Ajker Patrika

যানজট নেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে, ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ির ধীর গতি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ির ধীর গতি। ছবি: আজকের পত্রিকা

যানজট না থাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে এবার স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে ভাড়া কয়েক গুণ নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। চালকেরা বলছেন, গন্তব্যে যাওয়ার সময় তাঁরা যাত্রী পেলেও আসার সময় খালি আসতে হয়, তাই ভাড়া কিছুটা বাড়তি নিচ্ছেন।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেখা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাইপাস, চুরখাই, বইলর, ত্রিশাল, রাঘামারা, ভরাডোবা, ভালুকা, হবিরবাড়ী, সিডস্টোর, মাস্টারবাড়ী এবং পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে যানজটের তেমন একটা চাপ নেই বললেই চলে। তবে গাড়ির ধীরগতির কারণে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। যানজট নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ ো ব্যাটালিয়ান সদস্যদের মাঠে কাজ করতে দেখা গেছে।

ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুরসহ ছয় জেলার মানুষ বিভিন্ন পরিবহনে ময়মনসিংহ শহর হয়ে বাড়ি ফিরছে। স্বাভাবিক দিনের মতো যানজটের চাপ থাকায় যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করলেও ১০০ টাকার ভাড়া ৪০০ টাকা এবং ৫০ টাকার ভাড়া ১৫০ টাকা নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

নগরীর পাটগুদাম ব্রিজে গিয়ে কথা হয় নেত্রকোনাগামী যাত্রী সাইদুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদে রাস্তায় তেমন যানজট নেই। ঢাকা থেকে মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় ময়মনসিংহে চলে এসেছি। যদিও দুই ঘণ্টা বেশি লেগেছে। এর কারণ হচ্ছে গাড়ির ধীরগতি। তবে ঢাকা থেকে ৫০০ টাকা ভাড়া দিয়ে ময়মনসিংহ আসতে পারলেও এখান থেকে নেত্রকোনা যাব, ভাড়া চাইছে ৩০০ টাকা। নেত্রকোনার সর্বোচ্চ ভাড়া হলো ১০০ টাকা। এমন প্রতি বছরেই হয়ে থাকে, কিন্তু প্রশাসন তদারকি বাড়ায় না।’

নগরের বাইপাস মোড়ে কথা হয় শফিকুল ইসলাম নামে আরেক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাসে সিট পাইনি। তাই পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে এসেছি। ভাড়া দিতে হয়েছে মাত্র ৩০০ টাকা। ছয় ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। তবে সবাই আনন্দ করে এসেছি। গাজীপুরের পর মাওনা, জয়নাবাজার ও সিডস্টোর কিছুটা যানজট ছিল। পরের রাস্তাটুকুতে গাড়ির চাপ থাকায় আস্তে আস্তে পিকআপ চলেছে।’

শেরপুরগামী সোনার বাংলা পরিবহনের চালক ইমাম হোসেন বলেন, ‘ঢাকা থেকে মানুষ বাড়ি ফিরছে। বাস ভর্তি করে লোকজন নিয়ে এলেও যাওয়ার পথে একেবারেই খালি যেতে হয়। তাই ভাড়া কিছুটা বেশি নেওয়া হচ্ছে। এটাও যাত্রীদের বোঝা উচিত।’

অটোরিকশাচালক মেহেদী হাসান বলেন, ‘মানুষ এখন বাড়ি যাচ্ছে, তাই শহর থেকে যাত্রী পেলেও গ্রাম থেকে আসার সময় একেবারে খালি আসতে হচ্ছে। তাই ভাড়া ডাবল করে নিচ্ছি। কারণ আমাদেরও পেট আছে।’

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মোহাইমেনুর রশিদ বলেন, ‘সাধারণ মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সিনিয়র পুলিশ সদস্যরা কাজ করায় মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছে। রোদ-বৃষ্টিতে আমরা দাঁড়িয়ে থেকে এই সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আমরা দেখার চেষ্টা করি। মূলত বিষয়টি জেলা প্রশাসন তদারকি করেন। তাঁরা একটু কঠোর হলে আমাদের জন্যও ভালো হয়।’

জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করছেন। গতকাল বেশ কয়েক জায়গায় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় জরিমানা করা হয়েছে। এমন কার্যক্রম আমাদের ঈদের পরেও অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপি ছেড়ে আ.লীগে, আইনজীবী মুবিনকে গ্রেপ্তারের দাবি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
ফয়জুল করিম মুবিন। ছবি: সংগৃহীত
ফয়জুল করিম মুবিন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া কিশোরগঞ্জ বিএনপির সাবেক নেতা আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। পোস্ট দিয়ে নানা মন্তব্য করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

এর মধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব শহীদুল্লাহ কায়সার লিখেছেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি—সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ফয়জুল করিম মুবিন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন এবং ফ্যাসিবাদী সংগঠন আওয়ামী লীগের পক্ষে নানা মন্তব্য করছেন।

‘তিনি এমনকি দাবি করছেন, খুনি শেখ হাসিনা দেশে আসবেন বা ইতিমধ্যে এসে গেছেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের রাজপথের একজন কর্মী হিসেবে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি—খুনি শেখ হাসিনার অবস্থান কোথায়, তা জানতে ফয়জুল করিম মুবিনকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হোক।’

অপর দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা-কর্মীরা অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে তাঁকে ট্যাগ করছেন। পরে সেগুলো নিজের টাইমলাইনে শেয়ারও করেছেন ফয়জুল করিম মুবিন।

এর আগে গতকাল বুধবার বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আওয়ামী লীগের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন জেলা বিএনপির সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিন। নিজের ফেসবুক আইডিতে ২ মিনিট ১২ সেকেন্ডের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যেহেতু বলেছেন, তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অবশ্যই আসবেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’

ফয়জুল করিম মুবিন বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি এখন নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের নয়, তিনি এই দেশের স্থিতিশীলতার প্রতীক। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এখন ঐক্যের সময়।’

মুবিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল, ধর্মনিরপেক্ষ দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব। ৫ আগস্টের পর মানুষের যে স্বপ্ন ছিল, চেতনা ছিল, এক বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কারের নামে সম্পদ ভোগ করার চেষ্টা চলছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা চলছে। তাকে প্রতিহত করার জন্যই আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। শেখ হাসিনাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক, বাংলাদেশের মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল। আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।’

মুবিন আরও বলেন, ‘আমি রাজনীতি করেছি দেশের জন্য, দলের জন্য নয়। এখন মনে করছি, দেশের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার প্রয়োজন।’

ফয়জুল করিম মুবিনের বাবা মরহুম ফজলুল করিম ছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী (১৯৭৮–৮২)। তিনি কিশোরগঞ্জ মহকুমা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

ফয়জুল করিম তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সম্পর্কে চাচাতো ভাই হন আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিন দীর্ঘদিন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সম্মেলনের আগের কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সদস্য ছিলেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জ শাখার যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।

এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেছেন ফয়জুল করিম মুবিন। ৭ অক্টোবর বিএনপির সব পদ থেকে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। ৯ অক্টোবর অতিথি পাবলিক প্রসিকিউটর পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে কথা বলতে ফয়জুল করিম মুবিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। তবে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে, সে একজন নেশাগ্রস্ত লোক। মানসিকভাবে অসুস্থ। তার মতো লোকের বিএনপি নয়, কোনো দলেই থাকা উচিত নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টেকনাফে অপহৃত স্কুলছাত্র উদ্ধার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
টেকনাফে অপহৃত স্কুলছাত্র উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অপহৃত এক স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ কাউছার সিকদার।

তিনি জানান, ২১ অক্টোবর দুপুরে রিয়াজ উদ্দিন শখের বশে তার বাবার অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে অজ্ঞাতপরিচয় একদল অপহরণকারী তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন গহিন পাহাড়ে একদল সশস্ত্র ডাকাতের অবস্থানের খবর পায় পুলিশ। এপিবিএন ও জেলা পুলিশের যৌথ একটি দল সেখানে অভিযান চালালে অপহরণকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভিকটিমকে ফেলে পালিয়ে যায়।

অভিযান শেষে নিরাপদে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। পরে তাকে নয়াপাড়া এপিবিএন ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয় এবং পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় তার ব্যবহৃত অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়।

১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক মোহাম্মদ কাউছার সিকদার বলেন, ‘অপহরণের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে এপিবিএন সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসপি-ওসির বিরুদ্ধে এসআইয়ের স্ত্রীর মামলা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) এসপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ আটকের অভিযোগে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আমলি আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলায় নামীয় তিনজন ও অজ্ঞাতনামা দু-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে গাইবান্ধা সদর আমলি আদালতে ভুক্তভোগী এসআই মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আসামিরা হলেন গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) নিশাত এ্যঞ্জেলা, গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার ও লালমনিরহাট জেলার তারেকুজ্জামান তুহিন (২৩) নামের এক ব্যক্তি। তারেকুজ্জামান পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারি-ইসলামপুর এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ও ভুক্তভোগী এসআই মনিরুজ্জামানের বোনের সাবেক স্বামীর মামাতো ভাই।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদীর স্বামী এসআই মনিরুজ্জামান তখন গাইবান্ধা সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। মনিরুজ্জামানের আত্মীয় আসামি তারেকুজ্জামান তুহিন পারিবারিক পূর্বশক্রতার জেরে ফেসবুকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে ছবি প্রকাশ করাকে কেন্দ্র করে এসআই মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা এসপি কার্যালয়ে একটি মৌখিক অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগে চলতি বছরের ২৫ মার্চ পুলিশ সুপার ও ওসি এসআই মনিরুজ্জামানকে এসপি কার্যালয়ে ডেকে নেন। মনিরুজ্জামান এসপি কার্যালয়ে প্রবেশ করা মাত্রই গাইবান্ধার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব জ্যোর্তিময় গোপ মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে তাঁর মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও ১৩ হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেন। পরে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ যাচাই-বাছাই শেষে ডিভাইসগুলো সদর থানার ওসির কাছে আটক রাখেন। এ সময় বিষয়টি বাইরে প্রকাশ করলে চাকরির ক্ষতি হবে বলে ভয় দেখানো হয় মনিরুজ্জামানকে। একপর্যায়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মনিরুজ্জামানকে গাইবান্ধা থেকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুর তালুকদার বলেন, ‘সদর থানার এসআই মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুন তারেকুজ্জামান তুহিন নামের এক আত্মীয়ের নামে সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়ান। গাইবান্ধা এসপি অফিসে এসে তুহিন বিষয়টি জানালে মনিরুজ্জামানের মোবাইল ও ল্যাপটপটি চেক করা হয়। পরে তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়। মামলা করার বিষয়টি শুনেছি।’

গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) নিশাত এ্যঞ্জেলার সরকারি ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভরণপোষণ না দেওয়ায় ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে বাবার মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর পবায় ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন এক বাবা। আদালতের আদেশ পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার মামলাটি পবা থানায় রেকর্ড হয়।

মামলার বাদী আমির হোসেন সরকারের (৭০) বাড়ি পবা উপজেলার নওহাটা কলেজ মোড় এলাকায়। মামলায় ছেলে বোরহান উদ্দিন (৪৫) এবং পুত্রবধূ আয়েশা বেগম আশাকে (৩৬) আসামি করেছেন তিনি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আমির হোসেন সরকার ছেলে বোরহান উদ্দিনের নামে বাড়িসহ ছয় শতক জমি কিনেছিলেন। ২০০০ সালে বোরহান সৌদি আরবে চলে যান। বিদেশে থাকা অবস্থায় বোরহান জমিটি তাঁর বাবাকে আমমোক্তার (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) নিযুক্ত করেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা সংসার করছেন বোরহান। এখন মা-বাবাকে ওই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে সেখানে নতুন করে বাড়ি করার চেষ্টা করছেন।

আমির হোসেন খানের অভিযোগ, ছেলে তাঁর দেখভাল করেন না। কোনো টাকাপয়সাও দেন না। সম্প্রতি রাজশাহীর পবা থানার আমলি আদালতে গিয়ে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন-২০১৩ অনুযায়ী মামলার আবেদন করেন আমির হোসেন। ৫ অক্টোবর আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান সরকার অভিযোগটি সাত দিনের মধ্যে মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ পেয়ে আজ এ মামলা রেকর্ড হয়।

আমির হোসেন সরকার বলেন, ‘সহায়-সম্বল বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। বাড়িটাও কিনেছিলাম ছেলের নামে। সে সৌদি আরবে ২৫ বছর থেকে অনেক টাকাপয়সা রোজগার করেছে। এই বয়সে নানা অসুস্থতা আর অভাব-অনটনে জীবন যাপন করলেও ছেলে খোঁজ নেয়নি। ছেলের বউ আমাদের কোনো টাকাপয়সা দিতে দেয় না। ছেলে দেশে ফিরে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে নতুন করে বাড়ি করার পরিকল্পনা করে। এ বাড়িতে আমার দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকি। সে আমাদের বের করে এখানে বাড়ি করতে চায়। এতে রাজি না হলে সে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে। গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। প্রতিবেশীরা আমাদের উদ্ধার করে।’

অভিযোগের বিষয়ে বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘আমি বিদেশ কাজ করেছি ২৫ বছর। আশপাশে ইনকোয়ারি করলে আসল বিষয়টা বুঝতে পারবেন। আমার ভাইবোন—সবার পেছনে খাটতে খাটতে শেষ। দেশে আসার পরে আমি দেড় বছর ধরে বেকার। ভরণপোষণ দেব কোথা থেকে?’ মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার আরও দুইটা ভাই আছে। সব দায়দায়িত্ব কি আমার একার, না অন্যদেরও আছে?’

পবা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। আমার জানামতে, পবা থানায় এ ধরনের মামলা এবারই প্রথম হলো। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহমখদুম জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘বৃদ্ধ পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের অবহেলা আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ। ২০১৩ সালে সরকার “পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন” প্রণয়ন করে। এই আইনে প্রত্যেক সন্তানকে তার পিতা-মাতার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে বাধ্য করা হয়েছে। কোনো সন্তান এই দায়িত্ব পালন না করলে এক লাখ টাকা জরিমানা বা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের বিধান আছে। অনেক বৃদ্ধ পিতা-মাতা পারিবারিক চাপে পড়ে নীরবে কষ্ট সহ্য করেন। মামলা করতে সাহস পান না। এই মামলা হয়তো অন্যদেরও সচেতন করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত