Ajker Patrika

জামায়াতে যোগ দেওয়ায় হিন্দুদের মনে শান্তি এসেছে: কৃষ্ণ নন্দী

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াতে যোগ দেওয়ায় হিন্দুদের মনে শান্তি নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা-১ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী ও সনাতন শাখার ডুমুরিয়া উপজেলা সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী। তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেওয়ায় হিন্দু সম্প্রদায় অপমানিত হয়েছে বলে আমি মনে করি না। বরং হিন্দুদের মনে শান্তি নেমে এসেছে। আমি নির্বাচিত হলে হিন্দুদের প্রতিনিধিত্ব করব।’

আজ বৃহস্পতিবার খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

কৃষ্ণ নদী বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) খুলনা-১ আসনের দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী হিসেবে কাজ শুরু করেছি। এ অবস্থায় জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ভারতে অবস্থানরত ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাইগল কমিটির নেতা শিপন কুমার বসু আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘শিপন বসু একজন ব্লাকমেইলার ও আন্তর্জাতিক চাঁদাবাজ। তিনি আমার মোবাইল নম্বর ম্যানেজ করে বিভিন্ন কৌশলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জীবননাশের হুমকি দেন এবং আমি হিন্দু হয়ে কেন জামায়াতে যোগদান করে হিন্দুধর্মকে বিতর্কিত করছি।’

কৃষ্ণ নদী বলেন, ‘আমাকে দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার মাধ্যমে স্পষ্টভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটা অসাম্প্রদায়িক দল। আমাকে প্রার্থী করায় সারা দেশে হিন্দুদের দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

‘জামায়াত আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার পরই একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মিথ্যা প্রোপাগান্ডা শুরু করেছে। যা প্রমাণ করে এটা গভীর ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ।’

জামায়াতের সনাতন শাখার এই নেতা বলেন, ‘আমাকে খুলনা-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার আগে সেখানে জামায়াতের প্রার্থী ছিলেন দলের বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির মাওলানা শেখ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। তাঁকে পরিবর্তন করে আমাকে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার পরপরই মাওলানা শেখ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ আমাকে সমর্থন করেন এবং আমরা একসঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করি। আমাদের ভেতরে কোনো ভুল-বোঝাবুঝি নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাইগল কমিটির নেতা শিপন কুমার বসুর সঙ্গে আমার টেলিফোনে পরিচয় হয়। ব্যবসার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। ভারতে গিয়ে তার বাসায় খেয়েছি। কিন্তু সে এভাবে (ফেসবুকে ছড়াবে) করবে বুঝতে পারিনি।’

এক প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। ইসরায়েলের গুপ্তচর মোসাদের মেনদি সাফাদিকে চিনি না।’ ৫ আগস্ট তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি জিডি করে রেখেছি। পরে পুলিশ তদন্ত করে বের করবে কারা জড়িত।’

এ সময় জামায়াতের সনাতন কমিটি ডুমুরিয়া উপজেলা সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হরিদাস মণ্ডল, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ মণ্ডল, কোষাধ্যক্ষ গৌতম মণ্ডল, জলমা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি বাদল রায়, জামায়াতে ইসলামীর বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির মোহাম্মদ শেখ আবু ইউসুফসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

এলাকার খবর
Loading...