ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী পূরবী সিনেমা হলটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে হলটি ভাঙা শুরু করেছে মালিকপক্ষ। নগরীর চামড়াগুদাম এলাকায় স্বাধীনতার আগে ৩২ শতাংশ জায়গায় সিনেমা হলটি নির্মাণ করা হয়। আসনসংখ্যা প্রায় এক হাজার। ১৯৮০—১৯৯০ দশকে ব্যাপক দর্শকপ্রিয় ছিল হলটি।
সবশেষ এক মাস ধরে হলটিতে প্রদর্শিত হয়েছিল ‘একবুক জ্বালা’ নামের চলচ্চিত্র। তবে একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হওয়া সংস্কৃতির জন্য বড় ধরনের হুমকি বলছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষজন।
এর আগে ২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর একই সময়ে অলকা, অজন্তা, ছায়াবাণী ও পূরবী সিনেমা হলে বোমা হামলার পর মূলত সিনেমা হলগুলোয় দর্শকসংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমতে থাকে। করোনার পর থেকে সেই সংখ্যা আরও বাড়ে। হলের নিচতলায় ৭০০ আসন, দ্বিতীয় তলায় ডি চেয়ার ছিল ৩২০টি এবং বক্স ছিল ২০টি।
হল কর্তৃপক্ষ বলছে, কয়েক বছর ধরে প্রতি শোতে ৫-৭ জন দর্শক হয়। অনেক সময় দর্শক না থাকার কারণে শো বন্ধ থাকে। দিনের পর দিন স্টাফ খরচও না ওঠায় হল ভাঙার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তাই সেখানে বহুতল ভবন করে দর্শক চাহিদার ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনে পূরবী সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।
আজ শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, ৮-১০ জন শ্রমিক দেয়াল ভেঙে ইট, পাথর ও লোহা সরানোর কাজ করছেন। শ্রমিক মুকুল মিয়া বলেন, ‘গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে হল ভাঙার কাজ শুরু করেছি। দৈনিক গড়ে ১২-১৪ শ্রমিক কাজ করছি। প্রথম-দ্বিতীয় তলার ছাদ এবং দেয়াল ভাঙা হয়েছে। সম্পূর্ণ ভাঙতে আরও কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগবে। শুনেছি, সেখানে মালিকপক্ষ কমপ্লেক্স করবেন।’
ঠিকাদার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘১৫ লাখ টাকায় পূরবী সিনেমা হলের পুরাতন মালপত্র ক্রয় করেছি। আমরা সেগুলো ভেঙে এখন জায়গা খালি করছি। সব মিলিয়ে আমাদের চার মাস সময় লাগবে।’
স্থানীয় বাসিন্দা মনু মিয়া বলেন, ‘হলটি দেখতে দেখতে আমরা বড় হয়েছি। একসময় সিনেমার জোয়ার ছিল। তাই মানুষ হলের আশপাশে অনেক ভিড় জমাত। এখন ছবি না চলার কারণে মালিকপক্ষ হল ভাঙছে। এতে খারাপ লাগলেও মালিক তো আর বছরের পর বছর লোকসান গুনবে না।’
সিনেমা হলের ম্যানেজার মোখতার হোসেন বলেন, ‘দেশের নামকরা কয়েকটি হলের একটি ছিল পূরবী। স্বাধীনতার বেশ কয়েক বছর আগে সেটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন ভালো ভালো ছবি নির্মিত হওয়ার কারণে হলভর্তি দর্শক হতো। বিশেষ করে করোনার পর হলের দর্শক একেবারে কমে যায়। সবশেষ এক মাস আগে আমরা একবুক জ্বালা ছবিটি চালিয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, হলের জায়গাটিতে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে শপিং কমপ্লেক্স, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আবাসিক বাসস্থানের ব্যবস্থা, দর্শক চাহিদা বিবেচনায় পূরবী সিনেপ্লেক্স স্থাপনের চিন্তাভাবনা রয়েছে।
সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘একসময় একের পর এক করে তিনটি হলে ছবি দেখতাম। সে সময়টা আর কখনো আসবে না। হল বন্ধ হওয়া মানে সংস্কৃতির ওপর বড় ধরনের একটি হুমকি আসা। একের পর এক হল বন্ধ হওয়ায় আমাদের ছেলেমেয়েরা ভারতীয় সংস্কৃতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর জন্য দায়ী মানহীন ছবি। একটি ছবির মাধ্যমে সমাজ ও দেশের পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। তাই দেশীয় সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে সরকারকে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।’
ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী পূরবী সিনেমা হলটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে হলটি ভাঙা শুরু করেছে মালিকপক্ষ। নগরীর চামড়াগুদাম এলাকায় স্বাধীনতার আগে ৩২ শতাংশ জায়গায় সিনেমা হলটি নির্মাণ করা হয়। আসনসংখ্যা প্রায় এক হাজার। ১৯৮০—১৯৯০ দশকে ব্যাপক দর্শকপ্রিয় ছিল হলটি।
সবশেষ এক মাস ধরে হলটিতে প্রদর্শিত হয়েছিল ‘একবুক জ্বালা’ নামের চলচ্চিত্র। তবে একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হওয়া সংস্কৃতির জন্য বড় ধরনের হুমকি বলছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষজন।
এর আগে ২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর একই সময়ে অলকা, অজন্তা, ছায়াবাণী ও পূরবী সিনেমা হলে বোমা হামলার পর মূলত সিনেমা হলগুলোয় দর্শকসংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমতে থাকে। করোনার পর থেকে সেই সংখ্যা আরও বাড়ে। হলের নিচতলায় ৭০০ আসন, দ্বিতীয় তলায় ডি চেয়ার ছিল ৩২০টি এবং বক্স ছিল ২০টি।
হল কর্তৃপক্ষ বলছে, কয়েক বছর ধরে প্রতি শোতে ৫-৭ জন দর্শক হয়। অনেক সময় দর্শক না থাকার কারণে শো বন্ধ থাকে। দিনের পর দিন স্টাফ খরচও না ওঠায় হল ভাঙার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তাই সেখানে বহুতল ভবন করে দর্শক চাহিদার ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনে পূরবী সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।
আজ শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, ৮-১০ জন শ্রমিক দেয়াল ভেঙে ইট, পাথর ও লোহা সরানোর কাজ করছেন। শ্রমিক মুকুল মিয়া বলেন, ‘গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে হল ভাঙার কাজ শুরু করেছি। দৈনিক গড়ে ১২-১৪ শ্রমিক কাজ করছি। প্রথম-দ্বিতীয় তলার ছাদ এবং দেয়াল ভাঙা হয়েছে। সম্পূর্ণ ভাঙতে আরও কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগবে। শুনেছি, সেখানে মালিকপক্ষ কমপ্লেক্স করবেন।’
ঠিকাদার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘১৫ লাখ টাকায় পূরবী সিনেমা হলের পুরাতন মালপত্র ক্রয় করেছি। আমরা সেগুলো ভেঙে এখন জায়গা খালি করছি। সব মিলিয়ে আমাদের চার মাস সময় লাগবে।’
স্থানীয় বাসিন্দা মনু মিয়া বলেন, ‘হলটি দেখতে দেখতে আমরা বড় হয়েছি। একসময় সিনেমার জোয়ার ছিল। তাই মানুষ হলের আশপাশে অনেক ভিড় জমাত। এখন ছবি না চলার কারণে মালিকপক্ষ হল ভাঙছে। এতে খারাপ লাগলেও মালিক তো আর বছরের পর বছর লোকসান গুনবে না।’
সিনেমা হলের ম্যানেজার মোখতার হোসেন বলেন, ‘দেশের নামকরা কয়েকটি হলের একটি ছিল পূরবী। স্বাধীনতার বেশ কয়েক বছর আগে সেটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন ভালো ভালো ছবি নির্মিত হওয়ার কারণে হলভর্তি দর্শক হতো। বিশেষ করে করোনার পর হলের দর্শক একেবারে কমে যায়। সবশেষ এক মাস আগে আমরা একবুক জ্বালা ছবিটি চালিয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, হলের জায়গাটিতে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে শপিং কমপ্লেক্স, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আবাসিক বাসস্থানের ব্যবস্থা, দর্শক চাহিদা বিবেচনায় পূরবী সিনেপ্লেক্স স্থাপনের চিন্তাভাবনা রয়েছে।
সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘একসময় একের পর এক করে তিনটি হলে ছবি দেখতাম। সে সময়টা আর কখনো আসবে না। হল বন্ধ হওয়া মানে সংস্কৃতির ওপর বড় ধরনের একটি হুমকি আসা। একের পর এক হল বন্ধ হওয়ায় আমাদের ছেলেমেয়েরা ভারতীয় সংস্কৃতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর জন্য দায়ী মানহীন ছবি। একটি ছবির মাধ্যমে সমাজ ও দেশের পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। তাই দেশীয় সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে সরকারকে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।’
সারা দেশে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ২০টা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বা ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে নানা জটিলতায় ৫টির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ৯টি চলছে টেনেটুনে। ভালোভাবে চলছে মাত্র ৬টি অবতরণ কেন্দ্র।
১২ মিনিট আগেবাঙালি মোটিফ, ভিন্ন ধরনের নকশা, ব্যতিক্রমী কাপড় আর সাশ্রয়ী দামে আজিজ সুপার মার্কেটের কাপড়ের ব্র্যান্ডগুলো হয়ে উঠেছিল বেশ পরিচিত। ঈদ, বৈশাখ, বর্ষা, বসন্ত উৎসবকেন্দ্রিক নির্দিষ্ট নকশা করা কাপড়ের খোঁজে এসব ব্র্যান্ডে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যেত। কিন্তু এবার ঈদকেন্দ্রিক ক্রেতাদের সেই আগ্রহ খুব একটা নেই।
২৫ মিনিট আগেনানা পদের বাহারি ইফতারসামগ্রীর জন্য সিলেট অঞ্চলের বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। আর তারই দুই অপরিহার্য অনুষঙ্গ পাতলা খিচুড়ি ও আখনি। সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে সিলেটিদের এ দুটি খাবারের অন্তত একটি চাই-ই চাই।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামে পুলিশকে গুলি ছোড়া ও হত্যা মামলার আসামি আলোচিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে ঢাকার বসুন্ধরা সিটি থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১ ঘণ্টা আগে