Ajker Patrika

যানজট নেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে, ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ির ধীর গতি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ির ধীর গতি। ছবি: আজকের পত্রিকা

যানজট না থাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে এবার স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে ভাড়া কয়েক গুণ নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। চালকেরা বলছেন, গন্তব্যে যাওয়ার সময় তাঁরা যাত্রী পেলেও আসার সময় খালি আসতে হয়, তাই ভাড়া কিছুটা বাড়তি নিচ্ছেন।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেখা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাইপাস, চুরখাই, বইলর, ত্রিশাল, রাঘামারা, ভরাডোবা, ভালুকা, হবিরবাড়ী, সিডস্টোর, মাস্টারবাড়ী এবং পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে যানজটের তেমন একটা চাপ নেই বললেই চলে। তবে গাড়ির ধীরগতির কারণে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। যানজট নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ ো ব্যাটালিয়ান সদস্যদের মাঠে কাজ করতে দেখা গেছে।

ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুরসহ ছয় জেলার মানুষ বিভিন্ন পরিবহনে ময়মনসিংহ শহর হয়ে বাড়ি ফিরছে। স্বাভাবিক দিনের মতো যানজটের চাপ থাকায় যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করলেও ১০০ টাকার ভাড়া ৪০০ টাকা এবং ৫০ টাকার ভাড়া ১৫০ টাকা নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

নগরীর পাটগুদাম ব্রিজে গিয়ে কথা হয় নেত্রকোনাগামী যাত্রী সাইদুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদে রাস্তায় তেমন যানজট নেই। ঢাকা থেকে মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় ময়মনসিংহে চলে এসেছি। যদিও দুই ঘণ্টা বেশি লেগেছে। এর কারণ হচ্ছে গাড়ির ধীরগতি। তবে ঢাকা থেকে ৫০০ টাকা ভাড়া দিয়ে ময়মনসিংহ আসতে পারলেও এখান থেকে নেত্রকোনা যাব, ভাড়া চাইছে ৩০০ টাকা। নেত্রকোনার সর্বোচ্চ ভাড়া হলো ১০০ টাকা। এমন প্রতি বছরেই হয়ে থাকে, কিন্তু প্রশাসন তদারকি বাড়ায় না।’

নগরের বাইপাস মোড়ে কথা হয় শফিকুল ইসলাম নামে আরেক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাসে সিট পাইনি। তাই পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে এসেছি। ভাড়া দিতে হয়েছে মাত্র ৩০০ টাকা। ছয় ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। তবে সবাই আনন্দ করে এসেছি। গাজীপুরের পর মাওনা, জয়নাবাজার ও সিডস্টোর কিছুটা যানজট ছিল। পরের রাস্তাটুকুতে গাড়ির চাপ থাকায় আস্তে আস্তে পিকআপ চলেছে।’

শেরপুরগামী সোনার বাংলা পরিবহনের চালক ইমাম হোসেন বলেন, ‘ঢাকা থেকে মানুষ বাড়ি ফিরছে। বাস ভর্তি করে লোকজন নিয়ে এলেও যাওয়ার পথে একেবারেই খালি যেতে হয়। তাই ভাড়া কিছুটা বেশি নেওয়া হচ্ছে। এটাও যাত্রীদের বোঝা উচিত।’

অটোরিকশাচালক মেহেদী হাসান বলেন, ‘মানুষ এখন বাড়ি যাচ্ছে, তাই শহর থেকে যাত্রী পেলেও গ্রাম থেকে আসার সময় একেবারে খালি আসতে হচ্ছে। তাই ভাড়া ডাবল করে নিচ্ছি। কারণ আমাদেরও পেট আছে।’

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মোহাইমেনুর রশিদ বলেন, ‘সাধারণ মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সিনিয়র পুলিশ সদস্যরা কাজ করায় মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছে। রোদ-বৃষ্টিতে আমরা দাঁড়িয়ে থেকে এই সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আমরা দেখার চেষ্টা করি। মূলত বিষয়টি জেলা প্রশাসন তদারকি করেন। তাঁরা একটু কঠোর হলে আমাদের জন্যও ভালো হয়।’

জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করছেন। গতকাল বেশ কয়েক জায়গায় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় জরিমানা করা হয়েছে। এমন কার্যক্রম আমাদের ঈদের পরেও অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত