Ajker Patrika

ইসলামপুরে ভিজিএফের চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৮: ১৫
ইসলামপুরে ভিজিএফের চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় অতিদরিদ্রদের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কার্যক্রম ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তবে চাল ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। 

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের নাম হাবিবুর রহমান শাহীন চৌধুরী। তিনি উপজেলার ৬ নম্বর ইসলামপুর সদর ইউপির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। 

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর শহরের স্টেশন রোডের ইউপির কার্যালয় থেকে ভিজিএফ চাল বিতরণ শুরু করা হয়। এ সময় কার্ডধারীদের মধ্যে মাথাপিছু ১০ কেজির স্থলে ৬ থেকে সাড়ে ৭ কেজি চাল বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান শাহীন চৌধুরী। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে আসছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সদর ইউনিয়নে ৩ হাজার ৪২৫ জন ভিজিএফ কার্ডধারীর জন্য ৩৪ দশমিক ২৫০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত শুক্রবার ও শনিবার উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে ইউপির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান শাহীন চৌধুরী চাল উত্তোলন করেন। 

স্টেশন রোডের উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবন কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত ইউপি কার্যালয়ে সরেজমিন দেখা গেছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক কার্ডধারীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও সুবিধাভোগীদের মাঝে ৬ থেকে সাড়ে ৭ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। 

 ইসলামপুর উপজেলার ইসলামপুর সদর ইউনিয়নে বিতরণকৃত ভিজিএফের চল ওজনে কম হয়েছে ইউনিয়নের গংগাপাড়া গ্রামের নুরভান বেগম, আসমা বেগম, হাইবর আলী জানান, ১০ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী ৬ কেজি করে চাল দিয়েছেন। চাল কম দেওয়ায় ইউএনওর কাছে গিয়েছিলাম বিচার দেওয়ার জন্য। কিন্তু অফিসে গিয়ে তাঁকে পাননি তাঁরা। 

পচাবহল গ্রামের আমেনা বেগম, কাচিহারা গ্রামের আলমাস মিয়া, পাঁচবাড়িয়া গ্রামের মিজান মিয়া জানান, প্রতিজনকে ১০ কেজি চাল দিয়েছে সরকার। চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী তাঁদের সাড়ে ৭ কেজি হারে চাল দিয়েছেন। 

একই এলাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী উপস্থিত থেকে তাঁদের চাল ওজনে কম দিয়েছেন। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। 

চাল বিতরণ কার্যক্রম তদারকি কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন (বিআরডি) কর্মকর্তা সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমি থাকা অবস্থায় কাউকে চাল ওজনে কম দেওয়া হয়নি। হয়তো-বা যখন বাইরে গিয়েছিলাম তখন চাল কম দিতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত আমাকে অনিয়মের কথা কেউ জানাননি।’ 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমি দুর্নীতি পছন্দ করি না। হতদরিদ্রদের চাল কম দেওয়া হয়নি। নিয়মানুযায়ী চাল বিতরণ করেছি।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান রোমান বলেন, ‘ওজনে ভিজিএফের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ শোনে চাল বিতরণকেন্দ্রে তৎক্ষণাৎ সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) পাঠিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা নিয়েছেন। এরপরও বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত