মহিউদ্দিন রানা, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)
‘কয়ডা দিন ধইরা নাওয়া-খাওয়া নাই, ঘুম নাই, বাইচ্চ্যা থাইক্ক্যাও মনে অইতাছে মইরা গেছি। আল্লায় আমারে যে কী কঠিন পরীক্ষাত ফালছে! সারা দিন এ-হে কল দেয়, জিগায়। মুখ দিয়া কথা আইয়ে না আমার। মান-ইজ্জত তো যা যাওনের সব গেছেগা। অহন হুনতাছি পত্র-পত্রিকাতও নাহি লেহালেহি অইতাছে। বাড়িত গিয়া মাইনষেরে এই মুখ কিবা দেহাইয়াম? কতোজনে কতো কথা জিগাইবো, পরে শরমে তো মরণ ছাড়া গতি থাকতো না। এর লাইগ্যা যেই কয়ডাদিন বাইচ্চ্যা আছি দূরাহিই পইড়া থাকবাম।’
মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে এভাবেই কথাগুলো বলেন ভুল করে অন্য ট্রেনে ওঠে ধর্ষণের শিকার হওয়া কিশোরীর বাবা। ওই কিশোরীর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের একটি গ্রামে। গত বুধবার সকালে চলন্ত অবস্থায় লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
কিশোরীর বাবার ভাষ্যমতে, ধর্ষণের শিকার কিশোরীটি একেবারে সাদাসিধে প্রকৃতির ছিল। গত মঙ্গলবার দুপুরে বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলেই বাড়ির উদ্দেশে বের হয় তাঁর মেয়ে। পরে ওই দিন রাতভর কোনো খোঁজখবর না পেয়ে বুধবার সকালে এ দুঃসংবাদটি পান তিনি।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা আজকের পত্রিকাকে জানান, ২০২১ সালে একটি হত্যা মামলার ঘটনায় পরপর দুটি মিথ্যা মামলা হয় তাঁর নামে। একটি মামলা করেন নিহতের স্ত্রী, অপরটি নিহতের মেয়ে। মা-মেয়ের করা মামলায় আট মাস জেল খেটে ঘরের ভিটেমাটি ছাড়া সব সহায়সম্বল বিক্রি করে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হন। এরপর দুই ছেলে এবং ছোট মেয়েকে (ধর্ষণের শিকার) বাড়িতে রেখে, বড় মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে কাজের সন্ধানে চলে আসেন গাজীপুরের জয়দেবপুরে।
কিশোরীর বাবা জানান, সেখানে বড় মেয়ে একটি জুতার কারখানায়, স্ত্রী গৃহপরিচারিকা এবং নিজে দিনমজুরের কাজ শুরু করেন। ছোট মেয়ে তখন বাড়ির পাশেই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। কিছুদিন পর তাকেও নিজের কাছে নিয়ে আসেন। এরপর মহিলা মাদ্রাসায় ভর্তি করালেও খুব বেশি দিন পড়াশোনা করেনি। সারা দিন বাসায় থাকত সে। অন্যদিকে বাড়িতে থাকা দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে স্থানীয় স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ছোট ছেলে বাক্প্রতিবন্ধী।
আজ শনিবার সরেজমিন ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে বাক্প্রতিবন্ধী ছোট ভাইকে এবং তাঁর এক চাচাকে পাওয়া যায়। কথা হলে আজকের পত্রিকাকে ভুক্তভোগী কিশোরীর চাচা বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কপালই খারাপ। মিথ্যা মামলায় পইড়া গরু-বাছুর, জায়গা-জমি বেইচ্চ্যা দেশছাড়া অইছে। অহন যে ঘটনা ঘটছে, বাড়িতে কেমনে আইবো কইন?’ এ ঘটনায় অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান কিশোরীর চাচা।
এদিকে এ ঘটনার খবর শোনার পর থেকে স্তব্ধ ওই গ্রামের মানুষ। সরেজমিন কথা হলে একাধিক ব্যক্তি বলেন, ‘মেয়েটির পরিবার খুবই অসহায়। এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, আমরা ওই অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহের ট্রেনে না ওঠে ভুলবশত লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠে পড়ে ওই কিশোরী (১৩)। টিকিট চেকিংয়ের সময় ওই কিশোরীর টিকিট না পাওয়ায় ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাছ গাজী (৩২) তাকে একটি ফাঁকা কেবিনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন।’
এরপর কিশোরীর চিৎকারে কর্তব্যরত পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং অ্যাটেনডেন্ট আক্কাছ গাজীকে হাতেনাতে আটক করেন। তারপর রেলওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রুহুল আমিন বাদী হয়ে আক্কাছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার পর আক্কাছ গাজীকে কারাগারে পাঠানো হয়। এদিকে এ ঘটনায় বুধবারই আক্কাছ গাজীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া আক্কাছ গাজীর বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার বিভাগীয় মামলাও করেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
‘কয়ডা দিন ধইরা নাওয়া-খাওয়া নাই, ঘুম নাই, বাইচ্চ্যা থাইক্ক্যাও মনে অইতাছে মইরা গেছি। আল্লায় আমারে যে কী কঠিন পরীক্ষাত ফালছে! সারা দিন এ-হে কল দেয়, জিগায়। মুখ দিয়া কথা আইয়ে না আমার। মান-ইজ্জত তো যা যাওনের সব গেছেগা। অহন হুনতাছি পত্র-পত্রিকাতও নাহি লেহালেহি অইতাছে। বাড়িত গিয়া মাইনষেরে এই মুখ কিবা দেহাইয়াম? কতোজনে কতো কথা জিগাইবো, পরে শরমে তো মরণ ছাড়া গতি থাকতো না। এর লাইগ্যা যেই কয়ডাদিন বাইচ্চ্যা আছি দূরাহিই পইড়া থাকবাম।’
মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে এভাবেই কথাগুলো বলেন ভুল করে অন্য ট্রেনে ওঠে ধর্ষণের শিকার হওয়া কিশোরীর বাবা। ওই কিশোরীর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের একটি গ্রামে। গত বুধবার সকালে চলন্ত অবস্থায় লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
কিশোরীর বাবার ভাষ্যমতে, ধর্ষণের শিকার কিশোরীটি একেবারে সাদাসিধে প্রকৃতির ছিল। গত মঙ্গলবার দুপুরে বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলেই বাড়ির উদ্দেশে বের হয় তাঁর মেয়ে। পরে ওই দিন রাতভর কোনো খোঁজখবর না পেয়ে বুধবার সকালে এ দুঃসংবাদটি পান তিনি।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা আজকের পত্রিকাকে জানান, ২০২১ সালে একটি হত্যা মামলার ঘটনায় পরপর দুটি মিথ্যা মামলা হয় তাঁর নামে। একটি মামলা করেন নিহতের স্ত্রী, অপরটি নিহতের মেয়ে। মা-মেয়ের করা মামলায় আট মাস জেল খেটে ঘরের ভিটেমাটি ছাড়া সব সহায়সম্বল বিক্রি করে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হন। এরপর দুই ছেলে এবং ছোট মেয়েকে (ধর্ষণের শিকার) বাড়িতে রেখে, বড় মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে কাজের সন্ধানে চলে আসেন গাজীপুরের জয়দেবপুরে।
কিশোরীর বাবা জানান, সেখানে বড় মেয়ে একটি জুতার কারখানায়, স্ত্রী গৃহপরিচারিকা এবং নিজে দিনমজুরের কাজ শুরু করেন। ছোট মেয়ে তখন বাড়ির পাশেই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। কিছুদিন পর তাকেও নিজের কাছে নিয়ে আসেন। এরপর মহিলা মাদ্রাসায় ভর্তি করালেও খুব বেশি দিন পড়াশোনা করেনি। সারা দিন বাসায় থাকত সে। অন্যদিকে বাড়িতে থাকা দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে স্থানীয় স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ছোট ছেলে বাক্প্রতিবন্ধী।
আজ শনিবার সরেজমিন ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে বাক্প্রতিবন্ধী ছোট ভাইকে এবং তাঁর এক চাচাকে পাওয়া যায়। কথা হলে আজকের পত্রিকাকে ভুক্তভোগী কিশোরীর চাচা বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কপালই খারাপ। মিথ্যা মামলায় পইড়া গরু-বাছুর, জায়গা-জমি বেইচ্চ্যা দেশছাড়া অইছে। অহন যে ঘটনা ঘটছে, বাড়িতে কেমনে আইবো কইন?’ এ ঘটনায় অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান কিশোরীর চাচা।
এদিকে এ ঘটনার খবর শোনার পর থেকে স্তব্ধ ওই গ্রামের মানুষ। সরেজমিন কথা হলে একাধিক ব্যক্তি বলেন, ‘মেয়েটির পরিবার খুবই অসহায়। এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, আমরা ওই অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহের ট্রেনে না ওঠে ভুলবশত লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠে পড়ে ওই কিশোরী (১৩)। টিকিট চেকিংয়ের সময় ওই কিশোরীর টিকিট না পাওয়ায় ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাছ গাজী (৩২) তাকে একটি ফাঁকা কেবিনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন।’
এরপর কিশোরীর চিৎকারে কর্তব্যরত পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং অ্যাটেনডেন্ট আক্কাছ গাজীকে হাতেনাতে আটক করেন। তারপর রেলওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রুহুল আমিন বাদী হয়ে আক্কাছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার পর আক্কাছ গাজীকে কারাগারে পাঠানো হয়। এদিকে এ ঘটনায় বুধবারই আক্কাছ গাজীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া আক্কাছ গাজীর বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার বিভাগীয় মামলাও করেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত পরিদর্শন করে। এ সময় তারা ষাটনল, ষাটনল বাবু বাজার, মোহনপুর ও এখলাছপুর এলাকা থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে প্রাথমিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যান।
২৪ মিনিট আগেআজ সকাল থেকে জেলা বিএনপির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে ডাকা হরতালে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। ভোরে বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তার চারটি রাস্তায় বাঁশ-বেঞ্চ দিয়ে বন্ধ করে ঠাকুরগাঁও শহর থেকে উপজেলার প্রবেশপথ কালমেঘ বাজারে গাছ ফেলে হরতাল কর্মসূচি পালন করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তাতে সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে...
১ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিসহ সাত দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আজ শনিবার বিকেল ৪টার মধ্যে দাবি পূরণের ঘোষণা না দেওয়া হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকায়...
২ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের ডাসারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আজিজুল হাওলাদার (৬০) নামের এক চায়ের দোকানির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ধামুসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে