শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুরের নকলায় উপজেলা পরিষদ প্রশাসকের সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর (বর্তমানে সিএ টু প্রশাসক) আইনুন নাঈম পানেলের বিরুদ্ধে ‘কেলেঙ্কারি’র অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও এখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ ওঠার পর থেকে তিনি অফিসে অনুপস্থিত থাকলেও আজ রোববার আবার অফিস করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক দীপ জন মিত্র বলেন, ‘যেহেতু আমার পরিষদে একটা ঘটনা ঘটেছে, সে জন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। একই সঙ্গে পানেলকে শোকজ করা হয়েছে। সে শোকজের জবাবও দিয়েছে। সেটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ঘটনায় চাকরিবিধি অনুযায়ী অফিশিয়াল প্রসিডিউর চলমান রয়েছে।’
গত ২০ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদে ওই কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। সেই সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন নকলা উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি রাইয়ান আল মাহাদী অনন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক মেয়েকে নিয়ে উপজেলা পরিষদ ভবনে অবস্থান করছিলেন পরিষদের প্রশাসকের সিএ পানেল। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা সেখানে গেলে ওই মেয়ে দৌড়ে চলে যায়। পরে সীমানাপ্রাচীর টপকে পালানোর সময় পানেলকে ধরে ফেলা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পানেল কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় তাঁকে পরিষদ ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন নকলা পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রাজুসহ চার-পাঁচজন এসে পানেলকে ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেলে চলে যান।
এ ঘটনার পর ২২ ফেব্রুয়ারি পানেলকে শোকজ বা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। নোটিশে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নির্ধারিত সময়ের পরও অফিসে অবস্থান করা অসদাচরণের শামিল উল্লেখ করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে এর জবাব চাওয়া হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জবাব দাখিল করেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা প্রশাসকের সিএ আইনুন নাঈম পানেল বলেন, ‘পৌরসভার এক ড্রাইভার মাসুদ প্রতিহিংসার কারণে আমাকে ফাঁসাতে এ কাজ করেছেন। যেদিন ঘটনাটি ঘটে, সেদিন আমি অফিসে একবার ঢুকে বের হয়ে গেছি। আমার রুমে একজন নাইটগার্ড ছিল, সে জন্য বাতি জ্বালানো দেখে ছাত্ররা ভেবেছে যে আমি রুমে। আর যে নারীর কথা বলা হচ্ছে, আমি তাঁকে কোনো দিন দেখিনি। আর আমার কোনো ভিডিও ফুটেজও নেই। মাসুদের কাছ থেকে পৌরসভার মেয়রের গাড়ির চাবি নিয়ে নেওয়ার পর থেকে সে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। আমি ইউএনওর নির্দেশে চাবি নিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে নকলা পৌরসভার গাড়িচালক মো. মাসুদ বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তিনি তাঁর চাকরি করেন, আমি আমার চাকরি করি।’
পানেলকে ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রাজু বলেন, ‘ঘটনার অনেক পর আমি সেখানে গিয়েছি। সেখান থেকে আমি বা আমরা কাউকে ছিনিয়ে আনিনি।’
শেরপুরের নকলায় উপজেলা পরিষদ প্রশাসকের সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর (বর্তমানে সিএ টু প্রশাসক) আইনুন নাঈম পানেলের বিরুদ্ধে ‘কেলেঙ্কারি’র অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও এখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ ওঠার পর থেকে তিনি অফিসে অনুপস্থিত থাকলেও আজ রোববার আবার অফিস করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক দীপ জন মিত্র বলেন, ‘যেহেতু আমার পরিষদে একটা ঘটনা ঘটেছে, সে জন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। একই সঙ্গে পানেলকে শোকজ করা হয়েছে। সে শোকজের জবাবও দিয়েছে। সেটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ঘটনায় চাকরিবিধি অনুযায়ী অফিশিয়াল প্রসিডিউর চলমান রয়েছে।’
গত ২০ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদে ওই কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। সেই সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন নকলা উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি রাইয়ান আল মাহাদী অনন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক মেয়েকে নিয়ে উপজেলা পরিষদ ভবনে অবস্থান করছিলেন পরিষদের প্রশাসকের সিএ পানেল। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা সেখানে গেলে ওই মেয়ে দৌড়ে চলে যায়। পরে সীমানাপ্রাচীর টপকে পালানোর সময় পানেলকে ধরে ফেলা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পানেল কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় তাঁকে পরিষদ ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন নকলা পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রাজুসহ চার-পাঁচজন এসে পানেলকে ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেলে চলে যান।
এ ঘটনার পর ২২ ফেব্রুয়ারি পানেলকে শোকজ বা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। নোটিশে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নির্ধারিত সময়ের পরও অফিসে অবস্থান করা অসদাচরণের শামিল উল্লেখ করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে এর জবাব চাওয়া হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জবাব দাখিল করেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা প্রশাসকের সিএ আইনুন নাঈম পানেল বলেন, ‘পৌরসভার এক ড্রাইভার মাসুদ প্রতিহিংসার কারণে আমাকে ফাঁসাতে এ কাজ করেছেন। যেদিন ঘটনাটি ঘটে, সেদিন আমি অফিসে একবার ঢুকে বের হয়ে গেছি। আমার রুমে একজন নাইটগার্ড ছিল, সে জন্য বাতি জ্বালানো দেখে ছাত্ররা ভেবেছে যে আমি রুমে। আর যে নারীর কথা বলা হচ্ছে, আমি তাঁকে কোনো দিন দেখিনি। আর আমার কোনো ভিডিও ফুটেজও নেই। মাসুদের কাছ থেকে পৌরসভার মেয়রের গাড়ির চাবি নিয়ে নেওয়ার পর থেকে সে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। আমি ইউএনওর নির্দেশে চাবি নিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে নকলা পৌরসভার গাড়িচালক মো. মাসুদ বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তিনি তাঁর চাকরি করেন, আমি আমার চাকরি করি।’
পানেলকে ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রাজু বলেন, ‘ঘটনার অনেক পর আমি সেখানে গিয়েছি। সেখান থেকে আমি বা আমরা কাউকে ছিনিয়ে আনিনি।’
পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা
৫ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নাজুক অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে পৌরবাসীর। নাগরিকদের অভিযোগ, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বাড়েনি সেবার মান। তাই রাস্তা ও ড্রেনগুলো দ্রুত সংস্ক
৫ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫ কোটির বেশি টাকায় নেওয়া শতাধিক প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আড়াল করতে প্রকল্পের কাগজপত্র
৫ ঘণ্টা আগে