Ajker Patrika

‘ভারতীয়’ নষ্ট বীজ লাগিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রীপুরের কৃষকেরা

ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪: ৫৪
‘ভারতীয়’ নষ্ট বীজ লাগিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রীপুরের কৃষকেরা

মাগুরার শ্রীপুরে পেঁয়াজের বীজ রোপণ করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার শতাধিক কৃষক। কৃষকদের অভিযোগ, এই বীজ ‘ভারতীয় নকল’ বীজ। চলতি মৌসুমে উপজেলার সাত গ্রামের কৃষকেরা নানা জায়গা থেকে এই বীজ সংগ্রহ করেন। কিন্তু সেচ দেওয়ার পর পেঁয়াজের ছোট চারাগুলো মরে যায়। নকল বীজ যাঁদের থেকে কিনেছেন, তাঁদের অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এক বীজ বিক্রেতার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলাও হয়েছে। সেই মামলা তদন্ত করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। 

জেলার শ্রীপুর উপজেলায় পেঁয়াজের আবাদ হয় সব থেকে বেশি। কিন্তু চলতি মৌসুমে শ্রীপুর উপজেলার সাতটি গ্রাম—জোকা, হোগলডাঙ্গা, আমলসার, চরমালাইনগর, মদনপুর, বড় উদাস ও গোয়ালপাড়ায় এবার পেঁয়াজ আবাদ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শ্রীপুর কৃষি অফিসে পেঁয়াজের নকল বীজ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন কৃষক। এর মধ্যে উপজেলার চর জোকা গ্রামের স্থানীয় বীজ ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন মহম্মদপুরের শ্যামনগর গ্রামের আনোয়ার মৃধার কাছ থেকে প্রায় এক লাখ টাকার বীজ কেনেন। সেগুলো কৃষকের কাছে সরবরাহ করার পর দেখা যায় বীজগুলো অকার্যকর। এ জন্য আনোয়ারের নামে আদালতে প্রতারণার মামলা করেছেন আলাউদ্দিন। গত ৩০ জানুয়ারি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করা হয়। 
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আনোয়ার মৃধার মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  

কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা জানিয়েছেন, তাঁরা বীজের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এসব বীজের ৮০ শতাংশের উৎপাদন-ক্ষমতা নেই। যাঁরা খারাপ বীজ লাগিয়েছেন, তাঁদের অনেকেই আবার নতুন করে আবাদ করেছেন। তাই উৎপাদনে খুব একটা হেরফের হবে না। কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার সেটা কৃষকের হয়ে গেছে। কারণ দুই দফা তাঁদের বীজ কিনতে হয়েছে। 

সালমা জাহান বলেন, ‘এ বিষয়ে উপজেলার চরজোকা গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন আদালতে একটি মামলা করেছেন। সেটির তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা নকল বা খারাপ বীজ ব্যবসায়ীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’  

শ্রীপুরের এসব গ্রামে গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, পেঁয়াজের অধিকাংশ মাঠে কোনো চারা গজায়নি। এক শতাংশ মাঠে পেঁয়াজের চারা হাতে গোনা ১০টিরও কম। মাঠের কিছু অংশে আছে পেঁয়াজের চারা আবার কোনো অংশে নেই।  যে অংশে চারা রয়েছে, সেখানে চারাগুলো মরে হলুদ হয়ে গেছে। 

শ্রীপুরের গোয়ালপাড়া গ্রামের পেঁয়াজচাষি অলিয়ার বিশ্বাস বলেন, ‘গত বছর আমার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছিল। তা দেখে এবারও পেঁয়াজের আবাদ করি। এবার আমি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা এলাকা থেকে ৪ হাজার ৬০০ টাকার ভারতীয় বীজ ক্রয় করি। গত মাঘ মাসে আমি বীজ পাতো দেই। এরপর মাঠে রোপণ করি। পৌষের মাঝামাঝি পেঁয়াজের চারা রোপণ করি। কিন্তু সেচ দেওয়ার পরপরই আমার পেঁয়াজের চারাগুলো বসে যায়। ৫৫ শতকের ক্ষেতে অধিকাংশ জমিতেই কোনো চারা না গজানোর ফলে আমি বিপাকে আছি। এ বছর আমার ২ লাখ টাকার পেঁয়াজে ক্ষতি হলো। গত বছর পেঁয়াজে সব খরচ বাদে আমার ২-৩ লাখ টাকা লাভ হয়েছিল।’

শ্রীপুর জোকা গ্রামের রহমান চাষি বলেন, ‘এবার ১৩০ শতকে পেঁয়াজের আবাদ করেছি। পেঁয়াজের বীজটা ছিল ভারতীয়। সেচ দেওয়ার পরই আর কোনো চারা গজায়নি জমিতে। ফলে পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে আছি।’ 

একই কথা জানিয়েছেন উপজেলার চরজোকা গ্রামের কৃষক আজাদ, রফিক, নজরুল, আতিয়ারসহ আরও অনেকে।

বীজ ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমি সততার সঙ্গে বীজের ব্যবসা করে আসছি দীর্ঘদিন ধরে। এবার চলতি মৌসুমে মাগুরা মহম্মদপুরের শ্যামনগর থেকে বীজ ব্যবসায়ী আনোয়ার মৃধার কাছ থেকে ৫২ কেজি বীজ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকায় ক্রয় করি এবং এলাকার বিভিন্ন কৃষকের কাছে বিক্রি করি। পেঁয়াজের বীজে ধস নামায় এলাকার কৃষকদের চাপে পড়ি। ফলে আমি মহম্মদপুরের ওই বীজ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গত ৩০ জানুয়ারি একটি মামলা করি। যেটি এখন শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তদন্ত করছেন।’ 

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাগুরা জেলার মধ্যে শ্রীপুরে তুলনামূলক বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। সাধারণত ৬ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৫ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুনামগঞ্জে নিখোঁজের ২ দিন পর গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হাসিনা আক্তার বুলুর (২২) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীনগর এলাকার কুশিয়ারা নদীতে ওই গৃহবধূর লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা।

নিখোঁজ ওই গৃহবধূ রানীনগর গ্রামের তামিম মিয়ার স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী। বিষয়টি নিশ্চিত করে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম বলেন, থানায় খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ আসার পর লাশটি নদী থেকে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার বেলা ১টার দিকে ওই গৃহবধূ বসতবাড়ির পাশে কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে নেমে নদীতে ডুবে যান। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে ওই গৃহবধূকে উদ্ধারের চেষ্টা করেও খুঁজে পায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আরও ২ হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২২
সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন। ফাইল ছবি
সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন। ফাইল ছবি

সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনকে আরও দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম আজ বুধবার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।

সাবিনা আক্তারকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে মোক্তাকিন বিল্লাহ ও আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

শুনানি শেষে সাবেক সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই মিরপুর ১০-এ ফায়ার সার্ভিসের সামনে আন্দোলনে অংশ নেন মোক্তাকিন বিল্লাহ। বিকেল ৪টার দিকে তাঁর মাথায় গুলি লাগে। পরদিন ভোর সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মিরপুর থানায় মামলা হয়। সাবিনা আক্তার মামলার ৮ নম্বর আসামি।

অপর মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট মিরপুর এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন আশরাফুল ইসলাম। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মিরপুর থানায় হওয়া মামলায় সাবিনা আক্তার ১৮ নম্বর আসামি।

চলতি বছরের ২২ জুন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বাবার বাড়ি থেকে সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাঁকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোলায় কৃষিজমির মাটি ইটভাটায়, লাখ টাকা জরিমানা

ভোলা প্রতিনিধি
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ছবি: সংগৃহীত
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ইটভাটায় কৃষিজমির মাটি ব্যবহারের জন্য এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের রামকেশব গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রণজিৎ চন্দ্র দাস।

রণজিৎ চন্দ্র দাস আজকের পত্রিকাকে জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের রামকেশব এলাকায় অভিযান চালান। অভিযানকালে কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে ঘটনাস্থল থেকে মো. লিমনকে (২২) হাতেনাতে আটক করা হয়।

এ সময় আসামিকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। আটক লিমন কুতুবা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রুহুল আমিনের ছেলে।

সহকারী কমিশনার আরও জানান, আটক মো. লিমন নিজের দোষ স্বীকার করেছেন এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ করবেন না মর্মে অঙ্গীকারনামাও দিয়েছেন।

আগামী দিনে কৃষিজমি রক্ষায় জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সহকারী কমিশনার (ভূমি) রণজিৎ চন্দ্র দাস। অভিযানে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
হাসপাতাল রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন দুদক কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাসপাতাল রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন দুদক কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকার থেকে দেওয়া ওষুধ মজুত থাকার পরেও ব্যবস্থাপত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওষুধের নাম লিখে দেওয়াসহ নানা অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুপুরে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযানে যান দুদক কর্মকর্তারা।

গাজীপুর জেলা সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হকের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

প্রথমেই হাসপাতালের চিকিৎসাব্যবস্থার খোঁজ নিতে দুদকের তদন্তকারী দল দ্বিতীয় তলায় ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় রোগীরা অভিযোগ করেন, সরকারি ওষুধ রোগীদের দেওয়া হয় না, যার কারণে তাঁদের বেশির ভাগ ওষুধ বাইরে ফার্মেসি থেকে কিনতে হয়। সরকারি হাসপাতালে এসেও তাঁদের অনেক খরচ হয় চিকিৎসাসেবা নিতে। অভিযোগের ভিত্তিতে রোগীদের মুখোমুখি করা হয় চিকিৎসকদের। পরে দুদক কর্মকর্তারা হাসপাতালের রান্নাঘর পরিদর্শনে গিয়েও বেশ কিছু অনিয়মের চিত্র দেখতে পান।

অভিযান শেষে গাজীপুর জেলা সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তদন্তে আসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তদন্তে বেশ কিছু অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক। এ বিষয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেবেন বলেও জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সারা দেশে এখন ওষুধের ঘাটতি রয়েছে, যার কারণে হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ নেই। এই শীত মৌসুমে প্রচুর রোগী আসে চিকিৎসাসেবা নিতে। হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদের। তারপরও সবাইকে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন ডাক্তাররা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত