নেত্রকোনা প্রতিনিধি
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর (ভিপি নুর) বলেছেন, ‘যাঁরা আওয়ামী লীগ করেন, তাঁরা দুধ দিয়ে গোসল করে তওবা করে পবিত্র হয়ে যান। আওয়ামী লীগের নাম মুখে নিলে জনগণ আস্ত রাখবে না।’
আজ শনিবার বিকেলে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন নুরুল হক নুর। জেলা গণঅধিকার পরিষদ এ জনসভার আয়োজন করে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আগেই বলেছিলাম, আওয়ামী লীগের দশা আফগানিস্তানের মতো হবে। বিমানের চাকা-ছাদে করে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। হয়েছে ঠিক তা-ই। শেখ হাসিনা জুতা পরার সময় পাননি। দ্রুত দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। আপনারাও পালিয়ে যাওয়ার সময় পাবেন না।’
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুনের সভাপতিত্বে সভায় নুরুল হক নুর আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন মরা লাশ। একে নিয়ে টানাহেঁচড়া করে লাভ নাই। কেউ যদি আওয়ামী লীগের নাম নেয়, তার পরিণতি ভালো হবে না। এই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো জায়গা নেই। আওয়ামী লীগের দোসর যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কোনো জায়গা এই দেশে হবে না।’
ঢাবির সাবেক এই ভিপি বলেন, দেশে চাঁদাবাজি কমেনি, শুধু হাতবদল হয়েছে। যৌথ অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এতে জনগণ খুশি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। কিন্তু সারা দেশে এখনো আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, তাদের আস্ফালন থামেনি।’
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেই পরিবর্তনকে স্থায়ী করতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে গণঅধিকার পরিষদ সময় দেবে উল্লেখ করে নুর বলেন, ‘আমরা এই সরকারকে স্থিতিশীল করতে চাই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করতে চাই। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে গণ-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন একই সঙ্গে ভাবতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দেন নুরুল হক নুর।
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। অডিও ফাঁস হয়েছে, আগামীকাল না কি ঢাকায় তারা সমাবেশ করবে। আমি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, আগামীকাল ঢাকার রাস্তায় একজন আওয়ামী লীগকেও নামতে দেওয়া হবে না। এত এত ছাত্র-জনতার হত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুব-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী রোকেয়া জাবেদ মায়া, সৈয়দ মাহাবুবুর রহমান, সংগঠনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদেক হোসেন, ছাত্র-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কামরান আহমেদ, যুব-অধিকার পরিষদের সভাপতি রাজু রায়হান প্রমুখ।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর (ভিপি নুর) বলেছেন, ‘যাঁরা আওয়ামী লীগ করেন, তাঁরা দুধ দিয়ে গোসল করে তওবা করে পবিত্র হয়ে যান। আওয়ামী লীগের নাম মুখে নিলে জনগণ আস্ত রাখবে না।’
আজ শনিবার বিকেলে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন নুরুল হক নুর। জেলা গণঅধিকার পরিষদ এ জনসভার আয়োজন করে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আগেই বলেছিলাম, আওয়ামী লীগের দশা আফগানিস্তানের মতো হবে। বিমানের চাকা-ছাদে করে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। হয়েছে ঠিক তা-ই। শেখ হাসিনা জুতা পরার সময় পাননি। দ্রুত দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। আপনারাও পালিয়ে যাওয়ার সময় পাবেন না।’
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুনের সভাপতিত্বে সভায় নুরুল হক নুর আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন মরা লাশ। একে নিয়ে টানাহেঁচড়া করে লাভ নাই। কেউ যদি আওয়ামী লীগের নাম নেয়, তার পরিণতি ভালো হবে না। এই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো জায়গা নেই। আওয়ামী লীগের দোসর যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কোনো জায়গা এই দেশে হবে না।’
ঢাবির সাবেক এই ভিপি বলেন, দেশে চাঁদাবাজি কমেনি, শুধু হাতবদল হয়েছে। যৌথ অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এতে জনগণ খুশি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। কিন্তু সারা দেশে এখনো আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, তাদের আস্ফালন থামেনি।’
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেই পরিবর্তনকে স্থায়ী করতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে গণঅধিকার পরিষদ সময় দেবে উল্লেখ করে নুর বলেন, ‘আমরা এই সরকারকে স্থিতিশীল করতে চাই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করতে চাই। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে গণ-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন একই সঙ্গে ভাবতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দেন নুরুল হক নুর।
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। অডিও ফাঁস হয়েছে, আগামীকাল না কি ঢাকায় তারা সমাবেশ করবে। আমি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, আগামীকাল ঢাকার রাস্তায় একজন আওয়ামী লীগকেও নামতে দেওয়া হবে না। এত এত ছাত্র-জনতার হত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুব-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী রোকেয়া জাবেদ মায়া, সৈয়দ মাহাবুবুর রহমান, সংগঠনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদেক হোসেন, ছাত্র-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কামরান আহমেদ, যুব-অধিকার পরিষদের সভাপতি রাজু রায়হান প্রমুখ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
১ ঘণ্টা আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে