আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে সংযোগ সড়কের মাটি সরে গিয়ে একটি সেতু বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়েছে। এতে উপজেলার চারটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাটি সরে যাওয়ার বিষয়টি দ্রুত প্রশাসনকে জানানো হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সেতুটি এখন ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে উপজেলার কলমা ইউনিয়নের দাশপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কলমা-পাঠানবাড়ী খালের ওপর নির্মিত সেতুটি পশ্চিম দিকে মারাত্মকভাবে হেলে আছে। যেকোনো মুহূর্তে এটি ভেঙে পড়তে পারে—এমন আশঙ্কা এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, উপজেলার বিধুয়াইল, পাঁচনখোলা, দাশপাড়া ও পূর্ব কলমা গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ছিল এই সেতু। গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে সেতুর পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়কের মাটি সরতে শুরু করে। প্রায় ১৫ দিন পর সড়কসহ মাটি ধসে পড়লে সেতুটি এক পাশে হেলে যায় এবং যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
দুর্ভোগ লাঘবে কলমা ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে সেতুর পাশে একটি অস্থায়ী কাঠের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। তবে এটি দিয়ে শুধু মানুষ হেঁটে পার হতে পারছেন। ফলে গ্রামগুলো থেকে পণ্য পরিবহন এবং জরুরি প্রয়োজনে যান চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে প্রায় ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮০ ফুট দীর্ঘ ও ১০ ফুট প্রশস্ত দাশপাড়া সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দাশপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, ‘এ সেতুটি আমাদের গ্রামের প্রাণের মতো। এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের জীবনযাত্রা থেমে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হয়ে বাজারে যেতে হচ্ছে।’ আরেক বাসিন্দা ইসমাইল শেখ বলেন, সেতুটি হেলে পড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আনা-নেওয়া করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
জানতে চাইলে কলমা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মমিন উদ্দিন দোকানদার (হিরণ) বলেন, ‘মানুষের দুর্ভোগ কমাতে পরিষদের তহবিল থেকে একটি সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। নতুন সেতু নির্মাণের জন্য আমরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি।’
এ বিষয়ে লৌহজং উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বৃষ্টি অনেক বেশি হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে সেতুর সংযোগ সড়কের মাটি নরম হয়ে ধসে পড়েছে। ফলে সেতুটি পশ্চিম দিকে হেলে গেছে। বর্তমানে সেতুটি এমন অবস্থায় রয়েছে যে এটি মেরামত করে ব্যবহারযোগ্য করা সম্ভব নয়। জনগণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পুরোনো সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করাই একমাত্র সমাধান।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেছার উদ্দিন বলেন, হেলে পড়া সেতুটি অপসারণ করে সেখানে একটি নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষে পানি কমে গেলে দ্রুতই নতুন সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে সংযোগ সড়কের মাটি সরে গিয়ে একটি সেতু বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়েছে। এতে উপজেলার চারটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাটি সরে যাওয়ার বিষয়টি দ্রুত প্রশাসনকে জানানো হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সেতুটি এখন ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে উপজেলার কলমা ইউনিয়নের দাশপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কলমা-পাঠানবাড়ী খালের ওপর নির্মিত সেতুটি পশ্চিম দিকে মারাত্মকভাবে হেলে আছে। যেকোনো মুহূর্তে এটি ভেঙে পড়তে পারে—এমন আশঙ্কা এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, উপজেলার বিধুয়াইল, পাঁচনখোলা, দাশপাড়া ও পূর্ব কলমা গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ছিল এই সেতু। গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে সেতুর পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়কের মাটি সরতে শুরু করে। প্রায় ১৫ দিন পর সড়কসহ মাটি ধসে পড়লে সেতুটি এক পাশে হেলে যায় এবং যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
দুর্ভোগ লাঘবে কলমা ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে সেতুর পাশে একটি অস্থায়ী কাঠের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। তবে এটি দিয়ে শুধু মানুষ হেঁটে পার হতে পারছেন। ফলে গ্রামগুলো থেকে পণ্য পরিবহন এবং জরুরি প্রয়োজনে যান চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে প্রায় ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮০ ফুট দীর্ঘ ও ১০ ফুট প্রশস্ত দাশপাড়া সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দাশপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, ‘এ সেতুটি আমাদের গ্রামের প্রাণের মতো। এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের জীবনযাত্রা থেমে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হয়ে বাজারে যেতে হচ্ছে।’ আরেক বাসিন্দা ইসমাইল শেখ বলেন, সেতুটি হেলে পড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আনা-নেওয়া করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
জানতে চাইলে কলমা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মমিন উদ্দিন দোকানদার (হিরণ) বলেন, ‘মানুষের দুর্ভোগ কমাতে পরিষদের তহবিল থেকে একটি সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। নতুন সেতু নির্মাণের জন্য আমরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি।’
এ বিষয়ে লৌহজং উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বৃষ্টি অনেক বেশি হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে সেতুর সংযোগ সড়কের মাটি নরম হয়ে ধসে পড়েছে। ফলে সেতুটি পশ্চিম দিকে হেলে গেছে। বর্তমানে সেতুটি এমন অবস্থায় রয়েছে যে এটি মেরামত করে ব্যবহারযোগ্য করা সম্ভব নয়। জনগণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পুরোনো সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করাই একমাত্র সমাধান।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেছার উদ্দিন বলেন, হেলে পড়া সেতুটি অপসারণ করে সেখানে একটি নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষে পানি কমে গেলে দ্রুতই নতুন সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।
তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদীপারে মশাল প্রজ্বালন করেছে হাজারো মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলা কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, রংপুর ও নীলফামারীতে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’।
২ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় মন্নুজান হলের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থীর চেয়ে ৪ গুণ বেশি ভোট পেয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী।
২৭ মিনিট আগেচট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) দুটি কারখানায় ৮ ঘণ্টা ধরে জ্বলছে আগুন। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার কোনো লক্ষ্মণ নেই। আগুন আরও বাড়ছে। পাশের কারখানায় ছড়িয়ে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনী মিলে ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। দীর্ঘ সময়ের শ্রমে তারা অনেকটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে বিয়েবাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পুলিশের তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) আমিরুল ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগে