Ajker Patrika

চুক্তির মেয়াদ শেষ, ঝুলে আছে সেতু

অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
চুক্তির মেয়াদ শেষ, ঝুলে আছে সেতু

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঘোড়াউত্রা নদী পারাপারে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ৪৩ কোটি ৩৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৬২ মিটার গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি কাজ শেষে সেতুটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল; কিন্তু চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আরও পাঁচ মাস পার হলেও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ। এতে ভোগান্তিকে সঙ্গী করেই নদী পারাপার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করে সেতুটি খুলে দেওয়ার দাবি স্থানীয়দের।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কাজীপাড়া, মইষারকান্দিসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষকে নানা প্রয়োজনে উপজেলা সদরে যেতে ঘোড়াউত্রা নদী পার হতে হয়। এ ছাড়া মিঠামইন কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও নদী পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাঁদের। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ও রাতে নদী পারাপারে দুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, পল্লি সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও মেসার্স মমিনুল হক (জেবি) নির্মাণকাজ শুরু করে। চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতিতে চুক্তির মেয়াদ শেষের পাঁচ মাস পরও শেষ হয়নি সেতুর নির্মাণকাজ।

বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির খৈলাপাড়া প্রান্তে চলছে সংযোগ সড়ক পাকা করার কাজ। কাজীপাড়া প্রান্তে চলছিল সেতুর গার্ডার ও রেলিং পিলারে ঢালাইয়ের কাজ। সংশ্লিষ্টরা জানান, পরিবেশ অনুকূলে থাকলে আগামী ডিসেম্বর মাসে নির্মাণকাজ শেষ হবে।

উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও মিঠামইন বাজারের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে নদীতে নৌকা না থাকায় চিকিৎসার অভাবে বুধবার এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। নদী পারাপারে ভোগান্তির শেষ নেই।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মমিনুল হকের পক্ষে সাব-কন্ট্রাক্টর মোহাম্মদ বাবুল বলেন, ‘করোনার সময় কাজ শুরু হয়েছিল, তাই ঠিকমতো শ্রমিক পাওয়া যায়নি। ফলে কিছুটা সময় লেগেছে। আমরা চেষ্টা করছি ডিসেম্বর নাগাদ কাজ শেষ করার।’

প্রকল্পের ম্যানেজার আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুর একটি গার্ডার ও দুটি স্ল্যাব ঢালাই বাকি রয়েছে। আশা করছি আগামী জুলাই মাসে ঢালাইয়ের কাজ শেষ হবে। অন্যান্য কাজ শেষে ডিসেম্বরের আগেই সেতুটি হস্তান্তর করা যাবে।’

মিঠামইন উপজেলা প্রকৌশলী ফয়জুর রাজ্জাক দাবি করেন, ‘জমি অধিগ্রহণ ও শ্রমিকসংকটের কারণে সেতু নির্মাণে কিছুটা সময় লেগেছে। ইতিমধ্যে মূল সেতুর ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি জুলাই মাসের শেষ নাগাদ ব্যবহারের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করা যাবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান, অবরুদ্ধ আরএমও

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্ত কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্ত কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও স্বাস্থ্য বিভাগ।

আজ সোমবার দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্তকারী দল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে। এদিকে ছাত্র-জনতার ক্ষোভের মুখে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম সিভিল কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

আজ বেলা ১১টার দিকে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার পাঁচ সদস্যের দল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি উচ্চপর্যায়ের দল ওই কার্যালয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় উভয় দলের সদস্যরা সিভিল সার্জন শেখ মো. কামাল হোসেন, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আরএমও হোসেন ইমামসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় দুদক সদস্যরা নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইল ফোন জব্দ করেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের দলের নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী। এ ছাড়া দুদকের দলের নেতৃত্বে ছিলেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপপরিচালক মইনুল আহসান রওশনী।

এদিকে তদন্ত কমিটির কাছে নিজের অবস্থান জানানোর পর আরএমও হোসেন ইমাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ত্যাগ করার চেষ্টা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা তাঁর ওপর চড়াও হয়। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারতে দেখা যায়। এই অবস্থায় হোসেন ইমাম আবারও সিভিল সার্জন অফিসে গিয়ে আশ্রয় নেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিনি সিভিল সার্জন অফিসের ভেতরেই অবরুদ্ধ ছিলেন। তবে আরএমও হোসেন ইমাম নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের ঘটনার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার কথা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অস্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, গত শুক্রবার কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাতটি ক্যাটাগরিতে ১১৫টি শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা হয়। এতে অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৯ জন পরীক্ষার্থী। কিন্তু পরীক্ষার দিন ভোরে কুষ্টিয়া শহরের একটি বাড়িতে ২৫-৩০ চাকরিপ্রার্থীর রহস্যজনক প্রবেশ ও পরীক্ষার আগমুহূর্তে বের হওয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়িটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও হোসেন ইমামের। এ ঘটনার জেরে গত শনিবার দুপুরে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, ঘুষ-বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন একদল বিক্ষুব্ধ যুবক। এই অবস্থায় ২৫-৩০ জন পরীক্ষার্থীর একটি বাসা থেকে বের হওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি লেখেন কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন শেখ মো. কামাল হোসেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল সাময়িক স্থগিত করা হয়। পরদিন গতকাল রোববার সকাল থেকেও নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলসহ আবার পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্র-জনতা। পরে সিভিল সার্জনের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি স্থগিত করে।

তদন্ত শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী জানান, তাঁর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাঁরা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তিনি আরও জানান, ঘটনার ব্যাপারে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও বিশ্লেষণ করছেন তাঁরা। পাশাপাশি আরএমও হোসেন ইমামের সংশ্লিষ্টতাসহ সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু জানাতে না পারলেও কিছু একটা যে ঘটেছে, সে গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

দুদকের উপপরিচালক মইনুল আহসান রওশনী জানান, নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুজনের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আগামী নির্বাচন পুলিশের নেতিবাচক ইমেজ ভাঙার বড় সুযোগ: আইজিপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ সোমবার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ‘হল অব প্রাইড’-এ অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন আইজিপি বাহারুল আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সোমবার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ‘হল অব প্রাইড’-এ অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন আইজিপি বাহারুল আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ‘হল অব প্রাইড’-এ অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইজিপি। সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, র‍্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজি, ঢাকাস্থ বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সব পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিরা উপস্থিত ছিলেন।

এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দেশের সব জেলা পুলিশ সুপার। সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র উপস্থাপন করেন।

আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ আগামী নির্বাচন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

আইজিপি বাহারুল আলম আরও বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের হারানো বা লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা জোরদার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং অস্ত্র উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত পুরস্কার সম্পর্কে প্রচারণা বাড়াতে হবে। ইউনিটপ্রধানদের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড়ভাবে তদারকিসহ হয়রানিবিহীনভাবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সময়মতো প্রদান নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ সুপারদের আহ্বান জানান আইজিপি।

গুম কমিশনে করা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা ও মামলা করার নির্দেশ দেন আইজিপি। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে উদ্ভূত মামলাগুলো বিশেষ গুরুত্বসহ তদন্ত ও দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।

আইজিপি মামলা তদন্তের গুণগত মান উন্নয়নের ওপরও জোর দেন। সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা এবং অনলাইনে যুক্ত জেলা পুলিশ সুপাররা প্রশাসনিক ও অপারেশনাল নানা বিষয়ে পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নার্সকে ক্লিনিকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, চিকিৎসক কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহীতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে বিয়ের আশ্বাসে নার্সকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার ওই চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে তাঁকে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম আহসান হাবিব (২৯)। তিনি লক্ষ্মীপুর এলাকার আল-আরাফাহ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আবাসিক চিকিৎসক। তাঁর বাড়ি নওগাঁ জেলায়।

গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে ২৩ সেপ্টেম্বর নগরীর রাজপাড়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।

জানা যায়, নগরীর অন্য একটি বেসরকারি ক্লিনিকের নার্স পদে চাকরি করেন ভুক্তভোগী। ঘটনার দিন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে চিকিৎসক আহসান হাবিব নিজের চেম্বারে ডেকে এনে ধর্ষণ করেন।

পরে ভুক্তভোগী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষা শেষে তিনি মামলা করেন।

জানতে চাইলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। মামলায় ঘটনাস্থল হিসেবে আমাদের ক্লিনিকের নাম আছে বলে জেনেছি। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই আহসান হাবিবকে ক্লিনিক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার পরিদর্শক আব্দুল আলিম জানান, ঘটনার পর ভুক্তভোগী নার্স রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষা শেষে তিনি মামলা করেন।

তিনি আরও জানান, মামলা হওয়ার পর গতকাল রোববার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিন বিকেলেই তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণের দুই মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে দুই আসামিকে ও রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. গোলাম কবীর পৃথক দুই মামলায় এ রায় দেন।

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঘটনাস্থলের বাড়ির ব্যবস্থাপক আব্দুল গাফফার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মো. বাচ্চু। রাজধানীর রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন বাচ্চু মিয়া হাওলাদার।

উভয় মামলায় প্রত্যেক আসামিকে দণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে প্রত্যেককে অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী রাশেদুল ইসলাম দুটি মামলার রায়ের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর মা-বাবা কর্মস্থলে যান। বেলা ৩টার দিকে আসামিরা যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের হাশেম রোডের বাসায় ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তাঁরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

পরে একই বছরের ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আব্দুল গাফফার তাকে ডেকে নিয়ে তার সঙ্গে যেতে বলেন। তখন ভুক্তভোগী তাঁর সঙ্গে না গিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা ১ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পরিদর্শক তাসলিমা আক্তার। ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার বিচার চলাকালে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

রায়ের সময় আসামি বাচ্চুকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়। অপর আসামি গাফফার পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

অপর দিকে শিশু ধর্ষণ মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই শিশুর মা রামপুরা টিভি সেন্টার রোডে একটি গ্যারেজে রান্না করতেন। ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল বেলা ২টার দিকে বাচ্চু মিয়া হাওলাদার শিশুকে দোকান থেকে ঠান্ডা পানি এনে দিতে বলেন। শিশুটি তাঁর কাছে গেলে বাচ্চু মিয়া হাওলাদার তাকে রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মেয়ের ফিরে আসতে দেরি হওয়ায় তার মা তাকে খুঁজতে যান। সেখানে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি দেখতে পান তিনি। পরে মেয়েটি মাকে সব খুলে বলে। এ ঘটনায় শিশুটির মা ওই দিনই রামপুরা থানায় মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন রামপুরা থানার উপপরিদর্শক এস এম মুকুল মিয়া। ১৬ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেন।

আসামি বাচ্চু মিয়া হাওলাদারকে রায়ের সময় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত