মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার
হাওর, জলাভূমি ও কৃষিজমি—এ নিয়ে মৌলভীবাজার জেলা। এ জেলায় সবচেয়ে বেশি চাষ হয় আমন ধান। বোরো ও আউশ ধান আগের চেয়ে চাষ বেড়েছে। তবে এই তিন মৌসুমে দেশি স্থানীয় জাতের ধান চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন কৃষক। অন্যদিকে বেড়েছে উচ্চফলনশীল (উফশী) ও হাইব্রিড ধানের চাষ। চলতি বোরো, আউশ ও আমন মৌসুমে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে উচ্চফলনশীল (উফশী) ধান। তবে এসব ধানে ফলন বেশি হলেও কমছে জমির উর্বরতা। উফশী ও হাইব্রিডে জমির ক্ষতি হওয়ার পরেও সংরক্ষণ ও সরকারি ব্যবস্থাপনায় গবেষণা না থাকার কারণে দেশি জাতের ধান হারিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন কৃষিবিদেরা।
জেলার কৃষকেরা জানান, এক দশক আগেও মৌলভীবাজারে দেশি জাতের প্রচুর ধান চাষ হয়েছে। দেশি ধান উৎপাদন কম হলেও স্বাদ অনেক বেশি। কিন্তু কৃষিতে প্রচুর পরিমাণে খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় উচ্চফলনশীল ধান চাষে কৃষকেরা আগ্রহী হয়েছেন। কারণ দেশি ধানের চেয়ে উফশী ও হাইব্রিড ধানের ফলন প্রায় দ্বিগুণ।
মৌলভীবাজার কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে দেশি স্থানীয় জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। বাকি জমিতে উফশী ধান চাষ করা হয়েছে। দেশীয় ধানের চেয়ে হাইব্রিড ধানে খরচ একটু বেশি হলেও ফসল উৎপাদন হয় কয়েক গুণ বেশি। বিশেষ করে, কৃষকেরা উচ্চফলনশীল ২৮, ২৯-সহ বিভিন্ন জাতের ধান বেশি চাষ করছেন।
জেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কালচে রং ধারণ করেছে আমন ধানের চারা। কৃষকেরা অধিক লাভের আসায় উফশী ও হাইব্রিড ধান চাষ করেছেন। যে যাঁর মতো করে বাজারের বিভিন্ন কৃষিঘর থেকে বীজ কিনে রোপণ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দেশি ধান একরপ্রতি ৪০-৪৫ মণ পাওয়া গেলে হাইব্রিড ধান ৮০-১০০ মণ পাওয়া যায়।
জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘আমরা কয়েক বছর আগেও প্রচুর পরিমাণে দেশি ধান চাষ করেছি, বিশেষ করে কালিজিরা, বিন্নি ধানসহ অনেক সুগন্ধি ধান চাষ করেছি। এগুলো এখন খুবই কম চাষ হয়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের হাইব্রিড ধানের বীজ পাওয়া যায়, এ ছাড়া সরকারিভাবেও হাইব্রিড ধানের বীজ বিতরণ করা হয়। এখন প্রায় শতভাগ কৃষক হাইব্রিড ধান চাষ করেন। কৃষিতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় যে ধান বেশি উৎপাদন হয়, এর প্রতি আকৃষ্ট সবাই।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, একটা সময় জনসংখ্যা কম ছিল, মানুষ দেশি জাতের ধান চাষ করেছে। এখন এ জেলায় সবচেয়ে বেশি উচ্চফলনশীল ধান চাষ করা হয়। যত সময় যাচ্ছে, ততই জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। খাদ্যের অভাব দূর করার জন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোনমি অ্যান্ড হাওর অ্যাগ্রিকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নূর হোসেন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে ১৫-২০ বছর আগে হাওর বা নন-হাওর এলাকায় যে দেশি ধান চাষ করা হতো, এগুলো এখন আর পাওয়া যায় না। এগুলো নিয়ে বিদেশিরা সংরক্ষণ করলেও আমাদের দেশে সংরক্ষণ করা হয়নি পুরোপুরিভাবে। যদিও জিন গবেষণা কেন্দ্রে আমাদের কিছু ধান সংরক্ষণ রয়েছে। জার্মানিতে আমাদের দেশীয় লোকাল প্রজাতির অনেক ধান সংরক্ষণ করা আছে। তারা নিয়মিত এগুলো নিয়ে গবেষণা করে। আমাদের দেশীয় জাতের ধানে পুষ্টি ও স্বাদ অনেক বেশি, এ ছাড়া জলবায়ুর সঙ্গে টিকে থাকতে পারে।’
অধ্যাপক নূর হোসেন আরও বলেন, ‘দেশীয় ধানের চেয়ে হাইব্রিড ধানের উৎপাদন বেশি। দেশীয় ধান প্রতি একর জমিতে যা উৎপাদন হয়, এরচেয়ে দ্বিগুণ বেশি হাইব্রিড ধান উৎপাদন হয়। এতে কৃষকেরা লাভবান হন। আমাদের দেশে দেশীয় ধানের নম্বর রেজিস্ট্রার এবং বীজ সংরক্ষণ ফ্রিজার মেশিন না থাকায় তা বিলুপ্ত হচ্ছে। উন্নত দেশে জার্মপ্লাজম সেন্টারে গবেষণা করে বীজ সংরক্ষণ করে। আমাদের দেশি ধান গবেষণা করে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।’
হাওর, জলাভূমি ও কৃষিজমি—এ নিয়ে মৌলভীবাজার জেলা। এ জেলায় সবচেয়ে বেশি চাষ হয় আমন ধান। বোরো ও আউশ ধান আগের চেয়ে চাষ বেড়েছে। তবে এই তিন মৌসুমে দেশি স্থানীয় জাতের ধান চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন কৃষক। অন্যদিকে বেড়েছে উচ্চফলনশীল (উফশী) ও হাইব্রিড ধানের চাষ। চলতি বোরো, আউশ ও আমন মৌসুমে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে উচ্চফলনশীল (উফশী) ধান। তবে এসব ধানে ফলন বেশি হলেও কমছে জমির উর্বরতা। উফশী ও হাইব্রিডে জমির ক্ষতি হওয়ার পরেও সংরক্ষণ ও সরকারি ব্যবস্থাপনায় গবেষণা না থাকার কারণে দেশি জাতের ধান হারিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন কৃষিবিদেরা।
জেলার কৃষকেরা জানান, এক দশক আগেও মৌলভীবাজারে দেশি জাতের প্রচুর ধান চাষ হয়েছে। দেশি ধান উৎপাদন কম হলেও স্বাদ অনেক বেশি। কিন্তু কৃষিতে প্রচুর পরিমাণে খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় উচ্চফলনশীল ধান চাষে কৃষকেরা আগ্রহী হয়েছেন। কারণ দেশি ধানের চেয়ে উফশী ও হাইব্রিড ধানের ফলন প্রায় দ্বিগুণ।
মৌলভীবাজার কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে দেশি স্থানীয় জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। বাকি জমিতে উফশী ধান চাষ করা হয়েছে। দেশীয় ধানের চেয়ে হাইব্রিড ধানে খরচ একটু বেশি হলেও ফসল উৎপাদন হয় কয়েক গুণ বেশি। বিশেষ করে, কৃষকেরা উচ্চফলনশীল ২৮, ২৯-সহ বিভিন্ন জাতের ধান বেশি চাষ করছেন।
জেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কালচে রং ধারণ করেছে আমন ধানের চারা। কৃষকেরা অধিক লাভের আসায় উফশী ও হাইব্রিড ধান চাষ করেছেন। যে যাঁর মতো করে বাজারের বিভিন্ন কৃষিঘর থেকে বীজ কিনে রোপণ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দেশি ধান একরপ্রতি ৪০-৪৫ মণ পাওয়া গেলে হাইব্রিড ধান ৮০-১০০ মণ পাওয়া যায়।
জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘আমরা কয়েক বছর আগেও প্রচুর পরিমাণে দেশি ধান চাষ করেছি, বিশেষ করে কালিজিরা, বিন্নি ধানসহ অনেক সুগন্ধি ধান চাষ করেছি। এগুলো এখন খুবই কম চাষ হয়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের হাইব্রিড ধানের বীজ পাওয়া যায়, এ ছাড়া সরকারিভাবেও হাইব্রিড ধানের বীজ বিতরণ করা হয়। এখন প্রায় শতভাগ কৃষক হাইব্রিড ধান চাষ করেন। কৃষিতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় যে ধান বেশি উৎপাদন হয়, এর প্রতি আকৃষ্ট সবাই।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, একটা সময় জনসংখ্যা কম ছিল, মানুষ দেশি জাতের ধান চাষ করেছে। এখন এ জেলায় সবচেয়ে বেশি উচ্চফলনশীল ধান চাষ করা হয়। যত সময় যাচ্ছে, ততই জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। খাদ্যের অভাব দূর করার জন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোনমি অ্যান্ড হাওর অ্যাগ্রিকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নূর হোসেন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে ১৫-২০ বছর আগে হাওর বা নন-হাওর এলাকায় যে দেশি ধান চাষ করা হতো, এগুলো এখন আর পাওয়া যায় না। এগুলো নিয়ে বিদেশিরা সংরক্ষণ করলেও আমাদের দেশে সংরক্ষণ করা হয়নি পুরোপুরিভাবে। যদিও জিন গবেষণা কেন্দ্রে আমাদের কিছু ধান সংরক্ষণ রয়েছে। জার্মানিতে আমাদের দেশীয় লোকাল প্রজাতির অনেক ধান সংরক্ষণ করা আছে। তারা নিয়মিত এগুলো নিয়ে গবেষণা করে। আমাদের দেশীয় জাতের ধানে পুষ্টি ও স্বাদ অনেক বেশি, এ ছাড়া জলবায়ুর সঙ্গে টিকে থাকতে পারে।’
অধ্যাপক নূর হোসেন আরও বলেন, ‘দেশীয় ধানের চেয়ে হাইব্রিড ধানের উৎপাদন বেশি। দেশীয় ধান প্রতি একর জমিতে যা উৎপাদন হয়, এরচেয়ে দ্বিগুণ বেশি হাইব্রিড ধান উৎপাদন হয়। এতে কৃষকেরা লাভবান হন। আমাদের দেশে দেশীয় ধানের নম্বর রেজিস্ট্রার এবং বীজ সংরক্ষণ ফ্রিজার মেশিন না থাকায় তা বিলুপ্ত হচ্ছে। উন্নত দেশে জার্মপ্লাজম সেন্টারে গবেষণা করে বীজ সংরক্ষণ করে। আমাদের দেশি ধান গবেষণা করে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।’
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতি প্রাপ্ত)।
১৫ মিনিট আগেনাটোরের লালপুরে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে মো. রাজন আলী (২০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
১৭ মিনিট আগেরাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য আনা হয়েছে রিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ফাইটিং রোবট। বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটসংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজের সামনে আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে রোবটটিকে একটি বড় লরিতে করে নিয়ে আসতে দেখা যায়।
৩৪ মিনিট আগেরাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিমানবন্দরের রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে ঢাকা অভিমুখী অন্তত ৮টি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বিকল্প গন্তব্যে অবতরণ করেছে।
১ ঘণ্টা আগে