Ajker Patrika

লাল-হলুদ-রংধনু রঙের ক্যাকটাসে ভরা বাগান

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ১০
মাদারীপুরের হর্টিকালচার সেন্টারে বাহারি ক্যাকটাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাদারীপুরের হর্টিকালচার সেন্টারে বাহারি ক্যাকটাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদারীপুরের হর্টিকালচার সেন্টারে ঢুকতেই চোখে পড়বে নানা রঙের, নানা ধরনের ক্যাকটাস। কোনোটি লাল, কোনোটি হলুদ, কোনোটি রংধনু রঙের। আর কোনোটি নরম, কোনোটি শক্ত, কোনোটি কাঁটাভর্তি, কোনোটি কাঁটাহীন; অদ্ভুদ সব ক্যাকটাসের সমাহার। শোভা পাচ্ছে এ রকম দুই শ প্রজাতির ক্যাকটাস।

হর্টিকালচার সেন্টার জানায়, গাছপ্রেমীদের হাতে তুলনামূলক কমদামে বিচিত্র ক্যাকটাস তুলে দেওয়ার লক্ষ্যেই তাদের এই আয়োজন। ক্যাকটাসের চারা উৎপাদন করে সেগুলো বিক্রি করা হয়। গত দুই বছরে শুধু ক্যাকটাসই বিক্রি করা হয়েছে ৫ লাখ টাকার।

মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের মোস্তফাপুর বড় ব্রিজ এলাকায় মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারটি অবস্থিত। সংশ্লিষ্টরা জানান, সেন্টারের উপপরিচালক কৃষিবিদ আশুতোষ কুমার বিশ্বাস প্রথমে তাঁর ব্যক্তি উদ্যোগে ক্যাকটাস সংগ্রহ শুরু করেছিলেন। পরে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ক্যাকটাস সংগ্রহ করা হয়। এতে দুই বছরেই দুই শ প্রজাতির ক্যাকটাস শোভা পাচ্ছে এই সেন্টারে। এখন দেশের বিভিন্ন জেলাতেও এখান থেকে কিনে নেওয়া হচ্ছে ক্যাকটাস।

কর্তৃপক্ষ জানায়, সংগ্রহ করা বিভিন্ন প্রজাতির ক্যাকটাস থেকে বর্তমানে চারা উৎপাদনের কাজ চলছে। এগুলো তৈরির জন্য আলাদাভাবে দুটি ক্যাকটাস হাউস তৈরি করা হয়েছে। কিছু ক্যাকটাস আছে যেগুলোর বীজ থেকে, কিছু আছে যেগুলোর কাণ্ড থেকে গাছ বানানো হচ্ছে। আগামী বছরের মার্চে এগুলো বিক্রির উপযোগী হবে। গত দুই বছরে ক্যাকটাস বিক্রি হয়েছে ৫ লাখ টাকার।

বিচিত্র ক্যাকটাসের মধ্যে রয়েছে, চকলেট, পদ্মসেজী, ওপানশিয়া, ইউফরবিয়া টুলিয়রেনসিস, ডিভাইন, বিশপ’স ক্যাপ, র‌্যাটস টেইল, ফেইরি ক্যাসেল, ম্যামিলারিয়া, অ্যাস্ট্রোফাইটাম, রেইনবো, ওল্ড লেডি, হেমাটো, ব্রেইন, পিনাট, বানানা, বান্নি, ইচিনোপসিস, ক্যাটস টেইল, স্টেপেলিয়া, জিমনোক্যাকটাস, ফেরো ক্যাকটাস, গোল্ডেন ব্যারেল, লাভাভিয়া, কোরাল, ইউফরবিয়া, ওল্ডম্যান, নোটো, প্যারোডিয়া, ক্রিস্টেড, লেডি ফিঙ্গার, মাংকিটেইল ক্যাকটাস।

মাদারীপুরের ইতিহাস গবেষক সুবল বিশ্বাস বলেন, মাদারীপুরের হর্টিকালচারে দুই শ প্রজাতির ক্যাকটাস আছে; যা দেখতে খুবই সুন্দর। একসঙ্গে এত ক্যাকটাস সত্যিই প্রশংসাযোগ্য।

হর্টিকালচার সেন্টারে ঘুরতে আসা ফারজানা ইমু বলেন, ‘এখানে এলে মন ভরে যায়। এত এত প্রজাতির গাছ দেখে মন ভরে যায়।’

মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক কৃষিবিদ আশুতোষ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘প্রকারভেদে ক্যাকটাসের বিভিন্ন দাম হয়ে থাকে। সাধারণত ক্যাকটাসের দাম বেশি হয়। অনেকের ইচ্ছে থাকলেও দামের জন্য কিনতে পারেন না। তাই আমরা সংগ্রহ করা ক্যাকটাস থেকে চারা বানিয়ে থাকি। অল্প দামে ক্যাকটাসপ্রেমীদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্যই আমরা গত দুই বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ