Ajker Patrika

স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর জমি আত্মসাতের অভিযোগ

শাহজাহান সাজু (কিশোরগঞ্জ)
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২১, ১১: ৫৮
স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর জমি আত্মসাতের অভিযোগ

কিশোরগঞ্জে নিজের স্ত্রীকে ঘরে রেখেই তাঁর এক কোটি ৭৬ লাখ টাকা মূল্যের জমি অন্য এক নারীকে ভুয়া স্ত্রী সাজিয়ে রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ডিজিটাল যুগেও এমন ঘটনা জানাজানি হওয়ায় কিশোরগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়সহ পুরো জেলা শহরে এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের মজুমদারপাড়া গ্রামের মোছা. মার্জিয়া খানমকে তাঁর স্বামী এ কে এম সেলিম ভূইয়া মাইজখাপন মৌজায় ২০১৪ সালে ৪৭৫২ নম্বর দলিল মূলে হেবা ঘোষণার মাধ্যমে ১ একর ৪৭ শতাংশ ভূমি হস্তান্তর করেন।

চলতি বছরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি অন্য আরেক মহিলাকে নিজের স্ত্রী মার্জিয়া আক্তার পরিচয় দিয়ে ও দাতা সাজিয়ে উক্ত ভূমি একেএম সেলিম ভূইয়া নিজ নামে দলিল রেজিস্ট্রি করে নেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ভুয়া দাতা সাজিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে প্রকৃত স্ত্রী মার্জিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি জালিয়াতি করে দলিল লেখক ফারুক আহমেদ বাবু দলিলটি রেজিস্ট্রি করে দেন।

আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে মিলেছে বানানো স্ত্রীর পরিচয়। ওই মহিলার নাম নার্গিস আক্তার নদী। তিনি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গোজাদিয়া ইউনিয়নের টামনী ইসলামপুর গ্রামে তাঁর মায়ের সঙ্গে নানার বাড়িতে থাকেন। তাঁর ১৩ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। পেশায় হোমিও ডাক্তার। জেলার তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের চরতালজাঙ্গা সরকঘাটা এরাকায় মা-ফুলেশ্বরী হোমিওহল নামে একটি ওষুধের দোকানের প্রোপ্রাইটর তিনি।

এ বিষয়ে ওই ভুয়া স্ত্রী নার্গিস আক্তার নদীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এখন কোনো কথা বলতে রাজি না। পরে এ বিষয়ে কথা বলব।’

কিশোরগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ ব্যাপারে জমির মূল মালিক মার্জিয়া খানমের ছেলে জোবাইদুল ইসলাম আকিব, গত ১৬ আগস্ট কিশোরগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে অভিযুক্ত দলিলগ্রহীতা একেএম সেলিম ভূইয়ার সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দলিলটা অন্য একজন মহিলাকে স্ত্রী বানিয়ে আমি গোপনে করেছিলাম। এখন যেহেতু প্রকাশ হয়ে গেছে, এখন মীমাংসা করে ফেলব।’

বিতর্কিত দলিলটির বিষয়ে দলিল সম্পাদনকারী ফারুক আহমেদ বাবুর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফুরকান উদ্দিন খান মানিক বলেন, ‘দলিলটির বিষয়ে ইতিমধ্যে সাব রেজিস্ট্রার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমিও এর কপি পেয়েছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলিল লেখকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় জাতীয় পরিচয়পত্র অন্যজনের ছবি জুড়ে দিয়ে এমন দলিল কীভাবে হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে সদর সাব রেজিস্ট্রার মো. লুৎফর রহমান মোল্লা বলেন, ‘অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। বিষয়টি জেলা রেজিস্ট্রারকে জানানো হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে সব বলা যাবে।’

জেলা রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ আবু তালেব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বুধবার সকালে সাব রেজিস্টারের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগটি পেয়েছি। এখানে যদি কোন সরকারি আইনের ব্যত্যয় ঘটে থাকে তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে, এ দলিল রেজিস্ট্রি করায় অফিশিয়াল যাঁরা জড়িত তাঁদেরসহ দলিল লেখকের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘আমার মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই’

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ধর্ম মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘১৫ বছরের জঞ্জাল ১৫ মাসে পরিষ্কার করা যায় না। তবে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। একটি ট্রান্সপারেন্ট প্রশাসন গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’

আজ শুক্রবার পঞ্চগড় দারুল উলুম মদিনাতুল ইসলাম মাদ্রাসার এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, মডেল মসজিদগুলোতে যেখানে অনিয়ম বা দুর্নীতি পাওয়া গেছে, সেখানে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি খুব শিগগিরই তাদের প্রতিবেদন দেবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কিছু বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় একজন সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। গতকাল তাঁরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন এবং সেই অনুসারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে খালিদ হোসেন বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই। আমি নিজেও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই, অফিসারদেরও দুর্নীতিমুক্ত রাখতে আমি সব সময় সোচ্চার আছি।’

ধর্ম উপদেষ্টা জানান, হজ ব্যবস্থাপনায় অতীতে জমে থাকা এজেন্সিগুলোর ৩৯ কোটি টাকা সৌদি আরব থেকে ফেরত আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

শরীয়তপুর এক সেনাসদস্যের স্ত্রীর বিরুদ্ধে সুদের টাকার জন্য রোকেয়া বেগম (৪০) নামে এক নারীকে মারধর করে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে। আহত অবস্থায় ওই নারীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের পরাসদ্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা আঞ্জুমান আক্তার সুদের টাকার জন্য ওই নারীর (রোকেয়া বেগম) বাড়ি দখলের চেষ্টা করেন। দুই সপ্তাহ আগে তিনি রোকেয়ার বাড়ির আঙিনায় একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন, এতে লেখা রয়েছে, ‘ঋণ খেলাপির দায়ে বর্তমান এই জমির মালিক আঞ্জুমান আক্তার। স্বামী সার্জেন্ট এমদাদুল হক (কর্মরত)।’

বাড়ি না ছাড়ায় আজ সকালে আঞ্জুমান আক্তার লোকজন নিয়ে রোকেয়া ও তাঁর ছেলে রিজভীকে (১০) টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে মারধর করেন এবং তালা ঝুলিয়ে দেন।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগী রোকেয়া বেগম তালাবদ্ধ ঘরের সামনে বসে আহাজারি করছেন। তিনি জানান, আঞ্জুমান আক্তার ও তাঁর বোন লাকি আক্তারসহ কয়েকজন লোক তাঁকে এবং ছেলেকে মারধর করে ঘর থেকে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেন। তাঁর স্বামী মিন্টু ফরাজি নিরাপত্তাহীনতার কারণে দুই মাস ধরে বাড়িছাড়া।

সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল। ছবি: আজকের পত্রিকা
সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল। ছবি: আজকের পত্রিকা

রোকেয়া বেগম আরও বলেন, ‘তিন বছর আগে আমি আঞ্জুমান আক্তারের কাছ থেকে ট্রাক কেনার জন্য সুদে ১৭ লাখ টাকা নিয়ে ছিলাম। এরপর ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, প্রমাণও আমার কাছে আছে। তবুও তিনি আরও টাকা দাবি করে আমার বাড়ির দখল নিতে চান।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আঞ্জুমান আক্তার বলেন, ‘রোকেয়া চার বছর আগে আমার কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। আজ পর্যন্ত এক টাকাও ফেরত দেননি। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিস হয়েছে। মুরব্বিদের পরামর্শেই সাইনবোর্ড টানিয়েছি। বাড়ি ছেড়ে না যাওয়ায় আজকে ঘরে তালা দিয়েছি। তবে কাউকে মারধর করিনি।’

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বসতভিটা দখলে বাধা দেওয়ায় দম্পতিকে পিটিয়ে আহত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুড়িগ্রামের সদর উপজেলায় বসতভিটা দখলে বাধা দেওয়ায় এক দম্পতিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ ‘ভূমিদস্যুদের’ বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম শহরতলির ভেলাকোপা হানাগড়ের মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত দম্পতি হলেন রফিকুল ইসলাম (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী কাকলি বেগম। তাঁরা কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন ইয়াকুব আলী (৫০), রিপন মিয়া (৩০) ও লিটন মিয়া (২৫)। তাঁরা এলাকায় চিহ্নিত ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। তাঁদের বিরুদ্ধে লাঠিসোঁটা নিয়ে রফিকুল ইসলামের বসতভিটা দখলচেষ্টা ও হামলার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, আজ সকালে প্রতিপক্ষ ভূমিদস্যুরা আকস্মিক রফিকুলের বসতভিটার জমি ঘিরতে আসে। এতে ওই দম্পতি বাধা দিতে গেলে ইয়াকুব ও তাঁর লোকজন ওই দম্পতির ওপর হামলা চালান। এতে রফিকুল ও তাঁর স্ত্রী দুজনই আহত হন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইয়াকুব ও রিপন মিয়ারা আমাদের বসতভিটা জোর করে দখলের চেষ্টা চালায়। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে পেটাতে থাকে। আমার স্ত্রী এগিয়ে এলে তারা তার ওপরও হামলা চালায়। আমরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইয়াকুব আলী ও রিপন মিয়ার মন্তব্য জানতে তাঁদের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তাঁরা সাড়া দেননি। কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ্ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টির নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনি, ধানখেতে মিলল লাশ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে সানোয়ার হোসেন সানু (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার ভোরে সদরের বহুলী ইউনিয়নের চকমোক্তারগাতি এলাকার একটি ধানখেত থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সানু সদর উপজেলার বহুলীর আলমপুর বাজার এলাকার বাদুল্লা মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে পুলিশ জানায়, আজ ভোরে সানোয়ার রায়গঞ্জ উপজেলার নিজামগাতি গ্রামের হাসান আলীর বাড়িতে গরু চুরি করতে যান। এ সময় বাড়ির লোকজন টের পাওয়ায় পালাতে গিয়ে ফুলজোড় নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে নদী সাঁতরে চকমোক্তারগাতি এলাকায় যান। সেখানে একটি ধানখেতের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ব্যক্তির নামে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তিনি হয়তো গরু চুরি করতে গিয়েছিলেন। তিনি ঢাকায় থাকতেন, মাঝে মাঝে চুরি করতে এলাকায় আসতেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের জানিয়েছেন। নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

সদর থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) আহসানুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার এখনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা করেনি। লাশ আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত