Ajker Patrika

আন্দোলনে গিয়ে নিখোঁজ, ১৫ দিন পর গুলিবিদ্ধ লাশ মিলল মর্গে

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
Thumbnail image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গিয়ে গত ৪ আগস্ট নিখোঁজ হন ময়মনসিংহের গফরগাঁও চরআলগী ইউনিয়নের চর কামারিয়া গ্রামের মো. কামরুজ্জামান। এ ঘটনার ১৫ দিন পর (১৯ আগস্ট) রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তাঁর গুলিবিদ্ধ লাশের সন্ধান পায় স্বজনেরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে গফরগাঁও উপজেলার চর কামারিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। 

শহীদ কামরুজ্জামান (৩০) চর কামারিয়া গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মো. আব্দুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় ছেলে। কামরুজ্জামানের দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে ১০ বছর বয়সী বড় মেয়ের নাম জারিন, মেজ ছেলের নাম আতনান (৮) এবং ৫ মাস বয়সী ছোট ছেলের নাম গালিব আব্রার। 

শহীদ কামরুজ্জামানের স্ত্রী শামীরা জাহান পপি বলেন, ‘আমার স্বামী ঢাকার উত্তরায় থেকে ভাড়ায় প্রাইভেট গাড়ি চালাত। তবে কিছুদিন আগে তিনি পোল্যান্ড যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। এরই মাঝে দেশে আন্দোলন শুরু হলে গত ৪ আগস্ট তিনি উত্তরায় ছাত্রদের সঙ্গে মিছিলে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আমরা তাঁর সন্ধান পাইনি। সর্বশেষ গত ১৯ আগস্ট তাঁর লাশ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে জানতে পারি।’ এর আগে গত ৪ আগস্ট থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পর থেকে হাসপাতাল মর্গে অজ্ঞাত হিসেবে তাঁর মৃতদেহ পড়ে ছিল। 

স্থানীয় শহীদুল ইসলাম জানান, প্রাইভেটকার চালিয়ে সংসার চালাতেন কামরুজ্জামান (৩০)। বাবা থাকেন সৌদিতে, বড় ভাই থাকেন বেলজিয়ামে। এ কারণে সেও ঢাকার উত্তরায় বাস করে ড্রাইভিং করার পাশাপাশি পোল্যান্ড যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। 

কামরুজ্জামানের শ্যালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মর্গে পড়ে থাকা মৃতদেহের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে পরিচয় শনাক্তের পর পুলিশ আমাদের খবর পাঠায়। পরে মর্গে গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করে বাড়ি নিয়ে এসেছি। এ সময় মৃতদেহের মাথা ও শরীরে ৮টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।’ 

শ্যালক জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করে লাশ দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে কামরুজ্জামান রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। 

এই বিষয়ে চর কামারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিক বলেন, ‘ঢাকা থেকে পুলিশের এক কর্মকর্তা আমার কাছে ফোন করে কামরুজ্জামানের ছবি পাঠায়। ওই ছবি দেখে চিনতে পেরে আমি কামরুজ্জামানের পরিবারকে জানালে তারা মৃতদেহ শনাক্ত করে বাড়িতে এনে দাফন করেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত