Ajker Patrika

কমলনগরে নৌকাডুবির ঘটনায় বাবার মৃত্যু, ১৩ দিনেও মেলেনি ছেলের সন্ধান

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ৪৯
কমলনগরে নৌকাডুবির ঘটনায় বাবার মৃত্যু, ১৩ দিনেও মেলেনি ছেলের সন্ধান

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনার ১৩ দিনেও নিখোঁজ নুর উদ্দিনের (২৮) সন্ধান মেলেনি। গতকাল বুধবার নিখোঁজ নুর উদ্দিনের ছোট ভাই সালাউদ্দিন সন্ধান না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিখোঁজ হন। তিন দিন পরে বাবা নুরুজ্জামানের (৫০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত নুরুজ্জামান ও নিখোঁজ নুর উদ্দিন উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের জাজিরা এলাকার বাসিন্দা। 

জানা যায়, গত ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে মেঘনার মাতাব্বরহাট এলাকায় মাছ ধরার সময় পন্টুনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় চারজন জেলে বেঁচে ফিরলেও নিখোঁজ হন বাবা-ছেলে। এর তিন দিন পর গত ৯ নভেম্বর সকাল ১০টায় মেঘনার মতিরহাট এলাকা থেকে বাবা নুরুজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

নিখোঁজ নুর উদ্দিনের সন্ধানে উপকূলীয় থানাগুলোতে বার্তা দিয়ে রেখেছে পুলিশ। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলও ঘটনাস্থলসহ আশপাশে খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পাননি। স্বজনেরা নদীতীরবর্তী এলাকায় সন্ধান চেয়ে মাইকিং করেছেন। 
 
এ বিষয়ে স্বজনেরা জানান, নুর উদ্দিন একটি বীমা কোম্পানিতে চাকরি করতেন। শখ করে বাবার সঙ্গে নদীতে মাছ ধরতে যান। কিন্তু তিনি সাঁতার জানতেন না। ধারণা করা হচ্ছে, সাঁতার না জানার কারণে নুর উদ্দিনকে বাঁচাতে গিয়ে বাবা-ছেলে দুজনই নিখোঁজ হন। পরে বাবার মরদেহ উদ্ধার করা হলেও ছেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রেনে কাটা পড়ে কলেজছাত্র নিহত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
কলেজছাত্রের মৃত্যুতে রেললাইনে লোকজন জড়ো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কলেজছাত্রের মৃত্যুতে রেললাইনে লোকজন জড়ো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

গোপালগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে সাকিল আহম্মেদ ফয়সাল (১৯) নামের এক কলেজছাত্র মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকালে চরপাথালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সাকিল উপজেলার বোড়াশী ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের প্রবাসী কামাল শেখের ছেলে। এ বছর গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন তিনি।

মৃতের ভাই রাসেদ জানান, প্রতিদিন সকালে নামাজের পর সাকিল হাঁটাহাঁটি করে। আজ রেললাইন ধরে হাঁটার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় সে।

বোড়াশী রেলস্ট্রেশন ম্যানেজার রত্না বৈদ্য জানান, সদর উপজেলার গোবরা থেকে রাজশাহীগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ওই ছাত্র নিহত হয়।

রেল পুলিশ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

থানায় জব্দ মোটরসাইকেল বাইরে বিক্রির চেষ্টা: পুলিশের দাবি চুরি

নীলফামারী প্রতিনিধি
পুলিশের জব্দ করা মোটরসাইকেল। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের জব্দ করা মোটরসাইকেল। ছবি: সংগৃহীত

নীলফামারীর সৈয়দপুর থানায় জব্দ একটি মোটরসাইকেল বাইরে বিক্রির চেষ্টার ঘটনায় মামলার পর উঠেছে নানা প্রশ্ন। পুলিশ বলছে, মোটরসাইকেলটি থানার মালখানা থেকে চুরি হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ—দায়িত্বে অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় থানার সম্পত্তি রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকা পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) হৃষিকেশ চন্দ্র বর্মণ নিজে বাদী হয়ে গত বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, মোটরসাইকেলটি এক সপ্তাহ আগে থানায় ‘বড়খানার রাতে’ চুরি হয়। তবে মামলার বিবরণে মোটরসাইকেল উদ্ধারের বিষয়টি স্পষ্ট করে লেখা হয়নি। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

জানা গেছে, গত ২৯ মে রাতে সৈয়দপুর শহরের কয়ানিজপাড়ায় ফারুক হোসেন ও তাঁর স্ত্রী মুক্তা বানুর বাড়িতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য, নগদ অর্থ, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে। পরে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়া হয়। ঘটনার পাঁচ মাস পর গত বুধবার রাতে ওই জব্দ মোটরসাইকেলটি থানার বাইরে বিক্রির চেষ্টা করে একটি চক্র।

মাদক মামলায় আটক মুক্তা বানুর ভাই আতিক হাসান বলেন, ‘বুধবার রাতে একজন জানায়, থানার প্রায় চার কিলোমিটার দূরে মতির মোড়ে আমাদের মোটরসাইকেল বিক্রির চেষ্টা চলছে। আমি গিয়ে কাগজপত্র মিলিয়ে দেখি, সেটি আমার বোনজামাইয়ের। কৌশলে নিজেই কেনার কথা বলে চক্রের সদস্য শাহিন হোসেনকে (২৬) বাড়িতে ডেকে আনি। বিষয়টি টের পেয়ে সে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে যায়।’

সৈয়দপুরের স্থানীয় বাসিন্দা এহতেশামুল হক সানি বলেন, যে মোটরসাইকেল থানার মালখানায় থাকার কথা, সেটি বাইরে বিক্রির সময় ধরা পড়েছে—এটা প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক। যদি সত্যিই চুরি হয়, তাহলে থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে কি না, সে প্রশ্নও রয়েছে।

জানতে চাইলে এসআই হৃষিকেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘১৫ অক্টোবর রাতে থানায় বড়খানার আয়োজন করা হয়েছিল। সে সময় ডেকোরেটর ও বাইরের লোকজনের যাতায়াত ছিল। পরদিন সকালে দেখি, রেজিস্ট্রারে থাকা ১৩৫ সিসির রেজিস্ট্রেশনবিহীন নেভি ব্লু রঙের মোটরসাইকেলটি নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে জিডি করেছি।’

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘চুরির সাত দিন পর মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। ডেকোরেটরের কয়েকজন লোক এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করছি। সেদিন থানার সিসি ক্যামেরা ত্রুটির কারণে বন্ধ ছিল। চোরদের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে, তবে তারা আত্মগোপনে থাকায় গ্রেপ্তারে বিলম্ব হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যশোরের দুঃখ ঘোচাতে ভবদহের ৫ নদ-নদী খনন প্রকল্পের কাজ শুরু

­যশোর প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় আজ শুক্রবার দুপুরে ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে নদ-নদী পুনঃখনন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় আজ শুক্রবার দুপুরে ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে নদ-নদী পুনঃখনন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের দুঃখ হিসেবে পরিচিত ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে পাঁচটি নদ-নদীর ৮১ দশমিক ৫ কিলোমিটার পুনঃখনন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে অভয়নগর উপজেলায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মোবাইল ফোনে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এই অঞ্চলের জন্য আরও একটি প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরকার ভবদহ অঞ্চলের মানুষের জলাবদ্ধতার দুঃখ দূর করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সংকটটি অনেক গভীর। তাই কয়েকটি সমন্বিত প্রকল্পের মাধ্যমে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছি। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নদ-নদীর ৮১ কিলোমিটার খননের মাধ্যমে এই অঞ্চলের পানি সরিয়ে ফেলা হবে। এতে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের বিষয়টিও ভাবনায় রয়েছে। সবাই মিলেই সেই দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।’

পানি উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জনগণের দাবিকে গুরুত্ব দিয়েই নদী খননের কাজে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। খুব দ্রুত ভবদহ এলাকার আরও একটি প্রকল্প অনুমোদনের চেষ্টা চলছে।’

নদ-নদী পুনঃখনন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও তদারকির আশ্বাস দেন প্রকল্পে নিযুক্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মামুন উর রশিদ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার বিশ্বাস, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।

ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

যশোর জেলার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অভয়নগর উপজেলা, মনিরামপুর, কেশবপুর, ডুমুরিয়া ও খুলনার ফুলতলার কিছু অংশ নিয়ে ভবদহের অবস্থান। চার দশক ধরে এখানকার ৩৩০ কিলোমিটার এলাকার তিন লাখ মানুষ জলাবদ্ধতায় ভুগছেন। এসব এলাকার বাসিন্দারা জলাবদ্ধতার কারণে ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না। বসবাসেও ভোগান্তিতে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাংবাদিক পরিচয়ে ঘরে ঢুকে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে খুলশীতে সাংবাদিক পরিচয়ে একটি ফ্ল্যাটে ঢুকে ডাকাতি করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরের কোতোয়ালি, বায়েজিদ ও ইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এ সময় একটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আব্দুল মতিন রাসেল (৩৫), আশরাফুল ইসলাম সাহেদ (২৯), মো. মমিন (২৮), শারমিন আক্তার রিমা (৩০), নুর মোহাম্মদ সাব্বির রকি (২২), রুবেল হোসেন (৩১) ও মো. ফয়সাল।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর-দক্ষিণ) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ১০ অক্টোবর দুপুর সোয়া ১২টায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ১০ থেকে ১২ জন খুলশী আবাসিকে একটি চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। এরপর ওই বাসায় থাকা তিনজন নারীকে ধারালো ছোরা দিয়ে জিম্মি করে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ডাকাতি করে। তাঁরা বাসার সোনার গয়না, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ও ভবনের নিচে পার্কিংয়ে রাখা একটি প্রাইভেট কারও নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন খুলশী থানায় একটি মামলা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাটির ছায়া তদন্তে নেমে অভিযান চালিয়ে প্রথমে সাহেদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর দেওয়া তথ্যে বৃহস্পতিবার বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পতেঙ্গা এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে লুট করা প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত