ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর রেল সেতু দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল বেড়েছে। এতে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষকে সতর্ক করা ছাড়া এর কোনো উপায় দেখছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, ১৯১৫ সালে বলাশপুর মরাখলা এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ট্রেন চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হয় রেল সেতু। ৯৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুর বয়স ১০৬ বছর। নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলায় যাওয়া ট্রেনগুলো এই রেল সেতু অতিক্রম করে। এই রেল সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি ট্রেন ১৮ থেকে ২০ বার আসা-যাওয়া করে।
এদিকে যাতায়াতের সুবিধার জন্য পাঁচ-ছয় গ্রামের শত শত মানুষ সেতুটি ব্যবহার করে। ফলে গ্রামবাসী প্রায় সময়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। চলাচলের পথে দুর্ঘটনা ঘটলেও এই রেল সেতু দিয়ে গ্রামবাসীর যাতায়াত কমছে না।
এ বিষয়ে চর গোবদিয়া গ্রামের মো. রনি বলেন, 'অনেক সময় ফেরির জন্য বসে থাকতে হয়। কিন্তু রেল সেতুর ওপর দিয়ে গেলে কর্মস্থলে দ্রুত পৌঁছানো যায়। এ কারণে গ্রামের অনেকেই সেতু ব্যবহার করে থাকেন। গত মাসের ২৬ অক্টোবর রেল সেতুর ওপর দিয়ে এক লোক হেঁটে যাওয়ার সময় আন্তনগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক ট্রেনটি থামিয়ে লোকটির জীবন রক্ষা করেন। চলতি বছরে চার থেকে পাঁচটি এমন ঘটনা ঘটেছে।'
দুলাল উদ্দিন বলেন, 'তিন বছর আগে শহরের দিকে যাওয়ার সময় ১৬ বছরের এক ছেলে ট্রেনের নিচে কাঁটা পড়ে মারা যায়। এটা আমার দেখা একটি বড় দুর্ঘটনা। এই রেল সেতু দিয়ে মানুষ সহজেই পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া কিছুদিন আগেও ট্রেনের ধাক্কায় একজন আহত হন।'
মো. সবুজ মিয়া বলেন, 'গোবদিয়া, নিলক্ষীয়া, আকতাপাড়া, কালীবাড়ি চর এলাকার লোকজন এই রেল সেতু দিয়ে সকাল-সন্ধ্যা যাতায়াত করে। চলার পথে ট্রেন এলে মাঝখানে দাঁড়ানোর জায়গা আছে। যারা একটু চালাকচতুর এবং সাহসী তাদের ক্ষেত্রে এ সময় সমস্যা হয় না। কিন্তু প্রথম প্রথম কেউ এই সেতুতে উঠলে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়।'
এ বিষয়ে একই এলাকার হাফিজা আক্তার বলেন, তিনি শহরে মানুষের বাসাবাড়িতে কাজ করেন। ফেরি দিয়ে এলে কাজের দেরি হয়ে যায়। তাই ঝুঁকি নিয়ে রেল সেতু দিয়ে চলাচল করেন। শীতের দিন একটু সমস্যা হয়, গাড়ি চোখে দেখা যায় না আবার হর্নও শোনা যায় না।
রেল সেতুর ওপর দিয়ে মানুষের চলাচল সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ জানিয়ে ময়মনসিংহ রেল বিভাগের প্রকৌশল শাখার সহকারী প্রকৌশলী নারায়ণ সরকার প্রসাদ এ বিষয়ে বলেন, এখানে দুর্ঘটনা ঘটলে কেউ দায়িত্ব নেবে না সেটাই স্বাভাবিক। রেল সেতুর মাঝখানে ট্রলি নিয়ে দাঁড়ানোর যে জায়গা আছে, সেটি সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি করা হয়নি। ব্রিটিশরা সেটি তৈরি করেছিল রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য। যখন কোনো কাজে রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ট্রলি নিয়ে যাবেন, তখন যদি কোনো ট্রেন আসে, সেখানে যেন দাঁড়াতে পারে।'
ময়মনসিংহ স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'মানুষের চলাচলের জন্য রেললাইন তথা রেল সেতুতে ১৪৪ ধারা জারি থাকে সব সময়। সেখানে লেখাও রয়েছে, সেতু দিয়ে মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ। তবু মানুষ সতর্ক না হলে কিছু করার থাকে না।'
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি মামুনুর রহমান বলেন, এখানে আইন প্রয়োগের কিছু নেই। মানুষকে সতর্ক হতে হবে। কখনো ট্রেন থামিয়ে আবার কখনো মানুষ দৌড়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচে, আহত হয়। সুতরাং সবার রেলওয়ের আইন মেনে চলা উচিত।
ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর রেল সেতু দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল বেড়েছে। এতে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষকে সতর্ক করা ছাড়া এর কোনো উপায় দেখছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, ১৯১৫ সালে বলাশপুর মরাখলা এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ট্রেন চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হয় রেল সেতু। ৯৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুর বয়স ১০৬ বছর। নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলায় যাওয়া ট্রেনগুলো এই রেল সেতু অতিক্রম করে। এই রেল সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি ট্রেন ১৮ থেকে ২০ বার আসা-যাওয়া করে।
এদিকে যাতায়াতের সুবিধার জন্য পাঁচ-ছয় গ্রামের শত শত মানুষ সেতুটি ব্যবহার করে। ফলে গ্রামবাসী প্রায় সময়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। চলাচলের পথে দুর্ঘটনা ঘটলেও এই রেল সেতু দিয়ে গ্রামবাসীর যাতায়াত কমছে না।
এ বিষয়ে চর গোবদিয়া গ্রামের মো. রনি বলেন, 'অনেক সময় ফেরির জন্য বসে থাকতে হয়। কিন্তু রেল সেতুর ওপর দিয়ে গেলে কর্মস্থলে দ্রুত পৌঁছানো যায়। এ কারণে গ্রামের অনেকেই সেতু ব্যবহার করে থাকেন। গত মাসের ২৬ অক্টোবর রেল সেতুর ওপর দিয়ে এক লোক হেঁটে যাওয়ার সময় আন্তনগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক ট্রেনটি থামিয়ে লোকটির জীবন রক্ষা করেন। চলতি বছরে চার থেকে পাঁচটি এমন ঘটনা ঘটেছে।'
দুলাল উদ্দিন বলেন, 'তিন বছর আগে শহরের দিকে যাওয়ার সময় ১৬ বছরের এক ছেলে ট্রেনের নিচে কাঁটা পড়ে মারা যায়। এটা আমার দেখা একটি বড় দুর্ঘটনা। এই রেল সেতু দিয়ে মানুষ সহজেই পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া কিছুদিন আগেও ট্রেনের ধাক্কায় একজন আহত হন।'
মো. সবুজ মিয়া বলেন, 'গোবদিয়া, নিলক্ষীয়া, আকতাপাড়া, কালীবাড়ি চর এলাকার লোকজন এই রেল সেতু দিয়ে সকাল-সন্ধ্যা যাতায়াত করে। চলার পথে ট্রেন এলে মাঝখানে দাঁড়ানোর জায়গা আছে। যারা একটু চালাকচতুর এবং সাহসী তাদের ক্ষেত্রে এ সময় সমস্যা হয় না। কিন্তু প্রথম প্রথম কেউ এই সেতুতে উঠলে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়।'
এ বিষয়ে একই এলাকার হাফিজা আক্তার বলেন, তিনি শহরে মানুষের বাসাবাড়িতে কাজ করেন। ফেরি দিয়ে এলে কাজের দেরি হয়ে যায়। তাই ঝুঁকি নিয়ে রেল সেতু দিয়ে চলাচল করেন। শীতের দিন একটু সমস্যা হয়, গাড়ি চোখে দেখা যায় না আবার হর্নও শোনা যায় না।
রেল সেতুর ওপর দিয়ে মানুষের চলাচল সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ জানিয়ে ময়মনসিংহ রেল বিভাগের প্রকৌশল শাখার সহকারী প্রকৌশলী নারায়ণ সরকার প্রসাদ এ বিষয়ে বলেন, এখানে দুর্ঘটনা ঘটলে কেউ দায়িত্ব নেবে না সেটাই স্বাভাবিক। রেল সেতুর মাঝখানে ট্রলি নিয়ে দাঁড়ানোর যে জায়গা আছে, সেটি সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি করা হয়নি। ব্রিটিশরা সেটি তৈরি করেছিল রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য। যখন কোনো কাজে রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ট্রলি নিয়ে যাবেন, তখন যদি কোনো ট্রেন আসে, সেখানে যেন দাঁড়াতে পারে।'
ময়মনসিংহ স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'মানুষের চলাচলের জন্য রেললাইন তথা রেল সেতুতে ১৪৪ ধারা জারি থাকে সব সময়। সেখানে লেখাও রয়েছে, সেতু দিয়ে মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ। তবু মানুষ সতর্ক না হলে কিছু করার থাকে না।'
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি মামুনুর রহমান বলেন, এখানে আইন প্রয়োগের কিছু নেই। মানুষকে সতর্ক হতে হবে। কখনো ট্রেন থামিয়ে আবার কখনো মানুষ দৌড়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচে, আহত হয়। সুতরাং সবার রেলওয়ের আইন মেনে চলা উচিত।
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাটে নিখোঁজের ১৯ দিন পর মরিয়ম (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রীর অর্ধগলিত লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার কাজিরহাট থানার জয়নগর ইউনিয়নের একটি ডোবা থেকে দেহ এবং আজ শনিবার সকালে মাথা ও হাত উদ্ধার করা হয়।
৫ মিনিট আগেবাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেছেন, গত ১৭ বছর শিক্ষকদের ভোটে সিল মারার কাজে লাগানো হয়েছে। আর নিরীহ শিক্ষকদের নানাভাবে অসম্মানিত করা হয়েছে। তাই শিক্ষকদের সম্মান ফেরাতে সবাইকে কাজ করতে হবে।
২০ মিনিট আগেপাবনার বেড়া উপজেলায় মসজিদের বারান্দা নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত মো. হাদিস (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত হাদিস সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে। তিনি বেড়া উপজেলার তারাপুর গ্রামে
৪২ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের মারধর ও কোদালের কোপে এক বিধবা নারী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী মফিজ উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আবেয়া বেওয়া (৫০)।
১ ঘণ্টা আগে