পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম ইমন (১৬) ও তার মামা সাজেদুল ইসলামকে (২২) ধরে নিয়ে যাওয়ার আট ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে তাদের ফেরত দেয় বিএসএফ।
ফেরত দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, তাদের ফেরত দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৪২ নম্বরের ১ নম্বর উপপিলারের বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দর শূন্যরেখা থেকে পাঁচ গজ অভ্যন্তরে উভয় দেশের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয়।
বৈঠকে বিজিবির ৬১ ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) রংপুরের বুড়িমারী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবুল কাশেমের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য ও ভারতের কোচবিহার রাজ্যের মেখলিগঞ্জ ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ড্যান্ট ইন্সপেক্টর সুজিত কুমারের নেতৃত্বে পাঁচজন সদস্য অংশ নেন।
বৈঠকে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। তারা জানিয়েছে, বিএসএফের গোমতি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা বাংলাদেশের ১০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে গাটিয়ারভিটা এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায়। বিএসএফ এ কথা অস্বীকার করে জানায়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ওই দুই বাংলাদেশি ভারতের ভেতরে ঢুকে ছবি ও ভিডিও করতে থাকে।
ভারতীয় পক্ষ এ সময় দাবি করে যে, ঘটনার সময় বিএসএফ ওই দুই বাংলাদেশিকে চলে যেতে বললে তাঁরা ফিরে না গিয়ে আপত্তিকর কথা বলে এবং বিএসএফ সদস্যদের ভিডিও করতে থাকে। এতে ওই দুজনকে আটক করে নিয়ে যায় তারা। বৈঠকে বাংলাদেশি নাগরিকদের সীমান্ত অতিক্রম না করতে বিজিবিকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তারা। আলোচনা শেষে ইমন ও সাজেদুলকে বিজিবি প্রতিনিধিদলের কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। রাতেই স্বজন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইমন পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপুর গাটিয়ারভিটা এলাকার মোস্তাক হোসেনের ছেলে। আর সাজেদুল বগুড়ার মহাস্থানগড়ের বকুলতলা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। সাজেদুল পাটগ্রামের এলাকায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ভাগনে ইমনকে নিয়ে বাড়ির পাশের সীমান্তে চা-বাগান দেখতে যান।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮২৫ নম্বরের ১ নম্বর উপপিলারসংলগ্ন শূন্যরেখার ভারতীয় চা-বাগান দেখতে যায় ইমন ও সাজেদুল। এ সময় মোবাইল ফোনে নিজেদের ছবি তোলার সময় ভারতের কোচবিহার রাজ্যের মেখলিগঞ্জ ৯৮-বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গোমতি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের ধরে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৬১ (তিস্তা-২) ধবলসুতি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোক্তার হোসেন বিএসএফের ক্যাম্প কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানান। পরে রাত আড়াইটায় পতাকা বৈঠক হয়।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিল্লুর রহমান বলেন, ‘রাতে সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশি দুজনকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। পরে তাদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে বিজিবি।’
বিজিবি-৬১ (তিস্তা-২)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মুহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, ‘বিএসএফ জানিয়েছে, ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে ভিডিও করার সময় ওই দুজনকে ধরে নিয়ে যায় তারা। বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন ও সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে যোগাযোগ করে রাতেই পতাকা বৈঠক করে তাদের ফেরত আনা হয়।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম ইমন (১৬) ও তার মামা সাজেদুল ইসলামকে (২২) ধরে নিয়ে যাওয়ার আট ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে তাদের ফেরত দেয় বিএসএফ।
ফেরত দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, তাদের ফেরত দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৪২ নম্বরের ১ নম্বর উপপিলারের বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দর শূন্যরেখা থেকে পাঁচ গজ অভ্যন্তরে উভয় দেশের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয়।
বৈঠকে বিজিবির ৬১ ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) রংপুরের বুড়িমারী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবুল কাশেমের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য ও ভারতের কোচবিহার রাজ্যের মেখলিগঞ্জ ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ড্যান্ট ইন্সপেক্টর সুজিত কুমারের নেতৃত্বে পাঁচজন সদস্য অংশ নেন।
বৈঠকে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। তারা জানিয়েছে, বিএসএফের গোমতি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা বাংলাদেশের ১০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে গাটিয়ারভিটা এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায়। বিএসএফ এ কথা অস্বীকার করে জানায়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ওই দুই বাংলাদেশি ভারতের ভেতরে ঢুকে ছবি ও ভিডিও করতে থাকে।
ভারতীয় পক্ষ এ সময় দাবি করে যে, ঘটনার সময় বিএসএফ ওই দুই বাংলাদেশিকে চলে যেতে বললে তাঁরা ফিরে না গিয়ে আপত্তিকর কথা বলে এবং বিএসএফ সদস্যদের ভিডিও করতে থাকে। এতে ওই দুজনকে আটক করে নিয়ে যায় তারা। বৈঠকে বাংলাদেশি নাগরিকদের সীমান্ত অতিক্রম না করতে বিজিবিকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তারা। আলোচনা শেষে ইমন ও সাজেদুলকে বিজিবি প্রতিনিধিদলের কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। রাতেই স্বজন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইমন পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপুর গাটিয়ারভিটা এলাকার মোস্তাক হোসেনের ছেলে। আর সাজেদুল বগুড়ার মহাস্থানগড়ের বকুলতলা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। সাজেদুল পাটগ্রামের এলাকায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ভাগনে ইমনকে নিয়ে বাড়ির পাশের সীমান্তে চা-বাগান দেখতে যান।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮২৫ নম্বরের ১ নম্বর উপপিলারসংলগ্ন শূন্যরেখার ভারতীয় চা-বাগান দেখতে যায় ইমন ও সাজেদুল। এ সময় মোবাইল ফোনে নিজেদের ছবি তোলার সময় ভারতের কোচবিহার রাজ্যের মেখলিগঞ্জ ৯৮-বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গোমতি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের ধরে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৬১ (তিস্তা-২) ধবলসুতি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোক্তার হোসেন বিএসএফের ক্যাম্প কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানান। পরে রাত আড়াইটায় পতাকা বৈঠক হয়।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিল্লুর রহমান বলেন, ‘রাতে সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশি দুজনকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। পরে তাদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে বিজিবি।’
বিজিবি-৬১ (তিস্তা-২)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মুহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, ‘বিএসএফ জানিয়েছে, ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে ভিডিও করার সময় ওই দুজনকে ধরে নিয়ে যায় তারা। বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন ও সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে যোগাযোগ করে রাতেই পতাকা বৈঠক করে তাদের ফেরত আনা হয়।’
পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম ইমন (১৬) ও তার মামা সাজেদুল ইসলামকে (২২) ধরে নিয়ে যাওয়ার আট ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে তাদের ফেরত দেয় বিএসএফ।
ফেরত দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, তাদের ফেরত দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৪২ নম্বরের ১ নম্বর উপপিলারের বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দর শূন্যরেখা থেকে পাঁচ গজ অভ্যন্তরে উভয় দেশের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয়।
বৈঠকে বিজিবির ৬১ ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) রংপুরের বুড়িমারী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবুল কাশেমের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য ও ভারতের কোচবিহার রাজ্যের মেখলিগঞ্জ ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ড্যান্ট ইন্সপেক্টর সুজিত কুমারের নেতৃত্বে পাঁচজন সদস্য অংশ নেন।
বৈঠকে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। তারা জানিয়েছে, বিএসএফের গোমতি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা বাংলাদেশের ১০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে গাটিয়ারভিটা এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায়। বিএসএফ এ কথা অস্বীকার করে জানায়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ওই দুই বাংলাদেশি ভারতের ভেতরে ঢুকে ছবি ও ভিডিও করতে থাকে।
ভারতীয় পক্ষ এ সময় দাবি করে যে, ঘটনার সময় বিএসএফ ওই দুই বাংলাদেশিকে চলে যেতে বললে তাঁরা ফিরে না গিয়ে আপত্তিকর কথা বলে এবং বিএসএফ সদস্যদের ভিডিও করতে থাকে। এতে ওই দুজনকে আটক করে নিয়ে যায় তারা। বৈঠকে বাংলাদেশি নাগরিকদের সীমান্ত অতিক্রম না করতে বিজিবিকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তারা। আলোচনা শেষে ইমন ও সাজেদুলকে বিজিবি প্রতিনিধিদলের কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। রাতেই স্বজন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইমন পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপুর গাটিয়ারভিটা এলাকার মোস্তাক হোসেনের ছেলে। আর সাজেদুল বগুড়ার মহাস্থানগড়ের বকুলতলা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। সাজেদুল পাটগ্রামের এলাকায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ভাগনে ইমনকে নিয়ে বাড়ির পাশের সীমান্তে চা-বাগান দেখতে যান।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮২৫ নম্বরের ১ নম্বর উপপিলারসংলগ্ন শূন্যরেখার ভারতীয় চা-বাগান দেখতে যায় ইমন ও সাজেদুল। এ সময় মোবাইল ফোনে নিজেদের ছবি তোলার সময় ভারতের কোচবিহার রাজ্যের মেখলিগঞ্জ ৯৮-বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গোমতি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের ধরে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৬১ (তিস্তা-২) ধবলসুতি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোক্তার হোসেন বিএসএফের ক্যাম্প কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানান। পরে রাত আড়াইটায় পতাকা বৈঠক হয়।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিল্লুর রহমান বলেন, ‘রাতে সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশি দুজনকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। পরে তাদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে বিজিবি।’
বিজিবি-৬১ (তিস্তা-২)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মুহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, ‘বিএসএফ জানিয়েছে, ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে ভিডিও করার সময় ওই দুজনকে ধরে নিয়ে যায় তারা। বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন ও সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে যোগাযোগ করে রাতেই পতাকা বৈঠক করে তাদের ফেরত আনা হয়।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম ইমন (১৬) ও তার মামা সাজেদুল ইসলামকে (২২) ধরে নিয়ে যাওয়ার আট ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে তাদের ফেরত দেয় বিএসএফ।
ফেরত দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, তাদের ফেরত দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৪২ নম্বরের ১ নম্বর উপপিলারের বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দর শূন্যরেখা থেকে পাঁচ গজ অভ্যন্তরে উভয় দেশের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয়।
বৈঠকে বিজিবির ৬১ ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) রংপুরের বুড়িমারী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবুল কাশেমের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য ও ভারতের কোচবিহার রাজ্যের মেখলিগঞ্জ ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ড্যান্ট ইন্সপেক্টর সুজিত কুমারের নেতৃত্বে পাঁচজন সদস্য অংশ নেন।
বৈঠকে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। তারা জানিয়েছে, বিএসএফের গোমতি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা বাংলাদেশের ১০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে গাটিয়ারভিটা এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায়। বিএসএফ এ কথা অস্বীকার করে জানায়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ওই দুই বাংলাদেশি ভারতের ভেতরে ঢুকে ছবি ও ভিডিও করতে থাকে।
ভারতীয় পক্ষ এ সময় দাবি করে যে, ঘটনার সময় বিএসএফ ওই দুই বাংলাদেশিকে চলে যেতে বললে তাঁরা ফিরে না গিয়ে আপত্তিকর কথা বলে এবং বিএসএফ সদস্যদের ভিডিও করতে থাকে। এতে ওই দুজনকে আটক করে নিয়ে যায় তারা। বৈঠকে বাংলাদেশি নাগরিকদের সীমান্ত অতিক্রম না করতে বিজিবিকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তারা। আলোচনা শেষে ইমন ও সাজেদুলকে বিজিবি প্রতিনিধিদলের কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। রাতেই স্বজন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইমন পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপুর গাটিয়ারভিটা এলাকার মোস্তাক হোসেনের ছেলে। আর সাজেদুল বগুড়ার মহাস্থানগড়ের বকুলতলা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। সাজেদুল পাটগ্রামের এলাকায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ভাগনে ইমনকে নিয়ে বাড়ির পাশের সীমান্তে চা-বাগান দেখতে যান।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮২৫ নম্বরের ১ নম্বর উপপিলারসংলগ্ন শূন্যরেখার ভারতীয় চা-বাগান দেখতে যায় ইমন ও সাজেদুল। এ সময় মোবাইল ফোনে নিজেদের ছবি তোলার সময় ভারতের কোচবিহার রাজ্যের মেখলিগঞ্জ ৯৮-বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গোমতি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের ধরে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৬১ (তিস্তা-২) ধবলসুতি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোক্তার হোসেন বিএসএফের ক্যাম্প কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানান। পরে রাত আড়াইটায় পতাকা বৈঠক হয়।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিল্লুর রহমান বলেন, ‘রাতে সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশি দুজনকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। পরে তাদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে বিজিবি।’
বিজিবি-৬১ (তিস্তা-২)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মুহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, ‘বিএসএফ জানিয়েছে, ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে ভিডিও করার সময় ওই দুজনকে ধরে নিয়ে যায় তারা। বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন ও সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে যোগাযোগ করে রাতেই পতাকা বৈঠক করে তাদের ফেরত আনা হয়।’
পটুয়াখালীর দুমকীতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে থাকা ফেরি বিভাগের প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে নদীর তীরে ফেলে রাখা দুটি ফেরি বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। নিরাপত্তার অভাবে রাতের আঁধারে এর মূল্যবান যন্ত্রাংশও চুরি হয়ে যাচ্ছে।
১৩ মিনিট আগেচাঁদপুর জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার। ক্রেতার সহজলভ্যতার জন্য এই বিক্রির অনুমোদন থাকলেও মানা হচ্ছে না বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কোনো নিয়মনীতি। অধিকাংশ দোকানে একই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল। এতে যেকোনো সময় বড়
৩৪ মিনিট আগেকাঠালিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘রাজাপুর ও কাঠালিয়ার বিএনপি এখন দুভাগে বিভক্ত। কেন্দ্র থেকে বহিষ্কৃত বা স্থগিত ব্যক্তিদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে নিষেধ থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। মনে হয় রাজাপুর-কাঠালিয়ায় ভিন্ন একটি বিএনপি চলছে।’
১ ঘণ্টা আগেগতকাল সোমবার বিকেলে রসিকপুর গ্রামের ভৈরব নদের স্লুইসগেটের স্রোতের পানিতে তাঁরা নিখোঁজ হন। রাত ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে পিরোজপুর গ্রামে নিখোঁজ আরেকজনের মরদেহ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেদুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দুমকীতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে থাকা ফেরি বিভাগের প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে নদীর তীরে ফেলে রাখা দুটি ফেরি বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। নিরাপত্তার অভাবে রাতের আঁধারে এর মূল্যবান যন্ত্রাংশও চুরি হয়ে যাচ্ছে।
রোদ-বৃষ্টি, পানি ও কাদার আস্তরণে এখন অচল দুটি ফেরি। দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক-কর্মচারীদের পদচারণ না থাকায় ও ফেরিটি চলাচল না করায় পুরো এলাকা আগাছায় ছেয়ে গেছে। এই অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা কোটি টাকার নৌযান দুটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সূত্র মতে, ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর ফেরি দুটি দুমকীর বাহেরচর এলাকায় পায়রা নদীর তীরে রাখা হয়। বর্তমানে এগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে এবং বেশির ভাগ মালপত্র চুরি হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় ফেরি দুটির বেশির ভাগ মূল্যবান যন্ত্রপাতি উধাও। ভেতরের অংশে আবর্জনার স্তূপ জমেছে। পানি ও মাটির আস্তরণে ঢেকে গেছে ফেরি দুটির অধিকাংশ অংশ। সরকারি কোটি টাকার সম্পত্তি রক্ষায় কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
ঝাটারা এলাকার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সরকারি সম্পদ এভাবে নষ্ট হচ্ছে। এগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা বা অন্য কোথাও কাজে লাগানো উচিত ছিল।
পার্শ্ববর্তী জলিশা এলাকার মো. শাহিন মনে করেন, ফেরিগুলো নিলামে বিক্রি করলেও সরকারি কোষাগারে কিছু টাকা আসত। তা ছাড়া সংস্কার করে জনগণের সেবায় কাজে লাগালে আরও বেশি উপকার হতো। দেশের সম্পদ রক্ষা হতো, মানুষ সেবা পেত।
ফেরিচালকের সহকারী মো. কায়েস জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফেরি দুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ না হওয়ায় নিলামে উঠানো হয়নি। তবে কবে মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, তা তিনি বলতে পারেননি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামিল আক্তার বলেন, ‘বাহেরচর এলাকায় পায়রা নদীর তীরে থাকা ফেরি সম্পর্কে আমার জানা আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
পটুয়াখালীর দুমকীতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে থাকা ফেরি বিভাগের প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে নদীর তীরে ফেলে রাখা দুটি ফেরি বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। নিরাপত্তার অভাবে রাতের আঁধারে এর মূল্যবান যন্ত্রাংশও চুরি হয়ে যাচ্ছে।
রোদ-বৃষ্টি, পানি ও কাদার আস্তরণে এখন অচল দুটি ফেরি। দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক-কর্মচারীদের পদচারণ না থাকায় ও ফেরিটি চলাচল না করায় পুরো এলাকা আগাছায় ছেয়ে গেছে। এই অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা কোটি টাকার নৌযান দুটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সূত্র মতে, ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর ফেরি দুটি দুমকীর বাহেরচর এলাকায় পায়রা নদীর তীরে রাখা হয়। বর্তমানে এগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে এবং বেশির ভাগ মালপত্র চুরি হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় ফেরি দুটির বেশির ভাগ মূল্যবান যন্ত্রপাতি উধাও। ভেতরের অংশে আবর্জনার স্তূপ জমেছে। পানি ও মাটির আস্তরণে ঢেকে গেছে ফেরি দুটির অধিকাংশ অংশ। সরকারি কোটি টাকার সম্পত্তি রক্ষায় কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
ঝাটারা এলাকার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সরকারি সম্পদ এভাবে নষ্ট হচ্ছে। এগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা বা অন্য কোথাও কাজে লাগানো উচিত ছিল।
পার্শ্ববর্তী জলিশা এলাকার মো. শাহিন মনে করেন, ফেরিগুলো নিলামে বিক্রি করলেও সরকারি কোষাগারে কিছু টাকা আসত। তা ছাড়া সংস্কার করে জনগণের সেবায় কাজে লাগালে আরও বেশি উপকার হতো। দেশের সম্পদ রক্ষা হতো, মানুষ সেবা পেত।
ফেরিচালকের সহকারী মো. কায়েস জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফেরি দুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ না হওয়ায় নিলামে উঠানো হয়নি। তবে কবে মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, তা তিনি বলতে পারেননি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামিল আক্তার বলেন, ‘বাহেরচর এলাকায় পায়রা নদীর তীরে থাকা ফেরি সম্পর্কে আমার জানা আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম ইমন (১৬) ও তাঁর মামা সাজেদুল ইসলামকে (২২) ধরে নিয়ে যাওয়ার ৮ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে তাদের ফেরত দেয় বিএসএফ।
০৩ মে ২০২৫চাঁদপুর জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার। ক্রেতার সহজলভ্যতার জন্য এই বিক্রির অনুমোদন থাকলেও মানা হচ্ছে না বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কোনো নিয়মনীতি। অধিকাংশ দোকানে একই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল। এতে যেকোনো সময় বড়
৩৪ মিনিট আগেকাঠালিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘রাজাপুর ও কাঠালিয়ার বিএনপি এখন দুভাগে বিভক্ত। কেন্দ্র থেকে বহিষ্কৃত বা স্থগিত ব্যক্তিদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে নিষেধ থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। মনে হয় রাজাপুর-কাঠালিয়ায় ভিন্ন একটি বিএনপি চলছে।’
১ ঘণ্টা আগেগতকাল সোমবার বিকেলে রসিকপুর গ্রামের ভৈরব নদের স্লুইসগেটের স্রোতের পানিতে তাঁরা নিখোঁজ হন। রাত ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে পিরোজপুর গ্রামে নিখোঁজ আরেকজনের মরদেহ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর
চাঁদপুর জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার। ক্রেতার সহজলভ্যতার জন্য এই বিক্রির অনুমোদন থাকলেও মানা হচ্ছে না বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কোনো নিয়মনীতি। অধিকাংশ দোকানে একই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে শহরে বঙ্গবন্ধু সড়কে একই দোকানে এলপিজি ও জ্বালানি তেল বিক্রির অনিয়মের কারণে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে চারজন দগ্ধ হয়ে মারা যায়। ওই ঘটনার পর প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসলেও বর্তমানে তাদের ভূমিকা নীরব। তবে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সদর উপজেলা প্রশাসন।
সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদপুর জেলার আঞ্চলিক, উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক এবং বাজারগুলোতে মুদি, ফোন, চায়ের দোকান, সার-কীটনাশক এমনকি টেইলারিং দোকানেও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। গুরুতর বিষয় হলো, এসব দোকানে পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেলও। ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা সিলিন্ডার বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন বা বিস্ফোরক পরিদপ্তরের নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত নন। তাঁরা রাস্তার পাশে বা দোকানের সামনে প্রচণ্ড তাপমাত্রায় সিলিন্ডার সাজিয়ে রাখেন, যাতে ক্রেতাদের চোখে পড়ে। একটি দোকানে কী পরিমাণ সিলিন্ডার রাখা যাবে—এসব নিয়মের কিছুই জানেন না ব্যবসায়ীরা।
এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির বিষয়ে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের নিয়ম হচ্ছে, একটি দোকানে ১২ লিটারের সর্বোচ্চ ৮টি এবং বড় আকারের হলে ৩টি সিলিন্ডার লাইসেন্স ছাড়া বিক্রি করা যায়। তবে সিলিন্ডার অবশ্যই রোদে না রেখে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। অতিরিক্ত মজুত করলে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক।
সদর উপজেলার চান্দ্রা চৌরাস্তার স্যানিটারি মালপত্র বিক্রি করেন ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম। তিনি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারও বিক্রি করেন। তবে বিক্রির জন্য অনুমোদনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, ‘এলাকার অনেক দোকানে বিক্রি হয়। আমিও তাদের মতো বিক্রি করি। কী পরিমাণ সিলিন্ডার মজুত রাখা যাবে—এমন প্রশ্নের জবাবে জানান, এই বিষয়ে তিনি অবগত নন।
সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারের মোটর গ্যারেজে বিক্রি হয় গ্যাস সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল। দোকানের মালিক সুমন দাস বলেন, কোনো নিয়ম জানা নেই বিক্রির জন্য। দুর্ঘটনা হলে কী করণীয়, সেটাও বলতে পারেননি এই ব্যবসায়ী।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া বাজার, ভাটিয়ালপুর, নয়ারহাট, রামপুর, গোয়ালভাওর এলাকার দোকানগুলোতে দেখা গেছে প্রায় দোকানে ২০ থেকে ২৫টি করে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার মজুত। অনেক দোকানি রোদের মধ্যে রেখেছেন সিলিন্ডার।
রামপুর বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, সিলিন্ডার দোকানের সামনে না রাখলে ক্রেতারা জানবে কীভাবে। এ জন্য রোদে রাখা হায়।
সিলিন্ডারের নির্দিষ্ট মেয়াদের বিষয়ে জানতে চাইলে শহরের বাসিন্দা আল-ইমরান শোভন, মাইনুল ইসলাম, শাহজাহান বলেন, ‘এ বিষয়টি জানতাম না। মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার ব্যবহারে আগামীতে সতর্ক থাকব।’
ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই গ্যাস সিলিন্ডারের নির্দিষ্ট মেয়াদ সম্পর্কে অজ্ঞ। শহরের নিউ ট্রাক রোডের ব্যবসায়ী শামীম, সেলিম খান ও সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করি। কিন্তু এটির মেয়াদ থাকে জানা ছিল না। এখন থেকে মাল ক্রয়ের সময় মেয়াদ দেখে নিতে হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি গ্যাস সিলিন্ডারের ওপরের অংশে একটি কোড থাকে (যেমন A-২০২৫)। ‘A’ মানে জানুয়ারি-মার্চ, ‘B’ মানে এপ্রিল-জুন, ‘C’ মানে জুলাই-সেপ্টেম্বর এবং ‘D’ মানে অক্টোবর-ডিসেম্বর। এই অক্ষর এবং তার পরের সালটি সিলিন্ডারের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ নির্দেশ করে। সিলিন্ডারের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ হিসেবে লেখা থাকবে ‘এ’-২০২৫, অর্থাৎ এটির মেয়াদ শেষ ২০২৫ সালের মার্চ মাসে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম এন জামিউল হিকমা বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডার ও জ্বালানির বিক্রির বিষয়টি অবগত হলাম। শিগগির অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
বিস্ফোরক পরিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ভোক্তার সহজলভ্যতার কারণে স্থানীয় দোকানগুলোয় বিক্রির জন্য অনুমোদন লাগে না। তবে যেকোনো দোকানে ১২ লিটারের ৮-১০টির বেশি সিলিন্ডার রাখতে পারবে না। ১২ লিটারের বেশি ওজনের হলে ৩ থেকে ৪টি রেখে বিক্রি করতে পারবে। অতিরিক্ত মজুত করলে অবশ্যই বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স লাগবে। রাস্তার ওপর রেখে বিক্রি করতে পারবে না। ঠান্ডা জায়গায় সিলিন্ডার রাখতে হবে।
চাঁদপুর জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার। ক্রেতার সহজলভ্যতার জন্য এই বিক্রির অনুমোদন থাকলেও মানা হচ্ছে না বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কোনো নিয়মনীতি। অধিকাংশ দোকানে একই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে শহরে বঙ্গবন্ধু সড়কে একই দোকানে এলপিজি ও জ্বালানি তেল বিক্রির অনিয়মের কারণে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে চারজন দগ্ধ হয়ে মারা যায়। ওই ঘটনার পর প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসলেও বর্তমানে তাদের ভূমিকা নীরব। তবে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সদর উপজেলা প্রশাসন।
সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদপুর জেলার আঞ্চলিক, উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক এবং বাজারগুলোতে মুদি, ফোন, চায়ের দোকান, সার-কীটনাশক এমনকি টেইলারিং দোকানেও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। গুরুতর বিষয় হলো, এসব দোকানে পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেলও। ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা সিলিন্ডার বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন বা বিস্ফোরক পরিদপ্তরের নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত নন। তাঁরা রাস্তার পাশে বা দোকানের সামনে প্রচণ্ড তাপমাত্রায় সিলিন্ডার সাজিয়ে রাখেন, যাতে ক্রেতাদের চোখে পড়ে। একটি দোকানে কী পরিমাণ সিলিন্ডার রাখা যাবে—এসব নিয়মের কিছুই জানেন না ব্যবসায়ীরা।
এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির বিষয়ে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের নিয়ম হচ্ছে, একটি দোকানে ১২ লিটারের সর্বোচ্চ ৮টি এবং বড় আকারের হলে ৩টি সিলিন্ডার লাইসেন্স ছাড়া বিক্রি করা যায়। তবে সিলিন্ডার অবশ্যই রোদে না রেখে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। অতিরিক্ত মজুত করলে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক।
সদর উপজেলার চান্দ্রা চৌরাস্তার স্যানিটারি মালপত্র বিক্রি করেন ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম। তিনি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারও বিক্রি করেন। তবে বিক্রির জন্য অনুমোদনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, ‘এলাকার অনেক দোকানে বিক্রি হয়। আমিও তাদের মতো বিক্রি করি। কী পরিমাণ সিলিন্ডার মজুত রাখা যাবে—এমন প্রশ্নের জবাবে জানান, এই বিষয়ে তিনি অবগত নন।
সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারের মোটর গ্যারেজে বিক্রি হয় গ্যাস সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল। দোকানের মালিক সুমন দাস বলেন, কোনো নিয়ম জানা নেই বিক্রির জন্য। দুর্ঘটনা হলে কী করণীয়, সেটাও বলতে পারেননি এই ব্যবসায়ী।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া বাজার, ভাটিয়ালপুর, নয়ারহাট, রামপুর, গোয়ালভাওর এলাকার দোকানগুলোতে দেখা গেছে প্রায় দোকানে ২০ থেকে ২৫টি করে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার মজুত। অনেক দোকানি রোদের মধ্যে রেখেছেন সিলিন্ডার।
রামপুর বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, সিলিন্ডার দোকানের সামনে না রাখলে ক্রেতারা জানবে কীভাবে। এ জন্য রোদে রাখা হায়।
সিলিন্ডারের নির্দিষ্ট মেয়াদের বিষয়ে জানতে চাইলে শহরের বাসিন্দা আল-ইমরান শোভন, মাইনুল ইসলাম, শাহজাহান বলেন, ‘এ বিষয়টি জানতাম না। মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার ব্যবহারে আগামীতে সতর্ক থাকব।’
ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই গ্যাস সিলিন্ডারের নির্দিষ্ট মেয়াদ সম্পর্কে অজ্ঞ। শহরের নিউ ট্রাক রোডের ব্যবসায়ী শামীম, সেলিম খান ও সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করি। কিন্তু এটির মেয়াদ থাকে জানা ছিল না। এখন থেকে মাল ক্রয়ের সময় মেয়াদ দেখে নিতে হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি গ্যাস সিলিন্ডারের ওপরের অংশে একটি কোড থাকে (যেমন A-২০২৫)। ‘A’ মানে জানুয়ারি-মার্চ, ‘B’ মানে এপ্রিল-জুন, ‘C’ মানে জুলাই-সেপ্টেম্বর এবং ‘D’ মানে অক্টোবর-ডিসেম্বর। এই অক্ষর এবং তার পরের সালটি সিলিন্ডারের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ নির্দেশ করে। সিলিন্ডারের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ হিসেবে লেখা থাকবে ‘এ’-২০২৫, অর্থাৎ এটির মেয়াদ শেষ ২০২৫ সালের মার্চ মাসে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম এন জামিউল হিকমা বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডার ও জ্বালানির বিক্রির বিষয়টি অবগত হলাম। শিগগির অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
বিস্ফোরক পরিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ভোক্তার সহজলভ্যতার কারণে স্থানীয় দোকানগুলোয় বিক্রির জন্য অনুমোদন লাগে না। তবে যেকোনো দোকানে ১২ লিটারের ৮-১০টির বেশি সিলিন্ডার রাখতে পারবে না। ১২ লিটারের বেশি ওজনের হলে ৩ থেকে ৪টি রেখে বিক্রি করতে পারবে। অতিরিক্ত মজুত করলে অবশ্যই বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স লাগবে। রাস্তার ওপর রেখে বিক্রি করতে পারবে না। ঠান্ডা জায়গায় সিলিন্ডার রাখতে হবে।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম ইমন (১৬) ও তাঁর মামা সাজেদুল ইসলামকে (২২) ধরে নিয়ে যাওয়ার ৮ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে তাদের ফেরত দেয় বিএসএফ।
০৩ মে ২০২৫পটুয়াখালীর দুমকীতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে থাকা ফেরি বিভাগের প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে নদীর তীরে ফেলে রাখা দুটি ফেরি বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। নিরাপত্তার অভাবে রাতের আঁধারে এর মূল্যবান যন্ত্রাংশও চুরি হয়ে যাচ্ছে।
১৩ মিনিট আগেকাঠালিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘রাজাপুর ও কাঠালিয়ার বিএনপি এখন দুভাগে বিভক্ত। কেন্দ্র থেকে বহিষ্কৃত বা স্থগিত ব্যক্তিদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে নিষেধ থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। মনে হয় রাজাপুর-কাঠালিয়ায় ভিন্ন একটি বিএনপি চলছে।’
১ ঘণ্টা আগেগতকাল সোমবার বিকেলে রসিকপুর গ্রামের ভৈরব নদের স্লুইসগেটের স্রোতের পানিতে তাঁরা নিখোঁজ হন। রাত ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে পিরোজপুর গ্রামে নিখোঁজ আরেকজনের মরদেহ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেআরিফ রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল পদ স্থগিত ও বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে সভা-সমাবেশ করায় দলে ক্ষোভ ও বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি তিনি রাজাপুর উপজেলা বিএনপির স্থগিত সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকন ও কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির স্থগিত সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন নিজাম মীরবহরসহ পদ স্থগিত হওয়া একাধিক নেতাকে নিয়ে সভা-সমাবেশ করেছেন। এই ঘটনায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কাঠালিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘রাজাপুর ও কাঠালিয়ার বিএনপি এখন দুভাগে বিভক্ত। কেন্দ্র থেকে বহিষ্কৃত বা স্থগিত ব্যক্তিদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে নিষেধ থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। মনে হয় রাজাপুর-কাঠালিয়ায় ভিন্ন একটি বিএনপি চলছে।’
জাকির হোসেনের দাবি, বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের অবহিত করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, নাসিম উদ্দিন আকন চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ পান। সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় ২৫ জানুয়ারি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর পদ স্থগিত করা হয়।
পরে ২ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
একইভাবে কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন নিজাম মীরবহরকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন ও নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগে ৫ এপ্রিল শোকজ করা হয়। পরদিন সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় তাঁর পদ স্থগিত করা হয় এবং তাঁকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
নাসিম উদ্দিন আকন বলেন, ‘আমাকে বহিষ্কার করা হয়নি, শুধু পদ স্থগিত করা হয়েছে। জেলা বিএনপির রোষানলের কারণে এই সিদ্ধান্ত। রাজাপুরের মানুষ ও নেতা-কর্মীরা আমাকে ভালোবাসেন। তাই রাজনৈতিক, পারিবারিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁরা আমাকে দাওয়াত দেন। এটা আমার গ্রহণযোগ্যতা। তাই রাজনৈতিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানে আমি স্বাভাবিকভাবেই অংশগ্রহণ করি। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে আমার কোনো বাধা নাই।’
পদ স্থগিত নেতা আখতার হোসেন নিজাম মীরবহরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, ‘বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে কাজ করা যায় না; তবে যাঁদের পদ স্থগিত করা হয়েছে, তাঁরা মিছিল-সমাবেশে অংশ নিতে পারেন। তাঁদের পদ না থাকলেও তাঁরা দলের অংশ, তাই সভায় অংশগ্রহণে সমস্যা নেই।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগ করে, সেও যদি আমার মিছিল-মিটিংয়ে আসে, আমি কি তাকে বের করে দেব? মিছিল-মিটিংয়ে আসা এক জিনিস, কিন্তু পদাধিকার বলে কমিটি বা সংগঠন করা আরেক জিনিস। সাংগঠনিকভাবে যার পদ স্থগিত, সে কমিটিতে থাকতে পারে না। তবে মতবিনিময় সভা বা জনসভায় তার উপস্থিতিতে আমি কোনো সমস্যা দেখি না।’ নাসিম উদ্দিন আকনের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি ব্যাখ্যা দেন, ‘না, ওটা আমাদের অস্থায়ী কার্যালয়। শাহজাহান ওমর দল থেকে যাওয়ার পর ওটা রাজাপুর বিএনপির অস্থায়ী অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেখানে তারেক রহমান ও জিয়াউর রহমানের ছবি আছে। নতুন অফিস এখনো নেওয়া হয়নি।’
রফিকুল ইসলাম জামাল আরও বলেন, ‘নাসিম উদ্দিন আকন একটি স্কুল ও মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি। আমি যদি সেই জায়গায় যাই, তাহলে কি সে থাকবে না? আমার দলের কেউ যদি দল থেকে বহিষ্কারও হয়, কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বা শিক্ষক হিসেবে থাকে, তাহলে সে উপস্থিত থাকলে সমস্যা কোথায়?’
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাঁরা পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছেন, এতে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে জানানো হয়েছে।’
রাজাপুর ও কাঠালিয়া বিএনপির মধ্যে বিরোধ ও দ্বন্দ্বে মাঠের রাজনীতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। কেন্দ্রীয় নেতার অংশগ্রহণে পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে সভা হওয়ায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, দলীয় সিদ্ধান্ত মানা না হলে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা কোথায়?
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল পদ স্থগিত ও বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে সভা-সমাবেশ করায় দলে ক্ষোভ ও বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি তিনি রাজাপুর উপজেলা বিএনপির স্থগিত সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকন ও কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির স্থগিত সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন নিজাম মীরবহরসহ পদ স্থগিত হওয়া একাধিক নেতাকে নিয়ে সভা-সমাবেশ করেছেন। এই ঘটনায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কাঠালিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘রাজাপুর ও কাঠালিয়ার বিএনপি এখন দুভাগে বিভক্ত। কেন্দ্র থেকে বহিষ্কৃত বা স্থগিত ব্যক্তিদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে নিষেধ থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। মনে হয় রাজাপুর-কাঠালিয়ায় ভিন্ন একটি বিএনপি চলছে।’
জাকির হোসেনের দাবি, বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের অবহিত করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, নাসিম উদ্দিন আকন চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ পান। সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় ২৫ জানুয়ারি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর পদ স্থগিত করা হয়।
পরে ২ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
একইভাবে কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন নিজাম মীরবহরকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন ও নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগে ৫ এপ্রিল শোকজ করা হয়। পরদিন সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় তাঁর পদ স্থগিত করা হয় এবং তাঁকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
নাসিম উদ্দিন আকন বলেন, ‘আমাকে বহিষ্কার করা হয়নি, শুধু পদ স্থগিত করা হয়েছে। জেলা বিএনপির রোষানলের কারণে এই সিদ্ধান্ত। রাজাপুরের মানুষ ও নেতা-কর্মীরা আমাকে ভালোবাসেন। তাই রাজনৈতিক, পারিবারিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁরা আমাকে দাওয়াত দেন। এটা আমার গ্রহণযোগ্যতা। তাই রাজনৈতিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানে আমি স্বাভাবিকভাবেই অংশগ্রহণ করি। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে আমার কোনো বাধা নাই।’
পদ স্থগিত নেতা আখতার হোসেন নিজাম মীরবহরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, ‘বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে কাজ করা যায় না; তবে যাঁদের পদ স্থগিত করা হয়েছে, তাঁরা মিছিল-সমাবেশে অংশ নিতে পারেন। তাঁদের পদ না থাকলেও তাঁরা দলের অংশ, তাই সভায় অংশগ্রহণে সমস্যা নেই।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগ করে, সেও যদি আমার মিছিল-মিটিংয়ে আসে, আমি কি তাকে বের করে দেব? মিছিল-মিটিংয়ে আসা এক জিনিস, কিন্তু পদাধিকার বলে কমিটি বা সংগঠন করা আরেক জিনিস। সাংগঠনিকভাবে যার পদ স্থগিত, সে কমিটিতে থাকতে পারে না। তবে মতবিনিময় সভা বা জনসভায় তার উপস্থিতিতে আমি কোনো সমস্যা দেখি না।’ নাসিম উদ্দিন আকনের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি ব্যাখ্যা দেন, ‘না, ওটা আমাদের অস্থায়ী কার্যালয়। শাহজাহান ওমর দল থেকে যাওয়ার পর ওটা রাজাপুর বিএনপির অস্থায়ী অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেখানে তারেক রহমান ও জিয়াউর রহমানের ছবি আছে। নতুন অফিস এখনো নেওয়া হয়নি।’
রফিকুল ইসলাম জামাল আরও বলেন, ‘নাসিম উদ্দিন আকন একটি স্কুল ও মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি। আমি যদি সেই জায়গায় যাই, তাহলে কি সে থাকবে না? আমার দলের কেউ যদি দল থেকে বহিষ্কারও হয়, কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বা শিক্ষক হিসেবে থাকে, তাহলে সে উপস্থিত থাকলে সমস্যা কোথায়?’
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাঁরা পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছেন, এতে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে জানানো হয়েছে।’
রাজাপুর ও কাঠালিয়া বিএনপির মধ্যে বিরোধ ও দ্বন্দ্বে মাঠের রাজনীতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। কেন্দ্রীয় নেতার অংশগ্রহণে পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে সভা হওয়ায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, দলীয় সিদ্ধান্ত মানা না হলে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা কোথায়?
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম ইমন (১৬) ও তাঁর মামা সাজেদুল ইসলামকে (২২) ধরে নিয়ে যাওয়ার ৮ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে তাদের ফেরত দেয় বিএসএফ।
০৩ মে ২০২৫পটুয়াখালীর দুমকীতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে থাকা ফেরি বিভাগের প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে নদীর তীরে ফেলে রাখা দুটি ফেরি বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। নিরাপত্তার অভাবে রাতের আঁধারে এর মূল্যবান যন্ত্রাংশও চুরি হয়ে যাচ্ছে।
১৩ মিনিট আগেচাঁদপুর জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার। ক্রেতার সহজলভ্যতার জন্য এই বিক্রির অনুমোদন থাকলেও মানা হচ্ছে না বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কোনো নিয়মনীতি। অধিকাংশ দোকানে একই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল। এতে যেকোনো সময় বড়
৩৪ মিনিট আগেগতকাল সোমবার বিকেলে রসিকপুর গ্রামের ভৈরব নদের স্লুইসগেটের স্রোতের পানিতে তাঁরা নিখোঁজ হন। রাত ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে পিরোজপুর গ্রামে নিখোঁজ আরেকজনের মরদেহ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেমেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার রসিকপুর গ্রামে ভৈরব নদে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়াদের মধ্যে দুজন চাচাতো ভাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার বিকেলে রসিকপুর গ্রামের ভৈরব নদের স্লুইসগেটের স্রোতের পানিতে তাঁরা নিখোঁজ হন। রাত ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে, পিরোজপুর গ্রামে নিখোঁজ আরেকজনের মরদেহ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার টেংরামারী গ্রামের হান্নান শেখের ছেলে ও পৌর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তানভীর হোসেন, তাঁর চাচাতো ভাই আমদহ গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র কৌশিক হোসেন এবং পিরোজপুর গ্রামের জল্লাদ হোসেনের ছেলে মাহবুব হোসেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভৈরব নদের রসিকপুর স্লুইসগেটের সামনে প্রায়ই লোকজন গোসল করতে যায়। তানভীর ও কৌশিক সেখানে গোসল করার সময় কৌশিককে পানিতে ডুবে যেতে দেখে তানভীর তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। এ সময় দুজনই স্রোতের টানে তলিয়ে যায়। একইভাবে ভৈরব নদে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হন পিরোজপুর গ্রামের মাহবুব হোসেন।
মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ মন্ডল বলেন, স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসে ডুবুরি দল না থাকায় খুলনা থেকে ডুবুরি আনা হয়। রাত পৌনে ৯টার দিকে স্লুইসগেটের অদূরে ভৈরব নদ থেকে নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদ্বয় জানিয়েছেন, উদ্ধার করা তিনজনের মরদেহ পরিবারের সম্মতিতে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হবে।
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার রসিকপুর গ্রামে ভৈরব নদে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়াদের মধ্যে দুজন চাচাতো ভাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার বিকেলে রসিকপুর গ্রামের ভৈরব নদের স্লুইসগেটের স্রোতের পানিতে তাঁরা নিখোঁজ হন। রাত ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে, পিরোজপুর গ্রামে নিখোঁজ আরেকজনের মরদেহ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার টেংরামারী গ্রামের হান্নান শেখের ছেলে ও পৌর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তানভীর হোসেন, তাঁর চাচাতো ভাই আমদহ গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র কৌশিক হোসেন এবং পিরোজপুর গ্রামের জল্লাদ হোসেনের ছেলে মাহবুব হোসেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভৈরব নদের রসিকপুর স্লুইসগেটের সামনে প্রায়ই লোকজন গোসল করতে যায়। তানভীর ও কৌশিক সেখানে গোসল করার সময় কৌশিককে পানিতে ডুবে যেতে দেখে তানভীর তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। এ সময় দুজনই স্রোতের টানে তলিয়ে যায়। একইভাবে ভৈরব নদে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হন পিরোজপুর গ্রামের মাহবুব হোসেন।
মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ মন্ডল বলেন, স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসে ডুবুরি দল না থাকায় খুলনা থেকে ডুবুরি আনা হয়। রাত পৌনে ৯টার দিকে স্লুইসগেটের অদূরে ভৈরব নদ থেকে নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদ্বয় জানিয়েছেন, উদ্ধার করা তিনজনের মরদেহ পরিবারের সম্মতিতে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হবে।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম ইমন (১৬) ও তাঁর মামা সাজেদুল ইসলামকে (২২) ধরে নিয়ে যাওয়ার ৮ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে তাদের ফেরত দেয় বিএসএফ।
০৩ মে ২০২৫পটুয়াখালীর দুমকীতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে থাকা ফেরি বিভাগের প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে নদীর তীরে ফেলে রাখা দুটি ফেরি বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। নিরাপত্তার অভাবে রাতের আঁধারে এর মূল্যবান যন্ত্রাংশও চুরি হয়ে যাচ্ছে।
১৩ মিনিট আগেচাঁদপুর জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার। ক্রেতার সহজলভ্যতার জন্য এই বিক্রির অনুমোদন থাকলেও মানা হচ্ছে না বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কোনো নিয়মনীতি। অধিকাংশ দোকানে একই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল। এতে যেকোনো সময় বড়
৩৪ মিনিট আগেকাঠালিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘রাজাপুর ও কাঠালিয়ার বিএনপি এখন দুভাগে বিভক্ত। কেন্দ্র থেকে বহিষ্কৃত বা স্থগিত ব্যক্তিদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে নিষেধ থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। মনে হয় রাজাপুর-কাঠালিয়ায় ভিন্ন একটি বিএনপি চলছে।’
১ ঘণ্টা আগে