চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় আজ সোমবার এক দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শুধু বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭০২ জন নারী, পুরুষ ও শিশু রোগী। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন। তবে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ শেষ হতে না হতেই হাসপাতালের বহির্বিভাগে ফুরিয়ে গেছে নাপা, প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধ। ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই প্যারাসিটামল ওষুধের জন্য হাসপাতালে এলেও খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে তাঁদের।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গায় ২৪৯টি নমুনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এভাবেই প্রতিনিয়ত করোনা শনাক্তের হার বেড়েই চলেছে।
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গত নভেম্বর মাসে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছি। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে আমি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত। সঙ্গে কাশি থাকায় গলার স্বরও অনেকটা ভেঙে গেছে। আমি শুধু অসুস্থ নই, আমার পরিবারের আরও দুজন সদস্যও জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছেন।’
শুধু আলমগীর হোসেন নয়, চুয়াডাঙ্গা শহরসহ এমন আরও অনেক পরিবার আছে যাদের একাধিক সদস্য জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত। হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিলেও কেউই ভর্তি হতে চাচ্ছেন না। তাঁদের ঘর এখন যেন এ রকম হাসপাতাল ও ফার্মেসিতে পরিণত হয়েছে। শুধু শহরাঞ্চলই নয়, জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রাম এলাকায় জ্বর-সর্দিতে আক্রান্তের হারও যেন প্রতি ঘরে ঘরে রয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে করোনা পরীক্ষা করাকে করোনার ঝুঁকি বলেও মনে করছেন তাঁরা। আবার অনেকে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব আছে সেটাই যেন মানতে চাচ্ছেন না।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিনিয়ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত শনিবার বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৯৫ জন রোগী। এক দিনের ব্যবধানে গতকাল রোববার বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭৯০ জন। এর আগে শনিবার থেকে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগী বেড়েছেন দুই শতাধিক।
শুধু বহির্বিভাগে নয়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগেও রোগীর চাপ বাড়ছে। তাঁদের মধ্যে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় বেশি। এসব রোগীর মধ্যে যারা নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন তাঁদের মধ্য থেকে অনেকের নমুনাতে করোনা শনাক্ত হচ্ছে। কিন্তু জটিলতা কম থাকায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা খুবই কম। বর্তমানে সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত দুজন রেড জোনে ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ইয়েলো জোনে সাতজন রোগী ভর্তি আছেন। উপসর্গ নিয়ে ইয়েলো জোনে নতুন দুজন ও বাকিরা আগে থেকেই ভর্তি ছিলেন।
হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ঠান্ডা-জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল না দেওয়ার পেছনের কারণ জানতে চাইলে চিকিৎসা কর্মকর্তা বলেন, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত প্যারাসিটামল সাপ্লাই থাকলেও তা শেষ হয়ে গেছে। তবে হাসপাতালের অন্তবিভাগে এ ধরনের ওষুধ এখনো সাপ্লাই রয়েছে। এ ধরনের ফ্লু জাতীয় রোগের অন্যান্য ওষুধ রোগীদের দেওয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. আওলিয়ার রহমান (এমওডিসি) বলেন, বর্তমান সময়ে ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার অনেকটাই কম। বেশির ভাগ রোগী ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হয়েও ঘরে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এটি করা যায়, তবে সে ক্ষেত্রে ঘরে বসে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আলাদা গাইডলাইন তৈরি করা প্রয়োজন।
চুয়াডাঙ্গায় আজ সোমবার এক দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শুধু বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭০২ জন নারী, পুরুষ ও শিশু রোগী। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন। তবে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ শেষ হতে না হতেই হাসপাতালের বহির্বিভাগে ফুরিয়ে গেছে নাপা, প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধ। ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই প্যারাসিটামল ওষুধের জন্য হাসপাতালে এলেও খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে তাঁদের।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গায় ২৪৯টি নমুনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এভাবেই প্রতিনিয়ত করোনা শনাক্তের হার বেড়েই চলেছে।
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গত নভেম্বর মাসে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছি। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে আমি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত। সঙ্গে কাশি থাকায় গলার স্বরও অনেকটা ভেঙে গেছে। আমি শুধু অসুস্থ নই, আমার পরিবারের আরও দুজন সদস্যও জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছেন।’
শুধু আলমগীর হোসেন নয়, চুয়াডাঙ্গা শহরসহ এমন আরও অনেক পরিবার আছে যাদের একাধিক সদস্য জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত। হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিলেও কেউই ভর্তি হতে চাচ্ছেন না। তাঁদের ঘর এখন যেন এ রকম হাসপাতাল ও ফার্মেসিতে পরিণত হয়েছে। শুধু শহরাঞ্চলই নয়, জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রাম এলাকায় জ্বর-সর্দিতে আক্রান্তের হারও যেন প্রতি ঘরে ঘরে রয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে করোনা পরীক্ষা করাকে করোনার ঝুঁকি বলেও মনে করছেন তাঁরা। আবার অনেকে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব আছে সেটাই যেন মানতে চাচ্ছেন না।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিনিয়ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত শনিবার বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৯৫ জন রোগী। এক দিনের ব্যবধানে গতকাল রোববার বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭৯০ জন। এর আগে শনিবার থেকে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগী বেড়েছেন দুই শতাধিক।
শুধু বহির্বিভাগে নয়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগেও রোগীর চাপ বাড়ছে। তাঁদের মধ্যে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় বেশি। এসব রোগীর মধ্যে যারা নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন তাঁদের মধ্য থেকে অনেকের নমুনাতে করোনা শনাক্ত হচ্ছে। কিন্তু জটিলতা কম থাকায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা খুবই কম। বর্তমানে সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত দুজন রেড জোনে ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ইয়েলো জোনে সাতজন রোগী ভর্তি আছেন। উপসর্গ নিয়ে ইয়েলো জোনে নতুন দুজন ও বাকিরা আগে থেকেই ভর্তি ছিলেন।
হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ঠান্ডা-জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল না দেওয়ার পেছনের কারণ জানতে চাইলে চিকিৎসা কর্মকর্তা বলেন, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত প্যারাসিটামল সাপ্লাই থাকলেও তা শেষ হয়ে গেছে। তবে হাসপাতালের অন্তবিভাগে এ ধরনের ওষুধ এখনো সাপ্লাই রয়েছে। এ ধরনের ফ্লু জাতীয় রোগের অন্যান্য ওষুধ রোগীদের দেওয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. আওলিয়ার রহমান (এমওডিসি) বলেন, বর্তমান সময়ে ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার অনেকটাই কম। বেশির ভাগ রোগী ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হয়েও ঘরে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এটি করা যায়, তবে সে ক্ষেত্রে ঘরে বসে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আলাদা গাইডলাইন তৈরি করা প্রয়োজন।
ঢাকার আশুলিয়ায় উল্টো পথে চলা একটি অটোরিকশা লরির নিচে চাপা পড়ে নারী ও শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। নিহতরা হলেন আলতাফ (৫০), নূরজাহান (২৪) ও শিশু আব্দুল্লাহ (৪)। দুর্ঘটনাটি ঘটে রোববার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে।
৩১ মিনিট আগেপৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যকুল সরদারপাড়ায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে, তলিয়ে গেছে চলাচলের একমাত্র পথ। ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া খ্রিষ্টান মিশনের পাশের সড়কেও পানি উঠে এসেছে।
৩৭ মিনিট আগেপার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট কূটনীতিক সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ‘আজকের এই কৃষি যন্ত্রপাতি হস্তান্তর শুধু যন্ত্র সরবরাহ নয়, এটি রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি ও দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সমতল হোক কিংবা পাহাড়—কোথাও খাদ্যঘাটতির জায়গা থাকবে না।’
৩৯ মিনিট আগেগত বছর ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া গ্রামের মিরাজ। তিনি ছিলেন মৃত আব্দুস ছালামের বড় ছেলে। মাত্র ৫ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করার ইচ্ছে ছিল তাঁদের। কিন্তু প্রতিবেশী দুলাল মণ্ডল দলিল থাকা সত্ত্বেও জমিটি দখলে নিতে দেননি।
১ ঘণ্টা আগে