ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
বাবা-মাকে আম, কাঁঠাল ও চাল পৌঁছে দিয়ে বাইরে বের না হতে সতর্ক করে বাড়ি ফিরেছিলেন মো. সোহেল মিয়া (৩৫)। বাড়ির সামনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান এই মোবাইল টেকনিশিয়ান। তিনি ঢাকার রায়েরবাগ কদমতলী থানার দনিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। গত শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (২২ জুলাই) সকালে জন্মস্থান ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী দুর্গাপুর গ্রামে জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হয়।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে বিপাকে পড়েছে সোহেলের পরিবার। বৃদ্ধ বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানের পাশাপাশি ভাইবোনদেরও দেখভাল করতেন সোহেল। আজ শুক্রবার সোহেলের জন্মভিটা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মায়ের আহাজারি থামছেই না।
ছেলের শোকে বিলাপ করতে করতে মা হাসনা আরা বেগম বলেন, ‘ছেলের দেওয়া আম, কাঁঠাল খাওনের আগেই ছেলের গুলি খাওয়ার খবর পাই। আমাকে এহন কেডা এভাবে আম, কাঁঠাল কিনে দিয়ে আসব। আমার সোহেলের তো কোনো অপরাধ ছিল না! তাইলে কেন তারে মারলো? তার ছুডু বাচ্চাডারে কেডা দেখব, তার ভবিষ্যৎ কী? আমাদের সাজানো সংসারডা তছনছ অইয়া গেল!’
দীর্ঘদিন আগে গ্রামের বাড়িভিটা বেচে ঢাকায় থিতু হন সোহেলের বাবা সুরুজ হাওলাদার। ভাড়া বাসায় থেকে অনেক কষ্টে সন্তানদের বড় করেছেন। ভাসমান কাঁচামালের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ করেছেন তিনি। এখন বয়সের ভারে আর কিছু করতে পারেন না। বড় ছেলে সোহেলই ছিলেন একমাত্র ভরসা। ছোট ছেলে জুয়েল বড় ভাইয়ের দোকানে থেকে সহযোগিতা ও মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ শিখছিলেন।
ঢাকার শনির আখড়া আরএস টাওয়ার মার্কেটে সোহেল টেলিকম নামে একটি দোকান রয়েছে। সেটিই সোহেলের একমাত্র সম্পদ। সোহেলের সাড়ে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামীকে হারিয়ে স্ত্রী আয়েশা পাগলপ্রায়।
সোহেলের বাবা সুরুজ হাওলাদার ঘটনার বিবরণ দিয়ে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদককে বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঝামেলায় মার্কেট বন্ধ। সবাই ডরেভয়ে রয়েছে। আমরা স্বামী-স্ত্রী ছেলের বাসা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে মিরাজ নগরে বাসা নিয়ে থাকি। বাসা ভাড়াসহ আমাদের যাবতীয় খরচ সোহেলই বহন করে। ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘণ্টা দেড়েক আগে ২৫ কেজির এক বস্তা চাল, আম ও কাঁঠাল কিনে বাসায় দিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় বলছে, আব্বা চতুর্দিকে গ্যাঞ্জাম, বাইরে বের অইয়েন না, বাসায়ই থাইকেন। কিছু লাগলে আমাকে কইয়েন। তখন তার মা আবার কইল, বাবা সোহেল, আম আনছ, দুধ আছে ঘরে, বিকালে আইয়া পইরো। আম দিয়া দুধ দিয়া খাইবা।
সুরুজ হাওলাদার বলেন, ‘আমাকে সতর্ক করে যাওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে সোহেল গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাই। তার দেওয়া আম, কাঁঠাল এখন ঘরে পচতেছে। আমার বাসা থেকে তার বাসায় ফিরে খাওয়াদাওয়া করে বাড়িওয়ালা ও আরেক ছেলেসহ তারা নিচে নামছে। একটু এগিয়ে দেখছে যে গ্যাঞ্জাম হইতেছে। তখন বাড়িওয়ালা বলছে, সোহেল, পরিবেশ ভালো না, ওপরে উইঠা পড়ো। এই বলে বাড়িওয়ালা ওপরে উইঠা পড়ছে। কিন্তু সে আর যায় নাই। সে দনিয়ায় তার বাসার গলির সামনের মুদির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে দেখতেছিল। ওই সময়ই গুলি লেগেছে। পেটে গুলি লেগে এফোঁড়–ওফোঁড় হয়ে দোকানে থাকা ফ্রিজে লেগেছে।’
আশপাশের লোকজন সোহেলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ২২ জুলাই তাঁকে গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বাবা-মাকে আম, কাঁঠাল ও চাল পৌঁছে দিয়ে বাইরে বের না হতে সতর্ক করে বাড়ি ফিরেছিলেন মো. সোহেল মিয়া (৩৫)। বাড়ির সামনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান এই মোবাইল টেকনিশিয়ান। তিনি ঢাকার রায়েরবাগ কদমতলী থানার দনিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। গত শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (২২ জুলাই) সকালে জন্মস্থান ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী দুর্গাপুর গ্রামে জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হয়।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে বিপাকে পড়েছে সোহেলের পরিবার। বৃদ্ধ বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানের পাশাপাশি ভাইবোনদেরও দেখভাল করতেন সোহেল। আজ শুক্রবার সোহেলের জন্মভিটা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মায়ের আহাজারি থামছেই না।
ছেলের শোকে বিলাপ করতে করতে মা হাসনা আরা বেগম বলেন, ‘ছেলের দেওয়া আম, কাঁঠাল খাওনের আগেই ছেলের গুলি খাওয়ার খবর পাই। আমাকে এহন কেডা এভাবে আম, কাঁঠাল কিনে দিয়ে আসব। আমার সোহেলের তো কোনো অপরাধ ছিল না! তাইলে কেন তারে মারলো? তার ছুডু বাচ্চাডারে কেডা দেখব, তার ভবিষ্যৎ কী? আমাদের সাজানো সংসারডা তছনছ অইয়া গেল!’
দীর্ঘদিন আগে গ্রামের বাড়িভিটা বেচে ঢাকায় থিতু হন সোহেলের বাবা সুরুজ হাওলাদার। ভাড়া বাসায় থেকে অনেক কষ্টে সন্তানদের বড় করেছেন। ভাসমান কাঁচামালের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ করেছেন তিনি। এখন বয়সের ভারে আর কিছু করতে পারেন না। বড় ছেলে সোহেলই ছিলেন একমাত্র ভরসা। ছোট ছেলে জুয়েল বড় ভাইয়ের দোকানে থেকে সহযোগিতা ও মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ শিখছিলেন।
ঢাকার শনির আখড়া আরএস টাওয়ার মার্কেটে সোহেল টেলিকম নামে একটি দোকান রয়েছে। সেটিই সোহেলের একমাত্র সম্পদ। সোহেলের সাড়ে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামীকে হারিয়ে স্ত্রী আয়েশা পাগলপ্রায়।
সোহেলের বাবা সুরুজ হাওলাদার ঘটনার বিবরণ দিয়ে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদককে বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঝামেলায় মার্কেট বন্ধ। সবাই ডরেভয়ে রয়েছে। আমরা স্বামী-স্ত্রী ছেলের বাসা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে মিরাজ নগরে বাসা নিয়ে থাকি। বাসা ভাড়াসহ আমাদের যাবতীয় খরচ সোহেলই বহন করে। ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘণ্টা দেড়েক আগে ২৫ কেজির এক বস্তা চাল, আম ও কাঁঠাল কিনে বাসায় দিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় বলছে, আব্বা চতুর্দিকে গ্যাঞ্জাম, বাইরে বের অইয়েন না, বাসায়ই থাইকেন। কিছু লাগলে আমাকে কইয়েন। তখন তার মা আবার কইল, বাবা সোহেল, আম আনছ, দুধ আছে ঘরে, বিকালে আইয়া পইরো। আম দিয়া দুধ দিয়া খাইবা।
সুরুজ হাওলাদার বলেন, ‘আমাকে সতর্ক করে যাওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে সোহেল গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাই। তার দেওয়া আম, কাঁঠাল এখন ঘরে পচতেছে। আমার বাসা থেকে তার বাসায় ফিরে খাওয়াদাওয়া করে বাড়িওয়ালা ও আরেক ছেলেসহ তারা নিচে নামছে। একটু এগিয়ে দেখছে যে গ্যাঞ্জাম হইতেছে। তখন বাড়িওয়ালা বলছে, সোহেল, পরিবেশ ভালো না, ওপরে উইঠা পড়ো। এই বলে বাড়িওয়ালা ওপরে উইঠা পড়ছে। কিন্তু সে আর যায় নাই। সে দনিয়ায় তার বাসার গলির সামনের মুদির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে দেখতেছিল। ওই সময়ই গুলি লেগেছে। পেটে গুলি লেগে এফোঁড়–ওফোঁড় হয়ে দোকানে থাকা ফ্রিজে লেগেছে।’
আশপাশের লোকজন সোহেলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ২২ জুলাই তাঁকে গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
হাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ।
৪০ মিনিট আগেজামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা।
১ ঘণ্টা আগেফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী...
১ ঘণ্টা আগেমেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক
রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোরে বন্ধুরা ওই যুবককে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. আতিকুর রহমান জুয়েল জানান, ভোরে খবর আসে, জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে একটি টিম পাঠানো হয়। তবে ততক্ষণে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। সেখানে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনাটিতে একজন আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে আহত ব্যক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কেউ বলতে পারেনি।
অপর দিকে হাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ। তখন তাঁর পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে দ্রুত ট্রমা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোরে বন্ধুরা ওই যুবককে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. আতিকুর রহমান জুয়েল জানান, ভোরে খবর আসে, জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে একটি টিম পাঠানো হয়। তবে ততক্ষণে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। সেখানে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনাটিতে একজন আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে আহত ব্যক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কেউ বলতে পারেনি।
অপর দিকে হাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ। তখন তাঁর পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে দ্রুত ট্রমা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাবা–মাকে আম, কাঁঠাল ও চাল পৌঁছে দিয়ে বাইরে বের না হতে সতর্ক করে বাড়ি ফিরেছিলেন মো. সোহেল মিয়া (৩৫)। বাড়ির সামনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান এই মোবাইল টেকনিশিয়ান। তিনি ঢাকার রায়েরবাগ কদমতলী থানার দনিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। গত শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
২৬ জুলাই ২০২৪জামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা।
১ ঘণ্টা আগেফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী...
১ ঘণ্টা আগেমেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেজামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা। এসব গর্তে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানি জমে যায়। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও কোনো প্রতিকার হয়নি।
জামালপুর পৌরসভার ৪, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ, কাচারীপাড়া, সরদারপাড়া, বোষপাড়া, ডাকপাড়াসহ বেশ কয়েকটি রাস্তা খানাখন্দে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ছাত্র-ছাত্রী আর রোগীদের অসুবিধা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। পৌরসভার মুসলিমাবাদ, কাচারীপাড়া, সরদারপাড়াসহ বিভিন্ন সড়ক জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা কষ্টকর।
কাচারীপাড়ার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অবস্থা এমন হয়েছে যে মনে হয় নর্দমায় বসবাস করছি। একটু বৃষ্টি হলে হাঁটুসমান পানিতে নাকানি-চুবানি খেতে হয়। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিক হিসেবে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে থাকি; কিন্তু নাগরিক সুবিধা তো দেখি না।’
সরদারপাড়া এলাকার সামসুন নাহার বলেন, ‘বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। রিকশা ও অটোরিকশা খানাখন্দে পড়ে উল্টে যায়। অনেকের হাত-পা ভেঙেছে। পৌরসভার কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। রাতে বাতি থাকে না। পৌরসভার প্রায় এলাকায় চুরি হচ্ছে অহরহ।’ রাস্তা মেরামত করে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার প্রশাসক কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে পিচের রাস্তাগুলো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পৌরসভার রাস্তাঘাটের ওপর পড়েছে। যেসব রাস্তা নষ্ট হচ্ছে, সেগুলোর ব্যাপারে ইতিমধ্যে অভিযোগ এসেছে।
আব্দুল্লাহ বিন রশিদ আরও বলেন, ‘আমরা প্রকৌশলীকে প্রাক্কলন (এস্টিমেট) তৈরির নির্দেশ দিয়েছি। যদি পৌরসভার বাজেট দিয়ে সম্ভব হয়, তাহলে দ্রুত কাজ শুরু করব। অথবা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বরাদ্দ এখনো আসেনি। বরাদ্দ আসামাত্র নিয়মিত বাজেটের মধ্যে এগুলো করার চেষ্টা করব।’
জামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা। এসব গর্তে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানি জমে যায়। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও কোনো প্রতিকার হয়নি।
জামালপুর পৌরসভার ৪, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ, কাচারীপাড়া, সরদারপাড়া, বোষপাড়া, ডাকপাড়াসহ বেশ কয়েকটি রাস্তা খানাখন্দে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ছাত্র-ছাত্রী আর রোগীদের অসুবিধা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। পৌরসভার মুসলিমাবাদ, কাচারীপাড়া, সরদারপাড়াসহ বিভিন্ন সড়ক জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা কষ্টকর।
কাচারীপাড়ার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অবস্থা এমন হয়েছে যে মনে হয় নর্দমায় বসবাস করছি। একটু বৃষ্টি হলে হাঁটুসমান পানিতে নাকানি-চুবানি খেতে হয়। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিক হিসেবে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে থাকি; কিন্তু নাগরিক সুবিধা তো দেখি না।’
সরদারপাড়া এলাকার সামসুন নাহার বলেন, ‘বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। রিকশা ও অটোরিকশা খানাখন্দে পড়ে উল্টে যায়। অনেকের হাত-পা ভেঙেছে। পৌরসভার কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। রাতে বাতি থাকে না। পৌরসভার প্রায় এলাকায় চুরি হচ্ছে অহরহ।’ রাস্তা মেরামত করে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার প্রশাসক কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে পিচের রাস্তাগুলো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পৌরসভার রাস্তাঘাটের ওপর পড়েছে। যেসব রাস্তা নষ্ট হচ্ছে, সেগুলোর ব্যাপারে ইতিমধ্যে অভিযোগ এসেছে।
আব্দুল্লাহ বিন রশিদ আরও বলেন, ‘আমরা প্রকৌশলীকে প্রাক্কলন (এস্টিমেট) তৈরির নির্দেশ দিয়েছি। যদি পৌরসভার বাজেট দিয়ে সম্ভব হয়, তাহলে দ্রুত কাজ শুরু করব। অথবা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বরাদ্দ এখনো আসেনি। বরাদ্দ আসামাত্র নিয়মিত বাজেটের মধ্যে এগুলো করার চেষ্টা করব।’
বাবা–মাকে আম, কাঁঠাল ও চাল পৌঁছে দিয়ে বাইরে বের না হতে সতর্ক করে বাড়ি ফিরেছিলেন মো. সোহেল মিয়া (৩৫)। বাড়ির সামনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান এই মোবাইল টেকনিশিয়ান। তিনি ঢাকার রায়েরবাগ কদমতলী থানার দনিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। গত শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
২৬ জুলাই ২০২৪হাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ।
৪০ মিনিট আগেফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী...
১ ঘণ্টা আগেমেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেমো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা)
ফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া-মিরপুর সড়কের দুই পাশ, উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা এবং বাড়িঘরের আশপাশে এখন সৌন্দর্য বিলাচ্ছে ছাতিম ফুল। সন্ধ্যা নামলেই এই ফুলের ঘ্রাণে যেন মাতোয়ারা হয়ে ওঠে পুরো পরিবেশ। গাছের নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ঝরা ফুল পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, ‘ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ছাতিমগাছ চোখে পড়ে। সন্ধ্যা হলে এই ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। আগে এই এলাকায় অনেক ছাতিমগাছ ছিল, এখন আর আগের মতো দেখা যায় না।’
আরেক বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগে গ্রামগঞ্জে অনেক ছাতিমগাছ দেখা যেত। এখন সংখ্যা কমে গেছে। তবে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি গাছ আছে, সন্ধ্যার পর আশপাশে ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তাবাসসুম বলেন, ‘ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ মন কেড়ে নেওয়ার মতো আকর্ষণীয়। রাত যত বাড়ে, এর ঘ্রাণ তত তীব্র হয়। আমাদের বাড়ির পাশে একটি গাছ আছে, প্রতিবছর এই ফুল ফোটার অপেক্ষায় থাকি।’
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ মানুষকে বিমোহিত করে। ফুলের সৌন্দর্যের চেয়ে ঘ্রাণই মানুষকে বেশি টানে। গাছের উচ্চতা বেশি হওয়ায় ফুল কাছ থেকে দেখা না গেলেও এর গন্ধে বোঝা যায়, গাছজুড়ে ফুল ফুটেছে।’
ইউনানি চিকিৎসকদের তথ্যমতে, ছাতিম ফুলের শুধু সৌন্দর্যই নয়, এর রয়েছে নানা ঔষধি গুণও। জ্বর উপশম, দীর্ঘস্থায়ী আমাশয় ও পাতলা পায়খানা নিরাময়ে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, এমনকি চর্মরোগের চিকিৎসায়ও এই গাছের ছাল, পাতা ও কষ ব্যবহৃত হয়। এর ছাল থেকে তৈরি ক্বাথ ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসায়ও কার্যকর।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউনানি চিকিৎসক সোহেল রানা বলেন, ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর কোথাও গাছ চোখে না পড়লেও এর গন্ধ জানিয়ে দেয়, আশপাশে ফুটেছে ছাতিম ফুল। এই গাছের ভেষজ গুণও অনেক। তবে দিন দিন এর সংখ্যা কমে যাওয়ায় ফুলের ঘ্রাণের পাশাপাশি চিকিৎসায়ও এর ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে।
বিজ্ঞানসম্মতভাবে ছাতিম গাছের নাম অ্যালস্টনিয়া স্কলাররিস (Alstonia scholaris)। এটি অ্যাপোসাইনেসি (Apocynaceae) পরিবারভুক্ত বহুবর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ। ইংরেজিতে এটি ‘ডেভিলস ট্রি’ বা ‘ব্ল্যাকবোর্ড ট্রি’ নামে পরিচিত। বাংলায় পরিচিত নামগুলো হলো—ছাতিম, ছাতিয়ান বা ছাতইন। এর সংস্কৃত নাম হলো সপ্তপর্ণী। এর আদিনিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। ছাতিমগাছ সাধারণত ২০ থেকে ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছের ছাল ধূসর ও অসমতল। সাতটি পাতা একসঙ্গে গুচ্ছ আকারে থাকে। ফুল হালকা ঘিয়ে রঙের ও গুচ্ছাকারে ফোটে। এই গাছের কাঠ ব্ল্যাকবোর্ড, পেনসিল ও কফিন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
একসময় ব্রাহ্মণপাড়ার সর্বত্র যে ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ ভেসে বেড়াত, এখন তা সীমিত। তবু বছরের এই সময়ে সন্ধ্যা নামলে ছাতিম ফুলের সুবাসে এখনো মুগ্ধ হয় ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি ও মানুষ।
ফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া-মিরপুর সড়কের দুই পাশ, উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা এবং বাড়িঘরের আশপাশে এখন সৌন্দর্য বিলাচ্ছে ছাতিম ফুল। সন্ধ্যা নামলেই এই ফুলের ঘ্রাণে যেন মাতোয়ারা হয়ে ওঠে পুরো পরিবেশ। গাছের নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ঝরা ফুল পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, ‘ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ছাতিমগাছ চোখে পড়ে। সন্ধ্যা হলে এই ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। আগে এই এলাকায় অনেক ছাতিমগাছ ছিল, এখন আর আগের মতো দেখা যায় না।’
আরেক বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগে গ্রামগঞ্জে অনেক ছাতিমগাছ দেখা যেত। এখন সংখ্যা কমে গেছে। তবে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি গাছ আছে, সন্ধ্যার পর আশপাশে ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তাবাসসুম বলেন, ‘ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ মন কেড়ে নেওয়ার মতো আকর্ষণীয়। রাত যত বাড়ে, এর ঘ্রাণ তত তীব্র হয়। আমাদের বাড়ির পাশে একটি গাছ আছে, প্রতিবছর এই ফুল ফোটার অপেক্ষায় থাকি।’
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ মানুষকে বিমোহিত করে। ফুলের সৌন্দর্যের চেয়ে ঘ্রাণই মানুষকে বেশি টানে। গাছের উচ্চতা বেশি হওয়ায় ফুল কাছ থেকে দেখা না গেলেও এর গন্ধে বোঝা যায়, গাছজুড়ে ফুল ফুটেছে।’
ইউনানি চিকিৎসকদের তথ্যমতে, ছাতিম ফুলের শুধু সৌন্দর্যই নয়, এর রয়েছে নানা ঔষধি গুণও। জ্বর উপশম, দীর্ঘস্থায়ী আমাশয় ও পাতলা পায়খানা নিরাময়ে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, এমনকি চর্মরোগের চিকিৎসায়ও এই গাছের ছাল, পাতা ও কষ ব্যবহৃত হয়। এর ছাল থেকে তৈরি ক্বাথ ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসায়ও কার্যকর।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউনানি চিকিৎসক সোহেল রানা বলেন, ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর কোথাও গাছ চোখে না পড়লেও এর গন্ধ জানিয়ে দেয়, আশপাশে ফুটেছে ছাতিম ফুল। এই গাছের ভেষজ গুণও অনেক। তবে দিন দিন এর সংখ্যা কমে যাওয়ায় ফুলের ঘ্রাণের পাশাপাশি চিকিৎসায়ও এর ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে।
বিজ্ঞানসম্মতভাবে ছাতিম গাছের নাম অ্যালস্টনিয়া স্কলাররিস (Alstonia scholaris)। এটি অ্যাপোসাইনেসি (Apocynaceae) পরিবারভুক্ত বহুবর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ। ইংরেজিতে এটি ‘ডেভিলস ট্রি’ বা ‘ব্ল্যাকবোর্ড ট্রি’ নামে পরিচিত। বাংলায় পরিচিত নামগুলো হলো—ছাতিম, ছাতিয়ান বা ছাতইন। এর সংস্কৃত নাম হলো সপ্তপর্ণী। এর আদিনিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। ছাতিমগাছ সাধারণত ২০ থেকে ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছের ছাল ধূসর ও অসমতল। সাতটি পাতা একসঙ্গে গুচ্ছ আকারে থাকে। ফুল হালকা ঘিয়ে রঙের ও গুচ্ছাকারে ফোটে। এই গাছের কাঠ ব্ল্যাকবোর্ড, পেনসিল ও কফিন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
একসময় ব্রাহ্মণপাড়ার সর্বত্র যে ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ ভেসে বেড়াত, এখন তা সীমিত। তবু বছরের এই সময়ে সন্ধ্যা নামলে ছাতিম ফুলের সুবাসে এখনো মুগ্ধ হয় ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি ও মানুষ।
বাবা–মাকে আম, কাঁঠাল ও চাল পৌঁছে দিয়ে বাইরে বের না হতে সতর্ক করে বাড়ি ফিরেছিলেন মো. সোহেল মিয়া (৩৫)। বাড়ির সামনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান এই মোবাইল টেকনিশিয়ান। তিনি ঢাকার রায়েরবাগ কদমতলী থানার দনিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। গত শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
২৬ জুলাই ২০২৪হাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ।
৪০ মিনিট আগেজামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা।
১ ঘণ্টা আগেমেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুজন আলী খড়মপুর গ্রাম থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে আড়পাড়া যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাসপাতালের গেটের সামনে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তির বড় ভাই লাল মিয়া জানান, তাঁর ভাই মালয়েশিয়া থেকে সম্প্রতি ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ফারুক হোসেন বলেন, সুজন আলীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুজন আলী খড়মপুর গ্রাম থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে আড়পাড়া যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাসপাতালের গেটের সামনে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তির বড় ভাই লাল মিয়া জানান, তাঁর ভাই মালয়েশিয়া থেকে সম্প্রতি ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ফারুক হোসেন বলেন, সুজন আলীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাবা–মাকে আম, কাঁঠাল ও চাল পৌঁছে দিয়ে বাইরে বের না হতে সতর্ক করে বাড়ি ফিরেছিলেন মো. সোহেল মিয়া (৩৫)। বাড়ির সামনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান এই মোবাইল টেকনিশিয়ান। তিনি ঢাকার রায়েরবাগ কদমতলী থানার দনিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। গত শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
২৬ জুলাই ২০২৪হাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ।
৪০ মিনিট আগেজামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা।
১ ঘণ্টা আগেফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী...
১ ঘণ্টা আগে