কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে তীব্র গরমে একটি প্রাথমিক স্কুলের ২৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার হোসেনপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মণ্ডল ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার (চলতি দায়িত্ব) নুরুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষা অফিসার সালমা আক্তার।
জানা গেছে, তীব্র গরমে স্কুলের দোতলায় একটি শ্রেণিকক্ষে ১ম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করে। অন্য শ্রেণিগুলোতে গিয়ে একই চিত্র দেখা যায়। পরে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, স্কুলের শ্রেণিকক্ষগুলোতে সর্বোচ্চ ২০০ ছাত্রছাত্রী বসার উপযুক্ত, কিন্তু ছাত্রছাত্রী রয়েছে প্রায় ৮০০ জন। ধারণ ক্ষমতার চার গুনের বেশি। ফলে গাদাগাদি করে পড়াশোনা করতে হয়।
হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীর বাবা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘যেসব কক্ষে ক্লাস হয়, সে কক্ষগুলো গোডাউনের মতো। শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় গাদাগাদি করে পড়াশোনা করতে হয়। গাদাগাদি করে পড়াশোনা এবং তীব্র গরমে আমার বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এখন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।’
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হঠাৎ তীব্র গরমে একটি ক্লাসের কয়েক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে যায়। পরে অন্যান্য শ্রেণিতে গিয়ে একই অবস্থা দেখা যায়। কয়েকজন অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিয়ে যায়। পরে, আমরা ছুটি দিয়ে দিই।’
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (চলতি দায়িত্ব) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গরমের কারণে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে গেছে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আমি স্কুলটিতে দ্রুত যাই। তীব্র গরমে স্কুলের দোতলার ছাদ গরম হয়ে গিয়েছিল। ফলে গরমের কারণে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে যায়। এর মধ্যে দুজন বাচ্চার জ্বর ছিল। তারা বেশি অসুস্থ হয়ে গেলে দ্রুত মাথায় পানি ঢালা হয় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. তানভীর হাসান বলেন, ‘দুপুরের দিকে হোসেনপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নয় বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসা হয়। তারপর চিকিৎসার মাধ্যমে বোঝা যায়, তার পেটে হালকা ব্যথা হয়েছিল। তবে বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিন্দ্য মণ্ডল বলেন, ‘বিদ্যালয়টির দোতলায় যে কক্ষগুলো রয়েছে তা বদ্ধ। তীব্র গরমের কারণে কক্ষের ছাদ গরম হয়ে যায় এবং কক্ষগুলো বদ্ধ থাকায় বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা দোতলার যে কক্ষে ক্লাস হয়, তা শিফট করে সকালের শিফটে নিয়ে আসব।’ তিনি বলেন, ‘হোসেনপুরে ১১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। অন্যান্য স্কুলের কেউ অসুস্থ হয়নি। তাই স্কুল বন্ধের চিন্তা এখনো করছি না।’
জেলা সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গরমের কারণে প্রথমে একজন অসুস্থ হয়ে যায়। পরে তাঁর দেখাদেখি বাকিরাও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এটাকে গণ মনস্তাত্ত্বিক রোগ বলা হয়। যে দুজন বাচ্চাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছিল, তারাসহ সবাই এখন সুস্থ আছে।’
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে তীব্র গরমে একটি প্রাথমিক স্কুলের ২৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার হোসেনপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মণ্ডল ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার (চলতি দায়িত্ব) নুরুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষা অফিসার সালমা আক্তার।
জানা গেছে, তীব্র গরমে স্কুলের দোতলায় একটি শ্রেণিকক্ষে ১ম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করে। অন্য শ্রেণিগুলোতে গিয়ে একই চিত্র দেখা যায়। পরে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, স্কুলের শ্রেণিকক্ষগুলোতে সর্বোচ্চ ২০০ ছাত্রছাত্রী বসার উপযুক্ত, কিন্তু ছাত্রছাত্রী রয়েছে প্রায় ৮০০ জন। ধারণ ক্ষমতার চার গুনের বেশি। ফলে গাদাগাদি করে পড়াশোনা করতে হয়।
হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীর বাবা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘যেসব কক্ষে ক্লাস হয়, সে কক্ষগুলো গোডাউনের মতো। শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় গাদাগাদি করে পড়াশোনা করতে হয়। গাদাগাদি করে পড়াশোনা এবং তীব্র গরমে আমার বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এখন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।’
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হঠাৎ তীব্র গরমে একটি ক্লাসের কয়েক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে যায়। পরে অন্যান্য শ্রেণিতে গিয়ে একই অবস্থা দেখা যায়। কয়েকজন অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিয়ে যায়। পরে, আমরা ছুটি দিয়ে দিই।’
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (চলতি দায়িত্ব) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গরমের কারণে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে গেছে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আমি স্কুলটিতে দ্রুত যাই। তীব্র গরমে স্কুলের দোতলার ছাদ গরম হয়ে গিয়েছিল। ফলে গরমের কারণে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে যায়। এর মধ্যে দুজন বাচ্চার জ্বর ছিল। তারা বেশি অসুস্থ হয়ে গেলে দ্রুত মাথায় পানি ঢালা হয় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. তানভীর হাসান বলেন, ‘দুপুরের দিকে হোসেনপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নয় বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসা হয়। তারপর চিকিৎসার মাধ্যমে বোঝা যায়, তার পেটে হালকা ব্যথা হয়েছিল। তবে বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিন্দ্য মণ্ডল বলেন, ‘বিদ্যালয়টির দোতলায় যে কক্ষগুলো রয়েছে তা বদ্ধ। তীব্র গরমের কারণে কক্ষের ছাদ গরম হয়ে যায় এবং কক্ষগুলো বদ্ধ থাকায় বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা দোতলার যে কক্ষে ক্লাস হয়, তা শিফট করে সকালের শিফটে নিয়ে আসব।’ তিনি বলেন, ‘হোসেনপুরে ১১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। অন্যান্য স্কুলের কেউ অসুস্থ হয়নি। তাই স্কুল বন্ধের চিন্তা এখনো করছি না।’
জেলা সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গরমের কারণে প্রথমে একজন অসুস্থ হয়ে যায়। পরে তাঁর দেখাদেখি বাকিরাও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এটাকে গণ মনস্তাত্ত্বিক রোগ বলা হয়। যে দুজন বাচ্চাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছিল, তারাসহ সবাই এখন সুস্থ আছে।’
অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন...
২ মিনিট আগেচুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না...
৩২ মিনিট আগেমাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
২ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম।
২ ঘণ্টা আগে