সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। আজ শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে এমনটিই দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দূরপাল্লার বাস না থাকায় অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন যাত্রীরা।
অভিযোগ করে একাধিক যাত্রী জানান, সড়কে যাত্রী বেশি, তবে যানবাহনের সংখ্যা কম। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের মালিকেরা। তবুও দূরপাল্লার বাস না থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে তাঁদের। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
অ্যাম্বুলেন্সে থাকা আরিফ নামে এক যাত্রী বলেন, ‘আমি চিটাগাং যাব। কিন্তু সড়কে বাস নেই। বাসের অপেক্ষায় দীর্ঘ তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম। এখন বাধ্য হয়ে ৭০০ টাকার ভাড়ার বিপরীতে আরও অতিরিক্ত ৮০০ টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে যাচ্ছি।’
মোস্তফা নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘আমি আমার পরিবার নিয়ে ফেনীতে যাব। কিন্তু আজ সকাল থেকে কোনো গাড়ি পাইনি। তাই এখন বিকল্পভাবে ভাড়া বেশি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে যাচ্ছি।’
এ বিষয়ে শিমরাইল ক্যাম্পের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) একেএম শরফুদ্দীন জানান, আজ সকাল থেকেই সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রী কম থাকায় হয়তো যানবাহন কম রয়েছে। তবে কী কারণে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে তা তিনি জানেন না বলেও জানিয়েছেন।
ট্রাফিক পরিদর্শক আরও জানান, অ্যাম্বুলেন্সে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাত্রী পারাপারের বিষয়টি জানেন না তিনি। তবে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
বিএনপির সমাবেশ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। আজ শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে এমনটিই দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দূরপাল্লার বাস না থাকায় অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন যাত্রীরা।
অভিযোগ করে একাধিক যাত্রী জানান, সড়কে যাত্রী বেশি, তবে যানবাহনের সংখ্যা কম। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের মালিকেরা। তবুও দূরপাল্লার বাস না থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে তাঁদের। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
অ্যাম্বুলেন্সে থাকা আরিফ নামে এক যাত্রী বলেন, ‘আমি চিটাগাং যাব। কিন্তু সড়কে বাস নেই। বাসের অপেক্ষায় দীর্ঘ তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম। এখন বাধ্য হয়ে ৭০০ টাকার ভাড়ার বিপরীতে আরও অতিরিক্ত ৮০০ টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে যাচ্ছি।’
মোস্তফা নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘আমি আমার পরিবার নিয়ে ফেনীতে যাব। কিন্তু আজ সকাল থেকে কোনো গাড়ি পাইনি। তাই এখন বিকল্পভাবে ভাড়া বেশি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে যাচ্ছি।’
এ বিষয়ে শিমরাইল ক্যাম্পের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) একেএম শরফুদ্দীন জানান, আজ সকাল থেকেই সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রী কম থাকায় হয়তো যানবাহন কম রয়েছে। তবে কী কারণে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে তা তিনি জানেন না বলেও জানিয়েছেন।
ট্রাফিক পরিদর্শক আরও জানান, অ্যাম্বুলেন্সে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাত্রী পারাপারের বিষয়টি জানেন না তিনি। তবে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
বিএনপির সমাবেশ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

খেলার মাঠ উধাও। কার্যত বিলুপ্ত পাড়াভিত্তিক পাঠাগার সংস্কৃতি। স্কুলের সীমিত পরিসর ছাড়া সাংস্কৃতিক আয়োজনও তেমন নেই। এই পরিবেশে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে চোখ রেখে বেড়ে উঠছে শহুরে নতুন প্রজন্ম। শহরতলি বা গ্রামের পরিবেশও সে পথের দিকেই ছুটছে।
১৪ মিনিট আগে
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়ন। এক পাশে পদ্মা নদী, অন্য পাশে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। তবে রেল সড়ক নির্মাণের পর দুর্ভোগে পড়েছেন এই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ।
৪৪ মিনিট আগে
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না করায় পুলিশ হত্যা মামলা করেছে। নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরের ডাকবাংলো মোড়ে একটি হোটেলে ঢুকে চার কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় লাভলু হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, দুপুরে হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকে কেন্দ্র করে কয়েক যুবকের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
৫ ঘণ্টা আগেশরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

খেলার মাঠ উধাও। কার্যত বিলুপ্ত পাড়াভিত্তিক পাঠাগার সংস্কৃতি। স্কুলের সীমিত পরিসর ছাড়া সাংস্কৃতিক আয়োজনও তেমন নেই। এই পরিবেশে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে চোখ রেখে বেড়ে উঠছে শহুরে নতুন প্রজন্ম। শহরতলি বা গ্রামের পরিবেশও সে পথের দিকেই ছুটছে।
কয়েক দশক ধরে শিশু-কিশোরদের মানস গঠনে বড় ভূমিকা রেখে এসেছিল বিভিন্ন সংগঠন। সংস্কৃতির পাশাপাশি খেলাধুলার চর্চার মধ্য দিয়ে সুস্থ শরীর ও মন তৈরির কার্যক্রম ছিল তাদের। এগুলোর বেশির ভাগ এখন চলছে ধুঁকে ধুঁকে। পর্যবেক্ষকেরা বলেন, সংগঠনগুলোর কার্যক্রমের কথা দূরে থাক, তাদের নামও এ প্রজন্মের কয়জন অভিভাবকের জানা আছে, তা গবেষণার বিষয় হতে পারে। পর্যবেক্ষকদের মতে, সমাজের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাবও প্রতিনিয়ত প্রকাশ পাচ্ছে নানাভাবে।
শিশু-কিশোরদের নিয়ে কাজ করা সংগঠকেরা এই পরিস্থিতির নানা কারণ উল্লেখ করেছেন। তাঁদের মতে, শিশুদের নিয়ে ভাববার মানুষ ও প্রতিষ্ঠান—দুই-ই কমছে। পরিবার থেকে সন্তানের মানস গঠন ও সামাজিকীকরণের কাজ যথাযথভাবে হচ্ছে না। জীবনযাপনের চাপ, স্মার্টফোনসহ ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাব এর জন্য অনেকটা দায়ী।
দেশের অন্যতম প্রধান শিশু-কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার সভাপতি ও সাবেক সচিব খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামানের সঙ্গে আলাপচারিতা হয় এ নিয়ে। আলাপে উঠে আসে শিশু সংগঠনগুলোর বর্তমান অবস্থা এবং সমাজজীবনের রূঢ় বাস্তবতা। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি ছিল আশীর্বাদ। কিন্তু তার অপব্যবহার সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কয়জন বাবা-মা আলাদা করে শিশুদের সময় দেন? বেশির ভাগ পেশা-সংসারের কাজের বাইরে যতটুকু সময় পান, তা মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাটান। সন্তানের মানস গঠনে সংগঠন চর্চা কিংবা পাঠ্যবইয়ের বাইরের কার্যক্রমের গুরুত্ব কতটা, তা অনেক বাবা-মা জানেন না।’
কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার যাত্রা শুরু হয় ১৯৫৬ সালে। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিলেন কবি সুফিয়া কামাল, বিজ্ঞানী, লেখক আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দীনসহ তখনকার বিশিষ্টজনেরা। দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় এর বছর দেড়েক আগে চালু হয়েছিল ছোটদের বিভাগ ‘কচি-কাঁচার আসর’। এই শিশুদের পাতাকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির জন্ম হয়। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পান সাংবাদিক ছড়াকার রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই। ‘কচি-কাঁচার আসর’ পাতার সম্পাদক ছিলেন তিনিই। ধীরে ধীরে এই সংগঠন মহিরুহে পরিণত হয়। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, কবি জসীমউদ্দীন, অধ্যাপক অজিত কুমার গুহ, শিল্পী কামরুল হাসান, সওগাত সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন, ড. কুদরাত-এ-খুদাসহ সমাজের নিজ নিজ ক্ষেত্রের খ্যাতিমান মানুষেরা যুক্ত হন এই সংগঠনের সঙ্গে। দাদাভাই নিজে একবার লিখেছিলেন, সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল, ‘এর সদস্যদের এই সংগঠনের মাধ্যমে প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনা ও দেশাত্মবোধে উদ্ধুদ্ধ করা।’
এর কয়েক বছর আগে দৈনিক সংবাদের শিশুদের পাতা ‘খেলাঘর’ থেকে জন্ম হয়েছিল আরেকটি বড় ও সফল শিশু সংগঠনের। কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর নামে সংগঠনটির যাত্রা শুরু ১৯৫২ সালে। এর পরিকল্পনাকারীরা ছিলেন শহীদুল্লা কায়সার, সত্যেন সেন, রণেশ দাসগুপ্ত, জহির রায়হানদের মতো স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব।
ক্রমে দেশজুড়ে শাখা ও কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ে শিশু সংগঠন দুটির। দেশের শিশু-কিশোরদের মেধা ও মনন গঠনে বিশাল অবদান রাখেন এদের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্টজনেরা। কিন্তু সাত দশকের পথচলার পর সংগঠনগুলোর সেই কার্যক্রম এখন অনেকটাই ম্রিয়মাণ। বদলে যাওয়া সামাজিক প্রেক্ষাপট, অর্থনৈতিক সক্ষমতার ঘাটতি এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে কেন্দ্রীয় কঁচি-কাচার মেলা, খেলাঘরসহ সব সংগঠনই কমবেশি সংকটে। এসব সংগঠনে সবাই স্বেচ্ছাসেবী। কেউ কোনো আর্থিক সুবিধা নেন না। কিন্তু বিনা লাভে দেশজাতির সেবা করার মানুষ এ সমাজে কমে এসেছে। খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামানের ভাষায়, ‘এখন কেউ যেকোনো কাজ করতে গেলে আগে ভাবে, এখান থেকে তার প্রাপ্তি কী? নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মানুষ কই?’
কেন্দ্রীয় কঁচি-কাচার মেলার গৌরবের দিনে এর প্রায় ৪০০টি শাখা ছিল। সেখান থেকে বর্তমানে শ খানেকে নেমে এসেছে। তবু আশাবাদী কচি-কাঁচার মেলার সংগঠকেরা। সহসভাপতি আলপনা চৌধুরী বললেন, ‘অন্ধকারের মধ্যেও আমরা আশার আলো দেখি। এখনো অনেক অভিভাবক আছেন, যাঁরা চান, তাঁদের সন্তানেরা মনন, শিল্প-সংস্কৃতির মধ্যে থেকে বেড়ে উঠুক। তাই আশার আলো জ্বালিয়ে রাখতে চাই আমরা।’
ইস্কাটনের গাউসনগরে খেলাঘরের কার্যালয়ে কথা হলো সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহার সঙ্গে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনিও আঁকলেন নিরাশার ছবি। বললেন, ‘ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসছে শিশুসংগঠনগুলোর কার্যক্রম। শিশুদের নিয়ে ভাবার যেন কেউ নেই। এখন পড়ালেখার বাইরে শিক্ষার্থীদের যেন আর কিছুই করার নেই! এ কেমন সমাজের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ?’
প্রণয় সাহা আক্ষেপ করে আরও বললেন, ‘তরুণদের সামনে এখন লক্ষ্য—কীভাবে অনেক অর্থসম্পদের মালিক হওয়া যায়। স্কুল-কলেজের কথা আর কী বলব। কোচিং, নিয়মিত ক্লাস—এগুলো করতেই সময় শেষ। বাচ্চারাই প্রাণ, তারা না এলে সংগঠন টিকবে কীভাবে!’
প্রসঙ্গক্রমে খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক বললেন সাম্প্রতিককালে দেশে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের চর্চা সংকুচিত হওয়ার কথাও। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পরে অরাজনৈতিক কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এমন কিছু সংগঠনের অনুষ্ঠানও ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ ট্যাগ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
নৃত্য পরিচালক আতিকুর রহমান উজ্জ্বলের ঢাকায় তিনটি সংগঠন রয়েছে। পলাশীতে ভোরের পাখি নৃত্যকলা কেন্দ্র, কাটাবনে নৃত্যাঙ্গন এবং কল্যাণপুরে নৃত্যময়। তাঁর মতে, ‘শিশু সংগঠনগুলোর সেই সুদিন নেই। এখন সব বাবা-মা কোচিং সেন্টারে দৌড়াচ্ছেন। কোচিং ক্লাস শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকলেই কেবল খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমগুলোতে বাচ্চারা আসতে পারবে।’
পঞ্চাশের দশকের আরেক নামী শিশু সংগঠন কেন্দ্রীয় মুকুল ফৌজ। রাজধানীর কেন্দ্রীয় মিরপুর শাখার বাইরে ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, মুক্তাগাছা, বিরিশিরি, বরিশাল, গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ কয়েকটি শাখার কার্যক্রম এখনো চলছে। কেন্দ্রীয় মুকুল ফৌজের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুর রহমান ভুলু বলেন, ‘শিশু সংগঠকেরা হারিয়ে যাচ্ছেন। রাষ্ট্র-সমাজ এসব সংগঠনকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। পাগলামি ও ভালো লাগা আছে বলেই আমরা এখনো জড়িয়ে আছি।’
বর্তমান সময়ের সংকট নিয়ে আশিকুর রহমান ভুলু আরও বলেন, ‘এখন অভিভাবকেরা মনে করেন, পাঠ্যপুস্তকে সেরা নম্বর পেলেই তার সন্তান সেরা। কিন্তু একজন ভালো মানুষ হতে হলে পাঠ্যপুস্তক ছাড়াও সৃজনশীল বই পড়তে হয়, মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়, দেশ ও জাতিকে জানতে হয়, সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে থাকতে হয়। অভিভাবকেরা বুঝতে পারছেন না, তাঁদের সন্তানেরা মানবিক হচ্ছে না, সামাজিক হচ্ছে না, দেশপ্রেমিক হচ্ছে না। এ কারণেই সমাজে এত অবক্ষয়।’
বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের (বাশিকপ) আওতায় কাজ করে কেন্দ্রীয় মুকুল ফৌজ, কেন্দ্রীয় চাঁদের হাঁট, কিশোর মেলা, ফুলকুঁড়ি আসর, নবীন গোষ্ঠী, চাঁদের কণা, শিশু নিকেতন, বকুল ফুলের মেলাসহ ৪০টি শিশু সংগঠন। বাশিকপের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল আলম বলেন, ‘আমি ১৯৭৫-৭৬ সালে শিশু থাকা অবস্থায় সংগঠন করেছি। তখন শিশু সংগঠন নিয়ে সরকারের নীতিমালা ও পৃষ্ঠপোষকতা ছিল বেশ উৎসাহব্যঞ্জক। আশির দশকের শেষের দিকে যখন নেতৃত্ব দিতে আসি, তখনো সরকার বিশেষ নজর দিত। এখন তা বেশ কমে গেছে।’

খেলার মাঠ উধাও। কার্যত বিলুপ্ত পাড়াভিত্তিক পাঠাগার সংস্কৃতি। স্কুলের সীমিত পরিসর ছাড়া সাংস্কৃতিক আয়োজনও তেমন নেই। এই পরিবেশে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে চোখ রেখে বেড়ে উঠছে শহুরে নতুন প্রজন্ম। শহরতলি বা গ্রামের পরিবেশও সে পথের দিকেই ছুটছে।
কয়েক দশক ধরে শিশু-কিশোরদের মানস গঠনে বড় ভূমিকা রেখে এসেছিল বিভিন্ন সংগঠন। সংস্কৃতির পাশাপাশি খেলাধুলার চর্চার মধ্য দিয়ে সুস্থ শরীর ও মন তৈরির কার্যক্রম ছিল তাদের। এগুলোর বেশির ভাগ এখন চলছে ধুঁকে ধুঁকে। পর্যবেক্ষকেরা বলেন, সংগঠনগুলোর কার্যক্রমের কথা দূরে থাক, তাদের নামও এ প্রজন্মের কয়জন অভিভাবকের জানা আছে, তা গবেষণার বিষয় হতে পারে। পর্যবেক্ষকদের মতে, সমাজের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাবও প্রতিনিয়ত প্রকাশ পাচ্ছে নানাভাবে।
শিশু-কিশোরদের নিয়ে কাজ করা সংগঠকেরা এই পরিস্থিতির নানা কারণ উল্লেখ করেছেন। তাঁদের মতে, শিশুদের নিয়ে ভাববার মানুষ ও প্রতিষ্ঠান—দুই-ই কমছে। পরিবার থেকে সন্তানের মানস গঠন ও সামাজিকীকরণের কাজ যথাযথভাবে হচ্ছে না। জীবনযাপনের চাপ, স্মার্টফোনসহ ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাব এর জন্য অনেকটা দায়ী।
দেশের অন্যতম প্রধান শিশু-কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার সভাপতি ও সাবেক সচিব খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামানের সঙ্গে আলাপচারিতা হয় এ নিয়ে। আলাপে উঠে আসে শিশু সংগঠনগুলোর বর্তমান অবস্থা এবং সমাজজীবনের রূঢ় বাস্তবতা। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি ছিল আশীর্বাদ। কিন্তু তার অপব্যবহার সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কয়জন বাবা-মা আলাদা করে শিশুদের সময় দেন? বেশির ভাগ পেশা-সংসারের কাজের বাইরে যতটুকু সময় পান, তা মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাটান। সন্তানের মানস গঠনে সংগঠন চর্চা কিংবা পাঠ্যবইয়ের বাইরের কার্যক্রমের গুরুত্ব কতটা, তা অনেক বাবা-মা জানেন না।’
কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার যাত্রা শুরু হয় ১৯৫৬ সালে। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিলেন কবি সুফিয়া কামাল, বিজ্ঞানী, লেখক আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দীনসহ তখনকার বিশিষ্টজনেরা। দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় এর বছর দেড়েক আগে চালু হয়েছিল ছোটদের বিভাগ ‘কচি-কাঁচার আসর’। এই শিশুদের পাতাকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির জন্ম হয়। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পান সাংবাদিক ছড়াকার রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই। ‘কচি-কাঁচার আসর’ পাতার সম্পাদক ছিলেন তিনিই। ধীরে ধীরে এই সংগঠন মহিরুহে পরিণত হয়। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, কবি জসীমউদ্দীন, অধ্যাপক অজিত কুমার গুহ, শিল্পী কামরুল হাসান, সওগাত সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন, ড. কুদরাত-এ-খুদাসহ সমাজের নিজ নিজ ক্ষেত্রের খ্যাতিমান মানুষেরা যুক্ত হন এই সংগঠনের সঙ্গে। দাদাভাই নিজে একবার লিখেছিলেন, সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল, ‘এর সদস্যদের এই সংগঠনের মাধ্যমে প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনা ও দেশাত্মবোধে উদ্ধুদ্ধ করা।’
এর কয়েক বছর আগে দৈনিক সংবাদের শিশুদের পাতা ‘খেলাঘর’ থেকে জন্ম হয়েছিল আরেকটি বড় ও সফল শিশু সংগঠনের। কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর নামে সংগঠনটির যাত্রা শুরু ১৯৫২ সালে। এর পরিকল্পনাকারীরা ছিলেন শহীদুল্লা কায়সার, সত্যেন সেন, রণেশ দাসগুপ্ত, জহির রায়হানদের মতো স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব।
ক্রমে দেশজুড়ে শাখা ও কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ে শিশু সংগঠন দুটির। দেশের শিশু-কিশোরদের মেধা ও মনন গঠনে বিশাল অবদান রাখেন এদের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্টজনেরা। কিন্তু সাত দশকের পথচলার পর সংগঠনগুলোর সেই কার্যক্রম এখন অনেকটাই ম্রিয়মাণ। বদলে যাওয়া সামাজিক প্রেক্ষাপট, অর্থনৈতিক সক্ষমতার ঘাটতি এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে কেন্দ্রীয় কঁচি-কাচার মেলা, খেলাঘরসহ সব সংগঠনই কমবেশি সংকটে। এসব সংগঠনে সবাই স্বেচ্ছাসেবী। কেউ কোনো আর্থিক সুবিধা নেন না। কিন্তু বিনা লাভে দেশজাতির সেবা করার মানুষ এ সমাজে কমে এসেছে। খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামানের ভাষায়, ‘এখন কেউ যেকোনো কাজ করতে গেলে আগে ভাবে, এখান থেকে তার প্রাপ্তি কী? নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মানুষ কই?’
কেন্দ্রীয় কঁচি-কাচার মেলার গৌরবের দিনে এর প্রায় ৪০০টি শাখা ছিল। সেখান থেকে বর্তমানে শ খানেকে নেমে এসেছে। তবু আশাবাদী কচি-কাঁচার মেলার সংগঠকেরা। সহসভাপতি আলপনা চৌধুরী বললেন, ‘অন্ধকারের মধ্যেও আমরা আশার আলো দেখি। এখনো অনেক অভিভাবক আছেন, যাঁরা চান, তাঁদের সন্তানেরা মনন, শিল্প-সংস্কৃতির মধ্যে থেকে বেড়ে উঠুক। তাই আশার আলো জ্বালিয়ে রাখতে চাই আমরা।’
ইস্কাটনের গাউসনগরে খেলাঘরের কার্যালয়ে কথা হলো সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহার সঙ্গে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনিও আঁকলেন নিরাশার ছবি। বললেন, ‘ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসছে শিশুসংগঠনগুলোর কার্যক্রম। শিশুদের নিয়ে ভাবার যেন কেউ নেই। এখন পড়ালেখার বাইরে শিক্ষার্থীদের যেন আর কিছুই করার নেই! এ কেমন সমাজের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ?’
প্রণয় সাহা আক্ষেপ করে আরও বললেন, ‘তরুণদের সামনে এখন লক্ষ্য—কীভাবে অনেক অর্থসম্পদের মালিক হওয়া যায়। স্কুল-কলেজের কথা আর কী বলব। কোচিং, নিয়মিত ক্লাস—এগুলো করতেই সময় শেষ। বাচ্চারাই প্রাণ, তারা না এলে সংগঠন টিকবে কীভাবে!’
প্রসঙ্গক্রমে খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক বললেন সাম্প্রতিককালে দেশে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের চর্চা সংকুচিত হওয়ার কথাও। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পরে অরাজনৈতিক কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এমন কিছু সংগঠনের অনুষ্ঠানও ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ ট্যাগ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
নৃত্য পরিচালক আতিকুর রহমান উজ্জ্বলের ঢাকায় তিনটি সংগঠন রয়েছে। পলাশীতে ভোরের পাখি নৃত্যকলা কেন্দ্র, কাটাবনে নৃত্যাঙ্গন এবং কল্যাণপুরে নৃত্যময়। তাঁর মতে, ‘শিশু সংগঠনগুলোর সেই সুদিন নেই। এখন সব বাবা-মা কোচিং সেন্টারে দৌড়াচ্ছেন। কোচিং ক্লাস শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকলেই কেবল খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমগুলোতে বাচ্চারা আসতে পারবে।’
পঞ্চাশের দশকের আরেক নামী শিশু সংগঠন কেন্দ্রীয় মুকুল ফৌজ। রাজধানীর কেন্দ্রীয় মিরপুর শাখার বাইরে ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, মুক্তাগাছা, বিরিশিরি, বরিশাল, গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ কয়েকটি শাখার কার্যক্রম এখনো চলছে। কেন্দ্রীয় মুকুল ফৌজের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুর রহমান ভুলু বলেন, ‘শিশু সংগঠকেরা হারিয়ে যাচ্ছেন। রাষ্ট্র-সমাজ এসব সংগঠনকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। পাগলামি ও ভালো লাগা আছে বলেই আমরা এখনো জড়িয়ে আছি।’
বর্তমান সময়ের সংকট নিয়ে আশিকুর রহমান ভুলু আরও বলেন, ‘এখন অভিভাবকেরা মনে করেন, পাঠ্যপুস্তকে সেরা নম্বর পেলেই তার সন্তান সেরা। কিন্তু একজন ভালো মানুষ হতে হলে পাঠ্যপুস্তক ছাড়াও সৃজনশীল বই পড়তে হয়, মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়, দেশ ও জাতিকে জানতে হয়, সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে থাকতে হয়। অভিভাবকেরা বুঝতে পারছেন না, তাঁদের সন্তানেরা মানবিক হচ্ছে না, সামাজিক হচ্ছে না, দেশপ্রেমিক হচ্ছে না। এ কারণেই সমাজে এত অবক্ষয়।’
বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের (বাশিকপ) আওতায় কাজ করে কেন্দ্রীয় মুকুল ফৌজ, কেন্দ্রীয় চাঁদের হাঁট, কিশোর মেলা, ফুলকুঁড়ি আসর, নবীন গোষ্ঠী, চাঁদের কণা, শিশু নিকেতন, বকুল ফুলের মেলাসহ ৪০টি শিশু সংগঠন। বাশিকপের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল আলম বলেন, ‘আমি ১৯৭৫-৭৬ সালে শিশু থাকা অবস্থায় সংগঠন করেছি। তখন শিশু সংগঠন নিয়ে সরকারের নীতিমালা ও পৃষ্ঠপোষকতা ছিল বেশ উৎসাহব্যঞ্জক। আশির দশকের শেষের দিকে যখন নেতৃত্ব দিতে আসি, তখনো সরকার বিশেষ নজর দিত। এখন তা বেশ কমে গেছে।’

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। আজ শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে এমনটিই
১০ ডিসেম্বর ২০২২
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়ন। এক পাশে পদ্মা নদী, অন্য পাশে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। তবে রেল সড়ক নির্মাণের পর দুর্ভোগে পড়েছেন এই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ।
৪৪ মিনিট আগে
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না করায় পুলিশ হত্যা মামলা করেছে। নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরের ডাকবাংলো মোড়ে একটি হোটেলে ঢুকে চার কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় লাভলু হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, দুপুরে হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকে কেন্দ্র করে কয়েক যুবকের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
৫ ঘণ্টা আগেইমতিয়াজ আহমেদ, শিবচর (মাদারীপুর)

মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়ন। এক পাশে পদ্মা নদী, অন্য পাশে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। তবে রেল সড়ক নির্মাণের পর দুর্ভোগে পড়েছেন এই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের পর যোগাযোগব্যবস্থাসহ নানা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে এই এলাকায়। তবে উন্নয়নের মুদ্রার অপর পিঠে আটকে পড়েছেন এই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের কয়েক হাজার মানুষ। এক্সপ্রেসওয়ের পর রেল সড়ক নির্মাণ করা হলে বন্ধ হয়ে যায় পানিপ্রবাহের পথ। মহাসড়কের সংযোগ সড়কের পাশে অনেকে আবার ভরাট করে ফেলেছে খালের অংশবিশেষ। ফলে বন্ধ হয়ে আছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এ কারণে মহাসড়কের অপর পাশের গ্রামগুলো থেকে বৃষ্টির পানি বের হতে পারছে না।
পানিপ্রবাহের পথগুলো আটকে থাকায় এবং পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় প্রায় সারা বছরই পানিবন্দী থাকছে এই এলাকার মানুষ। একটু বৃষ্টি হলেই মানুষের ঘরের দুয়ারে, এমনকি ঘরেও উঠে যাচ্ছে পানি। অনেককে বাঁশের সাঁকো দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। এ ছাড়াও প্রায় ১০০ হেক্টর জমি পানিতে নিমজ্জিত থাকায় হচ্ছে না ফসলও। শ্যাওলা, কচুরিপানা জমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি।
মাদবরেরচর ইউনিয়নের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুম শেষ হলেও এখানে তা রয়ে গেছে। বাড়ির আঙিনাসহ চারপাশ ডুবে আছে পানিতে। ঘর থেকে বের হতে হলে বাঁশের সাঁকোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে অনেককে। কোথাও পানি শুকিয়ে এলেও ভরপুর কাদা। বাড়ির আঙিনাজুড়ে স্যাঁতসেঁতে ভেজা মাটি। রাস্তা থেকে ঘরে যেতে অনেকে বাঁশ-কাঠ দিয়ে ছোট সেতু তৈরি করে নিয়েছে। এরপরও কোথাও কোথাও পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, বছরের ৮-৯ মাস এখানে পানি থাকে। বৃষ্টি নামলেই পানিতে ভরে যায় চারপাশ। শীত মৌসুমে পানি কিছুটা শুকিয়ে যেতেই বৃষ্টির কারণে আবারও ডুবে যায়। পানি সরে যাওয়ার সব পথ বন্ধ থাকায় বিগত ৫-৭ বছরই এই ভোগান্তি নিত্যসঙ্গী এখানকার মানুষের। মাদবরেরচর ইউনিয়নের বাখরেরকান্দি থেকে শুরু করে মহাসড়কের একপাশজুড়ে তিনটি ওয়ার্ডের ফসলি জমি এখন অনেকটা হাওরে পরিণত হয়েছে। সারা বছরই পানিতে ডুবে থাকে এই এলাকার পথঘাট, ফসলি জমি, বাড়ির আঙিনা।
মাদবরেরচর ইউনিয়নের চরকান্দি এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ের কয়েকটি স্থানে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা থাকলেও রেল সড়ক নির্মাণের পর আন্ডারপাসের ওপর প্রান্তে মাটি ভরাট করে রাখায় পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে আছে। শুধু বৃষ্টির পানিতেই মাদবরেরচর ইউনিয়নের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাখরেরকান্দি, চরকান্দিসহ অসংখ্য গ্রামের মানুষ এখন জলাবদ্ধতার ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। একসময়ের ফসলি জমি যেন পরিণত হয়েছে বিল বা হাওরে। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।’
আরেক বাসিন্দা মো. মাসুদ বলেন, ‘এই দুর্ভোগ থেকে কবে পরিত্রাণ পাব? আদৌ পাব কি না, জানা নেই। আমাদের এখানে শীত মৌসুমে ফসলি খেতে শাক-সবজিসহ নানা জাতের ফসল হতো। এখন এসব খেতে সারা বছরই পানি থাকে। জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা আছে। তবে রেল সড়ক করার পর পানি বের হওয়ার জন্য যে স্থানগুলো করা হয়েছিল, তার অপর পাশেই মাটির স্তূপ দিয়ে ভরাট করা। পানি বের হয়ে কোথাও যাওয়ার পথ নেই। এ ছাড়া আমাদের এখানকার বড় বড় খালের মুখ ভরাট করে আটকে ফেলা হয়েছে। ফলে আমরা কয়েক হাজার বাসিন্দা ৫-৭ বছর পানিবন্দী হয়ে রয়েছি। ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। জীবনযাত্রা খুবই দুর্বিষহ এখানে।’
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এইচ এম ইবনে মিজান বলেন, ‘আমি ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ থাকায় বেশ দুর্ভোগ ওখানে। রেল সড়কের নিচ দিয়ে পানি সরে যাওয়ার কথা। ওই পথই বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়ন। এক পাশে পদ্মা নদী, অন্য পাশে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। তবে রেল সড়ক নির্মাণের পর দুর্ভোগে পড়েছেন এই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের পর যোগাযোগব্যবস্থাসহ নানা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে এই এলাকায়। তবে উন্নয়নের মুদ্রার অপর পিঠে আটকে পড়েছেন এই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের কয়েক হাজার মানুষ। এক্সপ্রেসওয়ের পর রেল সড়ক নির্মাণ করা হলে বন্ধ হয়ে যায় পানিপ্রবাহের পথ। মহাসড়কের সংযোগ সড়কের পাশে অনেকে আবার ভরাট করে ফেলেছে খালের অংশবিশেষ। ফলে বন্ধ হয়ে আছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এ কারণে মহাসড়কের অপর পাশের গ্রামগুলো থেকে বৃষ্টির পানি বের হতে পারছে না।
পানিপ্রবাহের পথগুলো আটকে থাকায় এবং পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় প্রায় সারা বছরই পানিবন্দী থাকছে এই এলাকার মানুষ। একটু বৃষ্টি হলেই মানুষের ঘরের দুয়ারে, এমনকি ঘরেও উঠে যাচ্ছে পানি। অনেককে বাঁশের সাঁকো দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। এ ছাড়াও প্রায় ১০০ হেক্টর জমি পানিতে নিমজ্জিত থাকায় হচ্ছে না ফসলও। শ্যাওলা, কচুরিপানা জমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি।
মাদবরেরচর ইউনিয়নের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুম শেষ হলেও এখানে তা রয়ে গেছে। বাড়ির আঙিনাসহ চারপাশ ডুবে আছে পানিতে। ঘর থেকে বের হতে হলে বাঁশের সাঁকোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে অনেককে। কোথাও পানি শুকিয়ে এলেও ভরপুর কাদা। বাড়ির আঙিনাজুড়ে স্যাঁতসেঁতে ভেজা মাটি। রাস্তা থেকে ঘরে যেতে অনেকে বাঁশ-কাঠ দিয়ে ছোট সেতু তৈরি করে নিয়েছে। এরপরও কোথাও কোথাও পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, বছরের ৮-৯ মাস এখানে পানি থাকে। বৃষ্টি নামলেই পানিতে ভরে যায় চারপাশ। শীত মৌসুমে পানি কিছুটা শুকিয়ে যেতেই বৃষ্টির কারণে আবারও ডুবে যায়। পানি সরে যাওয়ার সব পথ বন্ধ থাকায় বিগত ৫-৭ বছরই এই ভোগান্তি নিত্যসঙ্গী এখানকার মানুষের। মাদবরেরচর ইউনিয়নের বাখরেরকান্দি থেকে শুরু করে মহাসড়কের একপাশজুড়ে তিনটি ওয়ার্ডের ফসলি জমি এখন অনেকটা হাওরে পরিণত হয়েছে। সারা বছরই পানিতে ডুবে থাকে এই এলাকার পথঘাট, ফসলি জমি, বাড়ির আঙিনা।
মাদবরেরচর ইউনিয়নের চরকান্দি এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ের কয়েকটি স্থানে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা থাকলেও রেল সড়ক নির্মাণের পর আন্ডারপাসের ওপর প্রান্তে মাটি ভরাট করে রাখায় পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে আছে। শুধু বৃষ্টির পানিতেই মাদবরেরচর ইউনিয়নের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাখরেরকান্দি, চরকান্দিসহ অসংখ্য গ্রামের মানুষ এখন জলাবদ্ধতার ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। একসময়ের ফসলি জমি যেন পরিণত হয়েছে বিল বা হাওরে। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।’
আরেক বাসিন্দা মো. মাসুদ বলেন, ‘এই দুর্ভোগ থেকে কবে পরিত্রাণ পাব? আদৌ পাব কি না, জানা নেই। আমাদের এখানে শীত মৌসুমে ফসলি খেতে শাক-সবজিসহ নানা জাতের ফসল হতো। এখন এসব খেতে সারা বছরই পানি থাকে। জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা আছে। তবে রেল সড়ক করার পর পানি বের হওয়ার জন্য যে স্থানগুলো করা হয়েছিল, তার অপর পাশেই মাটির স্তূপ দিয়ে ভরাট করা। পানি বের হয়ে কোথাও যাওয়ার পথ নেই। এ ছাড়া আমাদের এখানকার বড় বড় খালের মুখ ভরাট করে আটকে ফেলা হয়েছে। ফলে আমরা কয়েক হাজার বাসিন্দা ৫-৭ বছর পানিবন্দী হয়ে রয়েছি। ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। জীবনযাত্রা খুবই দুর্বিষহ এখানে।’
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এইচ এম ইবনে মিজান বলেন, ‘আমি ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ থাকায় বেশ দুর্ভোগ ওখানে। রেল সড়কের নিচ দিয়ে পানি সরে যাওয়ার কথা। ওই পথই বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। আজ শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে এমনটিই
১০ ডিসেম্বর ২০২২
খেলার মাঠ উধাও। কার্যত বিলুপ্ত পাড়াভিত্তিক পাঠাগার সংস্কৃতি। স্কুলের সীমিত পরিসর ছাড়া সাংস্কৃতিক আয়োজনও তেমন নেই। এই পরিবেশে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে চোখ রেখে বেড়ে উঠছে শহুরে নতুন প্রজন্ম। শহরতলি বা গ্রামের পরিবেশও সে পথের দিকেই ছুটছে।
১৪ মিনিট আগে
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না করায় পুলিশ হত্যা মামলা করেছে। নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরের ডাকবাংলো মোড়ে একটি হোটেলে ঢুকে চার কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় লাভলু হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, দুপুরে হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকে কেন্দ্র করে কয়েক যুবকের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না করায় পুলিশ হত্যা মামলা করেছে। নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ারুল কামাল মামলাটি করেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নাম মামলার বিবরণে সন্দেহজনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, হত্যা মামলায় নিহত ব্যক্তির ছেলেকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। তবে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির পরিবার প্রথম থেকে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করে আসছে। তবে ঘটনাটি আত্মহত্যা নয়, এটি হত্যাকাণ্ড। যেভাবে নিহত ব্যক্তির শরীরে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তাতে আত্মহত্যা মনে হয়নি। পরিবার মামলা না করায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।’
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, শনিবার দুপুরে আবদুর রাজ্জাকের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা ছুরিটি ফরেনসিকের জন্য পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামে নিজ বাসার ছাদের সিঁড়ির পাশে একটি কক্ষ থেকে আবদুর রাজ্জাকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন।
পরিবারের বরাতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ শেষে আবদুর রাজ্জাক ছাদে হাঁটার জন্য উঠেছিলেন। এরপর সকাল ৯টার দিকে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ দেখার পর পুলিশকে জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, আবদুর রাজ্জাকের পেট, বুক ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাতের গভীর চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশের পাশ থেকে একটি ২২ ইঞ্চি লম্বা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে লাশ উদ্ধারের আগপর্যন্ত নিহত ব্যক্তির বাড়িতে কাউকে ঢুকতে কিংবা বের হতে দেখা যায়নি। এর মধ্যে শুধু ওই বাড়ির গৃহকর্মী সকাল আটটার দিকে বাড়িতে ঢোকেন। তিনি বাড়িতে যাওয়ার পর আবদুর রাজ্জাককে তাঁর কক্ষে পাননি। একপর্যায়ে সিঁড়ির ঘরে লাশটি দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এ সময় সিঁড়ির দরজা তালাবদ্ধ ছিল, সিঁড়ির চাবি আবদুর রাজ্জাকের কাছেই ছিল।
পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত আবদুর রাজ্জাকের এক ছেলে ও এক মেয়ে। দুজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। সন্তানদের মধ্যে মাস দুয়েক আগে সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারাও করে দিয়েছিলেন তিনি। শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি। চিকিৎসার জন্য ভারতেও গিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে একটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার। মামলা থাকলেও তিনি নিজ বাড়িতেই অবস্থান করতেন।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না করায় পুলিশ হত্যা মামলা করেছে। নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ারুল কামাল মামলাটি করেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নাম মামলার বিবরণে সন্দেহজনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, হত্যা মামলায় নিহত ব্যক্তির ছেলেকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। তবে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির পরিবার প্রথম থেকে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করে আসছে। তবে ঘটনাটি আত্মহত্যা নয়, এটি হত্যাকাণ্ড। যেভাবে নিহত ব্যক্তির শরীরে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তাতে আত্মহত্যা মনে হয়নি। পরিবার মামলা না করায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।’
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, শনিবার দুপুরে আবদুর রাজ্জাকের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা ছুরিটি ফরেনসিকের জন্য পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামে নিজ বাসার ছাদের সিঁড়ির পাশে একটি কক্ষ থেকে আবদুর রাজ্জাকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন।
পরিবারের বরাতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ শেষে আবদুর রাজ্জাক ছাদে হাঁটার জন্য উঠেছিলেন। এরপর সকাল ৯টার দিকে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ দেখার পর পুলিশকে জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, আবদুর রাজ্জাকের পেট, বুক ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাতের গভীর চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশের পাশ থেকে একটি ২২ ইঞ্চি লম্বা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে লাশ উদ্ধারের আগপর্যন্ত নিহত ব্যক্তির বাড়িতে কাউকে ঢুকতে কিংবা বের হতে দেখা যায়নি। এর মধ্যে শুধু ওই বাড়ির গৃহকর্মী সকাল আটটার দিকে বাড়িতে ঢোকেন। তিনি বাড়িতে যাওয়ার পর আবদুর রাজ্জাককে তাঁর কক্ষে পাননি। একপর্যায়ে সিঁড়ির ঘরে লাশটি দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এ সময় সিঁড়ির দরজা তালাবদ্ধ ছিল, সিঁড়ির চাবি আবদুর রাজ্জাকের কাছেই ছিল।
পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত আবদুর রাজ্জাকের এক ছেলে ও এক মেয়ে। দুজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। সন্তানদের মধ্যে মাস দুয়েক আগে সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারাও করে দিয়েছিলেন তিনি। শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি। চিকিৎসার জন্য ভারতেও গিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে একটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার। মামলা থাকলেও তিনি নিজ বাড়িতেই অবস্থান করতেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। আজ শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে এমনটিই
১০ ডিসেম্বর ২০২২
খেলার মাঠ উধাও। কার্যত বিলুপ্ত পাড়াভিত্তিক পাঠাগার সংস্কৃতি। স্কুলের সীমিত পরিসর ছাড়া সাংস্কৃতিক আয়োজনও তেমন নেই। এই পরিবেশে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে চোখ রেখে বেড়ে উঠছে শহুরে নতুন প্রজন্ম। শহরতলি বা গ্রামের পরিবেশও সে পথের দিকেই ছুটছে।
১৪ মিনিট আগে
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়ন। এক পাশে পদ্মা নদী, অন্য পাশে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। তবে রেল সড়ক নির্মাণের পর দুর্ভোগে পড়েছেন এই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ।
৪৪ মিনিট আগে
খুলনা নগরের ডাকবাংলো মোড়ে একটি হোটেলে ঢুকে চার কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় লাভলু হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, দুপুরে হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকে কেন্দ্র করে কয়েক যুবকের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
৫ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা নগরের ডাকবাংলো মোড়ে একটি হোটেলে ঢুকে চার কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় লাভলু হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, দুপুরে হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকে কেন্দ্র করে কয়েক যুবকের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। ওই ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় ১৫-২০ জন যুবক হোটেলে ঢুকে হামলা চালায়।
আহত কর্মচারীরা হলেন আইয়ুব, মধু, সজল ও টুটুল। তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নগরের প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ে প্রকাশ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটলেও আধা ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ তোলেন।
লাভলু হোটেলের কর্মচারী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, দুপুরের দিকে দুই যুবক খাওয়ার জন্য ওই হোটেলে আসেন। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হোটেলে কর্মচারীদের সঙ্গে তাঁরা তর্কে জড়ান। এতে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হোটেল ব্যবস্থাপক গিয়ে তখন পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাঁকেও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ওই যুবকেরা।
হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাইফুল ইসলাম জানান, মাগরিবের নামাজের পর ১৫-২০ জন যুবক ওই হোটেলে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে কর্মচারীদের ওপর হামলা চালান। এতে চারজন আহত হন। উপস্থিত লোকজন আহত ব্যক্তিদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পরপরই হোটেলের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হকার বলেন, ‘ডাকবাংলো মোড় একটি জনবহুল এলাকা। প্রায় সময় এখানে পুলিশ অবস্থান করে। কিন্তু এ রকম হামলার পর আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ডাকবাংলো মোড়ে এ ঘটনার পর পুলিশ ২৫ মিনিট পর ঘটনাস্থলে আসে; যা খুবই দুঃখজনক।’
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুপুরে দুই যুবক ওই হোটেলে খাওয়ার জন্য গেলে কর্মচারীরা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সন্ধ্যার দিকে ওই যুবকেরা আরও কয়েকজনকে নিয়ে হোটেলে হামলা চালান। তাঁরা চারজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান। আহত ব্যক্তিদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

খুলনা নগরের ডাকবাংলো মোড়ে একটি হোটেলে ঢুকে চার কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় লাভলু হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, দুপুরে হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকে কেন্দ্র করে কয়েক যুবকের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। ওই ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় ১৫-২০ জন যুবক হোটেলে ঢুকে হামলা চালায়।
আহত কর্মচারীরা হলেন আইয়ুব, মধু, সজল ও টুটুল। তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নগরের প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ে প্রকাশ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটলেও আধা ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ তোলেন।
লাভলু হোটেলের কর্মচারী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, দুপুরের দিকে দুই যুবক খাওয়ার জন্য ওই হোটেলে আসেন। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হোটেলে কর্মচারীদের সঙ্গে তাঁরা তর্কে জড়ান। এতে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হোটেল ব্যবস্থাপক গিয়ে তখন পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাঁকেও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ওই যুবকেরা।
হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাইফুল ইসলাম জানান, মাগরিবের নামাজের পর ১৫-২০ জন যুবক ওই হোটেলে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে কর্মচারীদের ওপর হামলা চালান। এতে চারজন আহত হন। উপস্থিত লোকজন আহত ব্যক্তিদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পরপরই হোটেলের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হকার বলেন, ‘ডাকবাংলো মোড় একটি জনবহুল এলাকা। প্রায় সময় এখানে পুলিশ অবস্থান করে। কিন্তু এ রকম হামলার পর আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ডাকবাংলো মোড়ে এ ঘটনার পর পুলিশ ২৫ মিনিট পর ঘটনাস্থলে আসে; যা খুবই দুঃখজনক।’
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুপুরে দুই যুবক ওই হোটেলে খাওয়ার জন্য গেলে কর্মচারীরা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সন্ধ্যার দিকে ওই যুবকেরা আরও কয়েকজনকে নিয়ে হোটেলে হামলা চালান। তাঁরা চারজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান। আহত ব্যক্তিদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। আজ শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে এমনটিই
১০ ডিসেম্বর ২০২২
খেলার মাঠ উধাও। কার্যত বিলুপ্ত পাড়াভিত্তিক পাঠাগার সংস্কৃতি। স্কুলের সীমিত পরিসর ছাড়া সাংস্কৃতিক আয়োজনও তেমন নেই। এই পরিবেশে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে চোখ রেখে বেড়ে উঠছে শহুরে নতুন প্রজন্ম। শহরতলি বা গ্রামের পরিবেশও সে পথের দিকেই ছুটছে।
১৪ মিনিট আগে
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়ন। এক পাশে পদ্মা নদী, অন্য পাশে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। তবে রেল সড়ক নির্মাণের পর দুর্ভোগে পড়েছেন এই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ।
৪৪ মিনিট আগে
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না করায় পুলিশ হত্যা মামলা করেছে। নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগে