বাকৃবি প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মুফতি জালাল উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইমামের পেছনে নামাজ না পড়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুসল্লিরা।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমামের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার এক ছাত্রী অভিযোগ (জিডি) করেছিল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামি জালাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আব্দুল আউয়াল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মসজিদে ইমামকে যে আটক করা হয়েছে, প্রশাসন থেকে আমাকে জানানো হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা–কর্মচারী কাউকে আটক করতে গেলে আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া দরকার, কিন্তু পুলিশ অনুমতি নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের কারণে আমি একা সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এলাকাবাসী জানান, মুফতি জালাল উদ্দিন বাকৃবির পেশ ইমামের দায়িত্বের পাশাপাশি একটি মহিলা মাদ্রাসার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শেষ মোড়ের জামিয়া হালিমা সা’দিয়া (রা) বালিকা মাদ্রাসার পরিচালক। মাদ্রাসাটি এর আগে খেজুর তলায় ছিল। সেখানেও মুফতির কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসাটি শেষ মোড়ে স্থানান্তর করা হয়।
অভিযোগকারী বলেন, ‘মেয়েকে ইসলামিক জ্ঞান অর্জনের জন্য মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি কল্পনা করতে পারিনি ইমাম সাহেব এমন কাজ করতে পারেন। এর আগে আমার মেয়ে ইমামের স্ত্রীর কাছে অভিযোগ দিয়েছিল, কিন্তু তার স্ত্রী হুমকি দিয়ে আমার মেয়েকে মেরেছিল। তারা আমার মেয়েকে আটকে রেখে বাসায় ফিরতে দিত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, পড়ালেখার জন্য হয়তো বাসায় আসছে না। দুই দিন আগে আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় এলাকাবাসী জানতে পেরে তাকে আটকে রাখে। আমি এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।’
এদিকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, মহিলা মাদ্রাসা করে মেয়েদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপ, দোকানে বাকি খেয়ে টাকা না দেওয়াসহ সপ্তাহের তিন দিন ছুটি কাটানোর অভিযোগ তুলেছেন মুসল্লিরা। এ ঘটনায় ইমামের পেছনে নামাজ না পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। মুসল্লিদের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগও মসজিদ কমিটির সভাপতির কাছে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী আশরাফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইমামের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ এসেছিল। কিন্তু সেটি লিখিত না হওয়ায় আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ইমাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দায়িত্ব পালন করেন। তার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখবেন। আমরা শুধু এতটুকুই করব, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি ইমামতির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।’
ময়মনসিংহে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মুফতি জালাল উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইমামের পেছনে নামাজ না পড়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুসল্লিরা।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমামের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার এক ছাত্রী অভিযোগ (জিডি) করেছিল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামি জালাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আব্দুল আউয়াল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মসজিদে ইমামকে যে আটক করা হয়েছে, প্রশাসন থেকে আমাকে জানানো হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা–কর্মচারী কাউকে আটক করতে গেলে আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া দরকার, কিন্তু পুলিশ অনুমতি নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের কারণে আমি একা সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এলাকাবাসী জানান, মুফতি জালাল উদ্দিন বাকৃবির পেশ ইমামের দায়িত্বের পাশাপাশি একটি মহিলা মাদ্রাসার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শেষ মোড়ের জামিয়া হালিমা সা’দিয়া (রা) বালিকা মাদ্রাসার পরিচালক। মাদ্রাসাটি এর আগে খেজুর তলায় ছিল। সেখানেও মুফতির কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসাটি শেষ মোড়ে স্থানান্তর করা হয়।
অভিযোগকারী বলেন, ‘মেয়েকে ইসলামিক জ্ঞান অর্জনের জন্য মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি কল্পনা করতে পারিনি ইমাম সাহেব এমন কাজ করতে পারেন। এর আগে আমার মেয়ে ইমামের স্ত্রীর কাছে অভিযোগ দিয়েছিল, কিন্তু তার স্ত্রী হুমকি দিয়ে আমার মেয়েকে মেরেছিল। তারা আমার মেয়েকে আটকে রেখে বাসায় ফিরতে দিত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, পড়ালেখার জন্য হয়তো বাসায় আসছে না। দুই দিন আগে আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় এলাকাবাসী জানতে পেরে তাকে আটকে রাখে। আমি এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।’
এদিকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, মহিলা মাদ্রাসা করে মেয়েদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপ, দোকানে বাকি খেয়ে টাকা না দেওয়াসহ সপ্তাহের তিন দিন ছুটি কাটানোর অভিযোগ তুলেছেন মুসল্লিরা। এ ঘটনায় ইমামের পেছনে নামাজ না পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। মুসল্লিদের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগও মসজিদ কমিটির সভাপতির কাছে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী আশরাফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইমামের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ এসেছিল। কিন্তু সেটি লিখিত না হওয়ায় আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ইমাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দায়িত্ব পালন করেন। তার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখবেন। আমরা শুধু এতটুকুই করব, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি ইমামতির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।’
জীবিত তিন মামাকে ‘মৃত’ দেখিয়ে কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তি দখল ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তাঁদের ভাগনের বিরুদ্ধে। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের খারিজা ভাজনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
১৭ মিনিট আগেমহেশখালীর অদূরে গভীর সাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে চার দিন ভেসে থাকা এফবি ‘হাবিবা’ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার ও ১৮ জেলেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এক সপ্তাহ আগে ভোলার মনপুরা এলাকা থেকে মাছ শিকার করতে ট্রলারটি সাগরে নেমেছিল।
১৯ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ট্রাক্টর ভাড়া নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ট্রাক্টরটি ফেরত চাইলে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দুই মাস আগে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
২৮ মিনিট আগেবিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জুলাই ৩৬ হলের আগের নাম ছিল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল। নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদ ও আগের নাম বহাল রাখার দাবিতে গত ৯ জানুয়ারি রাত ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত হলে আন্দোলন করেন একদল ছাত্রী। এ ছাড়া কয়েক ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি...
৩৪ মিনিট আগে