Ajker Patrika

সংঘর্ষের খবর পেয়ে ৩৭ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করল সেনাবাহিনী 

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮: ১৩
সংঘর্ষের খবর পেয়ে ৩৭ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করল সেনাবাহিনী 

ময়মনসিংহের গৌরীপুর শ্যামগঞ্জ বাজার থেকে অবৈধভাবে আনা ১ হাজার ৮৫০ কেজি (৩৭ বস্তা) ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে শ্যামগঞ্জ বাজারে বাবুল ব্রাদার্স অ্যান্ড স্টোরে অভিযান চালিয়ে এসব চিনি জব্দ করা হয়।

এদিকে, গতকাল বিকেলে ভারতীয় চিনি বিক্রি নিয়ে নওপাই ও বেলতলী গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে ১৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আহতদের মধ্যে হাফেজ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াদ (১৯), অটোরিকশাচালক রহমাতুল্লাহ (৩৫) ও পথচারী রুবেলের (২৭) অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারতীয় অবৈধ চিনি বিক্রি নিয়ে নওপাই গ্রামের শামীম ও বেলতলী গ্রামের ফয়সালের লোকজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জেরে গতকাল দুপুরে প্রথমে বেলতলী গ্রামের রহিমকে ধরে নিয়ে যান শামীম গ্রুপের লোকজন। পরবর্তী সময় নওপাই গ্রামের বিল্লালকে শ্যামগঞ্জ পশ্চিম বাজার থেকে ধরে নিয়ে যান বেলতলী গ্রামের ফয়সালের লোকজন। বিকেলে উভয়কে ছেড়ে দিলেও ঘটনার রেশ থেকে যায়। একপর্যায়ে ফয়সালের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় শামীম গ্রুপের ওপর।

শামীম জানান, শ্যামগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী বিকাশ সরকার কাশিগঞ্জ বাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ কেজির ১৪ বস্তা ভারতীয় চিনি বিক্রি করেন। ওই চিনি অটোরিকশায় কাশিগঞ্জ যাওয়ার পথে বেলতলী গ্রামের ফয়সালের লোকজন তা লুট করে নিয়ে যান। পূর্বপরিচয় সূত্রে বিকাশ সরকার বিষয়টি তাঁকে অবহিত করেন এবং চিনি উদ্ধার করে দিতে অনুরোধ জানান। তাঁর লোকজনের সঙ্গে এ নিয়ে নানা দেনদরবার করেন, কিন্তু ফয়সাল তা ফেরত না দিয়ে উল্টো তাঁদের ওপর হামলা করেন।

চিনি লুটের ঘটনা অস্বীকার করে ফয়সাল বলেন, ‘বিষয়টি আমি শামীমের কাছেই প্রথম শুনেছি। উদ্ধারের ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছিলাম, কিন্তু পরে শুনলাম সে আমাকেই দোষারোপ করছে। রহিম নামে আমাদের একজন বয়োজ্যেষ্ঠ লোককে সে বাজার থেকে ধরে নিয়ে যায়, যার জবাবে আমরা বিল্লালকে এনেছিলাম।’

সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাকিল আহমেদ ও গৌরীপুর অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের মেজর ইশরাক।

mymensingh-2একপর্যায়ে তাঁরা জানতে পারেন, শ্যামগঞ্জ বাজারে বাবুল সরকার নামের এক ব্যবসায়ীর গুদামে এসব অবৈধ চিনি আছে। এদিন সন্ধ্যায় নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে শ্যামগঞ্জ বাজারে বাবুল ব্রাদার্স অ্যান্ড স্টোরে অভিযান চালান ইউএনও ও মেজর।

অভিযানে মাছের খাদ্যের বস্তায় ভরা অবস্থায় ভারতীয় চিনি পাওয়া যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৭ বস্তায় ১ হাজার ৮৫০ কেজি ভারতীয় অবৈধ চিনি। এ সময় আটক করা হয় বাবুল সরকারের ভাই বিকাশ সরকারকে।

গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাকিল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুপরিকল্পিতভাবে মোড়ক পাল্টে ভারতীয় এসব অবৈধ চিনি দেশের বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩৭ বস্তায় ১ হাজার ৮৫০ কেজি ভারতীয় চিনি শ্যামগঞ্জ বাজারের বাবুল সরকারের দোকান থেকে জব্দ করা হয়েছে। এ সময় একজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দোকানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাযহারুল আনোয়ার বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষই বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চমেক হাসপাতালে এসি বিস্ফোরণ: দগ্ধ ৩ কর্মচারীর একে একে সবাই চলে গেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ কর্মচারী মো. তানভীরও মারা গেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।

তানভীর দুর্ঘটনার পর থেকে ১১ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত তিন কর্মচারীর সবাই একে একে মারা গেলেন।

তানভীর চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানার ডিসি রোড এলাকায় থাকতেন। চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১৩ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে চমেক হাসপাতালের একটি সাততলা ভবনের ছাদে এসি মেরামতের সময় সেটি বিস্ফোরিত হয়। এ সময় শওকত ওসমান নামের একজন কর্মচারী ছাদ থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যান। অপর দুজনের মধ্যে মিশকাত ও তানভীর ছাদে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে ছিলেন। পরে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তির চার ঘণ্টা পর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে শওকত মারা যান। পরে ১৭ অক্টোবর মিশকাত ও আজ দুপুরে তানভীরও চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। তাঁরা গণপূর্ত বিভাগের অধীনে হাসপাতালের টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্মচারীদের সবাই চট্টগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁদের বয়স ২৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যানজট সচেতনতায় সাইকেল শোভাযাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
যানজট নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে রাজশাহীতে সাইকেল শোভাযাত্রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
যানজট নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে রাজশাহীতে সাইকেল শোভাযাত্রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীতে যানজট নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে ‘নগর হোক সাইকেল বান্ধব, সাইকেল লেন হোক বাধ্যতামূলক’ এই স্লোগানে বর্ণাঢ্য সাইকেল শোভাযাত্রা হয়েছে। দুরন্ত বাইসাইকেলের সহযোগিতায় আজ শুক্রবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) ও রাউন্ড টেবিল বাংলাদেশ এ আয়োজন করে।

সকাল সাড়ে ৯টায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে থেকে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করা হয়। এতে অংশ নেন কয়েক শ সাইক্লিস্ট। সাইকেল শোভাযাত্রাটি ঈদগাহ রোড থেকে ফায়ার সার্ভিস রোড, সিঅ্যান্ডবি মোড়, চিড়িয়াখানা, ডিআইজি অফিসের সামনে হয়ে ইউ-টার্ন নিয়ে আবার সিঅ্যান্ডবি মোড় ও ফায়ার সার্ভিস রোড পেরিয়ে ঈদগাহ মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

অংশগ্রহণকারী সাইক্লিস্টরা বলেছেন, সাইকেল মনকে প্রফুল্ল রাখে, এটি একটি উপকারী ব্যায়াম যা শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত রাখে। তাই সবারই সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। এ ছাড়া নগরে দিন দিন বাড়ছে যানজট, দূষণ ও কালো ধোঁয়া। এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধানে চাই বাইসাইকেলের ব্যবহার এবং এর জন্য প্রয়োজন পৃথক সাইকেল লেন।

এর আগে ভোর থেকেই ঈদগাহ মাঠে জমে ওঠে সাইক্লিস্টদের মিলনমেলা। র‍্যালির আগে আয়োজিত ‘সাইকেল স্ট্যান্ড শো’ দর্শনার্থীদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ জোগায়। পরে সাইক্লিস্টদের সম্মাননা স্মারক দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার নূর আলম সিদ্দিকী।

এ সময় উপপুলিশ কমিশনার বলেন, বাইসাইকেল শুধু একটি যানবাহন নয়, এটি দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার এক শক্তিশালী মাধ্যম। নিয়মিত সাইক্লিং শরীরচর্চা ও মানসিক প্রশান্তির জন্যও অত্যন্ত উপকারী। তিনি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিদিন সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘গরু চুরি করতে এসে’ গণপিটুনিতে একজন নিহত, ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গণপিটুনির শিকার চোর চক্রের সদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গণপিটুনির শিকার চোর চক্রের সদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ‘গরু চুরি করতে এসে’ গণপিটুনির শিকার হয়েছে চোর চক্রের চার সদস্য। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার বলভদ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে চক্রের সদস্য মো. মতিয়ার রহমান (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত মতিয়ার রহমান বাগেরহাটের চরগ্রাম এলাকার মৃত রশিদ শেখের ছেলে। আহত ব্যক্তিরা হলেন বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ভাগাবাজার এলাকার মো. বজলু হাওলাদারের ছেলে মো. রমন হাওলাদার (৩৮), ফকিরহাটের চাকুলি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ শেখের ছেলে মো. আসাদুল শেখ (৪০) ও ফকিরহাটের আরপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদের ছেলে মো. জনি (৩৮)।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মহিশপুরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. তালেবুল্লাহ জানান, ভোররাতে একটি মিনি ট্রাক নিয়ে চোর চক্রের সদস্যরা বলভদ্রপুর গ্রামে গরু চুরি করতে আসে। বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসী ধাওয়া দিলে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। পরে চারজনকে আটক করে গণপিটুনি দেওয়া হয়।

একপর্যায়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মতিয়ার রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুফতি কামাল হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই মতিয়ার রহমানের মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার পরিদর্শক ভবতোশ চন্দ্র বলেন, গণপিটুনিতে একজন নিহত হয়েছেন এবং তিনজন আহত রয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহত ব্যক্তিদের পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সালিসের মধ্যে ১ জনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, প্রতিপক্ষের বাড়িতে আগুন

মাগুরা প্রতিনিধি 
সালিস চলাকালে প্রতিপক্ষের হাতুড়িপেটায় আহত ব্যক্তিকে আজ শুক্রবার দুপুরে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেন স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সালিস চলাকালে প্রতিপক্ষের হাতুড়িপেটায় আহত ব্যক্তিকে আজ শুক্রবার দুপুরে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেন স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাগুরা সদর উপজেলায় সালিস চলাকালে প্রতিপক্ষের হাতুড়িপেটায় বাদশা মোল্যা (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা প্রতিপক্ষের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেন।

আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের বলুকগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খেতের ধান কাটা নিয়ে বিরোধ মীমাংসার জন্য ওই সালিসের আয়োজন করা হয়েছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে বর্গাচাষি আনোয়ার হোসেন ও শিউলি খাতুনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। তাঁদের সে বিরোধ মীমাংসার জন্য আজ দুপুরে সালিসের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সালিসের মধ্যে আনোয়ার হোসেনের ছেলে আবির (২২) উত্তেজিত হয়ে শিউলি খাতুনের মামা বাদশা মোল্যাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জানান, বাদশা মারা গেছেন।

ঘটনার পর প্রতিপক্ষের লোকজন আনোয়ারের বাড়িতে আগুন দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সালিস বৈঠকে কথা-কাটাকাটির জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত