কুড়িগ্রাম ও নাগেশ্বরী প্রতিনিধি

‘আমার মাইয়াডারে গুলি কইরা বিএসএফ পাখির মতো মাইরা কাঁটাতারে ঝুলাইয়া রাইখছে। মাইয়াডার কত রক্ত যে মাটিত পড়ছে, তার কোনো কিনারা নাই। ১২ বছর হইয়া গেল, তারও বিচার পাইলাম না। বিচারের জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে।’ শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে কথাগুলো বলছিলেন কুড়িগ্রাম সীমান্তে নিহত কিশোরী ফেলানীর মা জাহানারা বেগম।
কাল ৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্ণ হচ্ছে। কিন্তু কান্না থামেনি মা জাহানারা বেগমের। মাঝেমধ্যেই মেয়ে হারানোর স্মৃতি তাঁকে তাড়া করে, তখন শুধু নীরবে কাঁদেন। এই দুঃসহ স্মৃতির ভার আর তিনি বইতে পারছেন না। প্রতিবছরের এ সময় সেই কষ্ট আরও বেড়ে যায়। কারণ, এ সময় সংবাদকর্মীরা ভিড় করেন বাড়িতে। তাঁদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। স্মৃতি খুঁড়ে বেদনা জাগান তাঁরা। কিন্তু ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার কবে হবে—সেই উত্তর পান না তিনি। তাঁর শেষ ইচ্ছা, এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দেখে যাওয়া।

ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম বলেন, ‘বিচার করতে আর কত দিন লাগবে? ফেলানী হত্যার পর সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন খোঁজ নিলেও এখন আর কেউ খোঁজ নেয় না। আমার অন্য ছেলেমেয়েদের নিয়ে খুব বিপদে আছি। পরিবারে কারও চাকরির ব্যবস্থা করলে দুবেলা খেয়ে-পরে বাঁচতে পারতাম।’
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নে বাড়ি হলেও জীবিকার প্রয়োজনে ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম পরিবার নিয়ে থাকতেন ভারতে বঙ্গাইগাঁও গ্রামে। দেশে ফেলানীর বিয়ে দেবেন বলে ২০১১ সালের ৬ জানুয়ারি রাতে মেয়েকে নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে রওনা দেন নূরুল ইসলাম। ৭ জানুয়ারি ভোরে ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের ওপর দিয়ে মই বেয়ে পার হওয়ার সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের ছোড়া গুলি লাগে ফেলানীর শরীরে। গুলিবিদ্ধ ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলে ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নিথর দেহ কাঁটাতারের ওপর ঝুলে থাকে সাড়ে চার ঘণ্টা। ফেলানীর ঝুলন্ত মরদেহের ছবি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফেলানী হত্যার বিচার এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতের ওপর চাপ বাড়ে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। বিএসএফের বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম ও মামা হানিফ। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন বিএসএফের বিশেষ আদালত। পরে রায় প্রত্যাখ্যান করে পুনর্বিচারের দাবি জানান ফেলানীর বাবা। ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনরায় শুরু হলে ১৭ নভেম্বর আবারও আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা। ২০১৫ সালের ২ জুলাই এ আদালত আবারও আত্মস্বীকৃত আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন। রায়ের পরে একই বছরের ১৪ জুলাই ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) ফেলানীর বাবার পক্ষে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে রিট করেন। ওই বছরের ৬ অক্টোবর রিট শুনানি শুরু হয়। ২০১৬-১৭ সালে কয়েক দফা শুনানি পিছিয়ে যায়। পরে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য হলেও শুনানি হয়নি। এরপর ২০১৯-২০ সালে কয়েকবার শুনানির তারিখ ধার্য হলেও এখন পর্যন্ত তা সম্পন্ন হয়নি।
ফেলানী হত্যাকাণ্ডে তাঁর পরিবারকে আইনি পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মামলার প্রয়োজনে একাধিকবার ভারতে গেছেন কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও মানবাধিকারকর্মী এস এম আব্রাহাম লিংকন। এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে আব্রাহাম লিংকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার চেয়ে করা রিটটি নিষ্পত্তি হওয়া জরুরি। প্রত্যাশা করছি, ভারতের আদালত দ্রুত রিট আবেদনটির শুনানি কার্যতালিকায় নিয়ে আসবেন এবং একটি ইতিবাচক রায় দেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের উচ্চ আদালতে আমরা বৃহত্তর স্বার্থে রিট আবেদন করেছি। শান্তিপূর্ণ সীমান্ত ব্যবস্থাপনাসহ পারিপার্শ্বিক অনেক বিষয় এখানে জড়িত রয়েছে। ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচারের পাশাপাশি আমাদের প্রত্যাশা, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নেমে আসুক। সীমান্তে যেন আর কোনো নিরপরাধ মানুষের প্রাণ না ঝরে।’

‘আমার মাইয়াডারে গুলি কইরা বিএসএফ পাখির মতো মাইরা কাঁটাতারে ঝুলাইয়া রাইখছে। মাইয়াডার কত রক্ত যে মাটিত পড়ছে, তার কোনো কিনারা নাই। ১২ বছর হইয়া গেল, তারও বিচার পাইলাম না। বিচারের জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে।’ শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে কথাগুলো বলছিলেন কুড়িগ্রাম সীমান্তে নিহত কিশোরী ফেলানীর মা জাহানারা বেগম।
কাল ৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্ণ হচ্ছে। কিন্তু কান্না থামেনি মা জাহানারা বেগমের। মাঝেমধ্যেই মেয়ে হারানোর স্মৃতি তাঁকে তাড়া করে, তখন শুধু নীরবে কাঁদেন। এই দুঃসহ স্মৃতির ভার আর তিনি বইতে পারছেন না। প্রতিবছরের এ সময় সেই কষ্ট আরও বেড়ে যায়। কারণ, এ সময় সংবাদকর্মীরা ভিড় করেন বাড়িতে। তাঁদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। স্মৃতি খুঁড়ে বেদনা জাগান তাঁরা। কিন্তু ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার কবে হবে—সেই উত্তর পান না তিনি। তাঁর শেষ ইচ্ছা, এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দেখে যাওয়া।

ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম বলেন, ‘বিচার করতে আর কত দিন লাগবে? ফেলানী হত্যার পর সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন খোঁজ নিলেও এখন আর কেউ খোঁজ নেয় না। আমার অন্য ছেলেমেয়েদের নিয়ে খুব বিপদে আছি। পরিবারে কারও চাকরির ব্যবস্থা করলে দুবেলা খেয়ে-পরে বাঁচতে পারতাম।’
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নে বাড়ি হলেও জীবিকার প্রয়োজনে ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম পরিবার নিয়ে থাকতেন ভারতে বঙ্গাইগাঁও গ্রামে। দেশে ফেলানীর বিয়ে দেবেন বলে ২০১১ সালের ৬ জানুয়ারি রাতে মেয়েকে নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে রওনা দেন নূরুল ইসলাম। ৭ জানুয়ারি ভোরে ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের ওপর দিয়ে মই বেয়ে পার হওয়ার সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের ছোড়া গুলি লাগে ফেলানীর শরীরে। গুলিবিদ্ধ ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলে ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নিথর দেহ কাঁটাতারের ওপর ঝুলে থাকে সাড়ে চার ঘণ্টা। ফেলানীর ঝুলন্ত মরদেহের ছবি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফেলানী হত্যার বিচার এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতের ওপর চাপ বাড়ে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। বিএসএফের বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম ও মামা হানিফ। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন বিএসএফের বিশেষ আদালত। পরে রায় প্রত্যাখ্যান করে পুনর্বিচারের দাবি জানান ফেলানীর বাবা। ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনরায় শুরু হলে ১৭ নভেম্বর আবারও আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা। ২০১৫ সালের ২ জুলাই এ আদালত আবারও আত্মস্বীকৃত আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন। রায়ের পরে একই বছরের ১৪ জুলাই ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) ফেলানীর বাবার পক্ষে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে রিট করেন। ওই বছরের ৬ অক্টোবর রিট শুনানি শুরু হয়। ২০১৬-১৭ সালে কয়েক দফা শুনানি পিছিয়ে যায়। পরে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য হলেও শুনানি হয়নি। এরপর ২০১৯-২০ সালে কয়েকবার শুনানির তারিখ ধার্য হলেও এখন পর্যন্ত তা সম্পন্ন হয়নি।
ফেলানী হত্যাকাণ্ডে তাঁর পরিবারকে আইনি পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মামলার প্রয়োজনে একাধিকবার ভারতে গেছেন কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও মানবাধিকারকর্মী এস এম আব্রাহাম লিংকন। এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে আব্রাহাম লিংকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার চেয়ে করা রিটটি নিষ্পত্তি হওয়া জরুরি। প্রত্যাশা করছি, ভারতের আদালত দ্রুত রিট আবেদনটির শুনানি কার্যতালিকায় নিয়ে আসবেন এবং একটি ইতিবাচক রায় দেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের উচ্চ আদালতে আমরা বৃহত্তর স্বার্থে রিট আবেদন করেছি। শান্তিপূর্ণ সীমান্ত ব্যবস্থাপনাসহ পারিপার্শ্বিক অনেক বিষয় এখানে জড়িত রয়েছে। ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচারের পাশাপাশি আমাদের প্রত্যাশা, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নেমে আসুক। সীমান্তে যেন আর কোনো নিরপরাধ মানুষের প্রাণ না ঝরে।’
কুড়িগ্রাম ও নাগেশ্বরী প্রতিনিধি

‘আমার মাইয়াডারে গুলি কইরা বিএসএফ পাখির মতো মাইরা কাঁটাতারে ঝুলাইয়া রাইখছে। মাইয়াডার কত রক্ত যে মাটিত পড়ছে, তার কোনো কিনারা নাই। ১২ বছর হইয়া গেল, তারও বিচার পাইলাম না। বিচারের জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে।’ শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে কথাগুলো বলছিলেন কুড়িগ্রাম সীমান্তে নিহত কিশোরী ফেলানীর মা জাহানারা বেগম।
কাল ৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্ণ হচ্ছে। কিন্তু কান্না থামেনি মা জাহানারা বেগমের। মাঝেমধ্যেই মেয়ে হারানোর স্মৃতি তাঁকে তাড়া করে, তখন শুধু নীরবে কাঁদেন। এই দুঃসহ স্মৃতির ভার আর তিনি বইতে পারছেন না। প্রতিবছরের এ সময় সেই কষ্ট আরও বেড়ে যায়। কারণ, এ সময় সংবাদকর্মীরা ভিড় করেন বাড়িতে। তাঁদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। স্মৃতি খুঁড়ে বেদনা জাগান তাঁরা। কিন্তু ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার কবে হবে—সেই উত্তর পান না তিনি। তাঁর শেষ ইচ্ছা, এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দেখে যাওয়া।

ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম বলেন, ‘বিচার করতে আর কত দিন লাগবে? ফেলানী হত্যার পর সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন খোঁজ নিলেও এখন আর কেউ খোঁজ নেয় না। আমার অন্য ছেলেমেয়েদের নিয়ে খুব বিপদে আছি। পরিবারে কারও চাকরির ব্যবস্থা করলে দুবেলা খেয়ে-পরে বাঁচতে পারতাম।’
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নে বাড়ি হলেও জীবিকার প্রয়োজনে ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম পরিবার নিয়ে থাকতেন ভারতে বঙ্গাইগাঁও গ্রামে। দেশে ফেলানীর বিয়ে দেবেন বলে ২০১১ সালের ৬ জানুয়ারি রাতে মেয়েকে নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে রওনা দেন নূরুল ইসলাম। ৭ জানুয়ারি ভোরে ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের ওপর দিয়ে মই বেয়ে পার হওয়ার সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের ছোড়া গুলি লাগে ফেলানীর শরীরে। গুলিবিদ্ধ ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলে ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নিথর দেহ কাঁটাতারের ওপর ঝুলে থাকে সাড়ে চার ঘণ্টা। ফেলানীর ঝুলন্ত মরদেহের ছবি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফেলানী হত্যার বিচার এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতের ওপর চাপ বাড়ে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। বিএসএফের বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম ও মামা হানিফ। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন বিএসএফের বিশেষ আদালত। পরে রায় প্রত্যাখ্যান করে পুনর্বিচারের দাবি জানান ফেলানীর বাবা। ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনরায় শুরু হলে ১৭ নভেম্বর আবারও আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা। ২০১৫ সালের ২ জুলাই এ আদালত আবারও আত্মস্বীকৃত আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন। রায়ের পরে একই বছরের ১৪ জুলাই ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) ফেলানীর বাবার পক্ষে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে রিট করেন। ওই বছরের ৬ অক্টোবর রিট শুনানি শুরু হয়। ২০১৬-১৭ সালে কয়েক দফা শুনানি পিছিয়ে যায়। পরে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য হলেও শুনানি হয়নি। এরপর ২০১৯-২০ সালে কয়েকবার শুনানির তারিখ ধার্য হলেও এখন পর্যন্ত তা সম্পন্ন হয়নি।
ফেলানী হত্যাকাণ্ডে তাঁর পরিবারকে আইনি পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মামলার প্রয়োজনে একাধিকবার ভারতে গেছেন কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও মানবাধিকারকর্মী এস এম আব্রাহাম লিংকন। এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে আব্রাহাম লিংকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার চেয়ে করা রিটটি নিষ্পত্তি হওয়া জরুরি। প্রত্যাশা করছি, ভারতের আদালত দ্রুত রিট আবেদনটির শুনানি কার্যতালিকায় নিয়ে আসবেন এবং একটি ইতিবাচক রায় দেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের উচ্চ আদালতে আমরা বৃহত্তর স্বার্থে রিট আবেদন করেছি। শান্তিপূর্ণ সীমান্ত ব্যবস্থাপনাসহ পারিপার্শ্বিক অনেক বিষয় এখানে জড়িত রয়েছে। ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচারের পাশাপাশি আমাদের প্রত্যাশা, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নেমে আসুক। সীমান্তে যেন আর কোনো নিরপরাধ মানুষের প্রাণ না ঝরে।’

‘আমার মাইয়াডারে গুলি কইরা বিএসএফ পাখির মতো মাইরা কাঁটাতারে ঝুলাইয়া রাইখছে। মাইয়াডার কত রক্ত যে মাটিত পড়ছে, তার কোনো কিনারা নাই। ১২ বছর হইয়া গেল, তারও বিচার পাইলাম না। বিচারের জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে।’ শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে কথাগুলো বলছিলেন কুড়িগ্রাম সীমান্তে নিহত কিশোরী ফেলানীর মা জাহানারা বেগম।
কাল ৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্ণ হচ্ছে। কিন্তু কান্না থামেনি মা জাহানারা বেগমের। মাঝেমধ্যেই মেয়ে হারানোর স্মৃতি তাঁকে তাড়া করে, তখন শুধু নীরবে কাঁদেন। এই দুঃসহ স্মৃতির ভার আর তিনি বইতে পারছেন না। প্রতিবছরের এ সময় সেই কষ্ট আরও বেড়ে যায়। কারণ, এ সময় সংবাদকর্মীরা ভিড় করেন বাড়িতে। তাঁদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। স্মৃতি খুঁড়ে বেদনা জাগান তাঁরা। কিন্তু ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার কবে হবে—সেই উত্তর পান না তিনি। তাঁর শেষ ইচ্ছা, এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দেখে যাওয়া।

ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম বলেন, ‘বিচার করতে আর কত দিন লাগবে? ফেলানী হত্যার পর সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন খোঁজ নিলেও এখন আর কেউ খোঁজ নেয় না। আমার অন্য ছেলেমেয়েদের নিয়ে খুব বিপদে আছি। পরিবারে কারও চাকরির ব্যবস্থা করলে দুবেলা খেয়ে-পরে বাঁচতে পারতাম।’
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নে বাড়ি হলেও জীবিকার প্রয়োজনে ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম পরিবার নিয়ে থাকতেন ভারতে বঙ্গাইগাঁও গ্রামে। দেশে ফেলানীর বিয়ে দেবেন বলে ২০১১ সালের ৬ জানুয়ারি রাতে মেয়েকে নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে রওনা দেন নূরুল ইসলাম। ৭ জানুয়ারি ভোরে ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের ওপর দিয়ে মই বেয়ে পার হওয়ার সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের ছোড়া গুলি লাগে ফেলানীর শরীরে। গুলিবিদ্ধ ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলে ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নিথর দেহ কাঁটাতারের ওপর ঝুলে থাকে সাড়ে চার ঘণ্টা। ফেলানীর ঝুলন্ত মরদেহের ছবি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফেলানী হত্যার বিচার এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতের ওপর চাপ বাড়ে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। বিএসএফের বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম ও মামা হানিফ। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন বিএসএফের বিশেষ আদালত। পরে রায় প্রত্যাখ্যান করে পুনর্বিচারের দাবি জানান ফেলানীর বাবা। ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনরায় শুরু হলে ১৭ নভেম্বর আবারও আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা। ২০১৫ সালের ২ জুলাই এ আদালত আবারও আত্মস্বীকৃত আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন। রায়ের পরে একই বছরের ১৪ জুলাই ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) ফেলানীর বাবার পক্ষে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে রিট করেন। ওই বছরের ৬ অক্টোবর রিট শুনানি শুরু হয়। ২০১৬-১৭ সালে কয়েক দফা শুনানি পিছিয়ে যায়। পরে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য হলেও শুনানি হয়নি। এরপর ২০১৯-২০ সালে কয়েকবার শুনানির তারিখ ধার্য হলেও এখন পর্যন্ত তা সম্পন্ন হয়নি।
ফেলানী হত্যাকাণ্ডে তাঁর পরিবারকে আইনি পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মামলার প্রয়োজনে একাধিকবার ভারতে গেছেন কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও মানবাধিকারকর্মী এস এম আব্রাহাম লিংকন। এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে আব্রাহাম লিংকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার চেয়ে করা রিটটি নিষ্পত্তি হওয়া জরুরি। প্রত্যাশা করছি, ভারতের আদালত দ্রুত রিট আবেদনটির শুনানি কার্যতালিকায় নিয়ে আসবেন এবং একটি ইতিবাচক রায় দেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের উচ্চ আদালতে আমরা বৃহত্তর স্বার্থে রিট আবেদন করেছি। শান্তিপূর্ণ সীমান্ত ব্যবস্থাপনাসহ পারিপার্শ্বিক অনেক বিষয় এখানে জড়িত রয়েছে। ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচারের পাশাপাশি আমাদের প্রত্যাশা, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নেমে আসুক। সীমান্তে যেন আর কোনো নিরপরাধ মানুষের প্রাণ না ঝরে।’

সাভারের বিরুলিয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর উভয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সিটি ইউনিভার্সিটি ৪ নভেম্বর এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।
২০ মিনিট আগে
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হালদা নদী রক্ষায় গেজেট সংশোধনের মাধ্যমে তামাক চাষ ও নদীদূষণ বন্ধ করা হবে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
২৪ মিনিট আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ‘ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন। জুলাই অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনটি।
৩২ মিনিট আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হাসান।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাভারের বিরুলিয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর উভয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সিটি ইউনিভার্সিটি ৪ নভেম্বর এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।
এর আগে শরীরে থুতু ফেলাকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের জের ধরে রাতেই ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা পাশের সিটি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করেন, গাড়ি পুড়িয়ে দেন। সংঘর্ষে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এই সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার জন্য উভয় বিশ্ববিদ্যালয় একে অপরকে দোষারোপ করছে। দুইটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠনসহ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার সিটি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পোড়া গাড়ির অংশ, ভাঙচুর হওয়া ভবনের জানালা ও আসবাব। উপাচার্যের কার্যালয়েও চালানো হয়েছে হামলা। সেখানে ভাঙা কাচ ও পুড়ে যাওয়া নথিপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
জানতে চাইলে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলাকারীদের আচরণ শিক্ষার্থীসুলভ ছিল না। তারা আমার কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। গাড়িগুলো আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আজ থানায় মামলা করব এবং ইউজিসিতে লিখিত অভিযোগ জানাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভ্যন্তরীণভাবে পুরো বিষয়টি তদন্তের পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে পুরো ঘটনার তদন্ত করা হবে। এই এলাকার পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়েছে, সেই পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করব।’
অপর দিকে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক এম আর কবির বলেন, ‘রোববার রাতে সংঘর্ষের ঘটনাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে সব দায় ড্যাফোডিলের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সংঘর্ষে ড্যাফোডিলের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে ড্যাফোডিলের ১১ শিক্ষার্থীকে আটকের পর জিম্মি করে জোরপূর্বক তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। জবানবন্দিতে ওই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সিটি ইউনিভার্সিটির অ্যাকাউন্টস থেকে দেড় কোটি টাকা চুরি ও অস্ত্রসহ হামলার কথা বলানো হয়, যা সত্য নয়। তদন্ত হলেই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।’
ড. এম আর কবির আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাঁরা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবাল, এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাভারের বিরুলিয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর উভয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সিটি ইউনিভার্সিটি ৪ নভেম্বর এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।
এর আগে শরীরে থুতু ফেলাকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের জের ধরে রাতেই ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা পাশের সিটি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করেন, গাড়ি পুড়িয়ে দেন। সংঘর্ষে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এই সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার জন্য উভয় বিশ্ববিদ্যালয় একে অপরকে দোষারোপ করছে। দুইটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠনসহ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার সিটি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পোড়া গাড়ির অংশ, ভাঙচুর হওয়া ভবনের জানালা ও আসবাব। উপাচার্যের কার্যালয়েও চালানো হয়েছে হামলা। সেখানে ভাঙা কাচ ও পুড়ে যাওয়া নথিপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
জানতে চাইলে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলাকারীদের আচরণ শিক্ষার্থীসুলভ ছিল না। তারা আমার কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। গাড়িগুলো আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আজ থানায় মামলা করব এবং ইউজিসিতে লিখিত অভিযোগ জানাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভ্যন্তরীণভাবে পুরো বিষয়টি তদন্তের পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে পুরো ঘটনার তদন্ত করা হবে। এই এলাকার পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়েছে, সেই পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করব।’
অপর দিকে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক এম আর কবির বলেন, ‘রোববার রাতে সংঘর্ষের ঘটনাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে সব দায় ড্যাফোডিলের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সংঘর্ষে ড্যাফোডিলের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে ড্যাফোডিলের ১১ শিক্ষার্থীকে আটকের পর জিম্মি করে জোরপূর্বক তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। জবানবন্দিতে ওই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সিটি ইউনিভার্সিটির অ্যাকাউন্টস থেকে দেড় কোটি টাকা চুরি ও অস্ত্রসহ হামলার কথা বলানো হয়, যা সত্য নয়। তদন্ত হলেই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।’
ড. এম আর কবির আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাঁরা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবাল, এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আগামীকাল ৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্ণ হচ্ছে। কিন্তু কান্না থামেনি মা জাহানারা বেগমের। মাঝেমধ্যেই মেয়ে হারানোর স্মৃতি তাঁকে তাড়া করে, তখন শুধু নীরবে কাঁদেন। এই দুঃসহ স্মৃতির ভার আর তিনি বইতে পারছেন না।
০৬ জানুয়ারি ২০২৩
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হালদা নদী রক্ষায় গেজেট সংশোধনের মাধ্যমে তামাক চাষ ও নদীদূষণ বন্ধ করা হবে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
২৪ মিনিট আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ‘ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন। জুলাই অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনটি।
৩২ মিনিট আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হাসান।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হালদা নদী রক্ষায় গেজেট সংশোধনের মাধ্যমে তামাক চাষ ও নদীদূষণ বন্ধ করা হবে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, গেজেট সংশোধন না হওয়ায় হালদা নদীর উন্নয়নমূলক অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তামাক চাষের কারণে হালদা নদীর তীরবর্তী ভূমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, যা নদীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
উপদেষ্টা বলেন, হালদা নদী উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে একযোগে ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে হালদা নদী রক্ষায় ডিপিপি ও চলমান প্রকল্পের বাইরে থেকেও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে গবেষণা করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুসরাত সুলতানা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জমির উদ্দিন, মৎস্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সালমা বেগম।
প্রসঙ্গত, পার্বত্য খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মদুনাঘাটের কাছে কর্ণফুলী নদীতে মিশেছে হালদা নদী। এ নদী থেকে বর্ষা মৌসুমে কার্পজাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হালদা নদী রক্ষায় গেজেট সংশোধনের মাধ্যমে তামাক চাষ ও নদীদূষণ বন্ধ করা হবে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, গেজেট সংশোধন না হওয়ায় হালদা নদীর উন্নয়নমূলক অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তামাক চাষের কারণে হালদা নদীর তীরবর্তী ভূমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, যা নদীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
উপদেষ্টা বলেন, হালদা নদী উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে একযোগে ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে হালদা নদী রক্ষায় ডিপিপি ও চলমান প্রকল্পের বাইরে থেকেও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে গবেষণা করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুসরাত সুলতানা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জমির উদ্দিন, মৎস্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সালমা বেগম।
প্রসঙ্গত, পার্বত্য খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মদুনাঘাটের কাছে কর্ণফুলী নদীতে মিশেছে হালদা নদী। এ নদী থেকে বর্ষা মৌসুমে কার্পজাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়।

আগামীকাল ৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্ণ হচ্ছে। কিন্তু কান্না থামেনি মা জাহানারা বেগমের। মাঝেমধ্যেই মেয়ে হারানোর স্মৃতি তাঁকে তাড়া করে, তখন শুধু নীরবে কাঁদেন। এই দুঃসহ স্মৃতির ভার আর তিনি বইতে পারছেন না।
০৬ জানুয়ারি ২০২৩
সাভারের বিরুলিয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর উভয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সিটি ইউনিভার্সিটি ৪ নভেম্বর এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।
২০ মিনিট আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ‘ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন। জুলাই অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনটি।
৩২ মিনিট আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হাসান।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ‘ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন। জুলাই অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনটি।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সভাপতি মেঘমল্লার বসু ও সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে এমনটি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বমিত্রের সন্ত্রাসী হুমকি প্রমাণ করে, তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ভিন্নমতাবলম্বীদের মাদক কারবারি আখ্যা দেওয়া আদতে সন্ত্রাসের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের ঘৃণ্য চেষ্টা।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ডাকসুর নেতৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে আরেকবার সংঘাত ও সন্ত্রাসের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র রচনা করছে। প্রথমে আমরা লক্ষ করলাম, নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে এখতিয়ারবহির্ভূত উপায়ে ডাকসুর নেতারা নেতৃত্ব দিয়ে বর্বর কায়দায় উদ্বাস্তু, ভবঘুরে ও হকারদের উচ্ছেদের চেষ্টা করলেন। অথচ তাঁরা চাইলেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে চাপ দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এসব আশ্রয়হীন মানুষকে অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতেন। তা না করে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে আশ্রয় নিয়ে যখন প্রতিবাদের সম্মুখীন হলেন, তখন তাঁদের আক্রমণের শিকার হকার, উদ্বাস্তু, ভবঘুরেসহ প্রতিবাদকারীদের ঢালাওভাবে মাদক কারবারি আখ্যা দিয়ে তাঁরা ভিন্নমত দমনের পুরোনো ভয়াবহ কায়দা অবলম্বন করলেন।
একই দিনে একজন ডাকসু নেতার উপস্থিতিতে দুজন সহকারী প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর এক শিক্ষার্থীর ফোন চেক করে তাঁর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেন, তাঁর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে নানাবিধ প্রশ্ন করে হেনস্তা করেন। এ ঘটনাস্থলেই একজন রিকশাচালকের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে আহত হওয়া প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যের ছবি ব্যবহার করে বামপন্থীদের নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডায়ও লিপ্ত হয়েছেন কয়েকজন ডাকসু নেতা। কোনো প্রকার তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ডাকসু নেতাদের এ ধরনের বক্তব্য ও ক্রমাগত মিথ্যাচার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং নিপীড়নের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের অপচেষ্টামাত্র। এর প্রমাণ বহন করে ডাকসু সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুমকি।
ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্ব, ব্যালট বিতর্কসহ নানাবিধ অমীমাংসিত অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ডাকসুর ব্যানারের আড়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদে নিষিদ্ধ সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের চিরচেনা সন্ত্রাসী রাজনীতি নতুন মোড়কে হাজির করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। প্রশাসনিক ছত্রচ্ছায়ায় চলমান এ ষড়যন্ত্র প্রত্যাখ্যান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন সুস্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ হুমকি সহ্য করবে না। গণ-অভ্যুত্থানের পর তোফাজ্জল ও সাম্য খুনের বিচার শেষ হওয়ার আগেই যাঁরা আরেকবার ক্যাম্পাসকে রক্তাক্ত করার দিবাস্বপ্নে রত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ‘ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন। জুলাই অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনটি।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সভাপতি মেঘমল্লার বসু ও সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে এমনটি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বমিত্রের সন্ত্রাসী হুমকি প্রমাণ করে, তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ভিন্নমতাবলম্বীদের মাদক কারবারি আখ্যা দেওয়া আদতে সন্ত্রাসের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের ঘৃণ্য চেষ্টা।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ডাকসুর নেতৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে আরেকবার সংঘাত ও সন্ত্রাসের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র রচনা করছে। প্রথমে আমরা লক্ষ করলাম, নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে এখতিয়ারবহির্ভূত উপায়ে ডাকসুর নেতারা নেতৃত্ব দিয়ে বর্বর কায়দায় উদ্বাস্তু, ভবঘুরে ও হকারদের উচ্ছেদের চেষ্টা করলেন। অথচ তাঁরা চাইলেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে চাপ দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এসব আশ্রয়হীন মানুষকে অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতেন। তা না করে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে আশ্রয় নিয়ে যখন প্রতিবাদের সম্মুখীন হলেন, তখন তাঁদের আক্রমণের শিকার হকার, উদ্বাস্তু, ভবঘুরেসহ প্রতিবাদকারীদের ঢালাওভাবে মাদক কারবারি আখ্যা দিয়ে তাঁরা ভিন্নমত দমনের পুরোনো ভয়াবহ কায়দা অবলম্বন করলেন।
একই দিনে একজন ডাকসু নেতার উপস্থিতিতে দুজন সহকারী প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর এক শিক্ষার্থীর ফোন চেক করে তাঁর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেন, তাঁর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে নানাবিধ প্রশ্ন করে হেনস্তা করেন। এ ঘটনাস্থলেই একজন রিকশাচালকের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে আহত হওয়া প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যের ছবি ব্যবহার করে বামপন্থীদের নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডায়ও লিপ্ত হয়েছেন কয়েকজন ডাকসু নেতা। কোনো প্রকার তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ডাকসু নেতাদের এ ধরনের বক্তব্য ও ক্রমাগত মিথ্যাচার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং নিপীড়নের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের অপচেষ্টামাত্র। এর প্রমাণ বহন করে ডাকসু সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুমকি।
ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্ব, ব্যালট বিতর্কসহ নানাবিধ অমীমাংসিত অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ডাকসুর ব্যানারের আড়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদে নিষিদ্ধ সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের চিরচেনা সন্ত্রাসী রাজনীতি নতুন মোড়কে হাজির করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। প্রশাসনিক ছত্রচ্ছায়ায় চলমান এ ষড়যন্ত্র প্রত্যাখ্যান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন সুস্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ হুমকি সহ্য করবে না। গণ-অভ্যুত্থানের পর তোফাজ্জল ও সাম্য খুনের বিচার শেষ হওয়ার আগেই যাঁরা আরেকবার ক্যাম্পাসকে রক্তাক্ত করার দিবাস্বপ্নে রত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।

আগামীকাল ৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্ণ হচ্ছে। কিন্তু কান্না থামেনি মা জাহানারা বেগমের। মাঝেমধ্যেই মেয়ে হারানোর স্মৃতি তাঁকে তাড়া করে, তখন শুধু নীরবে কাঁদেন। এই দুঃসহ স্মৃতির ভার আর তিনি বইতে পারছেন না।
০৬ জানুয়ারি ২০২৩
সাভারের বিরুলিয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর উভয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সিটি ইউনিভার্সিটি ৪ নভেম্বর এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।
২০ মিনিট আগে
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হালদা নদী রক্ষায় গেজেট সংশোধনের মাধ্যমে তামাক চাষ ও নদীদূষণ বন্ধ করা হবে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
২৪ মিনিট আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হাসান।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হাসান।
আবির হাসান ডাকসু নির্বাচনে উমামা ফাতেমার নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সদস্য পদপ্রার্থী ছিলেন। তিনি সিএসই বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আবির হাসান অভিযোগ করেন, সর্বমিত্র চাকমা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে বামপন্থী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এই হুমকি দেন।
স্ট্যাটাসে আবির লেখেন, ‘আপনাদের একটা ইন্টারেস্টিং তথ্য দিই। সেদিন যখন প্রক্টর অফিসে আমার ফোন চেক করা হয় এবং আমি সেখানে বসা, তখন বামপন্থীরা হকারদের সঙ্গে মিছিল করছিল (বাইরে)। এমন সময় কোত্থেকে সর্বমিত্র চাকমা রুমে ঢুকে বললেন, ‘‘আপনি শুধু অনুমতি দিন স্যার, হলপাড়া থেকে ১০টা পোলাপান নিয়ে তাদের মেরে ঠ্যাং ভেঙে দিয়ে আসি।’
আবির আরও লেখেন, ‘আমার তখন জিজ্ঞেস করতে মন চাইছিল, ছোটভাই, তোমার হল যেন কোনটা? নিজের হল থেকে দুইটা পোলাপান নিয়ে আসো তো পারলে, দেখি।’

আবিরের পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে সর্বমিত্র লেখেন, ‘হল পাড়া থেকে ১০টা পোলাপানের কথা বলি নাই। মিনিমাম ২০০ জনের একটা মিছিল নিয়ে গিয়ে ঠ্যাং ভেঙে দিয়ে আসব বলেছিলাম। ১০ জন কম হয়ে যায়। আমার ক্যাম্পাসে গাঞ্জাখোর আর গাঞ্জা বিক্রেতারা এসে মিছিল করবে আর আমি আঙুল চুষবো! সরি, ব্রো!’
পরে অবশ্য সর্বমিত্রের ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্টটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত হতে আজকের পত্রিকা সর্বমিত্র চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এ সময় আবিরের পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো লেখার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি পোস্টটি শেয়ার দিয়েছিলাম, কিন্তু পরে সেটি ‘‘ওনলি মি’’ করে রেখেছি। আমি পোস্টটি আবারও পাবলিক করব।’
তবে তিনি প্রক্টর অফিসে বামপন্থী ও হকারদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার কথা বলিনি। তারা ক্যাম্পাসে মাদকের কারবার করে, প্রক্টরিয়াল টিম তাদের উচ্ছেদ করতে অপারগতা জানাচ্ছিল, তখন আমি ছাত্রদের নিয়ে তাদের প্রতিরোধের কথা বলেছিলাম।’
এদিকে সর্বমিত্রের এই হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। আজ সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না। সর্বমিত্রের সন্ত্রাসী হুমকি প্রমাণ করে, তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ভিন্নমতাবলম্বীদের ‘মাদক কারবারি’ আখ্যা দেওয়া আদতে সন্ত্রাসের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের ঘৃণ্য চেষ্টা।
গত কয়েক দিন ধরে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবৈধ দোকান ও ভ্রাম্যমাণ হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়ের ও সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছেন। অন্যদিকে এসব উচ্ছেদের প্রতিবাদে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা হকারদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করেন।
ঘটনাটি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে ডাকসুর সদস্যদের ‘মোরাল পুলিশিং’ ও প্রশাসনিক ভূমিকা পালনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
অন্যদিকে গতকাল সোমবার দুপুরে আবির হাসান বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসের বিরুদ্ধে মোবাইল ফোন চেক করে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগও দাখিল করেন। তিনি লিখিতভাবে জানান, প্রশাসনের এমন আচরণ শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হাসান।
আবির হাসান ডাকসু নির্বাচনে উমামা ফাতেমার নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সদস্য পদপ্রার্থী ছিলেন। তিনি সিএসই বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আবির হাসান অভিযোগ করেন, সর্বমিত্র চাকমা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে বামপন্থী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এই হুমকি দেন।
স্ট্যাটাসে আবির লেখেন, ‘আপনাদের একটা ইন্টারেস্টিং তথ্য দিই। সেদিন যখন প্রক্টর অফিসে আমার ফোন চেক করা হয় এবং আমি সেখানে বসা, তখন বামপন্থীরা হকারদের সঙ্গে মিছিল করছিল (বাইরে)। এমন সময় কোত্থেকে সর্বমিত্র চাকমা রুমে ঢুকে বললেন, ‘‘আপনি শুধু অনুমতি দিন স্যার, হলপাড়া থেকে ১০টা পোলাপান নিয়ে তাদের মেরে ঠ্যাং ভেঙে দিয়ে আসি।’
আবির আরও লেখেন, ‘আমার তখন জিজ্ঞেস করতে মন চাইছিল, ছোটভাই, তোমার হল যেন কোনটা? নিজের হল থেকে দুইটা পোলাপান নিয়ে আসো তো পারলে, দেখি।’

আবিরের পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে সর্বমিত্র লেখেন, ‘হল পাড়া থেকে ১০টা পোলাপানের কথা বলি নাই। মিনিমাম ২০০ জনের একটা মিছিল নিয়ে গিয়ে ঠ্যাং ভেঙে দিয়ে আসব বলেছিলাম। ১০ জন কম হয়ে যায়। আমার ক্যাম্পাসে গাঞ্জাখোর আর গাঞ্জা বিক্রেতারা এসে মিছিল করবে আর আমি আঙুল চুষবো! সরি, ব্রো!’
পরে অবশ্য সর্বমিত্রের ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্টটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত হতে আজকের পত্রিকা সর্বমিত্র চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এ সময় আবিরের পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো লেখার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি পোস্টটি শেয়ার দিয়েছিলাম, কিন্তু পরে সেটি ‘‘ওনলি মি’’ করে রেখেছি। আমি পোস্টটি আবারও পাবলিক করব।’
তবে তিনি প্রক্টর অফিসে বামপন্থী ও হকারদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার কথা বলিনি। তারা ক্যাম্পাসে মাদকের কারবার করে, প্রক্টরিয়াল টিম তাদের উচ্ছেদ করতে অপারগতা জানাচ্ছিল, তখন আমি ছাত্রদের নিয়ে তাদের প্রতিরোধের কথা বলেছিলাম।’
এদিকে সর্বমিত্রের এই হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। আজ সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না। সর্বমিত্রের সন্ত্রাসী হুমকি প্রমাণ করে, তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ভিন্নমতাবলম্বীদের ‘মাদক কারবারি’ আখ্যা দেওয়া আদতে সন্ত্রাসের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের ঘৃণ্য চেষ্টা।
গত কয়েক দিন ধরে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবৈধ দোকান ও ভ্রাম্যমাণ হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়ের ও সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছেন। অন্যদিকে এসব উচ্ছেদের প্রতিবাদে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা হকারদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করেন।
ঘটনাটি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে ডাকসুর সদস্যদের ‘মোরাল পুলিশিং’ ও প্রশাসনিক ভূমিকা পালনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
অন্যদিকে গতকাল সোমবার দুপুরে আবির হাসান বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসের বিরুদ্ধে মোবাইল ফোন চেক করে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগও দাখিল করেন। তিনি লিখিতভাবে জানান, প্রশাসনের এমন আচরণ শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

আগামীকাল ৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্ণ হচ্ছে। কিন্তু কান্না থামেনি মা জাহানারা বেগমের। মাঝেমধ্যেই মেয়ে হারানোর স্মৃতি তাঁকে তাড়া করে, তখন শুধু নীরবে কাঁদেন। এই দুঃসহ স্মৃতির ভার আর তিনি বইতে পারছেন না।
০৬ জানুয়ারি ২০২৩
সাভারের বিরুলিয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর উভয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সিটি ইউনিভার্সিটি ৪ নভেম্বর এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।
২০ মিনিট আগে
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হালদা নদী রক্ষায় গেজেট সংশোধনের মাধ্যমে তামাক চাষ ও নদীদূষণ বন্ধ করা হবে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
২৪ মিনিট আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ‘ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন। জুলাই অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনটি।
৩২ মিনিট আগে