Ajker Patrika

ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নসহ নানা অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৩, ২১: ৩১
Thumbnail image

শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যসহ নানা অভিযোগে শিক্ষক মামুনুর রাশিদ বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমিন করিমী ৬ এপ্রিল ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেন। 

এ সময় তাঁকে চাকরি থেকে কেন বরখাস্ত করা হবে না লিখিতভাবে তা পরবর্তী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামুনুর রশিদ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং শ্যামনগর উপজেলার ৫৮ নম্বর যাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। 

শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, পূর্ববর্তী কর্মস্থল চিংড়িখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠে মামুনের বিরুদ্ধে। এ সময় ভুক্তভোগীর পরিবারসহ স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে পরিচালনা পর্ষদের সভা আহ্বান করে তাঁকে চিংড়িখালী বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এ ছাড়া সহকর্মীকে ‘জীবননাশ’ ও ‘চাকরি খেয়ে ফেলার’ হুমকি প্রদর্শন, ডেপুটেশন, বদলিসহ নানান বিষয়ে শিক্ষকদের জিম্মি করে টাকা আদায়, উপজেলা শিক্ষা অফিসে ঢুকে দাপ্তরিক কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, নারী সহকর্মীকে ব্যবহার করে শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগের তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা অফিসার তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেন। আশরাফুল হুদা ও দিপংকর মণ্ডল নামের দুই প্রধান শিক্ষকের বদলি সুবিধা পাইয়ে দিতে তাঁদের থেকে চার লাখ টাকা আদায়সহ সাবিহা ও রাশিদা নামের দুই নারী সহকর্মীকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মতো মোট ২৫টি অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

এসব বিষয়ে শিক্ষক মামুনুর রশিদ জানান, বিভাগীয় মামলার বিষয়টি লোকমুখে জানতে পারলেও তিনি এখনো চিঠি পাননি। 

আর্থিক দুর্নীতিসহ সহকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকির ঘটনা অস্বীকার করে জানান, নিজ ইচ্ছায় তিনি চিংড়িখালী বিদ্যালয় থেকে বদলি হয়েছিলেন। ছাত্রীর যৌন নিপীড়নের ঘটনায় রেজুলেশন//// করার বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি সাক্ষাতে বিস্তারিত জানাবেন বলেও উল্লেখ করেন। 

শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রাফিজ মিয়া জানান, ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নসহ বদলি, ডেপুটেশন, অবসর এবং ঋণ ফাইল অনুমোদনের নামে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় শিক্ষক মামুনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা অসংখ্য লিখিত অভিযোগ করেন। প্রাথমিকভাবে ২৫টি অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে সেগুলো প্রতিবেদন আকারে পাঠানো হয়।

সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘এর আগে মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগের সত্যতা মিললে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। তবে নতুন অসংখ্য অভিযোগের কারণে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। লিখিত জবাব পাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত