Ajker Patrika

করোনার ধকল সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা ব্যবসায়ীদের

মহিউদ্দিন রানা, ঈশ্বরগঞ্জ
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ৩৩
Thumbnail image

করোনা মহামারির স্থবিরতা কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে ঈশ্বরগঞ্জের ঈদের বাজার। গত দুই বছরে করোনার ধকল সামলে এ বছর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। সাধ্যমতো পুঁজি খাঁটিয়ে ছোট-বড় বিপণিবিতানগুলো সাজিয়েছেন তাঁরা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘ইতিমধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে শুরু হয়েছে কেনাকাটা। করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদে তেমন বেচাকেনা হয়নি। তাই গত দুই বছরের ক্ষতি এই ঈদে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করছি ২০ রোজার পর বেচাকেনা আরও বাড়বে।’

এ বিষয়ে বিক্রেতারা বলেন, ‘ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসবে, ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় ততই বাড়বে এবং বেচাকেনাও বেশি হবে।’ 

ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন জুতার দোকানসহ ছোট-বড় বিপণিবিতানগুলো আজ ঘুরে দেখা যায়, রমজানের ১৫ রোজায় সবখানেই রয়েছে ক্রেতাদের আশাব্যঞ্জক উপস্থিতি। তবে নারী ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি। দীর্ঘ দুই বছর পর চিরচেনা এই রূপে ফিরে আসায় খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা। এলাকার বিভিন্ন পোশাকের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায় নতুন পোশাকের সমাহার। প্রতিটি দোকানেই টাঙিয়ে রাখা হয়েছে বাহারি ডিজাইনের আকর্ষণীয় পাঞ্জাবি, থ্রিপিস, শার্ট, টি-শার্টসহ ছোট-বড়দের হরেক রকমের পোশাক।

ইয়াছিন বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. আব্দুল্লাহ জানান, রোজা শুরু হওয়ার আগে থেকেই ঈদের বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে। তাঁর দোকানে নারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি থ্রিপিস, শাড়ি-কাপড়সহ থানকাপড় রয়েছে। এবারের ঈদ উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ‘কাঁচা বাদাম’ থ্রিপিস ও জর্জেট জামা।

বাচ্চাদের জন্য জামাকাপড় কিনতে আসা মোছা বিউটি আক্তার বলেন, ‘ঈদ মানেই কেনাকাটা, কিন্তু করোনা থাকার কারণে গত দুই বছর ঈদে শিশুদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারিনি। এ বছর ঈদের কেনাকাটা করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।’ 

জিরো প্লাসের স্বত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আলম নামে আরেক পোশাক বিক্রেতা বলেন, ‘ঈদের জন্য নতুন কালেকশন এসেছে। রোজার দিনে দুপুরের আগে নারীদের ভিড় এবং সন্ধ্যার পর পুরুষ ক্রেতার ভিড় থাকে। বেচাকেনার ওপর ভিত্তি করে ২৫ রোজা পর্যন্ত আরও ঈদ কালেকশন আসবে।’ 

নাটাইঘুড়ি প্রসাধনী নামের কসমেটিকস দোকানের স্বত্বাধিকারী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বায়েজিদ বলেন, ‘সারা বছর বেচাকেনা যেমনই হোক না কেন, আমাদের টার্গেট থাকে ঈদ। কিন্তু করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদে তেমন বেচাকেনা করতে পারিনি। তাই এই ঈদে আশা করছি গত দুই বছরে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার অনেকটা পূরণ হয়ে যাবে।’ 

সপরিবারে কেনাকাটা করতে আসা মো. রফিকুল ইসলাম নামের এক যুবক বলেন, ‘কেনাকাটা যেহেতু করতে হবে, তাই আগেই স্ত্রীসহ ছেলেমেয়েদের নিয়ে চলে এসেছি। কেননা, রোজার শেষের দিকে ক্রেতাদের চাপ বেড়ে যায় এবং সেই সুযোগে বিক্রেতারা দামও বাড়িয়ে দেন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত