ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
আবুল মুনসুর ফকির (৭০) থাকেন মহাসড়কের পাশে খালের ওপর মাচা তৈরি করে। মানুষের দেওয়া দানে চলে তাঁর জীবনযাপন। এমন পরিস্থিতিতেই ভেবেছেন জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের সেবা করবেন। ত্রিশালের ২ নম্বর বৈলর ইউনিয়নের এবারের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তিনি। চার ছেলে এক মেয়ের এই জনক এখন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন এলাকায়। নিজের চশমা প্রতীকের পোস্টার নিজেই সাঁটাচ্ছেন ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে। এ কাজে তাঁকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় কিছু এলাকাবাসী। ভিক্ষাবৃত্তি করায় নামের শেষে উপাধি স্বরূপ লাগিয়েছেন ফকির।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এক হাতে পোস্টারের ব্যাগ আরেক হাতে আঠার বালতি নিয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানে একাই নিজের পোস্টার সাঁটাচ্ছেন আবুল মুনসুর ফকির।
ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পাড়া মহল্লা বাড়ি-বাড়ি, হাটে-বাজারে একাই ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। আবুল মুনসুর ফকিরের প্রতীক চশমা। টাকা নেই তাই এটাকে পাগলামি ভেবে নিজের সন্তান ও আত্মীয়রা পাশে থাকছেন না ।
এই বিষয়টাকে স্থানীয়রা নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন।
২নম্বর বৈলর ইউনিয়নের ভরাডোবা গ্রামের বাসিন্দা মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, আবুল মুনসুর ফকিরের ইচ্ছা তিনি জনগণের সেবা করবেন। এই বিষয়গুলো বহুদিন থেকেই তিনি মানুষের কাছে বলাবলি করছিল। আমরা স্থানীয়রা এই আগ্রহ দেখে তাঁকে উৎসাহ দিই। চশমা প্রতীক পেয়ে উনিও মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
বৈলর বড় পুকুর পাড়ের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আমরা স্থানীয়রা টাকা তুলে পোস্টার করে দিয়েছি। জনগণকে বুট, মুড়ি আমরা টাকা তুলে খাওয়াচ্ছি। শুনেছি উনি ওনার একটি কার্ডের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলেন। উনাকে কার্ড করে দেননি ওই চেয়ারম্যান। তখনই উনি নিয়ত করেছিলেন উনি জনপ্রতিনিধি হবেন।
বৈলর ভরাডোবা গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহিন মিয়া বলেন, আমরা এর আগে অনেক লোককে ভোট দিয়েছি। এলাকার তেমন কোনো কাজ হয়নি। এবার ফকিরকে ভোট দিয়ে দেখি কি হয়। এটা আমাদের মনের একটা তৃপ্তি। উনি ফকির হলেও সবার সঙ্গে কথাবার্তায়, আচার আচরণে অনেক ভালো।
সাজ্জাত নামে একজন বলেন, অনেকের কাছে এটা পাগলামি মনে হতে পারে। শোনা যায়, একটা বিশেষ দলীয় প্রতীক পেতে কোটি টাকাও ঘুষ লেনদেন হয়। নির্বাচনী খরচ তো কথাই নাই। টাকার ছড়াছড়ি। কথিত ওই সব সমাজসেবকদের কারণে যেখানে যুবসমাজ ধ্বংসপ্রায়, সেখানে আবুল মুনসুর ফকিরের দৃঢ়তা থেকে একটা বিষয় শিক্ষণীয়। সেটা হলো, জনগণের কাছে যেতে একাও কম নয়। টাকা নয়, ইচ্ছাশক্তি দরকার।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবুল মুনসুর ফকির বলেন, আমি ভোটের জন্য জনগণের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। জনগণ ভালোই সাড়া দিচ্ছে। আমি জয়ী হতে পারলে জনগণকে কোনো টাকা,পয়সা ছাড়ায় বিভিন্ন কার্ড করে দেব। গরিব গরিবের দুঃখ বুঝে। আমিও গরিবের পাশে থাকতে চাই।
আবুল মুনসুর ফকির (৭০) থাকেন মহাসড়কের পাশে খালের ওপর মাচা তৈরি করে। মানুষের দেওয়া দানে চলে তাঁর জীবনযাপন। এমন পরিস্থিতিতেই ভেবেছেন জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের সেবা করবেন। ত্রিশালের ২ নম্বর বৈলর ইউনিয়নের এবারের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তিনি। চার ছেলে এক মেয়ের এই জনক এখন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন এলাকায়। নিজের চশমা প্রতীকের পোস্টার নিজেই সাঁটাচ্ছেন ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে। এ কাজে তাঁকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় কিছু এলাকাবাসী। ভিক্ষাবৃত্তি করায় নামের শেষে উপাধি স্বরূপ লাগিয়েছেন ফকির।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এক হাতে পোস্টারের ব্যাগ আরেক হাতে আঠার বালতি নিয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানে একাই নিজের পোস্টার সাঁটাচ্ছেন আবুল মুনসুর ফকির।
ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পাড়া মহল্লা বাড়ি-বাড়ি, হাটে-বাজারে একাই ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। আবুল মুনসুর ফকিরের প্রতীক চশমা। টাকা নেই তাই এটাকে পাগলামি ভেবে নিজের সন্তান ও আত্মীয়রা পাশে থাকছেন না ।
এই বিষয়টাকে স্থানীয়রা নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন।
২নম্বর বৈলর ইউনিয়নের ভরাডোবা গ্রামের বাসিন্দা মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, আবুল মুনসুর ফকিরের ইচ্ছা তিনি জনগণের সেবা করবেন। এই বিষয়গুলো বহুদিন থেকেই তিনি মানুষের কাছে বলাবলি করছিল। আমরা স্থানীয়রা এই আগ্রহ দেখে তাঁকে উৎসাহ দিই। চশমা প্রতীক পেয়ে উনিও মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
বৈলর বড় পুকুর পাড়ের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আমরা স্থানীয়রা টাকা তুলে পোস্টার করে দিয়েছি। জনগণকে বুট, মুড়ি আমরা টাকা তুলে খাওয়াচ্ছি। শুনেছি উনি ওনার একটি কার্ডের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলেন। উনাকে কার্ড করে দেননি ওই চেয়ারম্যান। তখনই উনি নিয়ত করেছিলেন উনি জনপ্রতিনিধি হবেন।
বৈলর ভরাডোবা গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহিন মিয়া বলেন, আমরা এর আগে অনেক লোককে ভোট দিয়েছি। এলাকার তেমন কোনো কাজ হয়নি। এবার ফকিরকে ভোট দিয়ে দেখি কি হয়। এটা আমাদের মনের একটা তৃপ্তি। উনি ফকির হলেও সবার সঙ্গে কথাবার্তায়, আচার আচরণে অনেক ভালো।
সাজ্জাত নামে একজন বলেন, অনেকের কাছে এটা পাগলামি মনে হতে পারে। শোনা যায়, একটা বিশেষ দলীয় প্রতীক পেতে কোটি টাকাও ঘুষ লেনদেন হয়। নির্বাচনী খরচ তো কথাই নাই। টাকার ছড়াছড়ি। কথিত ওই সব সমাজসেবকদের কারণে যেখানে যুবসমাজ ধ্বংসপ্রায়, সেখানে আবুল মুনসুর ফকিরের দৃঢ়তা থেকে একটা বিষয় শিক্ষণীয়। সেটা হলো, জনগণের কাছে যেতে একাও কম নয়। টাকা নয়, ইচ্ছাশক্তি দরকার।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবুল মুনসুর ফকির বলেন, আমি ভোটের জন্য জনগণের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। জনগণ ভালোই সাড়া দিচ্ছে। আমি জয়ী হতে পারলে জনগণকে কোনো টাকা,পয়সা ছাড়ায় বিভিন্ন কার্ড করে দেব। গরিব গরিবের দুঃখ বুঝে। আমিও গরিবের পাশে থাকতে চাই।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, রাধানগর গ্রামের রাখাল চন্দ্র রায় নামে এক ব্যক্তি ১৯৭৩ সালে ৩৩ শতাংশ জমি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য দান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে তার নাতি অরূপ রায় ওই জমিতে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। অবশিষ্ট ৫৫ শতাংশ জমি সরকারি নথিতে খেলার মাঠ হিসেবে উল্লেখ করা আছে। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়কর
৬ মিনিট আগেজানা যায়, জনদুর্ভোগ কমাতে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে দুটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে সেতুর ওপর সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন রাখা নিষেধ বলে সতর্ক করা হয়। ২০১১ সালে নির্মিত এই নতুন সেতুতে যানজট এড়াতে একসময় ট্রাফিক পুলিশ রাখা হলেও কয়েক মাস পর তাদের তুলে নেওয়া হয়।
২২ মিনিট আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত রফিকুল আলমকে বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। সেই সময় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসা ছিল। অভিযোগ আছে, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি ওইসব নেতাদের সঙ্গে মিলে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুরানো জাহাজের সরঞ্জাম বিক্রির দুটি দোকান ও একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানসহ মোট তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, মার্কেটের আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান
১ ঘণ্টা আগে