কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৬ অক্টোবর বিকেলে জেলা শহরের বত্রিশ এলাকার সিটিল্যাব হেলথ কেয়ার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ টাকা দিয়ে নবজাতকের পরিবারের সঙ্গে রফার চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মৃত নবজাতক কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মো. নাজমুল ও মোছা. তামান্না আক্তার দম্পতির সন্তান। নবজাতকের মৃত্যুতে ৬ অক্টোবর রাতে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ করেন তামান্না আক্তারের ভাই মো. হিমেল। অভিযোগকারী মো. হিমেলের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার সিংদই গ্রামে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তামান্নাকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না পেয়ে তাঁকে কিশোরগঞ্জের বত্রিশ এলাকার সিটিল্যাব হেলথ কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে তখন চিকিৎসক না থাকলেও রোগীকে অন্য কোনো হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। রোগী দেখার নামে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একপর্যায়ে বেলা আড়াইটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একজন চিকিৎসক ডেকে আনার পর তামান্নার অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর জন্ম হওয়া নবজাতকের শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকার পরও পরিবারের লোকজনকে না জানিয়ে শিশুটিকে হাসপাতালে রাখা হয়। সেখানে নবজাতকের সুচিকিৎসা হয়নি এবং নবজাতকের কাছে পরিবারের লোকজনদের যেতে না দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপণ করতে থাকে। আস্তে আস্তে নবজাতকটি নিস্তেজ হতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতককে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে সরে পড়ে। পরিবারের লোকজন বুঝতে পারেন, নবজাতক মারা গেছে। থানায় অভিযোগে বলা হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ চিকিৎসক, নার্সদের কর্তব্যে অবহেলা, গাফিলতি এবং ভুল চিকিৎসার জন্য নবজাতক মারা গেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, সিটিল্যাব হেলথ কেয়ার হাসপাতালের ট্রেড লাইসেন্স ও সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত কার্যক্রমের অনুমোদনের মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। লাইসেন্স নবায়ন না করেই প্রতিষ্ঠানটি চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এদিকে গতকাল রাতে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে সিটিল্যাব হেলথ কেয়ার হাসপাতালের অফিসকক্ষে টাকা দিয়ে নবজাতকের পরিবারের সঙ্গে রফার চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
নবজাতকের বাবা মো. নাজমুল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে ক্ষমা চায়। হাসপাতালের গৌতম বাবু আমাদের একটা খাম দেয়। আমরা নিচে এসে তা আবার ফিরিয়ে দিই।’
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগটি তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অভিজিৎ শর্মা বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ বা অন্য কোনো মাধ্যমে বিষয়টি আমাদের কাছে এলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব।’
ঘটনার বিষয়ে সিটিল্যাব হেলথ কেয়ার হাসপাতালের ম্যানেজার শহীদ বলেন, দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে বিষয়টি শেষ হয়েছে। তবে মৃত্যু নিয়ে কোনো রফা হয়েছে কি না, এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি।
কিশোরগঞ্জে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৬ অক্টোবর বিকেলে জেলা শহরের বত্রিশ এলাকার সিটিল্যাব হেলথ কেয়ার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ টাকা দিয়ে নবজাতকের পরিবারের সঙ্গে রফার চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মৃত নবজাতক কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মো. নাজমুল ও মোছা. তামান্না আক্তার দম্পতির সন্তান। নবজাতকের মৃত্যুতে ৬ অক্টোবর রাতে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ করেন তামান্না আক্তারের ভাই মো. হিমেল। অভিযোগকারী মো. হিমেলের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার সিংদই গ্রামে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তামান্নাকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না পেয়ে তাঁকে কিশোরগঞ্জের বত্রিশ এলাকার সিটিল্যাব হেলথ কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে তখন চিকিৎসক না থাকলেও রোগীকে অন্য কোনো হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। রোগী দেখার নামে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একপর্যায়ে বেলা আড়াইটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একজন চিকিৎসক ডেকে আনার পর তামান্নার অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর জন্ম হওয়া নবজাতকের শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকার পরও পরিবারের লোকজনকে না জানিয়ে শিশুটিকে হাসপাতালে রাখা হয়। সেখানে নবজাতকের সুচিকিৎসা হয়নি এবং নবজাতকের কাছে পরিবারের লোকজনদের যেতে না দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপণ করতে থাকে। আস্তে আস্তে নবজাতকটি নিস্তেজ হতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতককে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে সরে পড়ে। পরিবারের লোকজন বুঝতে পারেন, নবজাতক মারা গেছে। থানায় অভিযোগে বলা হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ চিকিৎসক, নার্সদের কর্তব্যে অবহেলা, গাফিলতি এবং ভুল চিকিৎসার জন্য নবজাতক মারা গেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, সিটিল্যাব হেলথ কেয়ার হাসপাতালের ট্রেড লাইসেন্স ও সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত কার্যক্রমের অনুমোদনের মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। লাইসেন্স নবায়ন না করেই প্রতিষ্ঠানটি চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এদিকে গতকাল রাতে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে সিটিল্যাব হেলথ কেয়ার হাসপাতালের অফিসকক্ষে টাকা দিয়ে নবজাতকের পরিবারের সঙ্গে রফার চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
নবজাতকের বাবা মো. নাজমুল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে ক্ষমা চায়। হাসপাতালের গৌতম বাবু আমাদের একটা খাম দেয়। আমরা নিচে এসে তা আবার ফিরিয়ে দিই।’
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগটি তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অভিজিৎ শর্মা বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ বা অন্য কোনো মাধ্যমে বিষয়টি আমাদের কাছে এলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব।’
ঘটনার বিষয়ে সিটিল্যাব হেলথ কেয়ার হাসপাতালের ম্যানেজার শহীদ বলেন, দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে বিষয়টি শেষ হয়েছে। তবে মৃত্যু নিয়ে কোনো রফা হয়েছে কি না, এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি।
‘চাকসু থাকলে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, পরিবহন ও আবাসন—এসব ইস্যুতে সরাসরি আলোচনার সুযোগ মিলবে। তাই সবাই এই নির্বাচনের অপেক্ষায়।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিলা হক। এটা শুধু তানজিলার কথা নয়। এমন ছাত্র প্রতিনিধি পাওয়ার অপেক্ষায় অনেকেই।
৭ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রাসায়নিকের দোকান ও গুদাম। মাঝেমধ্যেই এসব স্থানে আগুন লাগে, ঘটে প্রাণহানি। ফায়ার ফাইটাররা সাধারণ আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের।
৭ ঘণ্টা আগেরোজকার মতো গতকাল মঙ্গলবারও তাঁরা পোশাক কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন। আগুনে কারখানাতেই নিভে গেল তাঁদের জীবনপ্রদীপ। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। অনেকে নিখোঁজ থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বল
৭ ঘণ্টা আগেহাটহাজারীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অপু দাশ (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাটহাজারী থানাধীন চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের চৌধুরীহাটের দাতারাম সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত অপু দাশ ওই ইউপির ৩নং ওয়ার্ড এলাকার মিন্টু দাশের ছেলে।
৭ ঘণ্টা আগে