খুলনা প্রতিনিধি

টানা পাঁচ মাস ধরে বন্ধ থাকা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) আজ রোববার সকালে একদল শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে বসেছিলেন। কিন্তু কোনো শিক্ষক না আসায় তাঁরা দীর্ঘ সময় বসে থেকে ফিরে যান। এদিকে কুয়েটের ক্লাস, পরীক্ষাসহ সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর দাবিতে দুপুরে মানববন্ধন করেছে গার্ডিয়ান ফোরাম।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের তিনতলায় গিয়ে দেখা যায়, ২১তম ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের অপেক্ষায় বসে আছেন।
এ সময় ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী রেজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অচলাবস্থার অবসান চাই। সর্বশেষ সিন্ডিকেট কমিটির সভায় ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যেটা এখনো কার্যকর আছে। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ওই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। তবে সেই সিদ্ধান্তের আড়াই মাসেও শিক্ষকেরা ক্লাস নিচ্ছেন না। আমরা হতাশ, আমরা চাই দ্রুত ক্লাস শুরু হোক।’
রেজানুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে কোনো দূরত্ব নেই। শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হয়। আমরা চাই, দ্রুত ক্লাস শুরু হোক। ক্লাস শুরু না হওয়া পর্যন্ত আমাদের হতাশা কাটছে না। এ কারণে আমরা ক্লাসে এসে বসে আছি।’
একই ব্যাচের শিক্ষার্থী জুলকার নাইন বলেন, ‘আমরা দ্রুত ক্লাস শুরু চাই। শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। তাঁদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা চাই, শিক্ষকেরা ক্লাসে এসে আমাদের ক্লাস নিতে শুরু করুন।’
আরিফ আলমাস রহমান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের ব্যাচের অধিকাংশ শিক্ষার্থী আজ ক্লাসে উপস্থিত হয়েছি। কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত হতে পারছেন না তাঁদের নিরাপত্তাজনিত কারণে। এখন যদি শিক্ষকেরা আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন এবং ক্লাসে ফেরেন তাহলে আমরা আশা করি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে ইনশা আল্লাহ।’
আসির ফেরদৌস মুনতাসির অর্ক বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ। গত ২৪ এপ্রিল উপাচার্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত ৪ মে থেকে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী আমাদের শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। পাঁচ মাস আমাদের ক্লাস বন্ধ। বাধ্য হয়ে আমরা আজ ক্লাসে এসেছি। এখন শিক্ষকেরা যদি আমাদের ওপর সদয় হয়ে ক্লাস নিতে আসেন, সেই অপেক্ষায় সবাই ক্লাসে বসে আছি।’
এদিকে দুপুরে কুয়েট গার্ডিয়ান ফোরামের উদ্যোগে প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আবার ক্লাসে আসুক, এটা সবারই চাওয়া। শিক্ষকদের আমরা অনুরোধ করব, আপনারা আপনাদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিন। যেসব সংস্থা এটার সঙ্গে যুক্ত, জরুরি ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কী করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লাস শুরু হবে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। আমরা অভিভাবকেরা আপনাদের কাছে সেই অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এ সময় বক্তব্য দেন মো. ফররুক আহমেদ, আব্দুল জলিল, মোহাম্মদ এনায়েত করিম, মকবুল হোসেন, মোহাম্মদ নায়েব আলী, সুশান্ত কুমার পাল, রুবাইয়া হিজাজী, আয়েশা আক্তার প্রমুখ।
এর আগে গতকাল শনিবার ‘ইনসাইড কুয়েট’ নামের একটি ফেসবুক আইডিতে পোস্টে বলা হয়, ‘দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাসের পর এলই, সিএইচই ডিসিপ্লিনের শিক্ষকেরা ক্লাস শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন। রোববার থেকেই ক্লাস হচ্ছে। অন্যান্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষকেরা ক্লাস শুরুর ব্যাপারে আন্তরিক।’
অপর দিকে কুয়েটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘রক্তাক্ত কুয়েট’ ফেসবুক পেজে শনিবার ‘ক্লাসে চলো’ দাবিতে পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে বলা হয়, ‘সকল জরাজীর্ণ ঝেড়ে ফেলে নেতিবাচকতাকে রেড কার্ড দেখিয়ে আমরা আগামীকাল (রোববার) ফেরত যাই। আমাদের শিক্ষকেরা সর্বদা আমাদের মঙ্গল কামনা করেছেন। তাঁরা আমাদের এই দুর্দিনে কোনোভাবেই মুখ ফিরিয়ে নিতে পারবেন না। তাই আমাদের ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে ক্লাসের উদ্দেশে যেতে হবে। ২১ ও ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে স্ব স্ব ডিপার্টমেন্টে ক্লাস রুটিন অনুযায়ী ক্লাসে ফেরত যাওয়ার জন্য। ক্লাসের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। অন্যান্য ব্যাচের যাদের পরীক্ষা চলমান, তারা ধৈর্য ধারণ করি। ক্লাস-ল্যাব চালু হলে শিগগির রুটিন দিয়ে দেওয়া হবে। আমরা বেশ আশাবাদী।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক আতাউর রহমান তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে যেটা বুঝতে পারলাম, কুয়েটের অধিকাংশ শিক্ষক দ্রুত ক্লাসে ফিরে সব একাডেমিক কার্যক্রম চালু করতে চান।’
এর আগে ১৯ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির অচলাবস্থা নিরসন করে একাডেমিক কার্যক্রমসহ সব ধরনের কার্যক্রম সচলের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কুয়েটের গার্ডিয়ান ফোরাম ঢাকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর জেরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি; যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

টানা পাঁচ মাস ধরে বন্ধ থাকা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) আজ রোববার সকালে একদল শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে বসেছিলেন। কিন্তু কোনো শিক্ষক না আসায় তাঁরা দীর্ঘ সময় বসে থেকে ফিরে যান। এদিকে কুয়েটের ক্লাস, পরীক্ষাসহ সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর দাবিতে দুপুরে মানববন্ধন করেছে গার্ডিয়ান ফোরাম।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের তিনতলায় গিয়ে দেখা যায়, ২১তম ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের অপেক্ষায় বসে আছেন।
এ সময় ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী রেজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অচলাবস্থার অবসান চাই। সর্বশেষ সিন্ডিকেট কমিটির সভায় ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যেটা এখনো কার্যকর আছে। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ওই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। তবে সেই সিদ্ধান্তের আড়াই মাসেও শিক্ষকেরা ক্লাস নিচ্ছেন না। আমরা হতাশ, আমরা চাই দ্রুত ক্লাস শুরু হোক।’
রেজানুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে কোনো দূরত্ব নেই। শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হয়। আমরা চাই, দ্রুত ক্লাস শুরু হোক। ক্লাস শুরু না হওয়া পর্যন্ত আমাদের হতাশা কাটছে না। এ কারণে আমরা ক্লাসে এসে বসে আছি।’
একই ব্যাচের শিক্ষার্থী জুলকার নাইন বলেন, ‘আমরা দ্রুত ক্লাস শুরু চাই। শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। তাঁদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা চাই, শিক্ষকেরা ক্লাসে এসে আমাদের ক্লাস নিতে শুরু করুন।’
আরিফ আলমাস রহমান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের ব্যাচের অধিকাংশ শিক্ষার্থী আজ ক্লাসে উপস্থিত হয়েছি। কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত হতে পারছেন না তাঁদের নিরাপত্তাজনিত কারণে। এখন যদি শিক্ষকেরা আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন এবং ক্লাসে ফেরেন তাহলে আমরা আশা করি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে ইনশা আল্লাহ।’
আসির ফেরদৌস মুনতাসির অর্ক বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ। গত ২৪ এপ্রিল উপাচার্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত ৪ মে থেকে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী আমাদের শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। পাঁচ মাস আমাদের ক্লাস বন্ধ। বাধ্য হয়ে আমরা আজ ক্লাসে এসেছি। এখন শিক্ষকেরা যদি আমাদের ওপর সদয় হয়ে ক্লাস নিতে আসেন, সেই অপেক্ষায় সবাই ক্লাসে বসে আছি।’
এদিকে দুপুরে কুয়েট গার্ডিয়ান ফোরামের উদ্যোগে প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আবার ক্লাসে আসুক, এটা সবারই চাওয়া। শিক্ষকদের আমরা অনুরোধ করব, আপনারা আপনাদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিন। যেসব সংস্থা এটার সঙ্গে যুক্ত, জরুরি ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কী করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লাস শুরু হবে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। আমরা অভিভাবকেরা আপনাদের কাছে সেই অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এ সময় বক্তব্য দেন মো. ফররুক আহমেদ, আব্দুল জলিল, মোহাম্মদ এনায়েত করিম, মকবুল হোসেন, মোহাম্মদ নায়েব আলী, সুশান্ত কুমার পাল, রুবাইয়া হিজাজী, আয়েশা আক্তার প্রমুখ।
এর আগে গতকাল শনিবার ‘ইনসাইড কুয়েট’ নামের একটি ফেসবুক আইডিতে পোস্টে বলা হয়, ‘দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাসের পর এলই, সিএইচই ডিসিপ্লিনের শিক্ষকেরা ক্লাস শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন। রোববার থেকেই ক্লাস হচ্ছে। অন্যান্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষকেরা ক্লাস শুরুর ব্যাপারে আন্তরিক।’
অপর দিকে কুয়েটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘রক্তাক্ত কুয়েট’ ফেসবুক পেজে শনিবার ‘ক্লাসে চলো’ দাবিতে পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে বলা হয়, ‘সকল জরাজীর্ণ ঝেড়ে ফেলে নেতিবাচকতাকে রেড কার্ড দেখিয়ে আমরা আগামীকাল (রোববার) ফেরত যাই। আমাদের শিক্ষকেরা সর্বদা আমাদের মঙ্গল কামনা করেছেন। তাঁরা আমাদের এই দুর্দিনে কোনোভাবেই মুখ ফিরিয়ে নিতে পারবেন না। তাই আমাদের ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে ক্লাসের উদ্দেশে যেতে হবে। ২১ ও ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে স্ব স্ব ডিপার্টমেন্টে ক্লাস রুটিন অনুযায়ী ক্লাসে ফেরত যাওয়ার জন্য। ক্লাসের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। অন্যান্য ব্যাচের যাদের পরীক্ষা চলমান, তারা ধৈর্য ধারণ করি। ক্লাস-ল্যাব চালু হলে শিগগির রুটিন দিয়ে দেওয়া হবে। আমরা বেশ আশাবাদী।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক আতাউর রহমান তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে যেটা বুঝতে পারলাম, কুয়েটের অধিকাংশ শিক্ষক দ্রুত ক্লাসে ফিরে সব একাডেমিক কার্যক্রম চালু করতে চান।’
এর আগে ১৯ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির অচলাবস্থা নিরসন করে একাডেমিক কার্যক্রমসহ সব ধরনের কার্যক্রম সচলের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কুয়েটের গার্ডিয়ান ফোরাম ঢাকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর জেরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি; যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা প্রতিনিধি

টানা পাঁচ মাস ধরে বন্ধ থাকা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) আজ রোববার সকালে একদল শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে বসেছিলেন। কিন্তু কোনো শিক্ষক না আসায় তাঁরা দীর্ঘ সময় বসে থেকে ফিরে যান। এদিকে কুয়েটের ক্লাস, পরীক্ষাসহ সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর দাবিতে দুপুরে মানববন্ধন করেছে গার্ডিয়ান ফোরাম।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের তিনতলায় গিয়ে দেখা যায়, ২১তম ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের অপেক্ষায় বসে আছেন।
এ সময় ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী রেজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অচলাবস্থার অবসান চাই। সর্বশেষ সিন্ডিকেট কমিটির সভায় ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যেটা এখনো কার্যকর আছে। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ওই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। তবে সেই সিদ্ধান্তের আড়াই মাসেও শিক্ষকেরা ক্লাস নিচ্ছেন না। আমরা হতাশ, আমরা চাই দ্রুত ক্লাস শুরু হোক।’
রেজানুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে কোনো দূরত্ব নেই। শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হয়। আমরা চাই, দ্রুত ক্লাস শুরু হোক। ক্লাস শুরু না হওয়া পর্যন্ত আমাদের হতাশা কাটছে না। এ কারণে আমরা ক্লাসে এসে বসে আছি।’
একই ব্যাচের শিক্ষার্থী জুলকার নাইন বলেন, ‘আমরা দ্রুত ক্লাস শুরু চাই। শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। তাঁদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা চাই, শিক্ষকেরা ক্লাসে এসে আমাদের ক্লাস নিতে শুরু করুন।’
আরিফ আলমাস রহমান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের ব্যাচের অধিকাংশ শিক্ষার্থী আজ ক্লাসে উপস্থিত হয়েছি। কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত হতে পারছেন না তাঁদের নিরাপত্তাজনিত কারণে। এখন যদি শিক্ষকেরা আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন এবং ক্লাসে ফেরেন তাহলে আমরা আশা করি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে ইনশা আল্লাহ।’
আসির ফেরদৌস মুনতাসির অর্ক বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ। গত ২৪ এপ্রিল উপাচার্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত ৪ মে থেকে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী আমাদের শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। পাঁচ মাস আমাদের ক্লাস বন্ধ। বাধ্য হয়ে আমরা আজ ক্লাসে এসেছি। এখন শিক্ষকেরা যদি আমাদের ওপর সদয় হয়ে ক্লাস নিতে আসেন, সেই অপেক্ষায় সবাই ক্লাসে বসে আছি।’
এদিকে দুপুরে কুয়েট গার্ডিয়ান ফোরামের উদ্যোগে প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আবার ক্লাসে আসুক, এটা সবারই চাওয়া। শিক্ষকদের আমরা অনুরোধ করব, আপনারা আপনাদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিন। যেসব সংস্থা এটার সঙ্গে যুক্ত, জরুরি ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কী করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লাস শুরু হবে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। আমরা অভিভাবকেরা আপনাদের কাছে সেই অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এ সময় বক্তব্য দেন মো. ফররুক আহমেদ, আব্দুল জলিল, মোহাম্মদ এনায়েত করিম, মকবুল হোসেন, মোহাম্মদ নায়েব আলী, সুশান্ত কুমার পাল, রুবাইয়া হিজাজী, আয়েশা আক্তার প্রমুখ।
এর আগে গতকাল শনিবার ‘ইনসাইড কুয়েট’ নামের একটি ফেসবুক আইডিতে পোস্টে বলা হয়, ‘দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাসের পর এলই, সিএইচই ডিসিপ্লিনের শিক্ষকেরা ক্লাস শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন। রোববার থেকেই ক্লাস হচ্ছে। অন্যান্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষকেরা ক্লাস শুরুর ব্যাপারে আন্তরিক।’
অপর দিকে কুয়েটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘রক্তাক্ত কুয়েট’ ফেসবুক পেজে শনিবার ‘ক্লাসে চলো’ দাবিতে পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে বলা হয়, ‘সকল জরাজীর্ণ ঝেড়ে ফেলে নেতিবাচকতাকে রেড কার্ড দেখিয়ে আমরা আগামীকাল (রোববার) ফেরত যাই। আমাদের শিক্ষকেরা সর্বদা আমাদের মঙ্গল কামনা করেছেন। তাঁরা আমাদের এই দুর্দিনে কোনোভাবেই মুখ ফিরিয়ে নিতে পারবেন না। তাই আমাদের ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে ক্লাসের উদ্দেশে যেতে হবে। ২১ ও ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে স্ব স্ব ডিপার্টমেন্টে ক্লাস রুটিন অনুযায়ী ক্লাসে ফেরত যাওয়ার জন্য। ক্লাসের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। অন্যান্য ব্যাচের যাদের পরীক্ষা চলমান, তারা ধৈর্য ধারণ করি। ক্লাস-ল্যাব চালু হলে শিগগির রুটিন দিয়ে দেওয়া হবে। আমরা বেশ আশাবাদী।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক আতাউর রহমান তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে যেটা বুঝতে পারলাম, কুয়েটের অধিকাংশ শিক্ষক দ্রুত ক্লাসে ফিরে সব একাডেমিক কার্যক্রম চালু করতে চান।’
এর আগে ১৯ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির অচলাবস্থা নিরসন করে একাডেমিক কার্যক্রমসহ সব ধরনের কার্যক্রম সচলের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কুয়েটের গার্ডিয়ান ফোরাম ঢাকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর জেরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি; যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

টানা পাঁচ মাস ধরে বন্ধ থাকা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) আজ রোববার সকালে একদল শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে বসেছিলেন। কিন্তু কোনো শিক্ষক না আসায় তাঁরা দীর্ঘ সময় বসে থেকে ফিরে যান। এদিকে কুয়েটের ক্লাস, পরীক্ষাসহ সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর দাবিতে দুপুরে মানববন্ধন করেছে গার্ডিয়ান ফোরাম।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের তিনতলায় গিয়ে দেখা যায়, ২১তম ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের অপেক্ষায় বসে আছেন।
এ সময় ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী রেজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অচলাবস্থার অবসান চাই। সর্বশেষ সিন্ডিকেট কমিটির সভায় ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যেটা এখনো কার্যকর আছে। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ওই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। তবে সেই সিদ্ধান্তের আড়াই মাসেও শিক্ষকেরা ক্লাস নিচ্ছেন না। আমরা হতাশ, আমরা চাই দ্রুত ক্লাস শুরু হোক।’
রেজানুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে কোনো দূরত্ব নেই। শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হয়। আমরা চাই, দ্রুত ক্লাস শুরু হোক। ক্লাস শুরু না হওয়া পর্যন্ত আমাদের হতাশা কাটছে না। এ কারণে আমরা ক্লাসে এসে বসে আছি।’
একই ব্যাচের শিক্ষার্থী জুলকার নাইন বলেন, ‘আমরা দ্রুত ক্লাস শুরু চাই। শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। তাঁদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা চাই, শিক্ষকেরা ক্লাসে এসে আমাদের ক্লাস নিতে শুরু করুন।’
আরিফ আলমাস রহমান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের ব্যাচের অধিকাংশ শিক্ষার্থী আজ ক্লাসে উপস্থিত হয়েছি। কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত হতে পারছেন না তাঁদের নিরাপত্তাজনিত কারণে। এখন যদি শিক্ষকেরা আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন এবং ক্লাসে ফেরেন তাহলে আমরা আশা করি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে ইনশা আল্লাহ।’
আসির ফেরদৌস মুনতাসির অর্ক বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ। গত ২৪ এপ্রিল উপাচার্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত ৪ মে থেকে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী আমাদের শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। পাঁচ মাস আমাদের ক্লাস বন্ধ। বাধ্য হয়ে আমরা আজ ক্লাসে এসেছি। এখন শিক্ষকেরা যদি আমাদের ওপর সদয় হয়ে ক্লাস নিতে আসেন, সেই অপেক্ষায় সবাই ক্লাসে বসে আছি।’
এদিকে দুপুরে কুয়েট গার্ডিয়ান ফোরামের উদ্যোগে প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আবার ক্লাসে আসুক, এটা সবারই চাওয়া। শিক্ষকদের আমরা অনুরোধ করব, আপনারা আপনাদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিন। যেসব সংস্থা এটার সঙ্গে যুক্ত, জরুরি ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কী করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লাস শুরু হবে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। আমরা অভিভাবকেরা আপনাদের কাছে সেই অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এ সময় বক্তব্য দেন মো. ফররুক আহমেদ, আব্দুল জলিল, মোহাম্মদ এনায়েত করিম, মকবুল হোসেন, মোহাম্মদ নায়েব আলী, সুশান্ত কুমার পাল, রুবাইয়া হিজাজী, আয়েশা আক্তার প্রমুখ।
এর আগে গতকাল শনিবার ‘ইনসাইড কুয়েট’ নামের একটি ফেসবুক আইডিতে পোস্টে বলা হয়, ‘দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাসের পর এলই, সিএইচই ডিসিপ্লিনের শিক্ষকেরা ক্লাস শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন। রোববার থেকেই ক্লাস হচ্ছে। অন্যান্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষকেরা ক্লাস শুরুর ব্যাপারে আন্তরিক।’
অপর দিকে কুয়েটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘রক্তাক্ত কুয়েট’ ফেসবুক পেজে শনিবার ‘ক্লাসে চলো’ দাবিতে পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে বলা হয়, ‘সকল জরাজীর্ণ ঝেড়ে ফেলে নেতিবাচকতাকে রেড কার্ড দেখিয়ে আমরা আগামীকাল (রোববার) ফেরত যাই। আমাদের শিক্ষকেরা সর্বদা আমাদের মঙ্গল কামনা করেছেন। তাঁরা আমাদের এই দুর্দিনে কোনোভাবেই মুখ ফিরিয়ে নিতে পারবেন না। তাই আমাদের ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে ক্লাসের উদ্দেশে যেতে হবে। ২১ ও ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে স্ব স্ব ডিপার্টমেন্টে ক্লাস রুটিন অনুযায়ী ক্লাসে ফেরত যাওয়ার জন্য। ক্লাসের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। অন্যান্য ব্যাচের যাদের পরীক্ষা চলমান, তারা ধৈর্য ধারণ করি। ক্লাস-ল্যাব চালু হলে শিগগির রুটিন দিয়ে দেওয়া হবে। আমরা বেশ আশাবাদী।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক আতাউর রহমান তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে যেটা বুঝতে পারলাম, কুয়েটের অধিকাংশ শিক্ষক দ্রুত ক্লাসে ফিরে সব একাডেমিক কার্যক্রম চালু করতে চান।’
এর আগে ১৯ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির অচলাবস্থা নিরসন করে একাডেমিক কার্যক্রমসহ সব ধরনের কার্যক্রম সচলের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কুয়েটের গার্ডিয়ান ফোরাম ঢাকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর জেরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি; যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৭ মিনিট আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১৯ মিনিট আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
২১ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট, জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. নাসির মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার সকালে সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত নাসির মিয়া ওই গ্রামের মইজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
৪০ মিনিট আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি আমরা মহাসড়কে চলতে দেব না। এ জন্য বিআরটিএ, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে। সরকারি গাড়িগুলোও ছাড় পাবে না, এমনকি আমি নিজেই বিআরটিএর গাড়ি ডাম্প করেছি।’

বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি আমরা মহাসড়কে চলতে দেব না। এ জন্য বিআরটিএ, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে। সরকারি গাড়িগুলোও ছাড় পাবে না, এমনকি আমি নিজেই বিআরটিএর গাড়ি ডাম্প করেছি।’

টানা পাঁচ মাস ধরে বন্ধ থাকা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) আজ রোববার সকালে একদল শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে বসেছিলেন। কিন্তু কোনো শিক্ষক না আসায় তাঁরা দীর্ঘ সময় বসে থেকে ফিরে যান। এদিকে কুয়েটের ক্লাস, পরীক্ষাসহ সব ধরনর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর দাবিতে দুপুরে মানববন্ধন করেছে গার্ডিয়ান..
২০ জুলাই ২০২৫
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১৯ মিনিট আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
২১ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট, জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. নাসির মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার সকালে সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত নাসির মিয়া ওই গ্রামের মইজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
৪০ মিনিট আগেযশোর প্রতিনিধি

যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায়উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে পিস্তলটি উদ্ধার করে।

যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায়উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে পিস্তলটি উদ্ধার করে।

টানা পাঁচ মাস ধরে বন্ধ থাকা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) আজ রোববার সকালে একদল শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে বসেছিলেন। কিন্তু কোনো শিক্ষক না আসায় তাঁরা দীর্ঘ সময় বসে থেকে ফিরে যান। এদিকে কুয়েটের ক্লাস, পরীক্ষাসহ সব ধরনর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর দাবিতে দুপুরে মানববন্ধন করেছে গার্ডিয়ান..
২০ জুলাই ২০২৫
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৭ মিনিট আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
২১ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট, জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. নাসির মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার সকালে সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত নাসির মিয়া ওই গ্রামের মইজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
৪০ মিনিট আগেঢামেক প্রতিবেদক

আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলের দিকে বংশালের আগামসিহ লেনের ৯৩/১ নম্বর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর গলায় জিআই তার পেঁচানো ছিল।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে এবং পরে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হয়। এ সময় সে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে সিঁড়িতে পড়ে ছিল। তবে ওই বাসার চারতলায় শুধু একটি পরিবার থাকত বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ওই বাসা পুরোটাই গোডাউন। চারতলার ওই বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।’
এসআই আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থীকে গলায় জিআই তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
হাসপাতালে নিহত সজিবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম বলেন, ‘সজিবদের বাসা বংশাল আগামসিহ লেনে। সজিব এবার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তবে সে অকৃতকার্য হয়। কয়েক দিন আগে তাবলিগের সঙ্গে দোহার গিয়েছিল। গতকাল বাসায় আসে। আজ বেলা ৩টার দিকে ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর বিকেলে জানতে পারি, একটি বাসার সিঁড়িতে সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে।’
সজিব আরও বলেন, ‘যে বাসায় সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে, ওই বাসার চারতলায় সজিবের প্রেমিকা খাদিজাদের বাসা। খাদিজার বাবা বেঁচে নেই। তবে ঘটনার পর থেকে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ৬ বছর ধরে খাদিজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সজিবের। মাঝে একবার মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে খাদিজার মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না।’
পরিবারের অভিযোগ, খাদিজার দুই মামা ইকবাল ও কামাল মিলে সজিবকে হত্যা করেছে।
এর আগে, ১৯ অক্টোবর রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকার একটি বাসার সিঁড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ওই বাসায় জুবায়েদ টিউশনি করাতেন। পরে ডিএমপি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ ফল বলে জানায়।

আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলের দিকে বংশালের আগামসিহ লেনের ৯৩/১ নম্বর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর গলায় জিআই তার পেঁচানো ছিল।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে এবং পরে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হয়। এ সময় সে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে সিঁড়িতে পড়ে ছিল। তবে ওই বাসার চারতলায় শুধু একটি পরিবার থাকত বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ওই বাসা পুরোটাই গোডাউন। চারতলার ওই বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।’
এসআই আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থীকে গলায় জিআই তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
হাসপাতালে নিহত সজিবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম বলেন, ‘সজিবদের বাসা বংশাল আগামসিহ লেনে। সজিব এবার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তবে সে অকৃতকার্য হয়। কয়েক দিন আগে তাবলিগের সঙ্গে দোহার গিয়েছিল। গতকাল বাসায় আসে। আজ বেলা ৩টার দিকে ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর বিকেলে জানতে পারি, একটি বাসার সিঁড়িতে সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে।’
সজিব আরও বলেন, ‘যে বাসায় সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে, ওই বাসার চারতলায় সজিবের প্রেমিকা খাদিজাদের বাসা। খাদিজার বাবা বেঁচে নেই। তবে ঘটনার পর থেকে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ৬ বছর ধরে খাদিজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সজিবের। মাঝে একবার মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে খাদিজার মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না।’
পরিবারের অভিযোগ, খাদিজার দুই মামা ইকবাল ও কামাল মিলে সজিবকে হত্যা করেছে।
এর আগে, ১৯ অক্টোবর রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকার একটি বাসার সিঁড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ওই বাসায় জুবায়েদ টিউশনি করাতেন। পরে ডিএমপি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ ফল বলে জানায়।

টানা পাঁচ মাস ধরে বন্ধ থাকা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) আজ রোববার সকালে একদল শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে বসেছিলেন। কিন্তু কোনো শিক্ষক না আসায় তাঁরা দীর্ঘ সময় বসে থেকে ফিরে যান। এদিকে কুয়েটের ক্লাস, পরীক্ষাসহ সব ধরনর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর দাবিতে দুপুরে মানববন্ধন করেছে গার্ডিয়ান..
২০ জুলাই ২০২৫
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৭ মিনিট আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১৯ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট, জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. নাসির মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার সকালে সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত নাসির মিয়া ওই গ্রামের মইজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
৪০ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট, জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. নাসির মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার সকালে সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত নাসির মিয়া ওই গ্রামের মইজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের সাচ্চু গ্রুপের আধিপত্য নিয়ে পূর্ববিরোধ চলছিল। উভয় পক্ষে অনুসারীদের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত নাসির উদ্দিন বিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন বল্লম, টেঁটাসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। উভয় পক্ষের লোকজনকে হেলমেট, লাইফ জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে সংঘর্ষে অংশ নিতে দেখা যায়। এ সময় বেশ কয়েক নারীকেও সংঘর্ষে উপস্থিত দেখা যায়।
ঘটনার সময় ককটেল বিস্ফোরণসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুর ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে সাচ্চু পক্ষের নাসির মিয়া নিহত হন এবং উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, পূর্ব থেকে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল গ্রামের এক বৃদ্ধা মারা যান। তাঁর ছয় ছেলের মধ্যে চারজন এক পক্ষে এবং দুজন অন্য পক্ষের অনুসারী। তাঁদের মায়ের লাশ দাফন নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো মামলা কিংবা কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট, জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. নাসির মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার সকালে সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত নাসির মিয়া ওই গ্রামের মইজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের সাচ্চু গ্রুপের আধিপত্য নিয়ে পূর্ববিরোধ চলছিল। উভয় পক্ষে অনুসারীদের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত নাসির উদ্দিন বিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন বল্লম, টেঁটাসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। উভয় পক্ষের লোকজনকে হেলমেট, লাইফ জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে সংঘর্ষে অংশ নিতে দেখা যায়। এ সময় বেশ কয়েক নারীকেও সংঘর্ষে উপস্থিত দেখা যায়।
ঘটনার সময় ককটেল বিস্ফোরণসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুর ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে সাচ্চু পক্ষের নাসির মিয়া নিহত হন এবং উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, পূর্ব থেকে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল গ্রামের এক বৃদ্ধা মারা যান। তাঁর ছয় ছেলের মধ্যে চারজন এক পক্ষে এবং দুজন অন্য পক্ষের অনুসারী। তাঁদের মায়ের লাশ দাফন নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো মামলা কিংবা কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

টানা পাঁচ মাস ধরে বন্ধ থাকা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) আজ রোববার সকালে একদল শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে বসেছিলেন। কিন্তু কোনো শিক্ষক না আসায় তাঁরা দীর্ঘ সময় বসে থেকে ফিরে যান। এদিকে কুয়েটের ক্লাস, পরীক্ষাসহ সব ধরনর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর দাবিতে দুপুরে মানববন্ধন করেছে গার্ডিয়ান..
২০ জুলাই ২০২৫
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৭ মিনিট আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১৯ মিনিট আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
২১ মিনিট আগে