শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুর সদর উপজেলায় বসতঘর থেকে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার বলাইয়েরচর ইউনিয়নের ফকিরগঞ্জ গ্রাম থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. শামসুল হক (৮৫) ও তাঁর স্ত্রী ছয়েরা বেগম (৭৮)।
তাঁরা এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক ছিলেন। এদিকে পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যার পর নিজে বিষপানে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন শামছুল হক।
নিহতদের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার রাতে শামছুল হক ও তাঁর স্ত্রী ছয়েরা বেগম নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। পরদিন মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে তাঁদের নাতি মো. সাদিকুল (১২) ডাকাডাকি করলে দরজা না খোলায় পরিবারের সদস্যরা দরজার ফাঁক দিয়ে ঘরে ঢুকে তাঁদের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে সদর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম ও পরিবারের সদস্যদের দাবি, বৃদ্ধ শামসুল হক পারিবারিক কলহের কারণে কিছুদিন থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। স্ত্রী ছয়েরা বেগমের সঙ্গে তাঁর ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত। এ নিয়ে দুই মাস আগে বাপের বাড়ি চলে যান ছয়েরা বেগম। এক সপ্তাহ আগে তিনি স্বামীর বাড়ি আসেন। আসার পর থেকেই আবারও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়।
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাবা মাঝেমধ্যেই মাকে মারধর করতেন। বাবাকে ডাক্তারের কাছে নিতে চাইলেও যেতেন না। কাল বাবা বলছেন, রাতে আমি জীবন চিল্লায় চলে যাব। আমি মরলে আমার বাবার পাশে আমারে কবর দিস।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, নিহত শামছুলের মুখে বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে। আর ছয়েরা বেগমের কানের ভেতর রক্ত দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, স্ত্রীকে হত্যার পর বৃদ্ধ শামছুল হক বিষপানে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্তে অন্য কিছু বের হয়ে এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি ও মনোমালিন্য ছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আপাতত অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হচ্ছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেরপুর সদর উপজেলায় বসতঘর থেকে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার বলাইয়েরচর ইউনিয়নের ফকিরগঞ্জ গ্রাম থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. শামসুল হক (৮৫) ও তাঁর স্ত্রী ছয়েরা বেগম (৭৮)।
তাঁরা এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক ছিলেন। এদিকে পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যার পর নিজে বিষপানে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন শামছুল হক।
নিহতদের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার রাতে শামছুল হক ও তাঁর স্ত্রী ছয়েরা বেগম নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। পরদিন মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে তাঁদের নাতি মো. সাদিকুল (১২) ডাকাডাকি করলে দরজা না খোলায় পরিবারের সদস্যরা দরজার ফাঁক দিয়ে ঘরে ঢুকে তাঁদের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে সদর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম ও পরিবারের সদস্যদের দাবি, বৃদ্ধ শামসুল হক পারিবারিক কলহের কারণে কিছুদিন থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। স্ত্রী ছয়েরা বেগমের সঙ্গে তাঁর ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত। এ নিয়ে দুই মাস আগে বাপের বাড়ি চলে যান ছয়েরা বেগম। এক সপ্তাহ আগে তিনি স্বামীর বাড়ি আসেন। আসার পর থেকেই আবারও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়।
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাবা মাঝেমধ্যেই মাকে মারধর করতেন। বাবাকে ডাক্তারের কাছে নিতে চাইলেও যেতেন না। কাল বাবা বলছেন, রাতে আমি জীবন চিল্লায় চলে যাব। আমি মরলে আমার বাবার পাশে আমারে কবর দিস।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, নিহত শামছুলের মুখে বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে। আর ছয়েরা বেগমের কানের ভেতর রক্ত দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, স্ত্রীকে হত্যার পর বৃদ্ধ শামছুল হক বিষপানে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্তে অন্য কিছু বের হয়ে এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি ও মনোমালিন্য ছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আপাতত অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হচ্ছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরিশাল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ছবিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মনিরুলকে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের জিলা স্কুল মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩ মিনিট আগেগত নববর্ষের শোভাযাত্রার মোটিফ তৈরির শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের মানিকগঞ্জের গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দইর গ্রামের বাড়ি পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। গত ১৫ এপ্রিল রাতের ওই ঘটনায় করা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ১৭ এপ্রিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাবুল হোসেনসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে। এর পর থেকে তিন মাস তিনি জেলা..
৪ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি কাঠামো বাতিল করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি মডেলের আদলে স্বতন্ত্র কাঠামো নিশ্চিতের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
৮ মিনিট আগেকুমিল্লার হোমনায় ভুল চিকিৎসায় রোগীর চোখ নষ্টের অভিযোগে মো. মহসীন নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার চৌরাস্তা মোড়ের শারবীন চশমা ঘরে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা।
১৬ মিনিট আগে