মো. জাকিরুল ইসলাম, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দুইটি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ১১ বছর ধরে হচ্ছে না নির্বাচন। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ।
এসব ইউপিতে আগের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ সময়ে নির্বাচন না হওয়ায় কয়েজন সদস্য এরই মধ্যে গত হয়েছেন। এ ছাড়া এসব ইউপির জনপ্রতিনিধিরা নাগরিকদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে সদর ও কৈচাপুর এর কিছু অংশ নিয়ে পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর দেখা দেয় সীমানা জটিলতা। এরই মধ্যে ১০টি ইউনিয়নে ও পৌরসভায় নির্বাচন সম্পন্ন হলেও দুইটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের (রঘুনাথপুর গ্রাম, আকনপাড়া, হালুয়াঘাট, কালিয়ানীকান্দা, কৈচাপুর, নলুয়া, ইসলামপুর, হালুয়াঘাট বাজার পূর্ব, মনিকুড়া) বহু দাগ গেজেট থেকে বাদ পড়েছে। এ ছাড়া এলাকা ভিত্তিক ভোটার সংখ্যায় ব্যাপক বৈষম্য থাকায় সৃষ্টি হয় জটিলতা। সীমানা জটিলতা দেখিয়ে বন্ধ রয়েছে উপজেলার ৩ নম্বর কৈচাপুর ও ৪ নম্বর হালুয়াঘাট সদর ইউনিয়ন।
এসব ইউপিতে সর্বশেষ ২০১১ সালের ২৯ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে হালুয়াঘাট সদর ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ২০১৮ সালে অব্যাহতি নিয়ে পৌর নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এবং কয়েকজন সদস্য মারা যাওয়ায় মাত্র ৫ জন সদস্য দিয়ে চলছে সদর ইউনিয়নের পরিষদের কার্যক্রম। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় উন্নয়নের ছোঁয়া থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ।
দুইটি ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ ১১ বছর সময় ধরে ভোট না হওয়ায় এসব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা একক আধিপত্য বিস্তার করে চলছেন। আবার চেয়ারম্যানেরা ঠিকমতো পরিষদে আসেন না। ফলে এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মকাণ্ডে পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসব ইউনিয়নের কয়েক লাখো নাগরিককে।
সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সালেহ আহমেদ বলেন, ‘সীমানা জটিলতার কারণে নির্বাচন বন্ধ রাখা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটা দ্রুত নিষ্পত্তি করা দরকার। কিছু কুচক্রীমহল প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। বারবার নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে। প্রশাসনের কাছে আহ্বান থাকবে কুচক্রীমহল যেন আর এসব না করতে পারে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩ নম্বর কৈচাপুর ইউনিয়নের এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি তো থাইক্কাও নাই। আমগোর এলাকার মতো উন্নয়ন হালুয়াঘাটে আর কোথাও হয়নি। যে দিকে যাবেন শুধু কাঁদা মাটি।’
সদর ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘পাঁচজন মানুষ দিয়ে চলে ইউনিয়ন পরিষদ। আসলে ভূতে চালায় না মানুষে চালায় এইডাই কইতে পারলাম না।’
এ ব্যাপারে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান জানান, উপজেলার সদর ও কৈচাপুর ইউনিয়নে সীমানা, দাগ ও খতিয়ানে কিছু জটিলতা ছিল। জটিলতা নিরসন করে নতুন সীমানা নির্ধারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে গেজেট প্রকাশের জন্য পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করবে। গেজেট হলেই খুব দ্রুত নির্বাচন করা সম্ভব।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দুইটি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ১১ বছর ধরে হচ্ছে না নির্বাচন। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ।
এসব ইউপিতে আগের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ সময়ে নির্বাচন না হওয়ায় কয়েজন সদস্য এরই মধ্যে গত হয়েছেন। এ ছাড়া এসব ইউপির জনপ্রতিনিধিরা নাগরিকদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে সদর ও কৈচাপুর এর কিছু অংশ নিয়ে পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর দেখা দেয় সীমানা জটিলতা। এরই মধ্যে ১০টি ইউনিয়নে ও পৌরসভায় নির্বাচন সম্পন্ন হলেও দুইটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের (রঘুনাথপুর গ্রাম, আকনপাড়া, হালুয়াঘাট, কালিয়ানীকান্দা, কৈচাপুর, নলুয়া, ইসলামপুর, হালুয়াঘাট বাজার পূর্ব, মনিকুড়া) বহু দাগ গেজেট থেকে বাদ পড়েছে। এ ছাড়া এলাকা ভিত্তিক ভোটার সংখ্যায় ব্যাপক বৈষম্য থাকায় সৃষ্টি হয় জটিলতা। সীমানা জটিলতা দেখিয়ে বন্ধ রয়েছে উপজেলার ৩ নম্বর কৈচাপুর ও ৪ নম্বর হালুয়াঘাট সদর ইউনিয়ন।
এসব ইউপিতে সর্বশেষ ২০১১ সালের ২৯ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে হালুয়াঘাট সদর ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ২০১৮ সালে অব্যাহতি নিয়ে পৌর নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এবং কয়েকজন সদস্য মারা যাওয়ায় মাত্র ৫ জন সদস্য দিয়ে চলছে সদর ইউনিয়নের পরিষদের কার্যক্রম। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় উন্নয়নের ছোঁয়া থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ।
দুইটি ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ ১১ বছর সময় ধরে ভোট না হওয়ায় এসব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা একক আধিপত্য বিস্তার করে চলছেন। আবার চেয়ারম্যানেরা ঠিকমতো পরিষদে আসেন না। ফলে এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মকাণ্ডে পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসব ইউনিয়নের কয়েক লাখো নাগরিককে।
সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সালেহ আহমেদ বলেন, ‘সীমানা জটিলতার কারণে নির্বাচন বন্ধ রাখা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটা দ্রুত নিষ্পত্তি করা দরকার। কিছু কুচক্রীমহল প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। বারবার নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে। প্রশাসনের কাছে আহ্বান থাকবে কুচক্রীমহল যেন আর এসব না করতে পারে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩ নম্বর কৈচাপুর ইউনিয়নের এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি তো থাইক্কাও নাই। আমগোর এলাকার মতো উন্নয়ন হালুয়াঘাটে আর কোথাও হয়নি। যে দিকে যাবেন শুধু কাঁদা মাটি।’
সদর ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘পাঁচজন মানুষ দিয়ে চলে ইউনিয়ন পরিষদ। আসলে ভূতে চালায় না মানুষে চালায় এইডাই কইতে পারলাম না।’
এ ব্যাপারে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান জানান, উপজেলার সদর ও কৈচাপুর ইউনিয়নে সীমানা, দাগ ও খতিয়ানে কিছু জটিলতা ছিল। জটিলতা নিরসন করে নতুন সীমানা নির্ধারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে গেজেট প্রকাশের জন্য পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করবে। গেজেট হলেই খুব দ্রুত নির্বাচন করা সম্ভব।
রাজধানীতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তার জন্য অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে ৪২৬ জন ‘সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রশিক্ষণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের অনেকে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জানেন না।
৫ ঘণ্টা আগেনতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আজ সোমবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৩৬টি খাল ঘিরে বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা বরাদ্দে শুরু করা এ প্রকল্পের আকার এখন ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা।
৫ ঘণ্টা আগেসরকার পতনের পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়রকে অপসারণ ও কাউন্সিলদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তবে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পর এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, রাস্তা মেরামত, পরিচ্ছন্নতা, মশক নিয়ন্ত্রণসহ
৫ ঘণ্টা আগে