Ajker Patrika

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: স্থায়ী বহিষ্কারে সন্তুষ্ট ফুলপরী

ইবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৩, ২৩: ১৭
ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: স্থায়ী বহিষ্কারে সন্তুষ্ট ফুলপরী

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঘটনার দীর্ঘ ছয় মাস পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

এর আগে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে রাতভর নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের নেত্রী (বহিষ্কৃত) সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন ঊর্মির বিরুদ্ধে। 

পরে হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হাইকোর্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। 

এদিকে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। দেরিতে হলেও কর্তৃপক্ষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিযুক্তদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার—এটিই আমার প্রথম থেকে চাওয়া ছিল। আমি সন্তুষ্ট। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, যাতে এই ধরনের ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না হয়।’ 

ফুলপরী আরও বলেন, ‘আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোথাও এই শাস্তির কথা মনে রেখে আর কেউ এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে না।’

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আ.লীগের ঝটিকা মিছিল: ১০ মাসে ঢাকায় ৩ হাজার নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার, অর্থদাতাদের খুঁজছে পুলিশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর সাত জায়গায় আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন। ছবি: ডিএমপির সৌজন্যে
রাজধানীর সাত জায়গায় আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন। ছবি: ডিএমপির সৌজন্যে

রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ায় চলতি বছরের গত ১০ মাসে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৩ হাজার নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এসব মিছিলের অর্থদাতাসহ পেছনের হোতাদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে ডিএমপি।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।

আজ রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ঝটিকা মিছিল থেকে ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শেরেবাংলা নগর, বনানী, তেজগাঁও, উত্তরা, খিলক্ষেত ও বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মুখপাত্র ও মিডিয়া শাখার উপকমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান জানান, দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন জেলা থেকে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসছেন এবং ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা করছেন। মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণও করছেন। পরে সেগুলো ফেসবুকে দিয়ে জানান দিচ্ছেন।

ডিসি তালেবুর বলেন, জেলা জেলা থেকে আসার সময় এই নেতা-কর্মীরা যাতায়াত ও খরচের জন্য টাকাও নিচ্ছেন। এই অর্থদাতাসহ এর পেছনে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। ছবি: ডিএমপির সৌজন্যে
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। ছবি: ডিএমপির সৌজন্যে

তালেবুর রহমান জানান, ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিট ও থানার যৌথ অভিযানে শেরেবাংলা নগর থানা ১৮, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ১৩, খিলক্ষেত থানা ৪, উত্তরা থানা ২, বাড্ডা থানা ৩, বনানী থানা ৩ এবং তেজগাঁও থানা ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সরকারবিরোধী ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানান তিনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট থানাগুলো অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

খিলক্ষেত থানা সূত্রে জানা যায়, সকালে ৩০০ ফিট পুরোনো মস্তুল চেকপোস্টের সামনে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে মিছিলের প্রস্তুতি চলছিল। পুলিশ উপস্থিত হলে নেতা-কর্মীরা পালানোর চেষ্টা করেন। সেখান থেকে হাতেনাতে আনিসুজ্জামান রনি, মুন্না মিয়া, জাকির হোসেন ও কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উত্তরা পশ্চিম থানা জানায়, সকালে উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের আকাশ টাওয়ারের সামনে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ব্যানারে মিছিলের প্রস্তুতিকালে ব্যানারসহ মোমিনুল হাসান ও রকিবুল হাসানকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ শুক্রবার ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেপ্তার কয়েকজন। ছবি: ডিএমপির সৌজন্যে
আজ শুক্রবার ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেপ্তার কয়েকজন। ছবি: ডিএমপির সৌজন্যে

বাড্ডা থানা জানায়, সকাল ৭টার দিকে প্রগতি সরণি মেইন রোডে ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে ইয়াসিন আরাফাত শুভ, তাসরীপ হোসেন ও মো. খালেদ বিন কাওসারকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) সূত্রে জানা যায়, বিজয়নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সদস্যদের ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে রফিকুল ইসলাম বাঁধন, সুমন হোসেন, মেজবাউল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম সাইফ, মোস্তাফিজুর রহমান জনি, শেখ রাশেদুজ্জামান, মামুন শেখ পরশ, মামুন সেখ, রাজু, শফিউল আলম, কুদ্দুস সরদার ও মিঠুন দেবনাথসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শেরেবাংলা নগর থানা জানায়, ভোরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের প্রায় ৯০-১০০ জন নেতা-কর্মী মিছিল করার সময় পুলিশ অভিযানে নামে। এ সময় বজলুর রহমান বাঁধন, নুর আলম সিদ্দিক ও মহিউদ্দিন আহমেদ দোলনসহ ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বনানী থানার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বনানী ঢাকা গেট এলাকার সামনে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া জিয়াদ মাহমুদ, মো. জিয়াদ ও মো. আসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তেজগাঁও থানা জানায়, বিজয় সরণি এলাকায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের সময় মো. রিফাত ইসলাম, মো. মিল্লাত বাবু ও মো. স্বপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘আমার মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই’

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ধর্ম মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘১৫ বছরের জঞ্জাল ১৫ মাসে পরিষ্কার করা যায় না। তবে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। একটি ট্রান্সপারেন্ট প্রশাসন গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’

আজ শুক্রবার পঞ্চগড় দারুল উলুম মদিনাতুল ইসলাম মাদ্রাসার এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, মডেল মসজিদগুলোতে যেখানে অনিয়ম বা দুর্নীতি পাওয়া গেছে, সেখানে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি খুব শিগগিরই তাদের প্রতিবেদন দেবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কিছু বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় একজন সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। গতকাল তাঁরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন এবং সেই অনুসারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে খালিদ হোসেন বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই। আমি নিজেও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই, অফিসারদেরও দুর্নীতিমুক্ত রাখতে আমি সব সময় সোচ্চার আছি।’

ধর্ম উপদেষ্টা জানান, হজ ব্যবস্থাপনায় অতীতে জমে থাকা এজেন্সিগুলোর ৩৯ কোটি টাকা সৌদি আরব থেকে ফেরত আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

শরীয়তপুর এক সেনাসদস্যের স্ত্রীর বিরুদ্ধে সুদের টাকার জন্য রোকেয়া বেগম (৪০) নামে এক নারীকে মারধর করে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে। আহত অবস্থায় ওই নারীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের পরাসদ্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা আঞ্জুমান আক্তার সুদের টাকার জন্য ওই নারীর (রোকেয়া বেগম) বাড়ি দখলের চেষ্টা করেন। দুই সপ্তাহ আগে তিনি রোকেয়ার বাড়ির আঙিনায় একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন, এতে লেখা রয়েছে, ‘ঋণ খেলাপির দায়ে বর্তমান এই জমির মালিক আঞ্জুমান আক্তার। স্বামী সার্জেন্ট এমদাদুল হক (কর্মরত)।’

বাড়ি না ছাড়ায় আজ সকালে আঞ্জুমান আক্তার লোকজন নিয়ে রোকেয়া ও তাঁর ছেলে রিজভীকে (১০) টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে মারধর করেন এবং তালা ঝুলিয়ে দেন।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগী রোকেয়া বেগম তালাবদ্ধ ঘরের সামনে বসে আহাজারি করছেন। তিনি জানান, আঞ্জুমান আক্তার ও তাঁর বোন লাকি আক্তারসহ কয়েকজন লোক তাঁকে এবং ছেলেকে মারধর করে ঘর থেকে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেন। তাঁর স্বামী মিন্টু ফরাজি নিরাপত্তাহীনতার কারণে দুই মাস ধরে বাড়িছাড়া।

সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল। ছবি: আজকের পত্রিকা
সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল। ছবি: আজকের পত্রিকা

রোকেয়া বেগম আরও বলেন, ‘তিন বছর আগে আমি আঞ্জুমান আক্তারের কাছ থেকে ট্রাক কেনার জন্য সুদে ১৭ লাখ টাকা নিয়ে ছিলাম। এরপর ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, প্রমাণও আমার কাছে আছে। তবুও তিনি আরও টাকা দাবি করে আমার বাড়ির দখল নিতে চান।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আঞ্জুমান আক্তার বলেন, ‘রোকেয়া চার বছর আগে আমার কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। আজ পর্যন্ত এক টাকাও ফেরত দেননি। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিস হয়েছে। মুরব্বিদের পরামর্শেই সাইনবোর্ড টানিয়েছি। বাড়ি ছেড়ে না যাওয়ায় আজকে ঘরে তালা দিয়েছি। তবে কাউকে মারধর করিনি।’

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বসতভিটা দখলে বাধা দেওয়ায় দম্পতিকে পিটিয়ে আহত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুড়িগ্রামের সদর উপজেলায় বসতভিটা দখলে বাধা দেওয়ায় এক দম্পতিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ ‘ভূমিদস্যুদের’ বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম শহরতলির ভেলাকোপা হানাগড়ের মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত দম্পতি হলেন রফিকুল ইসলাম (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী কাকলি বেগম। তাঁরা কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন ইয়াকুব আলী (৫০), রিপন মিয়া (৩০) ও লিটন মিয়া (২৫)। তাঁরা এলাকায় চিহ্নিত ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। তাঁদের বিরুদ্ধে লাঠিসোঁটা নিয়ে রফিকুল ইসলামের বসতভিটা দখলচেষ্টা ও হামলার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, আজ সকালে প্রতিপক্ষ ভূমিদস্যুরা আকস্মিক রফিকুলের বসতভিটার জমি ঘিরতে আসে। এতে ওই দম্পতি বাধা দিতে গেলে ইয়াকুব ও তাঁর লোকজন ওই দম্পতির ওপর হামলা চালান। এতে রফিকুল ও তাঁর স্ত্রী দুজনই আহত হন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইয়াকুব ও রিপন মিয়ারা আমাদের বসতভিটা জোর করে দখলের চেষ্টা চালায়। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে পেটাতে থাকে। আমার স্ত্রী এগিয়ে এলে তারা তার ওপরও হামলা চালায়। আমরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইয়াকুব আলী ও রিপন মিয়ার মন্তব্য জানতে তাঁদের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তাঁরা সাড়া দেননি। কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ্ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টির নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত