদ করছেন প্রিয়া।
প্রিয়ার বোন নুসরাত বলেন, ‘কালাম ভাই ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন। এখন আমার বড় বোন অসহায় হয়ে গেল। ছেলেমেয়েদের নিয়ে কীভাবে থাকবে? আমার বাবা ইতালি থাকেন। আমাদের কোনো ভাই নেই। উনিই আমাদের ভাইয়ের অভাব পূরণ করেছিলেন।’
নিহত কালামের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামের জলিল চোকদার ও হনুফা বেগম দম্পতির ছেলে আবুল কালাম চোকদার। চার ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে কালাম ভাইদের মধ্যে ছোট। প্রায় ১৫ বছর আগে তাঁর বাবা ও মা মারা যান।
কালামের চার ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই ইলিয়াস চোকদার চাঁদপুরে সিলভারের ব্যবসা করেন এবং পরিবার নিয়ে সেখানেই থাকেন। বাড়িতে তাঁর একটি ঘর রয়েছে এবং মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়ি আসেন।
মেজ ভাই খোকন চোকদার বাড়িতেই থাকেন এবং কৃষিকাজ করে সংসার চালান। তাঁকে মাঝেমধ্যে আর্থিক সহযোগিতা করতেন আবুল কালাম।
আবুল কালাম ছয়-সাত বছর আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসেন। এরপর তিনি আর বিদেশে যাননি। ঢাকাতেই জনশক্তি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ফার্মগেট এলাকায় তিনি একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন। স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকায়। গ্রামে থাকা মেজ ভাইয়ের সংসারের জন্যও নিয়মিত টাকা পাঠাতেন তিনি।
কালামের ভাবি আসমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে ফোনে কথা হইছিল। আমি বলছিলাম, ভাইয়ের সাথে কথা বলো, বাড়িতে চলে আসো। সে বলেছিল, কয়েক দিনের মধ্যেই আসব। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর শুনি—মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে মারা গেছে।’
সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসমা বলেন, ‘আমাদের সংসারের হাল ও-ই ধরেছিল। এখন ওর সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।’
ছোটবেলা থেকে কালাম পরিশ্রমী ছিলেন বলে জানান তাঁর চাচাতো ভাই আব্দুল গণি মিয়া চোকদার। তিনি বলেন, ‘সংসারের বোঝা একা কাঁধে নিয়েছিল সে। হঠাৎ এমন মৃত্যুকে মেনে নেওয়া কঠিন।’
গতকাল রাত ১০টায় পাঠানটুলীর বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে কালামের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর তাঁর মরদেহ শরীয়তপুরে নিজ গ্রামে নেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আজ সোমবার সকাল ৯টায় নড়িয়া পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।

আমি সব সময়ই নির্বাচনী সহিংসতার বিপক্ষে। উনি আমার চাচা। জন্মের পর থেকেই উনি মনে হয় আমাকে দেখছেন। এই বাড়িতে তিনি অনেকবার এসেছেন। আমার বাবার কর্মী ছিলেন। আমাদের বন্ধনটা অনেক আগের। যুদ্ধের ময়দানে হয়তো আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী
১৪ জানুয়ারি ২০২২
আবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে খুলে পড়ল ভারী বিয়ারিং প্যাড। এবার রাবার ও ইস্পাতের তৈরি শক্ত এ বস্তুর আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেছে এক পথচারীর। এতে দুজন আহত হয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া কংস নদের তীর দখল করে কারখানা গড়ে তুলছেন বলে অভিযোগ কবির মোস্তাক আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গ্রামটির সেতুর পাশে কংস নদের জায়গায় মাটি ভরাট, দেয়াল ও পিলার স্থাপন করে শিল্পকারখানা নির্মাণ করছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার প্রায় ২ লাখ মানুষের চিকিৎসার ভার এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাত্র তিনজন চিকিৎসকের ওপর। চিকিৎসক ও জনবল স্বল্পতায় বেহাল অবস্থায় চলছে ৫০ শয্যার এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
৪ ঘণ্টা আগেসাইফুল আরিফ জুয়েল, নেত্রকোনা

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া কংস নদের তীর দখল করে কারখানা গড়ে তুলছেন বলে অভিযোগ কবির মোস্তাক আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গ্রামটির সেতুর পাশে কংস নদের জায়গায় মাটি ভরাট, দেয়াল ও পিলার স্থাপন করে শিল্পকারখানা নির্মাণ করছেন তিনি। এতে নদের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোস্তাক আহম্মেদ একজন শিল্পপতি। তিনি মল্লিকপুর গ্রামের মৃত রেহান উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। বর্তমানে সপরিবারে ঢাকায় থাকেন।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের (দক্ষিণ পাড়া) সেতুর পাশে নদের পাড়ঘেঁষে প্রায় দুই একরের বেশি জায়গাজুড়ে কারখানা স্থাপন করছেন কবির মোস্তাক আহমেদ। কয়েক মাস আগে নিজের জায়গার পাশে নদের ৫৫ শতাংশ জায়গা দখল করে দেয়াল তোলেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ জানালেও মোস্তাকের অনুসারীরা তাদের হুমকিধমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, এ নদী শুধু কৃষির জন্যই নয়, বরং হাজারো মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। কেউ মাছ ধরে, কেউ গোসল বা গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করে নদের পানি। পানির এই প্রবাহ রুদ্ধ হলে কংস একদিন মরে যাবে—এমন আশঙ্কা স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা রিপন মিয়া বলেন, ‘এ নদ ছাড়া আমাদের জীবন কল্পনা করা যায় না। এখন দেয়াল তুলছে, পিলার (প্রাচীর) বসাচ্ছে; আমরা ভয় পাচ্ছি, আর কিছুদিন পর হয়তো নদটাই থাকবে না। বিষয়টি নিয়ে কথা বললেও কবির মোস্তাকের অনুসারীরা হুমকিধমকি দেন। আমরা চাই প্রশাসন যেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়।’ আরেক বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, কারখানা করবে ভালো কথা, সেটা নিজের জায়গায় করুক। নদের অর্ধেক অংশ দখল করে দেয়াল তোলা হয়েছে। এতে চিরকালের জন্য কংস নদ হারিয়ে যাবে।
শফিক মিয়া বলেন, ‘দখল বন্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে কংস নদ হারিয়ে যাবে’এ বিষয়ে কথা বলতে পরপর তিন দিন একাধিকবার কল করা হলেও মোস্তাক আহম্মেদ রিসিভ করেননি।
অভিযোগ রয়েছে, চার মাস আগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীমা আফরোজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এত দিনেও কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে।
সিংধা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা উজ্জ্বল দত্ত বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাকে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীমা আফরোজ মহোদয়। সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্র যাচাই করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই জায়গার নকশাসহ প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছি। সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জায়গাটি পরিমাপ করে নিশ্চিত হতে হবে। পরে উচ্ছেদ নোটিশ পাঠানো হবে। কাগজপত্র দেখে যতটুকু জেনেছি নদের বেশ অনেকটা অংশ ওই দেয়ালের ভেতর পড়েছে। ওখানে ৫৫ শতক জায়গা রয়েছে। সম্প্রতি সহকারী কমিশনার (ভূমি) বদলি হয়েছেন। নতুন একজন যোগদান করলে আবার এ বিষয়ে কাজ শুরু হবে।’
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খবিরুল আহসান বলেন, কংস নদের জায়গা দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ নথি তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। যেকোনো সময় উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হবে।

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া কংস নদের তীর দখল করে কারখানা গড়ে তুলছেন বলে অভিযোগ কবির মোস্তাক আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গ্রামটির সেতুর পাশে কংস নদের জায়গায় মাটি ভরাট, দেয়াল ও পিলার স্থাপন করে শিল্পকারখানা নির্মাণ করছেন তিনি। এতে নদের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোস্তাক আহম্মেদ একজন শিল্পপতি। তিনি মল্লিকপুর গ্রামের মৃত রেহান উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। বর্তমানে সপরিবারে ঢাকায় থাকেন।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের (দক্ষিণ পাড়া) সেতুর পাশে নদের পাড়ঘেঁষে প্রায় দুই একরের বেশি জায়গাজুড়ে কারখানা স্থাপন করছেন কবির মোস্তাক আহমেদ। কয়েক মাস আগে নিজের জায়গার পাশে নদের ৫৫ শতাংশ জায়গা দখল করে দেয়াল তোলেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ জানালেও মোস্তাকের অনুসারীরা তাদের হুমকিধমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, এ নদী শুধু কৃষির জন্যই নয়, বরং হাজারো মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। কেউ মাছ ধরে, কেউ গোসল বা গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করে নদের পানি। পানির এই প্রবাহ রুদ্ধ হলে কংস একদিন মরে যাবে—এমন আশঙ্কা স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা রিপন মিয়া বলেন, ‘এ নদ ছাড়া আমাদের জীবন কল্পনা করা যায় না। এখন দেয়াল তুলছে, পিলার (প্রাচীর) বসাচ্ছে; আমরা ভয় পাচ্ছি, আর কিছুদিন পর হয়তো নদটাই থাকবে না। বিষয়টি নিয়ে কথা বললেও কবির মোস্তাকের অনুসারীরা হুমকিধমকি দেন। আমরা চাই প্রশাসন যেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়।’ আরেক বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, কারখানা করবে ভালো কথা, সেটা নিজের জায়গায় করুক। নদের অর্ধেক অংশ দখল করে দেয়াল তোলা হয়েছে। এতে চিরকালের জন্য কংস নদ হারিয়ে যাবে।
শফিক মিয়া বলেন, ‘দখল বন্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে কংস নদ হারিয়ে যাবে’এ বিষয়ে কথা বলতে পরপর তিন দিন একাধিকবার কল করা হলেও মোস্তাক আহম্মেদ রিসিভ করেননি।
অভিযোগ রয়েছে, চার মাস আগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীমা আফরোজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এত দিনেও কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে।
সিংধা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা উজ্জ্বল দত্ত বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাকে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীমা আফরোজ মহোদয়। সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্র যাচাই করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই জায়গার নকশাসহ প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছি। সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জায়গাটি পরিমাপ করে নিশ্চিত হতে হবে। পরে উচ্ছেদ নোটিশ পাঠানো হবে। কাগজপত্র দেখে যতটুকু জেনেছি নদের বেশ অনেকটা অংশ ওই দেয়ালের ভেতর পড়েছে। ওখানে ৫৫ শতক জায়গা রয়েছে। সম্প্রতি সহকারী কমিশনার (ভূমি) বদলি হয়েছেন। নতুন একজন যোগদান করলে আবার এ বিষয়ে কাজ শুরু হবে।’
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খবিরুল আহসান বলেন, কংস নদের জায়গা দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ নথি তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। যেকোনো সময় উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হবে।

আমি সব সময়ই নির্বাচনী সহিংসতার বিপক্ষে। উনি আমার চাচা। জন্মের পর থেকেই উনি মনে হয় আমাকে দেখছেন। এই বাড়িতে তিনি অনেকবার এসেছেন। আমার বাবার কর্মী ছিলেন। আমাদের বন্ধনটা অনেক আগের। যুদ্ধের ময়দানে হয়তো আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী
১৪ জানুয়ারি ২০২২
আবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে খুলে পড়ল ভারী বিয়ারিং প্যাড। এবার রাবার ও ইস্পাতের তৈরি শক্ত এ বস্তুর আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেছে এক পথচারীর। এতে দুজন আহত হয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
একসময় প্রবাস জীবনযাপন করেছেন, এরপর দেশে ফিরে ঘর বেঁধেছেন বছর পাঁচেক আগে। ঘরে আছে দুই সন্তান ও স্ত্রী। নিজে ভালো থাকা, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা আবুল কালাম চোকদারের জীবন থেমে গেল। গতকাল রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে যে বিয়ারিং প্যাড খুলে
৪ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার প্রায় ২ লাখ মানুষের চিকিৎসার ভার এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাত্র তিনজন চিকিৎসকের ওপর। চিকিৎসক ও জনবল স্বল্পতায় বেহাল অবস্থায় চলছে ৫০ শয্যার এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
৪ ঘণ্টা আগেমো. মাহমুদুল হক মানিক

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার প্রায় ২ লাখ মানুষের চিকিৎসার ভার এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাত্র তিনজন চিকিৎসকের ওপর। চিকিৎসক ও জনবল স্বল্পতায় বেহাল অবস্থায় চলছে ৫০ শয্যার এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
জানা গেছে, জেলার বিরামপুর উপজেলাটি পার্শ্ববর্তী কয়েকটি উপজেলার কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত। ভালো যোগাযোগব্যবস্থার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিরামপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ ও হাকিমপুর উপজেলার অসংখ্য রোগী প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু চিকিৎসক ও জনবলসংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে, ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে মেডিকেল কর্মকর্তা, কনসালট্যান্ট, সহকারী সার্জনসহ মোট ২৫ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছাড়া মাত্র তিনজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা। চিকিৎসক সংকটের কারণে হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে প্রতিদিন রোগীদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম কর্তব্যরতরা।
এ দিকে গাইনি ও অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে সিজারিয়ান অপারেশন। এ ছাড়া হাসপাতালের নার্স, ওয়ার্ড বয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কয়েকটি পদও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য।
চিকিৎসা নিতে আসা আতিকুর রহমানসহ কয়েকজন রোগী বলেন, সামর্থ্যবানরা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা করালেও গরিব রোগীদের ভরসা এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু এখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় ৫৬ কিলোমিটার দূরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের পাঠানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) শাহরিয়ার পারভেজ বলেন, ‘চিকিৎসক ও জনবলসংকটে দিনরাত রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিরামপুর উপজেলার একটি পৌরসভা, সাতটি ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলার ৫০০-৬০০ রোগীকে প্রতিদিন আউটডোরে এবং প্রায় ৬০ জন ভর্তি রোগীকে ইনডোরে চিকিৎসা দিতে হয়। মাত্র তিনজন চিকিৎসক দিয়ে এত রোগীকে সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
মেডিকেল কর্মকর্তা আরও বলেন, চিকিৎসক ও জনবলসংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল সংযুক্ত করা হলে রোগীরা ভোগান্তিহীনভাবে চিকিৎসাসেবা পাবেন।

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার প্রায় ২ লাখ মানুষের চিকিৎসার ভার এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাত্র তিনজন চিকিৎসকের ওপর। চিকিৎসক ও জনবল স্বল্পতায় বেহাল অবস্থায় চলছে ৫০ শয্যার এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
জানা গেছে, জেলার বিরামপুর উপজেলাটি পার্শ্ববর্তী কয়েকটি উপজেলার কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত। ভালো যোগাযোগব্যবস্থার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিরামপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ ও হাকিমপুর উপজেলার অসংখ্য রোগী প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু চিকিৎসক ও জনবলসংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে, ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে মেডিকেল কর্মকর্তা, কনসালট্যান্ট, সহকারী সার্জনসহ মোট ২৫ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছাড়া মাত্র তিনজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা। চিকিৎসক সংকটের কারণে হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে প্রতিদিন রোগীদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম কর্তব্যরতরা।
এ দিকে গাইনি ও অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে সিজারিয়ান অপারেশন। এ ছাড়া হাসপাতালের নার্স, ওয়ার্ড বয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কয়েকটি পদও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য।
চিকিৎসা নিতে আসা আতিকুর রহমানসহ কয়েকজন রোগী বলেন, সামর্থ্যবানরা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা করালেও গরিব রোগীদের ভরসা এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু এখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় ৫৬ কিলোমিটার দূরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের পাঠানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) শাহরিয়ার পারভেজ বলেন, ‘চিকিৎসক ও জনবলসংকটে দিনরাত রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিরামপুর উপজেলার একটি পৌরসভা, সাতটি ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলার ৫০০-৬০০ রোগীকে প্রতিদিন আউটডোরে এবং প্রায় ৬০ জন ভর্তি রোগীকে ইনডোরে চিকিৎসা দিতে হয়। মাত্র তিনজন চিকিৎসক দিয়ে এত রোগীকে সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
মেডিকেল কর্মকর্তা আরও বলেন, চিকিৎসক ও জনবলসংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল সংযুক্ত করা হলে রোগীরা ভোগান্তিহীনভাবে চিকিৎসাসেবা পাবেন।

আমি সব সময়ই নির্বাচনী সহিংসতার বিপক্ষে। উনি আমার চাচা। জন্মের পর থেকেই উনি মনে হয় আমাকে দেখছেন। এই বাড়িতে তিনি অনেকবার এসেছেন। আমার বাবার কর্মী ছিলেন। আমাদের বন্ধনটা অনেক আগের। যুদ্ধের ময়দানে হয়তো আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী
১৪ জানুয়ারি ২০২২
আবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে খুলে পড়ল ভারী বিয়ারিং প্যাড। এবার রাবার ও ইস্পাতের তৈরি শক্ত এ বস্তুর আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেছে এক পথচারীর। এতে দুজন আহত হয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
একসময় প্রবাস জীবনযাপন করেছেন, এরপর দেশে ফিরে ঘর বেঁধেছেন বছর পাঁচেক আগে। ঘরে আছে দুই সন্তান ও স্ত্রী। নিজে ভালো থাকা, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা আবুল কালাম চোকদারের জীবন থেমে গেল। গতকাল রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে যে বিয়ারিং প্যাড খুলে
৪ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া কংস নদের তীর দখল করে কারখানা গড়ে তুলছেন বলে অভিযোগ কবির মোস্তাক আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গ্রামটির সেতুর পাশে কংস নদের জায়গায় মাটি ভরাট, দেয়াল ও পিলার স্থাপন করে শিল্পকারখানা নির্মাণ করছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে