Ajker Patrika

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম: জব্দ করা সার বিক্রিতে ফের অনিয়ম, ক্ষোভ

  • ৯ হাজার ৯০ বস্তা সার জব্দ, ৮ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
  • কৃষি অধিদপ্তরের তদারকিতে জব্দ করা সার বিক্রিতে ফের অনিয়ম
আজিনুর রহমান আজিম, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) 
আজ বেলা ১১টার দিকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেন কৃষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বেলা ১১টার দিকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেন কৃষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জব্দ করা সার বিক্রয়ে (কৃষি অধিদপ্তরের তদারকিতে) ফের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আদালতের বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন, স্থানীয় প্রশাসনের তদারকিতে জব্দ করা সার সরকারি দরে বিক্রি করতে হবে।

কিন্তু স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, যোগসাজশে এসব সার অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হয়েছে।

কৃষকদের অভিযোগ, কবে এবং কীভাবে জব্দ করা সার বিক্রি হলো, এ সম্পর্কে তাঁদের কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। সার বিক্রিতে স্বচ্ছতার ঘাটতি থাকায় ইউএনও এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার তদারকি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।

জানা গেছে, গত ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর উপজেলার বিভিন্ন দোকান ও প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে আনা সরকারি সার মজুত এবং বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এতে ১৫টি দোকান থেকে ৯ হাজার ৯০ বস্তা সার জব্দ এবং ৮ জন ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে জব্দ করা সাড়ে ৬ হাজার বস্তা সার বেশি দামে বিক্রির পর স্থানীয় প্রশাসন সমালোচনার মুখে পড়লে ৩ ডিসেম্বর হঠাৎ ২ হাজার ৫০০ বস্তা সার সরকারি দামে বিক্রি করা হয়। সারগুলোর বেশির ভাগই ইউরিয়া।

কুচলিবাড়ী ইউনিয়নের স্থানীয়টারী গ্রামের মিজানুর ইসলাম বলেন, ‘আমার নামে সার কেনার কথা লেখা হয়েছে, কিন্তু আমি তো ভ্যান চালাই, সার কিনিনি।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুচলিবাড়ীর ললিতারহাটে মেসার্স সুমন ট্রেডার্সের প্রতিনিধি ফিরোজ হাসান বলেন, ‘জব্দ করা সার কৃষকদের কাছে বাকিতে দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরা ৭-৮ মাস পর টাকা দেবে, তাই কিছুটা বেশি দামে দিতে হয়েছে।’

পাটগ্রাম পৌরসভার অন্তর ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘বাকিতে সার বিক্রি করলে কিছু দাম বেশি লাগে। টিএসপি নগদে ১ হাজার ৯৫০, বাকিতে ২ হাজার ৩৫০ টাকা; পটাশ নগদে ১ হাজার ১০০, বাকিতে ১ হাজার ৫৫০ টাকা; ডিএপি নগদে ১ হাজার ৪৫০, বাকিতে ১ হাজার ৬৫০ টাকা করে দিয়েছি।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম বলেন, ‘জব্দ সার সরকারি দামে বিক্রি করার কথা ছিল। কিছু জায়গায় অভিযোগ এসেছে, বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

যে অনিয়মের কারণে সার জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হলো; জব্দ করা সেই সার বিক্রিতে একই অনিয়ম হলো, এতে কর্মকর্তাদের গাফিলতি আছে কি না, এমন প্রশ্নে ইউএনও উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘সার-সংকট তৈরি করে দাম বেশি নেওয়ার ঘটনায় অসাধু কিছু ব্যবসায়ী জড়িত ছিলেন। তাঁদের শনাক্ত করে অর্থদণ্ড ও সার জব্দ করে সরকারি দরে বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমার পক্ষে তো সব বিক্রয়ের জায়গায় থাকা সম্ভব নয়। বেশি দামে সার বিক্রি প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অপর প্রশ্নে উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘যেসব দোকান থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক সার জব্দ ও জরিমানা করা হয়, কৃষকদের সুবিধার্থে কৃষি অধিদপ্তরের তদারকিতে ওই সব দোকান থেকে জব্দ করা সার বিক্রি করা যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

দেড় বছরে ১০ বার থমকে গেছে মেট্রোরেল চলাচল

সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন তারেক রহমান

এলাকার খবর
Loading...